14182
Points
Questions
3
Answers
7076
লেবু Rutaceae গোত্রের কাঁটা যুক্ত উদ্ভিদ। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় Citrus গনের সকল উদ্ভিদই মুলত লেবু নামে পরিচিত। আমরা সাধারণ ভাবে Citrus lemon কে লেবু বলে থাকি। Citrus গনের অন্য যে সকল উদ্ভিদ আমাদের কাছে পরিচিত তা হল জাম্বুরা, মৌসুম্বি (মাল্টা) ও কমলা । বেশিরভাগ চাষযোগ্য লেবু গাছ আকারে ছোট ঝোঁপের মত হয়ে থাকে। লেবুর পাতা যৌগিক ও আকারে ছোট হয়। পাতার বোঁটা অপেক্ষাকৃত ছোট হয়। পাতা সবুজ, চকচকে, উপবৃত্তাকার। পাতায় সুগন্ধ রয়েছে। কান্ড শাখা প্রশাখা য়ুক্ত। কান্ডে অসংখ্য কাঁটা বিদ্যমান। ফুল গুচ্ছ গুচ্ছ আকারে থাকে। ফুলের বর্ণ সাদা। ফুলে পাপড়ি রয়েছে চারটি করে। ফল আকারে ছোট এবং গোলাকার। তবে কাগজি লেবুর আকার লম্বাটে হয়ে থাকে। একটি পুর্নাঙ্গ লেবু গাছে একই সাথে ফুল এবং পাকা ফল থাকতে পারে।
লেবুর আদি নিবাস দক্ষিন-পূর্ব এশিয়াতে। উদ্ভিদতাত্ত্বিকদের মতে আদি চীন ভূখন্ড ও মালয়েশিয়াতে লেবুর উৎপত্তি হয়েছিল। জন বেন্থাম হুকার ভারতীয় উপমহাদেশে একটি উদ্ভিদ জরিপ পরিচালনা করেন। সেই জরিপে লেবুর জম্মস্থান হিসেবে ভারতের গাড়োয়াল ও খামিয়া পাহাড়ের কথা বলেন। সেই মতে, লেবু জন্ম সূত্রে আদি ভারতীয় উদ্ভিদ। লেবু গাছের নানাগুনে আকৃষ্ট হয়ে পারস্যে-র অধিবাসীরা সেদেশে এটি নিয়ে যায়। সেখান থেকে লেবু ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপে। সেই সময়টি ছিলো দ্বিতীয় শতাব্দির শুরুর ভাগ। গ্রীস ও ইতালিতে লেবুর রস ব্যবহিত হতো ঔষধ হিসাবে। মূলত স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধে লেবু ব্যাপক হারে ব্যবহার করা হতো।
লেবু ভেষজগুনে ভরপুর একটি ফল । লেবুতে যথেষ্ট পরিমানে ‘ভিটামিন-সি’ রয়েছে। তবে সামান্য পরিমান ‘ভিটামিন-এ’ এবং ‘ভিটামিন-বি’ পাওয়া যায়। এছাড়াও লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে খনিজ লবন ও শর্করা। এন্টিব্যাকটেরিয়া ও এন্টিভাইরাল উপাদান লেবুতে আছে। ফলে মৌসুমি নানা সংক্রমক রোগে, যেমন ঠান্ডা, কাশি, সর্দি, ইনফ্লুয়েঞ্জার বিরুদ্ধে লড়তে পারে এই ফলটি। তাই মৌসুমি রোগগুলো প্রতিরোধে লেবু একটি পরীক্ষিত ভেষজ ফল। এতে উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম থাকায় উচ্চরক্ত চাপ নিয়ন্ত্রন রাখতে লেবুর জুড়ি নেই। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৎপিন্ডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
অকাল বার্ধক্য ও মুটিয়ে যাওয়া থেকে বাঁচতে লেবুর ধন্বন্তরি কার্যক্ষমতা রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় আপনার দেহের কোষ ও ত্বককে অকাল বার্ধক্যের হাত থেকে রক্ষা করে। এতে ভরপুর ভিটামিন সি থাকায় দেহের ক্যালমিয়াম শোষন করে খুব সহজেই। ফলে হাড়ের গঠন ও দৃঢ়তা বজায় থাকে। দেহের ক্যালসিয়াম শোষন করে ফেলায় মুত্রথলি ও কিডনিতে পাথর জমতে দেয় না। লেবু একদিকে ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে কাজ করে। অন্যদিকে লেবুতে থাকা ফ্লাভোনয়েড বিভিন্ন প্রকার ক্যান্সার প্রতিরোধ করে সহজেই।