14182
Points
Questions
3
Answers
7076
‘আসতাগফিরুল্লাহ’ অর্থ→ আমি মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।
ফজিলতঃ
(১) নবী করিম (সা.) বলেন, ‘হে লোকেরা, তোমরা তোমাদের রবের কাছে তওবা করো এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাও। আমি প্রতিদিন ১০০ বার তওবা করি ও ক্ষমা চাই।’ (নাসাঈ)।(২) আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কেউ সবসময় এস্তেগফার আঁকড়ে ধরলে আল্লাহ তার প্রতিটি সংকটে পথ খুলে দেন, তাকে সব দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত করেন এবং তাকে এমনভাবে জীবিকা দান করেন, সে ধারণাও করতে পারে না।’ (আবু দাউদ)
(৩) আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোনো বান্দা গোনাহ করে বলল, হে রব, আমি পাপ করে ফেলেছি, আমাকে ক্ষমা করো। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা জেনেছে, তার একজন রব আছে, যিনি পাপ ক্ষমা করেন এবং পাকড়াও করেন। আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম।’ (বোখারি ও মুসলিম)।
(৪) হাদিসে আরও এসেছে, ‘কেউ শুক্রবার ফজরের আগে যদি তিনবার বলে ‘আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হায়্যুল কায়্যুম ওয়া আতুবু ইলাইহি’ তবে তার গোনাহ সমুদ্রের ফেনা সমান হলেও তা ক্ষমা করে দেয়া হয়।’(৫) আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহ হাদিসে কুদসিতে বলেন, ‘হে আমার বান্দা, তোমরা দিনে- রাতে ভুল করে থাক, আর আমি সব পাপ ক্ষমা করি। তাই তোমরা আমার কাছে ক্ষমা চাও, আমি তোমাদের ক্ষমা করব।’ (মুসলিম)।
(৬) তাই তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা ও তওবার দিকে ধাবিত হও। তবেই আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ দেখতে পাবে; পাপ মোচন হবে; মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর কসম! যদি তোমরা গোনাহ না করো তবে আল্লাহ তোমাদের বাদ দিয়ে এমন এক জাতি সৃষ্টি করবেন, যারা গোনাহ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে, তিনি তাদের ক্ষমা করবেন।’ (মুসলিম)।
- 4283 views
- 1 answers
- 0 votes
‘আল্লাহু আকবার’ অর্থ→ আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ।
ফজিলতঃ
(১) আল্লাহতায়ালা কোরআনে কারিমে ইরশাদ করেন, ‘আর আল্লাহর স্মরণই তো সর্বশ্রেষ্ঠ। তোমরা যা কর আল্লাহ তা জানেন।’ (সূরা আনকাবুত: ৪৫)(২) ‘সুবহানাল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ; ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার’ এই বাক্যগুলো আল্লাহতায়ালার নিকট অধিক প্রিয় এবং নবী করিম (সা.) বলেন, পৃথিবীর সমস্ত জিনিসের তুলনায় আমার নিকট অধিক প্রিয়। (সহিহ মুসলিম: ৩/১৬৮৫ ও ৪/২০৭২)
(৩) এক হাদিসে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর তেত্রিশ বার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশ বার আলহামদুলিল্লাহ, তেত্রিশবার আল্লাহু আকবার বলবে… ফরজ নামাজের শেষে তাসবিহ-তাহলিল পাঠের অনেক ফজিলত রয়েছে। এক হাদিসে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর তেত্রিশ বার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশ বার আলহামদুলিল্লাহ, তেত্রিশবার আল্লাহু আকবার বলবে (এ মিলে হয় মোট নিরানব্বই) আর শত পূর্ণ করবে এই বলে, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। তার সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে- যদিও তা সমুদ্রের ফেনা বরাবর হয়। (সহিহ মুসলিম: ৫৯৭)
(৪) আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন,রাসূলুল্লাহ বলেছেন,আঁমি সুবহানআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ,লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং আল্লাহু আকবর বলতে এত বেশি পছন্দ করি যে,এগুলি বলা আঁমার কাছে পৃথিবীর বুকে সূর্যের নীচে যা কিছু আছে সবকিছু থেকে বেশি প্রিয়। [সহীহ মুসলিম ৪/২০৭২,নং ২৬৯৫]
