14182
Points
Questions
3
Answers
7076
আজ থেকে প্রায় তিন হাজার বছর আগেও রোমান সম্রাটদের পছন্দের তালিকায় ছিল শসা। কথিত আছে যে সম্রাট টাইবেরিয়াস নাকি শসা খুব পছন্দ করতেন। কিন্তু তখন তো আর সারা বছর মিলত না এই বস্তু। আর তাই সম্রাটের টেবিলে শসার সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সে আমলে কৃত্রিম উপায়ে উৎপাদন করা হতো এই শসা। রোমানরা একটি ঘোড়ার গাড়িতে শসার চাষ করার বুদ্ধি বের করেছিল। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘোড়ার গাড়িটি বাইরে নিয়ে রোদে রাখা হতো। আর সন্ধ্যায় সে গাড়িটি একটি গরম ঘরে রেখে আবৃত করে দেয়া হতো অয়েলক্লথে। বলতে পারেন চাষাবাদের “গ্রিন হাউজ পদ্ধতির” শুরু একরকম সেখান থেকেই।
কেবল খাওয়ার জন্য নয়, প্রাচীন রোমে চিকিৎসার ক্ষেত্রেও ছিল শসার ব্যবহার। ফ্রান্সে এবং ইংল্যান্ডে শসা চাষ শুরু হয় নবম ও ত্রয়োদশ শতকের দিকে। পঞ্চদশ শতকে এটি ঢুকে পড়ে আমেরিকায়। বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই বিপুল সমাদৃত একটি খাদ্য। ফল ভাবুন বা সবজি, পৃথিবী জুড়ে মানুষের খাদ্য তালিকায় এর অস্তিত্ব আছে। কাঁচা কিংবা সালাদ হিসেবে তো আছেই, বাংলাদেশ সহ অনেক স্থানেই প্রাপ্ত বয়স্ক শসা দিয়ে রান্না করা হয় মাছ-মুরগী-ডাল। রান্না হয় শসার সুপ সহ আরও নানা রকম সুস্বাদু খাবার। পশ্চিমা দেশ গুলোয় শসার আচারও প্রচলিত আছে।
শসাতে পানি আছে শতকরা ৯৫ভাগ। ফলে এটি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে এবং ভেতরের তাপমাত্রা কে নিয়ন্ত্রণ করে দেহ শীতল রাখতে সহায়তা করে। শসায় ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। প্রতি ১০০ গ্রাম শসায় আছে মাত্র ১৫ ক্যালরি। এতে কোনো সম্পৃক্ত চর্বি বা কোলেস্টেরল নেই।একনজরে কিছু উপকারিতা
* ফাইবার ও ফ্লুইডসমৃদ্ধ শসা শরীরে ফাইবার এবং পানির পরিমাণ বাড়ায়। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফাইবার থাকার কারণে শসা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে।
* শসায় রয়েছে স্টেরল নামের এক ধরনের উপাদান, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন, শসার খোসায়ও স্টেরল থাকে।
* ওবেসিটি নিয়ন্ত্রণে শসা খুব উপকারী।
* কিডনি, ইউরিনারি, ব্লাডার, লিভার ও প্যানক্রিয়াসের সমস্যায় শসা বেশ সাহায্য করে থাকে।
* এরেপসিন নামক অ্যানজাইম থাকার কারণে শসা হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সমাধান করে থাকে।
* শসা বা শসার রস ডায়াবেটিস রোগীর জন্যও বেশ উপকারী।
* শসার রস আলসার, গ্যাস্ট্রাইটিস, অ্যাসিডিটির ক্ষেত্রেও উপকারী।
* মিনারেলসমৃদ্ধ শসা নখ ভালো রাখতে, দাঁত ও মাঢ়ির সমস্যায় সাহায্য করে।
* ডাক্তারের পরামর্শনুযায়ী শসার রস খেলে আর্থ্রাইটিস, অ্যাগজিমা, হার্ট ও ফুসফুসের সমস্যায় উপকার হতে পারে। গাজরের রসের সাথে শসার রস মিশিয়ে খেতে পারেন, ইউরিক অ্যাসিড থেকে ব্যথার সমস্যা হলে অনেক কাজে দেবে।
