RE: জ্ঞান কাকে বলে এবং জ্ঞান অর্জন কেন করতে হবে?

      জ্ঞান কাকে বলে এবং জ্ঞান অর্জন কেন করতে হবে?

      Zohad Doctor Asked on February 10, 2025 in অনুসরণ.
      Add Comment
      1 Answers

        জ্ঞান হলো এমন এক বৈশিষ্ট্য, যার মাধ্যমে কোনো বিষয় সম্পর্কে সঠিক উপলব্ধি, বুঝ ও পরিপূর্ণ সচেতনতা লাভ করা যায়। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে জ্ঞান দুই প্রকার:

        1. দ্বীনি জ্ঞান (ইসলামী জ্ঞান): যা আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর দেয়া জ্ঞান, যেমন কুরআন, হাদিস, ফিকহ, আকাইদ ইত্যাদি।
        2. দুনিয়াবি জ্ঞান (পার্থিব জ্ঞান): যেমন বিজ্ঞান, গণিত, চিকিৎসা, প্রকৌশল ইত্যাদি, যা মানুষের জীবনকে সহজ ও উন্নত করতে সাহায্য করে।

        ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

        ১. কুরআন ও হাদিসে জ্ঞান অর্জনের নির্দেশ

        • আল্লাহ তাআলা বলেন:
          “পড়ো তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।” (সূরা আলাক: ১)
          এই আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, ইসলামে জ্ঞানের গুরুত্ব কত বেশি।
        • রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
          “জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য ফরজ।” (ইবন মাজাহ: ২২৪)
          অর্থাৎ, প্রতিটি মুসলমানের জন্য ধর্মীয় ও দুনিয়াবি উপকারী জ্ঞান অর্জন বাধ্যতামূলক।

        ২. জ্ঞান মানুষকে মর্যাদার আসনে আসীন করে

        • আল্লাহ বলেন:
          “যারা ঈমান এনেছে এবং যাদের জ্ঞান দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদের মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন।” (সূরা মুজাদালাহ: ১১)
          তাই একজন জ্ঞানী ব্যক্তি অজ্ঞ ব্যক্তির তুলনায় আল্লাহর কাছে বেশি সম্মানিত।

        ৩. সত্য-মিথ্যা, ভালো-মন্দের পার্থক্য বোঝার জন্য

        জ্ঞান ছাড়া মানুষ সত্য-মিথ্যা, সঠিক-ভুলের পার্থক্য বুঝতে পারে না। ইসলামী জ্ঞান থাকলে মানুষ সঠিক আকিদা ও আমল অনুসরণ করতে পারে এবং শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচতে পারে।

        ৪. জ্ঞান দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতার চাবিকাঠি

        • রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
          “যে ব্যক্তি জ্ঞান অনুসন্ধানের জন্য কোনো পথ ধরে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের পথে পরিচালিত করেন।” (মুসলিম: ২৬৯৯)
        • ইসলামী ও দুনিয়াবি জ্ঞান অর্জন করলে মানুষের জীবনে উন্নতি আসে এবং আখিরাতেও সফলতা লাভ করা যায়।

        কোন জ্ঞান অর্জন করা উচিত?

        1. ফরজ-আইন জ্ঞান: যেমন তাওহিদ, সালাত, রোজা, হালাল-হারাম ইত্যাদি সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান।
        2. ফরজ-কিফায়া জ্ঞান: যেমন চিকিৎসা, প্রকৌশল, কৃষি, ব্যবসা ইত্যাদি, যা সমাজের কল্যাণে কাজে লাগে।
        3. আখলাক ও আধ্যাত্মিক জ্ঞান: যা ধৈর্য, নম্রতা, ভালো চরিত্র গঠনে সাহায্য করে।

        উপসংহার

        ইসলাম জ্ঞান অর্জনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে এবং এটাকে ইবাদতের অংশ হিসেবে গণ্য করেছে। দ্বীনি ও দুনিয়াবি উভয় জ্ঞান অর্জন করা উচিত, যাতে আমরা সঠিক পথে চলতে পারি এবং দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হতে পারি।

        Professor Answered on February 10, 2025.
        Add Comment

        Your Answer

        By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.