RE: জীবনের সেরা উপদেশটি কী দেবেন?
জীবনের সেরা উপদেশটি কী দেবেন?
আজকাল ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রামের যুগে প্রচুর কি-বোর্ড যোদ্ধা দেখা যায়। তারা তক্কে তক্কে থাকে কখন এমন কোন পোস্ট পাবে যেটাতে গিয়ে তারা পোস্ট প্রদানকারীকে গালাগাল করতে পারবে। আমি নিজেই এমন একটি ঘটনার স্বীকার হয়েছি কিছুদিন আগে। বিশেষত ধর্ম নিয়ে কিছু লিখলে তো ধরে নিন যাই লিখবেন, একদল মানুষ সেটার মূল অর্থ না বুঝে এসে বিনাকারণে গালাগালি করবেই। এখন তাই বলে কি এদের সাথে ফেসবুকে যুদ্ধ করতে বসবেন বিশাল বিশাল রচনা লিখে কমেন্টে?
আমাদের খুব বড় একটা সমস্যা হচ্ছে আমরা পরমত কে সম্মান করতে জানি না। আপনার সাথে আমার মতের অমিল হতেই পারে এবং এত এত মানুষের দুনিয়ায় সেটা না হওয়াই বরং অস্বাভাবিক। তাই বলে কি আমি আপনার কল্লা দাবি করবো? অথবা কমেন্টে গিয়ে আপনার পরিবার তুলে গালাগাল করবো? না! আমি পাশ কেটে যাবো অথবা ভদ্র ভাষায় নিজের মতামতের ভিন্নতা তুলে ধরবো। একজন শিক্ষিত এবং অশিক্ষিতের মধ্যে এই হচ্ছে ফারাক।
দুঃখের বিষয় আমাদের আশেপাশে এই অশিক্ষিত অভদ্র মানুষের সংখ্যা প্রচুর, যারা কি-বোর্ডে আকাশকুসুম যুক্তি দিতে ওস্তাদ, গালাগালি করতে ওস্তাদ কিন্তু সামনে এসে একটা শব্দ উচ্চারণ করার মুরোদ নেই এদের। উলটো দেখা যাবে আপনাকে সালাম দিচ্ছে ভক্তিভরে। ইন্টারনেট-সোশাল মিডিয়ার সহজলভ্যতার কারণে এইসব বিষযুক্ত মানুষ যাদের কথা বলার যোগ্যতা নাই তারাও এখন একটা কন্ঠ পেয়েছে আর বিষ ঢালছে।
এদের শায়েস্তা করার উপায় হচ্ছে একদম অগ্রাহ্য করা এদের উপস্থিতি। গালাগালি করছে? গলা ফাটাচ্ছে? করতে দিন। যদি এদের সাথে তর্কে জড়ান আপনাকে নিজের পর্যায়ে নামায়ে এরপর এরা তর্ক করবে। এরথেকে নিজেদের বোকার স্বর্গে বসবাস করুক নিজের মতন।
পাঁঠার সাথে তর্কে জড়ালে উত্তর তো ব্যা ব্যা বাদে অন্যকিছু আসবে না, নাকি?