RE: প্লাস্টিক সার্জারি কী? কোন কোন ক্ষেত্রে প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়?
শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে শরীরে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনাই হচ্ছে প্লাস্টিক সার্জারি। এর সাহায্যে দুর্ঘটনায় বা জন্মগত কোন বিবৃত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বাইরের চেহারা বদলানো যায়। আর যখন এই প্লাস্টিক সার্জারি কেবল সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য করা হয় তখন তাকে কসমেটিক সার্জারি বলে।
ইতিহাস :
খ্রিস্টের জন্মের ৮০০ বছর আগেও প্লাস্টিক সার্জারির প্রমাণ পাওয়া যায়। রোমানদের ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী মানুষ বা প্রাণীর শরীর ব্যবচ্ছেদ করা যেত না। তবু খ্রিস্টের জন্মের প্রায় ১০০ বছর আগে থেকে রোমানরাও ক্ষতিগ্রস্ত কানের প্লাস্টিক সার্জারি করতে শুরু করে। মিশরীয়দের মধ্যেও প্লাস্টিক সার্জারির চল ছিল। আর ভারতেও নাকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য প্লাস্টিক সার্জারি করা হত। ধীরে ধীরে প্লাস্টিক সার্জারির নানা কৌশল উদ্ভাবিত হতে থাকে। বিংশ শতকে পরপর দু’টি বিশ্বযুদ্ধে আহত সৈনিকদের চিকিৎসা করতে গিয়ে প্লাস্টিক সার্জারি ব্যবস্থার আরও উন্নতি হয়।
যেসব ক্ষেত্রে প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়:
– পোড়া বা আঘাতজনিত ক্ষত সারিয়ে তুলতে
– ব্রণের দাগ,তিল অপসারণ ও বলিরেখা দূর করতে
– অবাঞ্ছিত লোম অপসারণে
– ক্যান্সারাক্রান্ত অঙ্গ বা টিউমার অপসারণের পর ক্ষতস্থানে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে
– ঠোঁটকাটা, তালুকাটা, অতিরিক্ত আঙ্গুল বা অন্যান্য জন্মগত ত্রুটি দূর করতে
– টাক মাথায় চুল ফেরাতে
– রাইনোপ্লাস্টি অর্থাৎ নাকের সৌন্দর্যবৃদ্ধি বা ক্ষত দূর করতে
– ম্যামোপ্লাস্টি অর্থাৎ ক্যান্সারের ক্ষত সারাতে বা বক্ষের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে
– লাইপোসাকশন অর্থাৎ শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি বের করতে
– চিবুক, ঠোঁট, চোখের পাতা, কান এসব অঙ্গের সৌন্দর্যবৃদ্ধিতে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব বড় হাসপাতালেই প্লাস্টিক সার্জারি করা হচ্ছে এখন। শুধুমাত্র কসমেটিক সার্জারির জন্যও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। ধন্যবাদ