- 509 views
- 1 answers
- 0 votes
তেলের কথা বলতে গেলে আমাদের দেশে সর্বপ্রথম যে নামটি মাথায় আসবে, তা হলো নারিকেল তেল। চুলের যত্নে শত শত বছর যাবত ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই তেল। নোয়াখালীসহ যে সকল অঞ্চলে নারিকেল বেশী জন্মায়, সেইসব অঞ্চলে রান্নাতেও ব্যবহার করা হয় এই তেল। তবে সব চাইতে বহুল ব্যবহার কেশ চর্চাতেই।
নারিকেল তেলে মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই তেল ব্যাবহারে চুলের গোড়া মজবুত হয়। এ ছাড়া ত্বকে মালিশ করলেও উপকার পাওয়া যায়। ত্বকের ব্লিচ হিসেবে নারকেল তেল যে ব্যবহৃত হতে পারে তা আমরা অনেকেই জানি না। নারকেল তেল দিয়ে নিয়মিত ম্যাসাজ করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। পিগমেন্টেশনের সমস্যা দূর করে। চোখের পাতায় নিয়মিত নারিকেল তেল লাগালে আখিপল্লব দীর্ঘ ও ঘন হয়।
- 541 views
- 1 answers
- 0 votes
একটা সময় ছিল, যখন এই দেশের ঘরে ঘরে রান্নায় ব্যবহৃত হতো এই তেল। কালের বিবর্তনে সেই দিন আর নেই, তবে এখনও বিশেষ বাঙালি রান্নায় সরিষার তেল চাই-ই চাই। নানান গুনগত মানের কারণে এই তেল শরীরের জন্য উপকারী। ছোট বাচ্চাদের গায়ে সরিষার তেল মাখিয়ে ম্যাসাজ করা তো বহু প্রচলিত দৃশ্য আমাদের দেশে। সাইনাসের রোগীদের জন্যও উপকারী বিবেচিত হয়।
সরিষার তেল গরম করে মাথার ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন। দেখবেন খুশকি একেবারেই সেরে যাবে। সরিষার তেল ত্বকে আর্দ্রতা জোগাতে পারে। শীতে ফাটা ত্বকে এর মালিশ খুব উপকারী। ঠান্ডার সময় উষ্ণতাও দেয় এই তেল। ঠান্ডা, কফ, মাথাব্যথা—এসব কমাতে সরিষার তেলের ম্যাসাজ উপকারী।
- 674 views
- 1 answers
- 0 votes
ছোট ছোট সাদা ফুল থেকে হয় কালচে তিলের দানা। এ থেকে হয় তিলের তেল। তিলের যেমন পুষ্টিগুণের অভাব নেই, তেমনি নেই তিলের তেলেরও। রান্নায়ও তিলের তেলের সমান গুরুত্ব।
তিলের তেলের ব্যবহারে ত্বক হয় সজীব। যাঁদের ত্বকে রোদে পোড়া ভাব রয়েছে, তাঁদের ওই পোড়া দাগ দূর করতে পারেন এ তেল ম্যাসাজের মাধ্যমে। এই তেল ব্যবহারে চুল পড়া বন্ধ হয়। মাথাও ঠান্ডা থাকে। শীতের সময় রাতে ঘুমানোর আগে সামান্য কর্পূর তিলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলে উষ্ণতা পাওয়া যায়। তিলের তেল চুলের খুশকিও দূর করে। এ জন্য সপ্তাহে একবার নারকেলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করতে পারেন।- 653 views
- 1 answers
- 0 votes
শুষ্ক ত্বক প্রাণ ফিরে পায় অলিভ অয়েলের গুণে। অলিভ অয়েল অতিরিক্ত শুষ্ক ও ছোপ ছোপ ত্বক কোমল ও মসৃণ করে তোলে। এই তেল মেকাপ রিমুভার হিসাবে খুবই সহায়ক । জলপাই তেল,১০ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে হালকা গরম করে এর মধ্যে দুটি ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুল মিশিয়ে তা চুলে দিন। সম্ভব হলে চুলে গরম পানির ভাপ দিতে পারেন। এ জন্য তোয়ালে গরম পানিতে ডুবিয়ে নিন। এরপর এর পানি ঝরিয়ে মাথায় জড়িয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন। হাত পায়ের নখে অলিভ ওয়েল ম্যসাজ করলে নখ ভাঙ্গা রোধ হয়।
