RE: মানুষের জীবনে শান্তি নেই কেন?
মানুষের জীবনে শান্তি নেই কেন?
শান্তির মা মারা গেছে তাই মানুষের মনে শান্তি নেই। শান্তির মা কে আনতে পারলে শান্তি পাওয়া যাবে হয়তো। একজন শান্তির বাপের (বাবার) গল্প দিয়ে শুর করবো শেষটা ও ওনাকে দিয়ে করবো। একদা এক শান্তির বাপ (বাবা) কাল্পনিক নাম একটু বিনোদনের জন্য। তাহার আছে ছেলে মেয়ে বউ আর সে সহ মোট ৫ জন।
সে পাথর ভাঙার কাজ করে থাকে। যা টাকা পায় তা দিয়ে তার পরিবার ভালো মতো চলে যায় সে তাতে মোটামুটি খুশি ও বটে। একদিন সে কাজ থেকে ফিরার পথে নিজের ভিতরে ফিল করলো এটাকি কোন জীবন হলো প্রতিদিন একই কাজ, তার জীবনে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলে মনে করলো শান্তির বাবা।
বাড়িতে গিয়ে খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো সে স্বপ্নের মধ্যে দেখলো সে একজন বড় নেতা হলো তার আশেপাশে হাজার হাজার মানুষের ভিড় তার নাম ধরে স্লোগান দিচ্ছে সে এটাতে খুশি সে তো এমনই চেয়েছিলেো মানুষ তার নামে গান করবে স্লোগান দিবে কিছুক্ষণ পর সে দেখলো রোদের কারণ তার ঘাম দেওয়া শুরু হয়ে গেলো সে ভাবলো না আমি নেতা হবো না নেতার চাইতে ও শক্তিশালি কেউ আছে সেটা হলো রোদ। আমি রোদ হবো সবাইকে আমি আলোক রশ্মি দিবো।
বলে রাখা ভালো সে গুলো স্বপ্ন দেখতেছে স্বপ্নের মধ্যো মানুষ অনেক কিছু হতে পারে কারণ এটা একটা স্বপ্ন।
সে ভাবলো আর সে সূর্য হয়ে গেলো সবাইকে আলো দিচ্ছে ভালো লাগিতেছিল হঠাৎ করে বাদল এসে সূর্য কে ঢেকে দিলো আর আলোকিত করতে পারতেছে না সে ভাবলো না সূর্য এর চেয়েও শক্তিশালি আরও কেউ আছে সেটা হলো বাদল। যেমন ভাবা তেমনই কাজ সে বাদল হয়ে গেলো। একসময় বৃষ্টি শুরু হলো বৃষ্টি বাদল কে ফুটো করে মাটিতে পড়তে লাগলো সে ভাবলো না বাদল এর চাইতো ও শক্তিশালি হলো বৃষ্টি আমি বৃষ্টি হবো যেমন ভাবা তেমনই হয়ে গেলো বৃষ্টি হওয়াতে সে অনেক ভালো লাগতেছিলো একসময় তুফান আসতে শুরু করলো তুফান এর কারণে বৃষ্টিকে দুলতে লাগলো সে বললো না বৃষ্টির চাইতে ও অনেক শক্তিশালি হলো তুফান।
ছবিঃঃ গুগল মামা
সে ভাবলো আমি এতো কিছু হলাম আমাকে কেউ নড়াতে পারে নাই একমাত্র বাতাসই আমাকে নড়াচড়া করতে পেরেছে তাই সে বাতাস হয়ে গেলো সে বাতাস বইছে জোরে জোরে বাতাস বইছে। মানুষ এই বাতাস দেখে ভয়ে পালাতে শুরু করতেছে।
বাতাস বইছে জোরে জোরে একসময় একটা পাহাড় গায়ে গিয়ে বাতাস আটকে গেলো সে পাথরের পাহাড় কে নড়াতে পারতেছে না , এ-ই দিকে সে বিরক্ত কর বোধ করলো আমি এতো মানুষকে ভয় দেখালাম কত ঘর বাড়ি ধ্বংস ও করলাম কিন্ত এই পাহাড়কে এক চুল নড়াতে পারলে না সে। সে ভাবলো না আমি বাতাস হবো না আমি হবো এই পাথরের পাহাড় তাহলে আমাকে কেউ নড়াতে পারবে না ভাঙতে পারবে না।
যেমন ভাবা তেমনি হয়ে গেলো সে পাহাড়, এক লোক এসে সে পাথরের পাহাড় ভাঙা শুরু করলো সে দেখে বিরক্তিকর হলে পাহাড় কে ভাঙ্গতে পারতেছে আমি সে মানুষটি হবো যে পাহাড় ভাঙ্গতেছে। সে শত চেষ্টা করার পরও কিন্তু ঔই মানুষটি হতে পারছেন না তার অনেক কষ্ট হচ্ছে কারণ তাকে কেউ ভাঙ্গতেছে সে এই সেদিক ছটপট করেই চলছে। কিন্তু সে পাথরের পাহাড় থেকে ওই পাথর ভাঙা মানুষটি হতে পারচ্ছে না। সে চটপট শুরু থেকে তার ঘুম ভাঙ্গছে ঘুম থেকে ওঠে সে পানি পানা করলো, পানি পান করে আয়নায় নিজেকে দেখতেছে সে তখন বলে ওঠলো এটাতো ওই লোক যে পাথর ভাঙ্গতেছে। আমিই তো সে লোক যে পাথর কে ও ভাঙ্গতে পারি।
এটাতো একটা জাস্ট ঘটনা,একটা স্বপ্ন ছিলো। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত জিনিস থাকার পরে ও আমাদের চাওয়া শেষ হয় না, আমরা শুধু পেতে চাই শান্তির বাবার মতে করে, চাওয়ার শেষ নেয়, আমাদের যা আছে তা নিয়ে আমরা যদি খুশিতে থাকতে পারি তাহলে আমরা শান্তি খোঁজে পাবো সহজে। শান্তির বাবার মতো বার বার চেঞ্জ হতে হবে না কখনো বাদল কখনে বা তুফান কখনো পাথর। আমাদের কাছে আমাদের পর্য়াপ্ত জিনিস আছে। শুধু এগুলো ব্যবহার করার পালা। যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্টি থাকুন দেখবেন শান্তি এমনি খুঁজে পাবেন।
ধন্যবাদ এতো কষ্ট করে পড়ার জন্য ভালো লাগলে আপভোট দিতে ভুলবেন না, কেমন লেগেছে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না। কোন কিছু ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখুন। শুভেচ্ছা রইল শান্তির বাপের জন্য।