RE: চুমু খাওয়ার উপকারিতা কী?

      চুমু খেলে ভাল লাগে। কিন্তু এর কি কোনো উপকারিতা আছে?

      Add Comment
      1 Answers

        গবেষকদের মতে চুম্বন শরীরের জন্যও বেশ উপকারী। উদাহারণস্বরূপ ধরুন আপনি খুব মানসিক চাপে আছেন কোনো কিছু নিয়ে। এই সময়ে ভালোবাসার মানুষটির একটি চুম্বনেই আপনার মানসিক চাপ অনেকখানি কমে যাবে। নিয়মিত চুম্বনে মানুষের যৌবনও বৃদ্ধি পায়। শারীরিক অনুশীলন করার মতোই চুমু শরীরে হ্যাপি হরমোন নিঃস্বরণ করে। যা আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে নিরুৎসাহিত করে এবং আপনার শারীরিক মাপ ঠিক রাখে। এ ছাড়াও চুমু আপনার হৃৎপিণ্ডের জন্য ভালো এবং এটা আপনার দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। আসুন জেনে নিই চুম্বনের শারীরিক উপকারিতাগুলো।

        মানসিক চাপ কমায়ঃ চুমু খাওয়ার ফলে তা আপনার মন থেকে ডজনখানেক সমস্যার চিন্তা দূর করে দেয়। বৈজ্ঞানিকভাবে বলতে গেলে চুমু খাওয়ার ফলে শরীরের অক্সিটসিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এটি শরীরের শান্ত করার রাসায়নিক। এ ছাড়াও চুমুর ফলে আপনি গভীরভাবে শ্বাস নিতে পারবেন, যা শরীরকে রিলাক্স হতে সহায়তা করবে।

        তারুণ্য ধরে রাখবেঃ চুমুর ফলে মুখের প্রায় ৩০টি পেশির উদ্দীপনা হয়। এ ছাড়াও এর উপকারিতার মধ্যে রয়েছে আপনার কপালের ত্বক থেকে শুরু করে চোয়ালের মসৃণতা তৈরি পর্যন্ত। আপনার তারুণ্য অনুভব করতে এটি যেমন সাহায্য করবে তেমনি আপনাকে তা তরুণ দেখাতেও সাহায্য করবে। মুখের রক্তচলাচল বেড়ে যাওয়ায় এর মাধ্যমে আপনার মুখের দ্যুতি বেড়ে যায় এবং বয়সের কারণে সৃষ্ট মুখের বলিরেখা কমায়।

        ক্যালোরি ক্ষয়ঃ আপনি যদি মনে করেন,শুধু জিম করা বা দৌড়ানোর মাধ্যমে দ্রুত শরীরের কিছু ক্যালোরি ক্ষয় করা যাবে,তাহলে আপনি ভুল করছেন। কারণ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে প্রায় ২ মিনিট ধরে চুম্বন করলে অন্তত ৬ ক্যালোরি ক্ষয় হয়। চুম্বনে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়, তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চুম্বনের জুড়ি নেই। এ কারণে আপনি যদি দৈনন্দিন ফিটনেসের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রাখেন ‘চুমু’কে তাহলে তা খুবই কার্যকর হবে।

        দাঁতের ক্ষয়রোধঃ চুমুও দাঁত ও মুখের সুস্বাস্থ্যের জন্য ভালো। চুমু খাওয়া দাঁতের জন্যও উপকারী। চুম্বনের সময় মুখের সালাইভা ফ্লো বাড়ে এবং এর ফলে দাঁত পরিষ্কার হয় ও ভালো থাকে। এটি অ্যাসিডের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়,খাবারের কণাগুলো সরিয়ে দেয় এবং দাঁতের ক্ষয়রোধ করে।

        হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখেঃ চুমু খাওয়ার সময় কখনো আপনার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে আর বেড়ে যেতে পারে হৃৎস্পন্দন। এতে হৃৎপিণ্ডের ব্যায়াম হবে। এ ছাড়াও এর মাধ্যমে আরো কয়েকটি উপকার হয়। যেমন এটি আপনার হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন নিয়মিত হতে সাহায্য করে,রক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এ কারণে চুমুর মাধ্যমে সুস্থ ও স্বাভাবিক হৃৎপিণ্ড বজায় রাখা সম্ভব।

        ইনসমনিয়া সারায়ঃ যারা চুমু খেতে ভালোবাসেন এবং নিয়মিত চুমু খান তাদের ইনসোমনিয়ার সমস্যা হয় না। অন্যদের তুলনায় তারা মানসিকভাবে স্থির প্রকৃতির হয়।

        জীবন সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণাঃ গবেষকদের মতে যারা নিয়মিত চুম্বন করে জীবন সম্পর্কে তাদের ধারণা বেশ ইতিবাচক। এসব যুগল অন্যদের তুলনায় বেশি দীর্ঘ ও সুস্থ্ জীবন যাপন করে।

        রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়েঃ নিয়মিত চুম্বনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং দাম্পত্য সম্পর্ক আরো মজবুত হয়।
        নিয়মিত চুম্বনকারী দম্পতিরা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও সুখী হয়। চুম্বনের সময় শরীর সুখাঅনুভূতির হরমোন তৈরি করে। যার ফলে তারা অন্যদের থেকে বেশি প্রশান্তিতে থাকে এবং যে কোনো লক্ষ্য সহজেই অর্জন করতে পারে।

        মেজাজ ফুরফুরে থাকেঃ চুম্বন করলে মেজাজ ফুরফুরে থাকে। প্রতিদিন সকালে মাত্র ২ মিনিট চুম্বন করলে সারা দিন আপনার মন-মেজাজ উত্ফুল্ল থাকবে।

        দুটি মানুষের ভালোবাসা প্রকাশের এই মাধ্যমে শরীরের নানান উপকারীতা লুকিয়ে আছে। চুম্বনকে মনের খোরাকের পাশাপাশি শরীরের খোরাকও বলা যেতে পারে। তাই ভালোবাসার মানুষটিকে চুম্বন করে সুস্থ, দীর্ঘ ও সুখী জীবন লাভ করুন।

        Professor Answered on February 26, 2015.
        Add Comment

        Your Answer

        By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.