RE: হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রোয়েড ফোনটি খুঁজে পেতে কী করা যেতে পারে

      হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রোয়েড ফোনটি খুঁজে পেতে কী করা যেতে পারে? 

      Add Comment
      1 Answers

        সাধারণ মোবাইল ফোনের পাশাপাশি স্মার্টফোনের ব্যবহার এখন বেড়েছে। বিশেষ করে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা মোবাইল ফোনের ব্যবহার তো বেড়েই চলেছে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনগুলোতে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায় অ্যাপ্লিকেশনস (অ্যাপস) ব্যবহার করে।যদি হঠাৎ ফোনটি হারিয়ে যায়, তবে নিয়মিত কাজগুলোতে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধার সৃষ্টি হয়।
        আবার এমনও হতে পারে, হয়তো বাসা থেকে বের হওয়ার সময় মোবাইলটি সঙ্গে নেওয়া হয়নি। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এবং অ্যান্ড্রয়েড ফোনের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বেশ কিছু অ্যাপ্লিকেশন আছে। আসুন জেনে নিই এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো সম্পর্কে।

        ১. হোয়্যার ইজ মাই ড্রয়েড

        হারানো ফোন খুঁজে পাওয়ার জন্য হোয়্যার ইজ মাই ড্রয়েড অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি অ্যাপ। হারিয়ে যাওয়া ফোনটির অবস্থান চিহ্নিত করা, সেটি খুঁজে পাওয়া এবং ফোনের তথ্য নিরাপদে রাখার জন্য এতে আছে বিভিন্ন সুবিধা। ফ্রি, লাইট এবং প্রো নামের আলাদা তিনটি সংস্করণ রয়েছে এর। ফোন হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে এসএমএসের মাধ্যমে ফোনের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই অ্যাপ্লিকেশনের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, এখানে কমান্ডার নামে একটি অংশ রয়েছে। কমান্ডার সক্রিয় থাকলে অ্যাপ্লিকেশনটির মূল ওয়েবসাইট থেকে ফোনের অবস্থান নির্ণয় করা যায়।

        ২. অ্যাভাস্ট

        অ্যাভাস্ট অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরি করা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। অ্যাপের একটি অংশ অ্যান্টিভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার স্ক্যান করে। আর অ্যাপটিতে App Disguiser এবং Stealth Mode নামের দুটি বিশেষ সুবিধা রয়েছে। এটি ব্যবহার করে ব্যবহারকারী অ্যাপটি লুকিয়ে রাখতে পারবেন। এটি বিশেষভাবে কার্যকর, যদি ফোনটি কখনো চুরি হয়ে যায়। তবে অ্যাপ্লিকেশনটি আনইনস্টল করার পদ্ধতিটি বেশ জটিল। ইনস্টল করার পর যদি ফোনটি খোঁজা হয় কখনো, তা হলে অ্যাপটি আনইনস্টল করা একরকম অসম্ভব হয়ে যায়। অ্যাপ্লিকেশনটি নিজে থেকেই সিস্টেম রিস্টোর করতে পারে এবং ফোনের ইউএসবি পোর্ট বন্ধ করে দিতে পারে।

        ৩. প্ল্যান বি

        তালিকার অন্য অ্যাপ্লিকেশনগুলো থেকে এটা কিছুটা আলাদা। ফোন হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হয়ে যাওয়ার পর হয়তো মনে হতে পারে, যদি আগেই একটি অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করা থাকত, তা হলে হয়তো ফোনটি খুঁজে পাওয়া যেত। আর এ ধরনের পরিস্থিতির জন্যই তৈরি করা হয়েছে প্ল্যান-বি অ্যাপটি। ফোনটি হারিয়ে যাওয়ার পর গুগল প্লে সাইটে গিয়ে এই অ্যাপটি ইনস্টল ক্লিক করতে হবে। এরপর অ্যাপটি নিজে থেকেই ইনস্টল হয়ে যাবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে জিপিএস চালু হয়ে যাবে। ফোনটির অবস্থান বের করার পরপরই একটি ই-মেইলের মাধ্যমে গুগল ম্যাপের লিংকসহ ফোনের অবস্থানটি জানিয়ে দেওয়া হবে।

        ৪. লুকআউট

        লুকআউট হলো অ্যান্ড্রয়েড যন্ত্রগুলোর উপযোগী অপর একটি পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা এবং ব্যাকআপ নেওয়ার সফটওয়্যার। এই অ্যাপের মাধ্যমে বিনা মূল্যে অ্যান্টিভাইরাস-সুবিধা পাওয়া যায়। পাশাপাশি ফোনে থাকা নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর ও তথ্য ব্যাকআপ নেওয়ারও সুবিধা পাওয়া যাবে এখানে। আর মোবাইল ফোন হারিয়ে বা চুরি হয়ে গেলে এসএমএসের মাধ্যমে ফোন লক করে দেওয়া বা অবস্থান চিহ্নিত করার সুবিধাও রয়েছে এখানে।

        ৫. লস্ট ফোন

        হারিয়ে যাওয়া ফোন খুঁজে পাওয়ার জন্য অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনের মতো একই ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে এখানে। যার মধ্যে রয়েছে এসএমএসের মাধ্যমে ফোন লক করে দেওয়া, ফোনের অবস্থান জানা। আবার ফোনের রিংটোন বাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে, যেন ওই নম্বরে ফোন করা হলে সেটি খুঁজে পাওয়া যায়। আর এখানে আরও একটি বিশেষ সুবিধা
        হলো, যে সিম কার্ডটি লাগানো অবস্থায় এই অ্যাপটি ইনস্টল করা হয়েছে, সেটি পরিবর্তন করে অন্য কোনো সিম লাগানো হলে অ্যাপ সেটিংসে উল্লেখ করা নির্দিষ্ট কয়েকটি নম্বরে নতুন সিম নম্বরটি এসএমএস হিসেবে চলে যাবে।

        লিখেছেন : Rashed Babu

        Professor Answered on March 4, 2015.
        Add Comment

        Your Answer

        By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.