যাঁদের কোলস্টেরলের মাত্রাটা বেশি, তাঁদের জন্য জলপাই তেলের কোনো বিকল্প নেই। বিভিন্ন রান্নায় ও সালাদে এই তেল ব্যবহারে স্বাদ ও পুষ্টি ২টাই বাড়ে বহুগুণ। যাঁদের ত্বকে চুলকানির সমস্যা রয়েছে, তাঁরা নির্দ্বিধায় এ তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। শিশুর ত্বকেও নিরাপদ। জলপাই তেল মাথার ত্বকের খুশকি দূর করার জন্যও উপকারী।
- 498 views
- 1 answers
- 0 votes
পুষ্টি আর শক্তি—এ দুটো একসঙ্গে পেতে বেছে নিতে পারেন আমন্ড বা বাদাম তেল। চেহারায় লাবণ্য ছড়ায় এ তেল। মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। শরীরে ম্যাসাজ করতে পারেন ময়েশ্চারাইজার হিসেবে। চিনাবাদামের তেল খেতেও পারেন বিস্কিট বা কেকের সঙ্গে বেক করে। তাছাড়া ব্যবহার করা যায় নানান রকম রান্নাতেও। চোখের নীচে কালি দূর করতে ও ব্যথা, ফোলা ও চুলকানি কমাতে সাহায্য করে এ তেলটি।
- 440 views
- 1 answers
- 0 votes
এই তেলের সুবিধা হলো, ত্বকে ব্যবহার করলে কোনো অস্বস্তিকর তেলতেলে অনুভূতি হয় না। ত্বক সজীব ও লাবণ্যময় করতে সূর্যমুখীর তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। এছাড়া রান্নায় সয়াবিন তেলের বিকল্প হিসেবেও এই তেল খুবই স্বাস্থ্যকর।
- 428 views
- 1 answers
- 0 votes
যাঁদের ত্বকে ব্রণের সমস্যা আছে, তাঁরা নিম তেল ব্যবহার করতে পারেন। ব্রণের ওপর অল্প একটু তেল লাগিয়ে রাখুন, সেরে যাবে। দু-এক ফোঁটা নিম তেল খেতেও পারেন প্রতিদিন, চুলকানি রোধে সহায়ক হবে।
- 452 views
- 1 answers
- 0 votes
বাংলাদেশের এমন কোন জায়গা পাওয়া যাবে না যেখানে পেঁপে পাওয়া যায় না। পেঁপে খুবই উপকারী একটি সবজি বা ফল আমাদের শরীরের জন্য। কাঁচা অবস্থায় পেঁপে সবজি আর পাকা অবস্থায় ফল।
যাদের পেটে গোলমাল দেখা দেয়, তারা পেঁপে খেতে পারেন। অন্যান্য ফলের তুলনায় পেঁপেতে ক্যারোটিন অনেক বেশি থাকে। আর ক্যালরির পরিমাণ বেশ কম থাকায় যারা মেদ সমস্যায় ভুগছেন তারা পেঁপে খেতে পারেন অনায়াসে। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি আছে।
যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের জন্য মিষ্টি খাওয়া হারাম। কিন্তু আমাদের দেশের অত্যন্ত সহজলভ্য একটি ফল পেঁপে, যা মিষ্টি হলেও ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারেন। চোখের সমস্যা বা সর্দিকাশির সমস্যা থাকলে পেঁপে খেতে পারেন, কাজে দেবে। যারা হজমের সমস্যায় ভোগেন তারা পেঁপে খেলে উপকার পাবেন। এই ফলে কোনো ক্ষতিকর উপাদান নেই। পেঁপেতে আছে পটাশিয়াম। তাই এই ফল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি হাইপারটেনশন কমায় অনেকখানি। শরীরে থাকা বিভিন্ন ক্ষতিকর কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় পেঁপে।