233
Points
Questions
81
Answers
2
মানুষ আল্লাহ তা’য়ালাকে দেখা সম্ভব কি না- এ বিষয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকিদা ও বিশ্বাস হলো, এ জগতে এটি সম্ভবপর নয়। এ কারণে হজরত মুসা (আ.) যখন ‘হে প্রতিপালক, আমাকে দেখা দাও’ বলে আল্লাহকে দেখতে চেয়েছেন, তখন উত্তরে বলা হয়েছিল : ‘তুমি কখনোই আমাকে দেখতে পারবে না।’
হজরত মুসা (আ.) নবী হয়ে যখন এ উত্তর পেয়েছিলেন, তখন অন্য কোনো জিন ও মানুষের পক্ষে আল্লাহকে দেখার সাধ্য আছে কি? তবে এসব কথা দুনিয়ার জীবনের জন্য প্রযোজ্য। কেননা পরকালে মুমিনরা আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করবেন।
এ কথা সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। কোরআনেও বলা হয়েছে, ‘কিয়ামতের দিন অনেক মুখমণ্ডল সজীব ও প্রফুল্ল হবে। তারা নিজ পালনকর্তাকে দেখতে থাকবে।’ (সুরা কিয়ামা : ২২-২৩)
তবে কাফির ও অবিশ্বাসীরা সেদিনও শাস্তি হিসেবে আল্লাহকে দেখার গৌরব থেকে বঞ্চিত থাকবে। আল্লাহ বলেন, ‘কাফিররা সেদিন নিজ পালনকর্তার সাক্ষাৎ থেকে (আড়ালে থাকবে) বঞ্চিত হবে’। (সুরা মুতাফ্ফিফিন : ১৫)
- 838 views
- 1 answers
- 0 votes
নামাজে মোট ১৪টি ওয়াজিব রয়েছে। ওয়াজিবগুলো ভুলক্রমে ছেড়ে দিলে সাহু-সেজদা দিতে হবে। আর ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দিলে নামাজ আদায় হবে না। এ ছাড়া ওয়াজিব ভুলক্রমে ছেড়ে দিয়ে সাহু-সেজদা না দিলেও নামাজ আদায় হবে না।
নামাজের ওয়াজিবগুলো হলÑ
১. সুরা ফাতেহা পড়া।
২. সুরা ফাতেহার সাথে সুরা মেলানো।
৩. রুকু-সিজদায় দেরি করা।
৪. রুকু হতে সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
৫. দুই সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসা।
৬. দরমিয়ানি বৈঠক অর্থাৎ দুইয়ের অধিক রাকাত নামাজের ক্ষেত্রে দুই রাকাত পরে আত্তাহিয়াতু’র জন্য বসা।
৭. উভয় বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পড়া।
৮. ঈমামের জন্য কিরআত আস্তে’র জায়গায় আস্তে এবং জোরে’র জায়গায় জোরে পড়া।
৯. বিতর নামাজে দোয়া কুনুত পড়া।
১০. দুই ঈদ’র নামাজে অতিরিক্ত ৬ তাকবীর বলা।
১১. ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতকে কিরাতের জন্য নির্দিষ্ট করা।
১২. প্রত্যেক রাকাতের ফরয এবং ওয়াজিব’র তরতিব ঠিক রাখা।
১৩. ইমামে’র অনুসরণ করা।
১৪. সালাম ফেরানো।
- 0 views
- 12175 answers
- 0 votes