RE: এলার্জির সমস্যা ?

      শীতকালে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ব্রাশ করে মুখে পানি দিলেই শুরু হয়ে যায় অনবরত হাঁচি পড়া। এই হাঁচি পড়া টানা ১৫-২০ মিনিট পর্যন্ত হয়ে থাকে। এইভাবে আর কতক্ষণ ফ্রেশ না হয়ে থাকা যায়।কিন্তু যে দিন শীতের প্রকপ কম; সেদিন তেমন সমস্যা হয় না। আমার সকালে ক্লাশে যেতে হয়। এই সমস্যার সমাধান কি ?

      hasan Doctor Asked on February 26, 2015 in স্বাস্থ্য.
      Add Comment
      1 Answers

        যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তাদের শীতকালে হাঁচি, কাশি হবে এটাই স্বাভাবিক। কেননা এ সময় ঠাণ্ডা-কাশি, হাঁচি ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া অ্যালার্জিজনিত কারণেও হাঁচি হতে পারে। তাই এ সময় নিজের একটু বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। হাঁচি বা কাশি হলে প্রাথমিক অবস্থায়ই নিরাময় করা উচিত। এর জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

        হাঁচি-কাশি


        * কাশি হলে গরম পানিতে লবঙ্গ ও আদা ১৫ মিনিট ঢেকে সিদ্ধ করুন। তারপর তাতে সামান্য লবণ মিশিয়ে খান।
        * আদা ও লেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে দিনে দুবার খান।

        * এক চা চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে দিনে তিনবার খান। আরাম পাবেন।

        * আঙুরের রস কাশি খুব দ্রুত উপশম করতে সাহায্য করে।

        * গাজর, টমেটো ও কমলালেবুর রস ওভেনে ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় গরম করে পান করুন। কাশি কমে যাবে।

        * প্রতিদিন এক চা চামচ সরিষার তেল খান।

        এড়ানোর উপায়


        * অনেক সময় স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় বসবাসের কারণে হাঁচির উপদ্রব হতে পারে। ঘর সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখুন। মাঝেমধ্যে জানালা খুলে দিন। এতে ঘরে রোদ প্রবেশ করবে ও স্যাঁতসেঁতে ভাব কেটে যাবে।
        * উলের জামাকাপড় পরার আগে কড়া রোদে কয়েক ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর হালকা গরম পানিতে ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

        * বাড়িতে চট বা উলের পাপোশ বা কার্পেট ব্যবহার করবেন না।

        * ধুলোবালি এড়িয়ে চলুন। বাইরে বেরোনোর সময় মাস্ক পরিধান করুন।

        * ঠাণ্ডাজনিত কারণে হাঁচি-কাশি হলে হালকা গরম পানিতে স্নান সেরে নিন ও চুল ভালোভাবে শুকিয়ে নিন।

        * জামাকাপড় ধোয়ার পর কড়া রোদে শুকিয়ে ইস্ত্রি করে পরিধান করুন।

        * হাঁচি কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তির বা কাশি বা হাঁচি থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরে অবস্থান করুন। সর্দি-কাশির জীবাণু খুব সহজেই আপনার নাক ও কানের ভেতর দিয়ে সংক্রমিত হতে পারে।

        * হাত সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। হাঁচি বা কাশির সঙ্গে নির্গত ঠাণ্ডার জীবাণু যেকোনো বস্তুতে লেগে থাকতে পারে। স্পর্শের মাধ্যমে তা থেকে সংক্রমিত হতে পারেন।

        * পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। দিনে আট গ্লাস পানি গ্রহণ করলে শরীরের বিশুদ্ধ পদার্থ টক্সিন বের করে দেয়।

        * আঙুল দিয়ে ঘন ঘন নাক অথবা চোখ খুঁটবেন না।

        * বিছানায় শুয়ে না থেকে হাঁটাহাঁটি বা হালকা ব্যায়াম করুন।

        * রাতে যথেষ্ট পরিমাণে ঘুমান। পর্যাপ্ত ঘুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

        * কম চর্বিযুক্ত খাবার খান। প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান সরবরাহ করে এমন খাবার খান, যা দেহকে ঠাণ্ডা সর্দির জীবাণুর সঙ্গে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে।

        * কফ, কাশি, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গলাব্যথা, জ্বর ইত্যাদি উপসর্গে ডাক্তারের পরামর্শে সুনির্বাচিত ওষুধ প্রয়োজনে গ্রহণ করুন।

        Professor Answered on February 26, 2015.
        Add Comment

        Your Answer

        By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.