তাই নিয়মিত পেঁপে খেলে হৃদযন্ত্রের নানা সমস্যা যেমন হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। যাদের কানে ঘন ঘন ইনফেকশন হয় তারা পেঁপে খেয়ে দেখতে পারেন, উপকার পাবেন। পেঁপে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ ফল, তাই ত্বকের লাবণ্য ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। এছাড়া পেঁপে আরো নানা গুণের অধিকারী।
বিভিন্ন রোগ ও রোগের উপসর্গ নিরাময়ে পেঁপে ব্যবহারের প্রথা আয়ুর্বেদশাস্ত্রে বহু দিন ধরে চলে আসছে। যেমন-
শরীর শুকিয়ে গেলে
কোনো কারণ নেই অযথা শরীর শুকিয়ে যাচ্ছে, এমন অবস্থায় মুখোমুখি অনেককেই হতে দেখা যায়। বিশেষ করে অল্পবয়সীদের ক্ষেত্রে এ উপসর্গের প্রকোপ বেশি। শরীরে অবসাদজনিত ক্লান্তি, একটা মনমরা ভাব, পড়াশোনা বা কাজকর্মে অনীহা প্রভৃতি উপসর্গ এর সাথেই আসে। প্রায়ই এর সাথে জড়িয়ে থাকে কোষ্ঠকাঠিন্য। এক্ষেত্রে পেঁপে খুবই ফলপ্রসূ। কাঁচা বা পাকা যে অবস্থায়ই হোক। সকালে ও বিকেলে প্রতিদিন কয়েক টুকরো করে খেতে হবে। অন্তত এক মাস নিয়মিত খেতে হবে।হজমশক্তি বাড়াতে
হজমের গোলমাল একটি ব্যাপক সমস্যা। হজমশক্তি কমে গেলে অম্বল হতে চায়, মুখে চোকা ঢেকুর ওঠে, পেট ব্যথা শুরু হয়। কখনো চিনচিনে ব্যথা, কখনো ভয়ঙ্কর ব্যথা হয়। কখনো কোষ্ঠ পরিষ্কার হয় না আর কখনো পেট খারাপ হয়। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, শরীরে অবসাদ দেখা দেয়। এক্ষেত্রেও পেঁপে উপকারে আসে।উচ্চরক্তচাপ কমাতে
চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ বছরের পর থেকে মানুষের রক্তচাপসংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়। হয়তো রক্তচাপ বাড়ে নয়তো কমে। রক্তচাপ বাড়লে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। হঠাৎ পড়ে গেলে শরীরের কোন অংশ অকেজো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, শরীরে অসাড়তা দেখা যায়। উচ্চরক্তচাপ আক্রান্তরা কাঁচা বা পাঁকা পেঁপে ব্যবহার করতে পারেন। দুটোই উপকারী। তবে খাবেন কয়েক টুকরো এবং নিয়মিত। কয়েক মাস খেয়ে যেতে হবে।ফাইলেরিয়া রোগ হলে
ফাইলেরিয়া মশাবাহিত রোগ। ফাইলেরিয়ার বিভিন্ন উপসর্গ নিরাময়ে পেঁপে গাছকে ব্যবহার করা যায়। কয়েকটি পেঁপে পাতা সংগ্রহ করে সেগুলোকে গরম পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার পাতাগুলোকে গরম অবস্থায় সেঁকে নিয়ে নিয়মিত কয়েক দিন সেঁক দিলে ফাইলেরিয়ার উপসর্গ অনেকটা কমে যাবে।এছাড়াও পেঁপের রয়েছে আরও কিছু পুষ্টিগুণঃ
– যেসব মায়ের সদ্য বাচ্চা হয়েছে কাঁচা পেঁপের তরকারি নিয়মিত খেলে তাদের স্তনের দুধ বাড়বে।
– ওষুধ হিসেবে কাঁচা পেঁপের গুণ পাকা পেঁপের চেয়ে বেশি। পেপটিন বা পেঁপের আঠার গুণ অনেক।
