RE: সিজন চেঞ্জের সময় টায়ার্ড লাগে কেন?সিজন চেঞ্জের সময় এরকম টায়ার্ড লাগে কেন? অফিসে হাই তুলি। ঘুম ঘুম পায়। – See more at: https://answers.priyo.com/question/641-সিজন-চেঞ্জের-সময়-টায়ার্ড-লাগে-কেন#sthash.rQ9orAXm.dpuf
সিজন চেঞ্জের সময় এরকম টায়ার্ড লাগে কেন? অফিসে হাই তুলি। ঘুম ঘুম পায়।
মৌসুমি ভাইরাস জ্বর বা অ্যালার্জির ব্যাপারে জানি আমরা সবাই। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার প্রভাবে এসব রোগ দেখা দেয়। ফলে আমাদের হালকা জ্বর, সর্দি এসব দেখা যায়। কিন্তু ক্লান্ত লাগাটা এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নয়। এর পেছনে রয়েছে সূর্যালোকের অবদান।
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে সূর্যালোকের তীব্রতা এবং সময়সীমায় আসে পরিবর্তন। এর প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরের ওপর। আমাদের শরীরে শীত এবং গ্রীষ্মের আলাদা আলাদা ঘড়ি আছে, যা পরিবর্তিত হয় এই সূর্যালোকের ওপর ভিত্তি করে। আমাদের চোখ থেকে সোজা একটি স্নায়ু চলে গেছে মস্তিষ্কে যাকে প্রভাবিত করে সূর্যের আলো। সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হলো সকালের রোদ। সকালের এই আলো আমাদের জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করে এবং তার পাশাপাশি আমাদের সারা দিন জাগিয়েও রাখে। সকাল বেলায় যত জলদি সূর্য ওঠে, তত তাড়াতাড়ি জেগে ওঠে আমাদের শরীর। সূর্য উঠতে দেরি হলে আমাদের শরীরটাও দেরি করে জাগে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি গ্রীষ্মকালে সকাল সাড়ে ৬ টায় ঘুম থেকে উঠে পড়েন। যদি শীতকালেও একই সময়ে ঘুম থেকে উঠতে যান তবে তা সহজ হবে না। বেশ কিছু সময় ঘুম ঘুম পেতে থাকবে। শুধু তাই নয়, শীতকালে সূর্যালোকের তীব্রতা কম থাকার কারণে এবং শীতের মাঝে কাজ করতে ইচ্ছে করে না বলে আমাদের ঘুম ঘুম পেতে থাকে সারা দিনই।
তবে এই সমস্যা বেশিদিন স্থায়ী হয় না। ঋতু পরিবর্তনের কিছু দিনই কেবল সমস্যা হয়। কয়েক সপ্তাহের মাঝেই আমাদের শরীর এই পরিবর্তনে অভ্যস্ত হয়ে যায়। কিছুদিন পরেই আসছে শীত। তখন এই সমস্যা হলেও খুব একটা চিন্তিত হবার দরকার নেই আপনার।