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে রয়েছে লেবুর বহুমাত্রিক ব্যবহার। যকৃত পরিশোধনে একটি ছোট কাগজি লেবুর রস এককাপ পরিমান গরম পানির সাথে খেলে উপকার মেলে। আমাদের দেশের গ্রামীন নানা চিকিৎসায় লেবুর ব্যবহার রয়েছে। দাঁতের মাড়ির প্রদাহ, দাঁতের ব্যথা ও মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধে লেবু ব্যবহৃত হয়।
লেবুর খোসারও রয়েছে নানা গুন। খোসা থেকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তেল আহরন করা যায়। এই তেলের সুগন্ধি মানসিক বিষন্নতা, উদ্বেগ ও মনের চাপ দুর করে। মনকে সতেজ করে তোলে। সাম্প্রতিক সময়ে এই সুগন্ধি সাবান, এয়ারফ্রেশনার ও নানা সুগন্ধি দ্রব্যে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ঔষধশিল্পেও এর ব্যবহার রয়েছে। চুলের খুশকি সমস্যায় লেবুর তেল বেশ কার্যকরি।
- 474 views
- 1 answers
- 0 votes
ভাত বেশি খাওয়ার সাথে ডায়াবেটিসের সম্পর্ক দেখা যায়। ভাত থেকে বাড়ে বডি ফ্যাটও। কিন্তু শ্রীলংকার কলেজ অফ কেমিক্যাল সায়েন্সের এক ছাত্র এবং তার শিক্ষক আবিস্কার করেছেন ভাত রান্না করার এক অসাধারণ উপায় যাতে মোটামুটি ৫০ শতাংশ ক্যালোরি কমিয়ে আনা সম্ভব।
এই কৌশলটি তেমন কঠিন কিছুও নয়। ভাত রান্না করার জন্য আমরা পানি ফুটিয়ে নেই। এই ফুটন্ত পানিতে চাল দেওয়ার ঠিক আগে কিছুটা নারিকেল তেল দিতে হবে। চালের পরিমানের মোটামুটি ৩ শতাংশ নারিকেল তেল দেওয়া হয়। এরপর সাধারন নিয়মে ভাত রান্না করে তাকে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয় ১২ ঘন্টা। ব্যাস, এটুকুই কাজ। কিন্তু এই উপায়ে ক্যালোরি কমে কি করে?
ব্যাপারটা বোঝার জন্য স্টার্চের ব্যাপারে একটু জ্ঞান প্রয়োজন আপনার। কিছু স্টার্চ খুব সহজে হজম হয়ে যায় আর আমরা যথেষ্ট কাজ না করলে আমাদের শরীরে ফ্যাট হয়ে জমে যায়। কিন্তু কিছু স্টার্চ এতো সহজে হজম হয় না আর এদের ক্যালোরিও তাই কম। চালভাজায় থাকা বেশিরভাগ স্টার্চ সহজে হজম না হওয়া এ ধরণের। কিন্তু রান্না করার পর সেই চাল যখন ভাতে রূপান্তরিত হয় তখন তার মাঝে থাকা বেশিরভাগ স্টার্চ সহজে হজম হয়। ভাতকে যদি এমনভাবে রান্না করা যেত যে তাতে এই সহজে হজম হওয়া স্টার্চের পরিমান কম হবে, তবে ভাতের ক্যালোরি অনেক কমিয়ে ফেলা যায়। এই ধারনা নিয়েই গবেষকেরা অগ্রসর হন এবং দেখেন, ফুটন্ত পানিতে চাল দেওয়ার আগে ভজ্য তেল যোগ করা এবং রান্নার পর পরই একে শীতল করে ফেলায় এর ক্যালোরি কমে আসে প্রায় অর্ধেক। তারা নারিকেল তেল ব্যবহার করেন কারণ শ্রীলংকায় তা সর্বত্রই রান্নায় ব্যবহার করা হয়। এই তেল চালের সাথে বিক্রিয়ায় এর ক্যালোরি কম রাখে। ফ্রিজে রেখে শীতল করার পর একে আবার গরম করে খেলেও ক্যালোরি বৃদ্ধি পায় না।
- 448 views
- 1 answers
- 0 votes