– প্রতিদিন দুপুরে ভাত খাওয়ার পর এবং রাতে ভাত বা রুটি খাওয়ার পর এক টুকরা কাঁচা পেঁপে ভালো করে চিবিয়ে খেয়ে এক গ্লাস পানি খেলে সকালে পেট পরিষ্কার হয়।
– কাঁচা পেঁপে বা পেঁপে গাছের আঠা পেটের অসুখ, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রভৃতি রোগের জন্য বিশেষ উপকারী।
– পেঁপের তরকারি নিয়মিত খেলে পেটের পীড়া বা উদরাময়ে উপকার হয়।
– আমাশয় থেকে মুক্তি পাওয়ার অদ্ভুত শক্তি আছে কাঁচা পেঁপের আঠায়।
– ক্রিমি বিনাশের ক্ষেত্রে পেঁপে এটি ফলপ্রদ ওষুধ।
প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা পেঁপেতে আছে-
প্রোটিন ০.৬ গ্রাম,
ফ্যাট ০.১ গ্রাম,
মিনারেল ০.৫ গ্রাম,
ফাইবার ০.৮ গ্রাম,
কার্বোহাইড্রেট ৭.২ গ্রাম,
খাদ্যশক্তি ৩২ কিলো ক্যালরি,
ভিটামিন সি ৫৭ মিলিগ্রাম,
সোডিয়াম ৬.০ মিলিগ্রাম,
পটাশিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম,
আয়রন ০.৫ মিলিগ্রাম।- 442 views
- 1 answers
- 0 votes
অল্প বয়সে চুল পরার কথা বা অস্বাভাবিক হারে প্রতিদিন চুল উঠার কথা অনেকের কাছেই শোনা যায়। আর গরমে চুল পড়ার হার তুলনামূলকভাবে এমনিতেই একটু বাড়ে। গ্রীষ্মকালে মাথার ত্বকের ধরন পরিবর্তন হয়। ত্বকের গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ হয়। ফলে চুল তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। এ ছাড়া চুলের গোড়ার ঘাম না শুকালে, অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খেলে, চুলের ধরনের সঙ্গে মানানসই নয় এমন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করলে সাধারণত চুল পড়ে। এছাড়াও আরও বিশেষ কিছু কারনে চুল পড়তে পারে।
বংশগত কারনে চুল পড়া-
দৈনিক কিছু চুল স্বাভাবিকভাবে পড়ে যায়, বদলে আবার নতুন করে গজায়ও কিছু । কিন্তু চুল পড়া ও চুল গজানোর হারের সমতা থাকে না যখন তখনই চুল পাতলা হতে শুরু করে। দিনে ১০০ টা চুল পড়লে তা স্বাভাবিক। অনেক রকম ইনফেকশন, বিভিন্ন রোগ, ওষুধের ব্যবহার এবং খাদ্যের বিভিন্নতার কারণে সাধারণত চুল পড়ে যায়। তবে ৯৫ ভাগ চুল পড়ার কারণ জিনগত বা বংশগত। এই অবস্থাকে বলা হয় অ্যানড্রেজেনিক অ্যালো ও পেসিয়া ।
চুল পড়ার অন্যান্য কারণসমূহ-
ইনফেকশনজনিত কারনে- যেমনঃ ব্যাকটেরিয়াঃ পায়োজেনিক , টিউবারকুলসিস ,ফ্যাঙ্গাসঃ কেরিতন।
ভাইরাসজনিত কারনে- হারপিস ইনফেকশন।
শারিরীক ইনজুরি হলে- কেমিক্যাল পুড়ে যাওয়া।
মাথার ত্বকের রোগ হলে- যেমনঃ লুপার ইরায়থমেটাস
এছাড়া যেসর পরিবারে অ্যাজমা, থাইরয়েড রোগ, শ্বেতী, রিউমাটয়েড আথ্রাটিস, প্যারনেসিয়াস অ্যানিমিয়া রোগ আক্রান্ত সেসব পরিবারের লোকজনের এ রোগ দেখা দিতে পারে।
বিভিন্ন রকম ওষুধ সেবনে- যেমনঃ প্রেসারের ওষুধ, ক্যনসারের ওষুধ, জন্মনিয়ন্ত্রিন পিল ইত্যাদি ও অতিরিক্ত মানসিক দুঃশ্চিন্তার ফলেও চুল পরতে পারে।
পুরুষের চুল পড়া সমস্যা
