RE: যে আমার কথার মূল্য দেয় না, তার জন্য করণীয় কী?
যে আমার কথার মূল্য দেয় না, তার জন্য করণীয় কী?
দোকানে কোনো ক্রেতা যদি কিছু কিনতে না চায়, দোকানদার যতই তার পণ্যের গুণ-গুণাবলি বর্ণনা করে সাগর বইয়ে দিক, ক্রেতা কিছুই কিনবে না।
তাহলে দোকানদারকে অন্য ক্রেতার দিকে যেতে হবে, এই আগের ক্রেতাকে তার নিজের পথে চলতে দিয়ে।
কিন্তু দোকানদার যদি নতুন ক্রেতার দিকে মনোযোগ না দিয়ে ঐ আগেরজনকে নিয়েই পড়ে থাকে, কাহিনী হবে দুইটা।
এক, এই ক্রেতা বিরক্ত হয়ে দোকানের সুনাম ঘুচিয়ে দেবে। নতুন ক্রেতা আসতে চাইবে না।
দুই, নতুন ক্রেতা এমনিও আসতে চাইবে না, কারণ দোকানদার তাদের মুল্য না দিয়ে সেই পুরোনো ক্রেতাকে সন্তষ্ট করতেই লেগে আছে।
একই ক্ষতি, কিন্তু হলো দুই দিক থেকে।
তাই এখান থেকে বাঁচতে চাইলে, স্কিপ করতে শিখুন।
আচ্ছা দুনিয়ার কত্ত মানুষ আছে? বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে সবাই আপনার শ্রোতা। কিন্তু আপনি তো সব ভাষা জানেন না, কিন্তু ইংরেজি ভালো পারেন। নেন তাহলে দুনিয়ার অর্ধেক মানুষ আপনার শ্রোতা। কিন্তু আপনি ইংরেজি তো পারেন না, শুধু বাংলা পারেন। নেন তাহলে বাংলাদেশের মানুষ আপনার শ্রোতা। ও আচ্ছা, আপনি লেখাপড়াই পারেন না। তাহলেও আপনার পাড়া-প্রতিবেশী-আত্মীয় মিলিয়ে এক-দুই হাজার মানুষ তো আপনার শ্রোতা হবেই।
শ্রোতার সংখ্যা যদি এক হাজারও হয়, সংখ্যাটা কি ছোট? এর ভেতরে কেউ-ই কি আপনার কথার দাম দিবে না?
অবশ্য না দিতেও পারে। সেক্ষেত্রে, আপনার কথার ভেতরে ঝামেলা আছে। ঠিক করে ফেলুন।
কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাবে, কিছু মানুষের কাছে আপনার দাম নাই। স্বাভাবিক। কোনোকালেই থাকবে না। আপনি হাজার চেষ্টা করেও পারবেন না। সবার খুশির পাত্র হওয়াও যায় না। সবার কাছ থেকে দাম আদায় করে নেওয়াও যায় না। দরকারও নাই।
কাহিনীটা হচ্ছে, ফেসবুকের একটা পোস্টে ১হাজারটা লাভ রিয়েক্টের ভেতরে ১ট হাহা রিয়েক্ট আমাদের নজরে পড়ে। ৫০০ কমেন্টের ভেতরে ১টা বিরক্তিকর কমেন্ট থেকে আমাদের চোখ সরে না। এই কারণে অনেক লোকে আমাদের কথার গুরুত্ব দিলেও আমরা খুব একটা খেয়াল করি না। খেয়াল থাকে, কে দাম দিলো না তার ওপর।
সুতরাং কথার দাম না দিলে, ঘাড় ত্যাড়া করে তর্ক করতে যাবেন না। স্কিপ করতে শিখুন। যারা আপনার কথার দাম দিচ্ছে তাদের চিনতে শিখুন। তাদের সাথে মিশুন। তাদের কথারও দাম দিতে শিখুন। অনেক ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ, আসসালামু আলাইকুম।