আমাদের দেশের খাবারে যেসব মশলার উপকরণ ব্যবহার করা হয়, রসুন তার মধ্যে অন্যতম। রান্নার উপকরণের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও রসুনের জুড়ি নেই।বৈজ্ঞানিক নাম অ্যালিয়াম স্যাটিভাম (Allium sativum)।রসুন খুবই পুষ্টিকর৷ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ১৭ টি এমাইনো এসিড ময়শ্চার, প্রোটিন, ফ্যাট, মিনারেল, ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট। ভিটামিন ও মিনারেলের মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, থিয়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, এবং আয়োডিন, সালফার এবং ফ্লোরিনও আছে অল্প পরিমাণে। রসুন স্বাস্থ্যের জন্য কত উপকারী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই কারণে বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি রসুনকে ‘বিস্ময়কর ওষুধ’ নামে অভিহিত করেছেন। কিন্তু কেন? আসুন জেনে নেয়া যাক সেই ব্যাপারটিই।
রসুনে রয়েছে একশরও বেশি রাসায়নিক উপাদান। এতে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টি-ভাইরাল, এন্টি ফাংগাল এবং এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। আর সেই কারণেই রসুন জীবাণুর সংক্রমণের বিরুদ্ধে দেহে যুদ্ধ করার শক্তি জোগায়। এছাড়াও রসুন খেলে ক্ষুধামন্দা দূর হয়। অ্যাজমা, কানে কম শোনা, ব্রংকাইটিস কনজেশনে রসুন উপকারি। ঠান্ডা, সর্দি, কফ, সারাতে সাহায্য করে। ফুসফুস, ব্রংকিয়াল টিউব, সাইনাসের গহবরে মিউকাস জমতে দেয় না। টিবি, নিউমোনিয়া, হুপিং কাশির মতো রোগে রসুন বেশ উপকারি।
এটা খুব ভালো এন্টিসেপটিক। ঘা, আলসার সারাতে সাহায্য করে। হজমের গোলমাল যেমন আমাশয়, কৃমির মতো সমস্যায় রসুন উপকারে আসে। রসুন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। হার্টঅ্যাটাক প্রতিরোধ করে। হৃদরোগ কমায়, রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে। শরীরে টক্সিনের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে, কোলেস্টরেলের পরিমাণ কমাতেও সাহায্য করে এই রসুন। রসুন ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে। নিয়মিত রসুন সেবন রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ঠিক রাখে। আবার ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণও ঠিক রাখে। রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম এই রসুন। এমনকি এটি দাঁতের ব্যথাও নিরাময় করে থাকে।
গবেষকরা আরো দাবি করেন, যারা প্রতিদিন রসুন খেয়ে আসছেন তাদের হৃৎপিন্ড হার্ট অ্যাটাকের পর কম ক্ষতির সম্মুখীন হয় এবং হৃৎপিন্ডের অপারেশনের পর তারা দ্রুত সেরে ওঠেন। মানুষ বাদে অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রের রসুন খেলে রক্তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। তবে বড়ি হিসেবে রসুন খেলে তা খুব ফলদায়ক হয় না।
