RE: গর্ভকালীন বিপজ্জনক লক্ষণগুলো কি কি?
গর্ভকালীন বিপজ্জনক লক্ষণগুলো কি কি?
গর্ভকালীন বিপজ্জনক লক্ষণ :
– চোখের পাতা, জিভ, দাঁতের মাড়ি, হাতের তালু ফ্যাকাশে হয়ে গেলে৷ সব সময় ক্লান্তি অনুভব করলে এবং ঘনঘন শ্বাস নিলে বা শ্বাসকষ্ট।
– সন্তান প্রসবের আগে ব্যথাহীন বা ব্যথাসহ যে কোনও অতিরিক্ত রক্তস্রাব শুরু হওয়া।
– উচ্চ রক্তচাপ (১৪০/ঌ০ মিলিমিটার পারদ চাপের চেয়ে বেশি হওয়া)
– অতিরিক্ত মাথাব্যথা, চোখে ঝাপসা ও অস্পষ্ট দেখা।
– গোড়ালি, হাত, মুখ ফুলে যাওয়া ।
– শরীরে খিঁচুনি দেয়া অথবা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
– জন্ডিসে চোখ হলদেটে হয়ে যাওয়া এবং প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ বা লালচে হওয়া।
– মাত্রাতিরক্তি বমি।
– প্রচন্ড জ্বর (স্থায়ী জ্বর, ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে)-৩ দিনের বেশি হওয়া।
– তলপেটে প্রচন্ড ব্যথা।
– যোনিপথ দিয়ে কোন তরল পদার্থ বের হওয়া।
– নির্দিষ্ট তারিখের ৩ সপ্তাহ বা তারও আগে পানি ভেঙে যাওয়া (গর্ভকালের ৩৭ সপ্তাহের আগে)।
– প্রলম্বিত প্রসব (প্রসবকাল ১২ ঘন্টার বেশী)।
– বাধাপ্রাপ্ত প্রসব।
– বাচ্চার অস্বাভাবিক অবস্থান।
– প্রসবের সময় গর্ভস্থ বাচ্চার নাড়ী কিংবা হাত-পা বেরিয়ে যাওয়া
– যৌনিপথে ঘন সবুজ স্রাব।
– প্রসবের অনেকক্ষণ পরও গর্ভফুল না পড়া।
– প্রসবোত্তর অত্যাধিক রক্তস্রাব।
প্রসবকালে :
* যৌনিপথ বা জরায়ুর মুখ ব্যাপকভাবে ছিঁড়ে যাওয়া
* জরায়ু ছিঁড়ে যাওয়া (ক্রমাগত প্রচণ্ড ব্যথা এবং অতিরিক্ত রক্তস্রাব)
পরামর্শ
যদি কোনো মহিলার গর্ভকালীন অবস্থায় উপর্যুক্ত লক্ষণসমূহ দেখা দেয় তবে তাকে দ্রুত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এ কারণে সকল গর্ভবতী মায়ের জানা উচিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বা হাসপাতাল কোথায় এবং কীভাবে যেতে হবে।
ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্সকের পরামর্শ নিন৷