RE: কোন খারাপ অভ্যাসগুলি আমরা নিজের অজান্তেই করে ফেলি?

      কোন খারাপ অভ্যাসগুলি আমরা নিজের অজান্তেই করে ফেলি?

      Zontu Train Asked on March 23, 2025 in অনুসরণ.
      Add Comment
      1 Answers
        1. নিজের সাথে অন্য কারুর (বিশেষ করে সমবয়সী বন্ধুদের) তুলনা।
          1. এই অভ্যাসটি খুব খারাপ এবং অস্বাস্থ্যকর। হাতের পাঁচটা আঙুল যেমন সমান নয়, ঠিক তেমন মানুষও একে অপরের থেকে আলাদা। তাই নিজের সাথে অপরের তুলনা করলে কোনো লাভ তো হয়ই না, বরং হীনমন্যতার কারণে ক্ষতি হয়।
        2. দীর্ঘসূত্রতা।
          1. গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি ‘পরে করব’ বলে সরিয়ে রাখাকে ইংরেজি ভাষায় বলা হয় প্রক্রাস্টিনেশন (procrastination)। প্রতিদিন সকালবেলায় এলার্ম-এর আওয়াজ পেলে সেই এলার্ম আবার কিছু সময়ের জন্য পিছিয়ে দেওয়া ও এইভাবে পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠব ভেবে দশটায় ঘুম থেকে ওঠা, এটার এক বড় উদাহরণ। এই দীর্ঘসূত্রতা জীবনে নিয়ে আসে হতাশা ও ব্যর্থতা। তাই এই অভ্যাস পরিত্যাগ করা প্রয়োজনীয়।
        3. অন্যকে হিংসা করা।
          1. সোশাল মিডিয়ার দৌলতে, কারুর জীবনে কী ঘটছে, সেটা জানা এই যুগে খুব একটা কঠিন কাজ নয়। তাই নিজের কাজ না করে, অন্যের জীবনে কী ঘটছে, মানুষ আজ সেই নিয়েই বেশী উদ্বিগ্ন। কে নতুন জামা কিনল, কে পুরস্কার পেল, কে গাড়ি কিনল — এইসব বিষয়ে জেনে, মানুষ অচিরেই ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়ে ও নিজের জীবন থেকে আনন্দ আহরণ করতে ভুলেই যায়।
        4. দিনের বেশিরভাগ সময় ইন্টারনেটে অতিবাহিত করা।
          1. সোশাল মিডিয়ার কথা বলতে গেলে, রবি ঠাকুরের একটি গানের কথা মনে আসে, “এরা পরকে আপন করে, আপনারে পর”। তাই ভিন্ন মহাদেশে বসবাসকারী বন্ধুটির সাথে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে যোগাযোগ রাখতে গিয়ে, আমাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে মেলবন্ধনটা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হাজার হোক, সোশাল মিডিয়া কিন্তু এক ভার্চুয়াল জগত, যেখানে আমরা যা দেখি আর যা প্রকৃত সত্য — এই দুইয়ের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। সোশাল মিডিয়া অবশ্যই একটা ভালো অবলম্বন কিন্তু মনে রাখতে হবে, এই সোশ্যাল মিডিয়াই যেন জীবনের একমাত্ৰ ধ্যান জ্ঞান না হয়ে ওঠে।
        5. প্রশংসা না করা।
          1. মা কোনোকিছু রান্না করলে, কতজন তার সেই খাবারটির প্রশংসা করে? বাবার পরামর্শগুলো যখন জীবনে সহায়তা করে, তখন বাবাকে গিয়ে কতজন ধন্যবাদ জানায়? মানুষ ধরেই নেয় যে বাবা-মাকে ধন্যবাদ না জানলেও বা প্রশংসা না করলেও, তারা তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করবেন। কিন্তু প্রশংসা বা ধন্যবাদ জানালে, তাদের মন খুশিতে ভরে উঠবে। তাই ছোট ছোট অথচ ভালো কাজের জন্য কাউকে ধন্যবাদ জানানো বা প্রশংসা করা, সেটা পরিবারের সদস্যই হোক বা বন্ধু বান্ধব, অত্যন্ত জরুরী। এতে সম্পর্কের দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায়।
        6. সন্তুষ্ট না থাকা।
          1. জীবনে সাফল্য, অর্থ — এইগুলির মূল্যায়ন করে অন্য লোকে, বাহ্যিক চাকচিক্য দেখে। কিন্তু অন্তরটাই যদি সারশূন্য হয়, তাহলে এই সাফল্যের কোনো অর্থই হয় না। তাই আর্থিক প্রাচুর্য থাকুক বা না থাকুক, সন্তুষ্টিই অন্তরের মুখ্য প্রাচুর্য। সন্তুষ্টিই সুখের উৎস, এবং সন্তুষ্টি একটি অভ্যাস, যেটি প্রতিনিয়ত করা উচিৎ।

        আমার মতে, উপরিউক্ত খারাপ অভ্যাসগুলি আমরা নিজেদের অজান্তেই রপ্ত করে ফেলি। এই অভ্যাসগুলি যদি আমরা সচেতন ভাবে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি, আমাদের জীবন আরো সুখকর ও শান্তিময় হয়ে উঠবে।

        Professor Answered on March 23, 2025.
        Add Comment

        Your Answer

        By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.