রান্নার উপকরন হিসেবে রসুনের ব্যবহার আবহমান কাল থেকেই। শুধু রান্নায় স্বাদের তারতম্য আনার জন্য নয়, রসুনের পুষ্টিগুণও রসুনকে পৌঁছে দিয়েছে উপাদেয় মসলার তালিকায়। তাই রান্নার অনুষঙ্গের পাশাপাশি রসুন স্বাস্থ্য ভাল রাখার মন্ত্র হিসেবেও কাজ করছে। আর এই জন্যই তো বিজ্ঞানীদের কাছে এখন এই পরিচয় “বিস্ময়কর ওষুধ” নামে।
- 484 views
- 1 answers
- 0 votes
পেঁপে খুবই উপকারী একটি সবজি বা ফল আমাদের শরীরের জন্য। কাঁচা অবস্থায় পেঁপে সবজি আর পাকা অবস্থায় ফল।
যাদের পেটে গোলমাল দেখা দেয়, তারা পেঁপে খেতে পারেন। অন্যান্য ফলের তুলনায় পেঁপেতে ক্যারোটিন অনেক বেশি থাকে। আর ক্যালরির পরিমাণ বেশ কম থাকায় যারা মেদ সমস্যায় ভুগছেন তারা পেঁপে খেতে পারেন অনায়াসে। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি আছে।
যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের জন্য মিষ্টি খাওয়া হারাম। কিন্তু আমাদের দেশের অত্যন্ত সহজলভ্য একটি ফল পেঁপে, যা মিষ্টি হলেও ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারেন। চোখের সমস্যা বা সর্দিকাশির সমস্যা থাকলে পেঁপে খেতে পারেন, কাজে দেবে। যারা হজমের সমস্যায় ভোগেন তারা পেঁপে খেলে উপকার পাবেন। এই ফলে কোনো ক্ষতিকর উপাদান নেই। পেঁপেতে আছে পটাশিয়াম। তাই এই ফল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি হাইপারটেনশন কমায় অনেকখানি। শরীরে থাকা বিভিন্ন ক্ষতিকর কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় পেঁপে।তাই নিয়মিত পেঁপে খেলে হৃদযন্ত্রের নানা সমস্যা যেমন হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। যাদের কানে ঘন ঘন ইনফেকশন হয় তারা পেঁপে খেয়ে দেখতে পারেন, উপকার পাবেন। পেঁপে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ ফল, তাই ত্বকের লাবণ্য ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। এছাড়া পেঁপে আরো নানা গুণের অধিকারী।
বিভিন্ন রোগ ও রোগের উপসর্গ নিরাময়ে পেঁপে ব্যবহারের প্রথা আয়ুর্বেদশাস্ত্রে বহু দিন ধরে চলে আসছে। যেমন-
শরীর শুকিয়ে গেলে
কোনো কারণ নেই অযথা শরীর শুকিয়ে যাচ্ছে, এমন অবস্থায় মুখোমুখি অনেককেই হতে দেখা যায়। বিশেষ করে অল্পবয়সীদের ক্ষেত্রে এ উপসর্গের প্রকোপ বেশি। শরীরে অবসাদজনিত ক্লান্তি, একটা মনমরা ভাব, পড়াশোনা বা কাজকর্মে অনীহা প্রভৃতি উপসর্গ এর সাথেই আসে। প্রায়ই এর সাথে জড়িয়ে থাকে কোষ্ঠকাঠিন্য। এক্ষেত্রে পেঁপে খুবই ফলপ্রসূ। কাঁচা বা পাকা যে অবস্থায়ই হোক। সকালে ও বিকেলে প্রতিদিন কয়েক টুকরো করে খেতে হবে। অন্তত এক মাস নিয়মিত খেতে হবে।হজমশক্তি বাড়াতে
হজমের গোলমাল একটি ব্যাপক সমস্যা। হজমশক্তি কমে গেলে অম্বল হতে চায়, মুখে চোকা ঢেকুর ওঠে, পেট ব্যথা শুরু হয়। কখনো চিনচিনে ব্যথা, কখনো ভয়ঙ্কর ব্যথা হয়। কখনো কোষ্ঠ পরিষ্কার হয় না আর কখনো পেট খারাপ হয়। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, শরীরে অবসাদ দেখা দেয়। এক্ষেত্রেও পেঁপে উপকারে আসে।উচ্চরক্তচাপ কমাতে
চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ বছরের পর থেকে মানুষের রক্তচাপসংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়। হয়তো রক্তচাপ বাড়ে নয়তো কমে। রক্তচাপ বাড়লে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। হঠাৎ পড়ে গেলে শরীরের কোন অংশ অকেজো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, শরীরে অসাড়তা দেখা যায়। উচ্চরক্তচাপ আক্রান্তরা কাঁচা বা পাঁকা পেঁপে ব্যবহার করতে পারেন। দুটোই উপকারী। তবে খাবেন কয়েক টুকরো এবং নিয়মিত। কয়েক মাস খেয়ে যেতে হবে।ফাইলেরিয়া রোগ হলে
ফাইলেরিয়া মশাবাহিত রোগ। ফাইলেরিয়ার বিভিন্ন উপসর্গ নিরাময়ে পেঁপে গাছকে ব্যবহার করা যায়। কয়েকটি পেঁপে পাতা সংগ্রহ করে সেগুলোকে গরম পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার পাতাগুলোকে গরম অবস্থায় সেঁকে নিয়ে নিয়মিত কয়েক দিন সেঁক দিলে ফাইলেরিয়ার উপসর্গ অনেকটা কমে যাবে।এছাড়াও পেঁপের রয়েছে আরও কিছু পুষ্টিগুণঃ
– যেসব মায়ের সদ্য বাচ্চা হয়েছে কাঁচা পেঁপের তরকারি নিয়মিত খেলে তাদের স্তনের দুধ বাড়বে।
– ওষুধ হিসেবে কাঁচা পেঁপের গুণ পাকা পেঁপের চেয়ে বেশি। পেপটিন বা পেঁপের আঠার গুণ অনেক।
– প্রতিদিন দুপুরে ভাত খাওয়ার পর এবং রাতে ভাত বা রুটি খাওয়ার পর এক টুকরা কাঁচা পেঁপে ভালো করে চিবিয়ে খেয়ে এক গ্লাস পানি খেলে সকালে পেট পরিষ্কার হয়।
– কাঁচা পেঁপে বা পেঁপে গাছের আঠা পেটের অসুখ, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রভৃতি রোগের জন্য বিশেষ উপকারী।
– পেঁপের তরকারি নিয়মিত খেলে পেটের পীড়া বা উদরাময়ে উপকার হয়।
– আমাশয় থেকে মুক্তি পাওয়ার অদ্ভুত শক্তি আছে কাঁচা পেঁপের আঠায়।
– ক্রিমি বিনাশের ক্ষেত্রে পেঁপে এটি ফলপ্রদ ওষুধ।
প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা পেঁপেতে আছে-
প্রোটিন ০.৬ গ্রাম,
ফ্যাট ০.১ গ্রাম,
মিনারেল ০.৫ গ্রাম,
ফাইবার ০.৮ গ্রাম,
কার্বোহাইড্রেট ৭.২ গ্রাম,
খাদ্যশক্তি ৩২ কিলো ক্যালরি,
ভিটামিন সি ৫৭ মিলিগ্রাম,
সোডিয়াম ৬.০ মিলিগ্রাম,
পটাশিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম,
আয়রন ০.৫ মিলিগ্রাম।- 471 views
- 1 answers
- 0 votes
দেহে প্রতিটি খাদ্য উপাদানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আপনি অনেক দ্রুত ওজন কমাতে চান বলেই খাদ্যতালিকা থেকে ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট ঝেড়ে পুছে বাদ দিতে পারেন না। তেমনই কোনো কারণে খাদ্যতালিকা থেকে চাইলেই কোনো একটি খাদ্যউপাদানও বাদ দিতে পারেন না। যদি কোনো খাদ্য উপাদানে ঘাটতি পড়ে তাহলে সেই উপাদানের অভাবজনিত নানা রোগে ভুগতে হবে আপনাকে। এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাটিও হারাতে হবে এর পাশাপাশি। প্রোটিন আমাদের দেহের মাংসপেশি গঠন, মস্তিষ্কের উন্নয়নে অনেক কার্যকরী। আপনার যদি নিয়মিত সঠিক পরিমাণে প্রোটিন খাওয়া না হয় তাহলে প্রোটিনের ঘটতি জনিত নানা সমস্যায় ভুগবেন আপনি যা পরবর্তীতে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তাই অবহেলা নয় একেবারেই। কীভাবে বুঝবেন আপনার দেহে প্রোটিনের ঘটতি রয়ে যাচ্ছে? একটু নজর করলেই ধরে ফেলতে পারবেন বেশ ভালো করে। কারণ প্রোটিনের ঘটতি হলে শরীরে দেখা যায় নানা লক্ষণ।