(৫) সুবহানাল্লাহ’ ও ‘আল্লাহু আকবার’ পৃথিবী ও আকাশ মণ্ডলী ভরে দেয়। [সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৮০]
- 3434 views
- 1 answers
- 0 votes
সিজদা হতে সোজা হয়ে বসে দেরী করা ওয়াজিব এবং বসার পরে আল্লাহুম্মাগ ফিরলি, ওয়ার হামনী, ওয়াহদীনি, ওয়া আফিনী, ওয়ার-ঝুকনী এই দোয়া পড়া মুস্তাহাব।
- 1127 views
- 1 answers
- 0 votes
দো’আটি পড়বেনঃ- ﺃَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﻋُﻮْﺫُﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻋَﺬﺍَﺏِ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নি আউ-জুবিকা মিন আ’জা- বিল ক্ববরি।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কবরের আযাব থেকে আশ্রয় চাই।
আবূল ইয়ামান (রহঃ) উরওয়া ইবনু যুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাঃ) তাঁকে বলেছেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বলে দু’আ করতেনঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَفِتْنَةِ الْمَمَاتِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ
আল্লা-হুম্মা ইন্নি আউ-জুবিকা মিন আ’জা- বিল ক্ববরি। অয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিল মাসিহ দাজ্জাল, অয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিল মাহিয়া অয়া ফিতনাতিল মামাত। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনল মাসামি ওয়াল মাগরাম।
কবরের আযাব থেকে, মসীহে দাজ্জালের ফিতনা থেকে এবং জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে ইয় আল্লাহ! আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। ইয়া আল্লাহ্! গুনাহ্ ও ঋণগ্রস্থতা থেকে আপনার নিকট আশ্রয় চাই।
সহীহ বুখারী হাদিস নম্বরঃ ৭৯৪ হাদিসের মানঃ সহিহ!
- 1065 views
- 1 answers
- 0 votes
মুনাজাতের আগে যেসব পাঠ করতে হবে, তা হলোঃ
- সুবহানাল্লাহ (১০ বার)
- আলহামদু লিল্লাহ (১০ বার)
- আল্লাহু আকবার (১০ বার)। এ মর্মে একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে। হাদীসটি হলোঃ
“আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল (সঃ)-এর কাছে এসে বলতে লাগলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে এমন কিছু বাক্য শিক্ষা দিন, যা আমি পাঠ করতে পারি। জবাবে রাসূল (সঃ) বললেন, তুমি সুবহানাল্লাহ দশবার, আলহামদু লিল্লাহ দশবার এবং আল্লাহু আকবর দশবার বলে আল্লাহর কাছে তোমার যা প্রয়োজন হয় তা চাইবে। নিশ্চয় তিনি তোমার দোয়া কবুল করবেন।” (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ১২৯৯)
- 796 views
- 1 answers
- 0 votes
রাতের শেষ তৃতীয়াংশে ওযু করে পবিত্র হয়ে দুই রাকাত সালাতুত তওবার নামাজ পড়ে ও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েঃ ১০০ বার সুবাহানাল্লা ( আল্লাহ পবিত্র) ১০০ বার আলহামদুলিল্লাহ ( সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য) ১০০ বার আল্লাহু আকবার ( আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ) ১০০ বার ইয়া ওয়াহহাব ( আল্লাহ সবকিছু দানকারী) ১০০ বার আসতাগফিরুল্লাহ ( আমি আমার আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি) ১০০ বার দোয়া ইউনুছ তথা লা ইলাহি ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুন-তু মিনাজ জোয়ালেমিন ( আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, আল্লাহ পবিত্র মহান , আমি তো সীমা লঙ্ঘনকারী ) ১০০ বার আল্লাহর মহান রসুল সঃ এর উপর ১০০ বার দরুদ পড়ে দোয়া করলে ইনশাআল্লাহ দোয়া কবুল হবে। আল্লাহ আপনার সমস্যা সমাধান করে দিবেন।
- 868 views
- 1 answers
- 0 votes
শতকরা ৯০ ভাগ।
- 709 views
- 1 answers
- 0 votes
মুকাই চিয়াকাই।
- 677 views
- 1 answers
- 0 votes
৪ শত কিলোমিটার।
- 715 views
- 1 answers
- 0 votes
কানাডায় আটলান্টিক উপকূল।
- 658 views
- 1 answers
- 0 votes