চুলপড়া একটি স্পর্শকাতর সমস্যা। ছেলেদের চুল পড়ে যাওয়া বা টাক সমস্যা নিয়ে অনেকেই বিব্রত বা বিরক্ত। চুলপড়ার কারণ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে বা হচ্ছে। চিকিৎসাশাস্ত্রে বলা হয়, চুলপড়ার কারণ বংশগত বা হরমোনজনিত। ছেলেদের চুলপড়া বা এনড্রোজেনিক এলোপিসিয়ার মূল কারণ ডাইহাইড্রক্সি টেস্টোসটেরন বা ডিএইচটি। ডিএইচটি একটি পুরুষ হরমোন। পুরুষ হরমোন টেস্টোসটেরন থেকে আলফারিজাকটেজ এনজাইমের সাহায্যে তৈরি হয় ডিএইচটি। ডিএইচটি চুলের ফলিকলের গোড়ায় গিয়ে তাদের বৃদ্ধি রোধ করে এবং রক্ত সঞ্চালন কমিয়ে দেয়। এভাবেই চুল পড়তে শুরু করে। সুতরাং ডিএইচটি বেড়ে গেলে চুল পড়তে শুরু করে এবং একপর্যায়ে টাকের সৃষ্টি হয়।
ডিএইচটিকে বাধা দেয় এমন ওষুধ ব্যবহারে চুলপড়া রোধ করা যেতে পারে। শরীরের ডিএইচটির মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হলে চুল পড়া কমবে। বর্তমানে এ ধরনের ওষুধ ব্যবহারে চুল পড়ার চিকিৎসা চলছে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এসব ওষুধ ব্যবহার করা উচিত।
নারীদের চুল পড়া সমস্যা
নারীদের চুল পড়া একটি অস্বস্তিকর সমস্যা। পুরুষের যেভাবে টাক পড়ে সেভাবে চুল না ঝরে পড়লেও নারীদের চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা খুব বেশি। আমাদের সমাজে সুন্দর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল না হলে নারীদের সুন্দরী বা সুশ্রী বলা মুশকিল। অল্প বয়সে চুল না ঝরে পড়লেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুল পড়ে যাওয়ার সম্মুখীন হন নারীরা। নানা কারণে মেয়েদের চুল পড়তে পারে।
হরমোন
হরমোনের তারতম্যের কারণে চুলপড়া একটি প্রধান সমস্যা। থাইরয়েড হরমোনের তারতম্যের কারণে চুল পড়ে। এ ছাড়া ইস্ট্রোজেনের কারণেও চুল পড়তে পারে। তবে হরমোনজনিত সমস্যার চিকিৎসা করালে চুলপড়া বন্ধ হয়।
সন্তান জন্মদান
সন্তান জন্মদানের পরবর্তী ৩ মাস নারীদের প্রচুর চুল পড়তে পারে। এটিও হরমোনের কারণেই হয়ে থাকে। প্রাকৃতিকভাবেই হরমোন সঠিক মাত্রায় চলে আসার পর চুলপড়া বন্ধ হয়ে যায়। তবে খুব বেশি চুল পড়ে পাতলা হয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।শারীরিক অসুস্থতা, অপারেশন হওয়া ও মানসিক চাপ চুল পড়ার অন্যতম কারণ। এ সময় নতুন চুল গজায় না এবং চুল বাড়ে না। শরীর সারাতে ব্যস্ত থাকে সব শক্তি এবং অনাদরে পড়ে যায় চুল। এসব ক্ষেত্রে চুল পড়তে থাকে তিন মাস এবং আবার চুল গজাতে সময় লাগে তিন মাস। অর্থাৎ ছয় মাস সময় লাগে চুল স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে। তবে শারীরিক ও মানসিক চাপ খুব বেশি এবং দীর্ঘস্থায়ী হলে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চুল পড়তে পারে। রক্তস্বল্পতা এবং থাইরয়েডের সমস্যায়ও চুল পড়ে। সুতরাং খুব বেশি চুল পড়লে রক্ত পরীক্ষা করা এবং রোগ নির্ণয় করা প্রয়োজন।- 573 views
- 1 answers
- 0 votes