১) আপনি অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে থাকবেনপ্রোটিনের অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে দেহের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা। যখন এর ঘাটতি পড়বে আপনার দেহে তখন আপনার মস্তিষ্কে সিগন্যাল যাবে চিনি জাতীয় খাবার খাওয়ার ব্যাপারে। আর প্রয়োজনের তুলনায় একটু বেশিই মিষ্টি খাবার খুঁজবেন আপনি।
২) মস্তিষ্ক ধোঁয়াটে লাগবেরক্তে সুগারের সঠিক মাত্রা আপনাকে একটি লক্ষ্য নির্দিষ্ট করতে সহায়তা করে এবং দ্বিধা ছাড়াই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারটিতে সাহায্য করে। কিন্তু আপনার দেহে প্রোটিনের অভাব হলে সুগারের মাত্রা কমবে এবং আপনার দ্বিধার মাত্রা বাড়বে। এছাড়াও প্রোটিনকে বলা হয় মস্তিষ্কের খাদ্য। যখনই এ ব্যাপারে ঘাটতি পড়বে আপনার মস্তিষ্ক স্বাভাবিক কাজ করতে বাঁধাগ্রস্থ হবে।
৩) অতিরিক্ত চুল পড়তে থাকবেপ্রোটিন চুলের ফলিকল মজবুত করতে সহায়তা করে। যখন অতিরিক্ত হারে চুল পড়তে থাকবে তখন বুঝবেন আপনার চুলের ফলিকল দুর্বল হয়ে পড়েছে যার অন্যতম প্রধান কারণ দেহে প্রোটিনের অভাব।
৪) দুর্বলতা অনুভব করাআমরা সকলেই জানি প্রোটিন আমাদের দেহ গঠনের জন্য অত্যন্ত জরুরী মাংসপেশি গঠনের মূল উৎস। আপনি যখন প্রোটিনের অভাবে ভুগবেন তখন আপনার মাংসপেশিতে ঢিলে ভাব চলে আসবে এবং আপনি কোনো ধরণের পরিশ্রম ছাড়াই দুর্বলতা অনুভব করতে থাকবেন।
৫) বারবার অসুস্থ হয়ে পড়াদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রোটিন অনেক বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। যখন এই প্রোটিনের ঘাটতি হয় দেহে তখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসে। যার ফলে ছোটোখাটো অসুস্থতা লেগেই থাকে। সুতরাং এইসকল ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন।
- 453 views
- 1 answers
- 0 votes
অনেক কারণেই চুল পড়তে পারে যেমন–
১• অধিক রাত জাগা
২• পর্যাপ্ত পানি পান না করা
৩•সকালের নাস্তা না করা
৪• শরীরে আমিষ ও ভিটামিন ই এর ঘাটতি ইত্যাদি।
- 778 views
- 1 answers
- 0 votes
বিরক্তি কাটাতে কিংবা একটু আনমনে কাজ করতে গেলে অনেকেই চুইংগাম চিবুতে থাকেন। অনেকের কাছে এটি সময় কাটানোর একধরণের সুস্বাদু উপাদান। কিন্তু আপনি জানেন কি এই চুইংগামের রয়েছে মারাত্মক কিছু স্বাস্থ্যহানিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া? অনেকেই এই বিষয়টি জানেন না। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক।
১) চুইংগাম আপনাকে জাংক ফুড খেতে বাধ্য করে চুইংগাম আপনার খাওয়ার আগ্রহ কমিয়ে দেয়। ফলে অসময়ে আপনি জাংক ফুডের দিকেই হাত বাড়ান। গবেষণায় দেখা যায় যারা নিয়মিত চুইংগাম চিবোন তারা অন্যান্যদের তুলনায় বেশি জাংক ফুড খাওয়ায় অভ্যস্ত থাকেন।
