জীবন বদলে দেওয়া একটি গল্প ভাগাভাগি করবেন কি?
জীবন বদলে দেওয়া একটি গল্প ভাগাভাগি করবেন কি?
সম্প্রতি মি. কাকনের জীবনে একটি শিক্ষণীয় ঘটনা ঘটেছে।
ইদের আগে তিনি দেড় লাখ টাকার মতো বোনাস পেয়েছিলেন। হঠাৎ করে অ্যাকাউন্টে এত টাকা দেখে তিনি নতুন আইফোন, জুতা সহ নানারকম জিনিস কেনার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। আসলে এসব জিনিসের কোনোটাই তাঁর প্রয়োজন ছিল না।
তাঁর আগেই আইফোন ১১ ছিল এবং জুতা ও কাপড় তাঁর কোনো কমতি ছিল না। তবুও তিনি বোনাসের টাকাটা খরচ করার পরিকল্পনা করতে শুরু করেন। দু’দিন পর তিনি আইফোন ১৩ প্রো কিনতে দোকানে গেলেন। ডেবিট কার্ড দিয়ে পে করতে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময় দোকানদার জানালেন যে পস (পয়েন্ট অফ সেল) মেশিনের মাধ্যমে ট্রান্সেকশন করলে মোট টাকার উপর ২% করে চার্জ লাগে (প্রতি ১ লাখ টাকায় ব্যাংক ২০০০ টাকা চার্জ নেবে)।
দোকানদার আরও বললেন যে পাশেই এটিএম আছে। সেখান থেকে টাকা উঠিয়ে দিলে দোকানদারের সুবিধা হবে, ক্রেতারও সুবিধা হবে। এরপরও তিনি কার্ড-এর মাধ্যমে পেমেন্টের কথা বললে দোকানদার বললেন, “স্যার, এটিএম তো পাশেই আছে, ক্যাশ নিয়ে আসেন না কেন? আপনারও সুবিধা হবে আমারও সুবিধা হবে।” তিনি আরও বললেন, ক্যাশ পেমেন্ট করলে তিনি দু হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় দিতে পারবেন। এতে কাকনের মনে সন্দেহ জাগল যে দোকানদার হয়তো ট্যাক্স বাঁচাতে চাইছেন।
যাই হোক, কাকন সাহেব টাকা তুলতে এটিএমে গেলেন। হাতে ৫০,০০০ টাকা পেয়ে তিনি চমকে গেলেন। এত টাকা তাঁর কাছে কখনো ছিল না। হঠাৎ করেই তিনি উপলব্ধি করলেন, তিনি কিছুক্ষণ আগে যে এক লাখ টাকার বেশি দামের আইফোন কিনতে যাচ্ছিলেন, তা আসলে এতটা দরকারি নয়। হাতে এত টাকা দেখে তিনি মাইন্ড চেঞ্জ করে ফেললেন এবং বাড়ি চলে এলেন। অল্প কিছু শপিং করার পর, বাকি টাকাটা তিনি ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করলেন।
এই গল্প থেকে আমরা একটি শিক্ষা পেলাম। যদি কোন বড় জিনিস কিনতে হয়, তাহলে একটু ভাবুন। মিনিমাম ৩০ দিন অপেক্ষা করুন এবং দেখুন, ঐ জিনিসটা আপনার কি সত্যিই দরকার? দরকার হলে তবেই কিনুন। এছাড়াও, কোন বড় জিনিস কিনতে হলে সেই টাকাটা এটিএম থেকে বের করে নিয়ে হাতে নিয়ে দেখুন। এত টাকা খরচ করার আগে একটু চিন্তা করুন। ডিজিটাল টাকা অনেক সময় কম মনে হয়। এমনকি এক লাখ টাকাও।