RE: কনডম ব্যবহারে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত?

      Add Comment
      1 Answers

        অনেক প্রয়োজনীয় বিষয় আছে যা আমরা সচারআচার সকলের সাথে আলাপ আলোচনা করতে বিব্রত ও লজ্জা পেয়ে থাকি। কিন্তু এই বিষয় গুলো আসলেই সকলের জানা দরকার এবং বাস্তব ধারণা থাকা প্রয়োজনীয়। যেমন কনডমের কথাই ধরা যাক। কনডম প্রতিদিনের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় একটি জিনিস কিন্তু এটি ব্যবহারে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।

        কনডম হলো ব্যরিয়ার পদ্ধতির জন্মবিরতি করন উপাদান। এর জনপ্রিয়তার কারন যেকোনো সময় এটা ব্যবহার করা যায় এবং এটা সহজলভ্য। কনডমের সবচেয়ে বড় সুবিধা এই যে এটা যৌনবাহিত যেকোনো রোগ থেকে সঙ্গম সময়ে নিরাপত্তা দেয়। এইডস, সিফিলিস, গনোরিয়া, ক্লামাইডিয়া, কন্ডাইলোমা সহ যে কোন যৌন রোগ কনডম ব্যবহারের মাধ্যমে এড়ানো সম্ভব। অনেক পুরুষ আছেন যাদের মিলনের পূর্বেই বীর্যপাত ঘটে (Premature ejaculation) তারা অনেক সময় কনডম ব্যবহারে কিছুটা সুবিধা পেতে পারেন, এছাড়া কিছু মহিলা আছেন যাদের স্বামীর শুক্রানুর প্রতি এলার্জি থাকে, মাস ছয়েক কনডম ব্যবহার করে এই এলার্জি নিয়ন্ত্রন করা যায়, লিঙ্গ প্রবেশের প্রাথমিক পর্যায়ে খসখসে ভাব বা ব্যথা হলেও কনডম ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।

        কনডম ব্যবহারের কিছু নিয়ম :

        ১) কনডমের প্যাকেটটি খুব সতর্কতার সাথে খুলতে হবে। সবসময় কনডম প্যাকেট এর যে কোন এক প্রান্ত থেকে খোলা ভালো। কারণ প্যাকেটটি খুলবার সময় যদি কনডমটি ভিতর থেকে কনডম ফুটা হয়ে যায় অথবা ফেটে যাই তাহলে কনডমটি সম্পূর্ণ ব্যবহার অনউপযোগী হয়ে যেতে পারে।

        ২) এবার কনডমটি প্যাকেট থেকে বের করবার পর খেয়াল রাখতে হবে, কনডমটি কোন পাশ থেকে রোল হবে। আপনি রোলিং পাশটি নিশ্চিত করবার জন্য একটি আঙ্গুল হালকা করে কনডমের রাবারের ভিতর প্রবেশ করে রোলিং পাশটি নিশ্চিত করতে পারেন।

        ৩) কনডম ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ভিতরের বাতাস বের করে নিতে হবে অন্যথায় তা ফেটে গিয়ে শুক্রানু যোনিপথে প্রবেশ করতে পারে।

        ৪) এইবার আস্তে আস্তে হালকা ভাবে রোল করে কনডমটি আপনার গোপনঅঙ্গে পরিয়ে নিন।

        ৫) সম্পূর্ণ উত্তেজনা না হওয়া পর্যন্ত কনডম গোপন অঙ্গে না পরাই ভালো। কারণ উত্তজনা কম থাকলে পরবর্তীতে কনডম খুলে আসতে পারে।

        ৬) এইবার মিলন শেষে উত্থিত অবস্থায় লিঙ্গ বের করে নিয়ে আসতে হবে না হলে অনেক সময় শুক্রানু ছড়িয়ে পরতে পারে।

        ৭) মিলন শেষে ব্যবহারিত কনডম এর শেষ প্রান্তে হালকা ভাবে একটি গিট বাধে দেওয়া ভালো, যার ফলে শুক্রানু বাইরে প্রবেশ করবে না।

        কনডম ব্যবহার শতকরা ১০০ ভাগ জন্মনিয়ন্ত্রনের নিরাপত্তা দেয় না। এর সাফল্যের হার ৯০% এর কাছাকাছি। নিয়ম মাফিক ব্যবহার না করলেই ব্যর্থতা দেখা দেয় । অনেক দম্পত্তির কনডমে এলার্জি থাকতে পারে তাদের কনডম ব্যবহার না করাই ভালো। দীর্ঘদিন কনডম ব্যবহার করলে অনেক সময় দম্পতিরা একধরনের মানসিক অতৃপ্তি এবং অশান্তিতে ভোগেন। কনডম ব্যবহারের সাথে সাথে প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি ব্যবহার করে স্বামী-স্ত্রী অনেক আরাম দায়ক যৌন জীবন উপভোগ করতে পারেন।

        Professor Answered on March 3, 2015.
        Add Comment

        Your Answer

        By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.