RE: গিরগিটি কীভাবে রং বদলায়?
গিরগিটি camouflage অর্থাৎ ছদ্মবেশ ধরতে রং বদলায় যাতে শত্রুরা দেখতে না পায়। প্রাণী জগতে শুধু গিরগিটিই রং বদলায় না, অনেক পোকামাকড়, ব্যাঙ , সরীসৃপ, মাছ মায় অক্টোপাসও রং বদলাতে পারে। তাদের রং বদলানোর পদ্ধতি এবং কারণের রকমফের আছে, কিন্তু details-টা এখনো অজানা। তবে গিরগিটি শুধু camouflage করতেই রং বদলায় না, নিজেদের মধ্যে ভাব আদান-প্রদান করতে, অন্য গিরগিটিকে ভয় দেখাতে এমনকি প্রজননের জন্য পুরুষ সঙ্গীকে ইমপ্রেস করতেও রং বদলায়। গিরগিটি ectotherm প্রজাতির অর্থাৎ যেসব প্রাণীর রক্ত খুব ঠান্ডা, দেহের ভেতরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে বাইরে থেকে তাপ নেয় প্রাণী। যখন খুব ঠান্ডা তখন দেহের মধ্যে যাতে বেশি তাপ শোষণ হয় তার জন্য বেশ dark হয়ে যায় আবার যখন বেশ গরম তখন light colured হয়ে যায় যাতে তাপ প্রতিফলিত করে দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে পারে। বাইরের তাপমাত্রা, আলো অনুভব করে এরা নিজদের রং বদলায়। এমনও দেখা গেছে রাতের বেলায় বেশ গাঢ় রঙের হয়ে ঘুমোচ্ছে, এমন সময় শরীরের কোন অংশে টর্চের আলো ফেললে সেই অংশের রং আস্তে-আস্তে হালকা হয়ে যায়। এদের যে চামড়া বা ত্বক তাতে তিনটে স্তর থাকে আর প্রত্যেক স্তরে এক-এক রকমের chromatophore বা রঞ্জকগ্রন্থি থাকে। সচেয়ে বাইরের যে স্তর তাতে থাকে xanthophore, যেগুলো লাল আর হলুদ রঙের জন্য দায়ী। মাঝেরটায় থাকে iridophore যেগুলো নীল রঙের জন্য দায়ী, এই iridophore-কে আবার guanophores-ও বলে, কারণ ওই গ্রন্থীগুলোতে বর্ণহীন guanine crystal থাকে, আর এগুলোর মধ্যেই আলো reflected(প্রতিফলিত) এবং scattered(বিচ্ছুরিত) হয়ে নীল দেখায়। সবচেয়ে ভিতরের তিন-নম্বর স্তরটায় থাকে কালো রঙের রঞ্জক পদার্থ নিঃসরণকারী গ্রন্থী melanosome তাই ওটার নাম melanophore, আর এগুলোই রং বদলানোর জন্য মূল ভূমিকা নেয়।
melanophores গুলো অনেকটা তারার মত আকৃতি, আর তারার বিস্তারটা সবগুলো স্তরে ছড়িয়ে থাকে , আর এর ভেতরেই রয়েছে melanosomes-গুলো। Melanosomes-গুলো যখন ছড়িয়ে পড়ে তখন skin-টা dark দেখায় আর তারার কেন্দ্রে থাকলে skin-টা light হয়ে যায়। এখন এই melanosomes- এর বিস্তার বিভিন্ন রঞ্জক পদার্থগুলোকে ঢেকে দেওয়ার তারতম্য অনুযাযী ত্বকের রং পাল্টে যায়। অনেকেই জল রং করে থাকেন। কালো, লাল আর হলুদ রং বিভিন্ন ভাবে মিশিয়ে কতগুলো রং পাওয়া যায়। এগুলো খুব ছোট ছোট থলির মধ্যে ভরা থাকে আর ত্বকের বিভিন্ন স্তর সঙ্কুচিত-প্রসারিত হয়ে ত্বকের বিভিন্ন অংশে রঞ্জক পদার্থের ঘনত্ব পাল্টে-পাল্টে আলাদা আলাদা রং দেখায়। নীল আর সাদা রঙ তো iridophores-এ থাকা guanine crystal গুলোয় scattering বা reflection-এর জন্য হয়।
গিরগিটির skin-এ কিছু receptors থাকে যারা বাইরের তাপমাত্রা অনুভব করে এমন কিছু neuronal বা hormonal signal central nervous system-কে পাঠায়, সেখান থেকে রং পরিবর্তনের সংকেত আসে, যার বহিঃপ্রকাশ এই রং পরিবর্তন।”