২) টেম্পোরোমেন্ডিবুলার জয়েন্ট ডিজঅর্ডারের সমস্যা দেখা দেয় অতিরিক্ত চুইংগাম চিবোনোর ফলে চোয়ালের পেশি অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। এতে করে চোয়ালে তীক্ষ্ণ ব্যথা অনুভূত হয়। এর লক্ষণ প্রকাশ পায় অতিরিক্ত মাথাব্যথা, কান এবং দাঁত ব্যথার মাধ্যমে।
৩) গ্যাস্ট্রোটেস্টিনাল সমস্যা যখন চুইংগাম চিবোনো হয় তখন অনেকটা বাতাস আমাদের পেটে চলে যায় যার কারণে হজম প্রক্রিয়াটিতে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এতে তলপেটে ব্যথার সৃষ্টিও হয়। এছাড়াও মুখ কিছু নিয়ে চিবোনোর মাধ্যমে দেহে সিগন্যাল চলে যায় যে পেটে খাবার যাবে। তখন পাকস্থলীতে খাবার হজমের জন্য অ্যাসিড নির্গত হয় যা পাকস্থলীতেই রয়ে যায়। এতে করেও নানা সমস্যা দেখা দেয়।
৪) দাঁতের ক্ষয়
চিনিযুক্ত চুইংগাম চিবোনো দাঁতের জন্য ক্ষতিকর তা সকলেই জানেন। কিন্তু আপনি যদি চিনি ছাড়া চুইংগামকে স্বাস্থ্যকর ভাবেন তাহলে ভুল করবেন। কারণ চিনি ছাড়া চুইংগামে থাকা নানা ফ্লেভারের অ্যাসিডিক উপাদান যা দাঁতের আরও বেশি ক্ষতি করে।- 713 views
- 1 answers
- 0 votes
বেশীরভাগ মানুষই নিজের ওজন কমানো নিয়ে সমস্যায় পড়ে থাকেন। কিন্তু ওজন বাড়াতে চাওয়া মানুষের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। কারণ এমন অনেকেই আছেন যারা কম ওজনের জন্য নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। এবং ওজন বাড়াতে চেয়েও পারছেন না। অনেকের ধারণা অস্বাস্থ্যকর এবং ফ্যাটি খাবার খেলেই ওজন বেড়ে যায়। হ্যাঁ, ওজন ঠিকই বাড়ে কিন্তু তা স্বাস্থ্যকর ওজন নয় একেবারেই। এর চাইতে বরং কম ওজন থাকাই ভালো। কিন্তু যদি স্বাস্থ্যকর উপায়ে মাংসপেশির গঠন সুদৃঢ় করে ওজন বাড়িয়ে নিতে চান তাহলে অবশ্যই খাদ্য তালিকায় রাখবেন এই ১৫ টি খাবার। ওজন বাড়বে কিন্তু তা হবে নিয়ন্ত্রিত এবং স্বাস্থ্যকর উপায়ে।
১) ডিমডিমে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন এবং এ, ডি ও ই ভিটামিন। ডিমের কুসুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। সুতরাং খাদ্য তালিকায় রাখুন ডিম।
২) মাছ ও মাছের তেলদৈনিক ৯০০ মিলিগ্রাম মাছের তেল খান। মাছের তেল আলাদা করে না খেলে মাছ খান এতেও অনেকটা উপকার হবে। কারণ মাছের তেল ও মাছ ওজন বাড়ায় নিয়ন্ত্রিত উপায়ে যা দেহে ফ্যাট না জমিয়ে মাংসপেশি বৃদ্ধি করে।
৩) দইঅতিরিক্ত চিনি এবং ফ্লেভার দেয়া দই নয়, অর্গানিক দই খান নিয়মিত। এতে করে দইয়ের ভালো ব্যাকটেরিয়া দেহের গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল স্বাস্থ্য ভালো করবে এবং মাংসপেশি উন্নত করতে সহায়তা করবে।
৪) তিল বীজফাইবার, প্রোটিন এবং ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস তিল বীজ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং সেইসাথে মাংসপেশি গঠনেও সহায়তা করে। এতে ওজন বাড়ে।
৫) বাদামস্বাস্থ্য বৃদ্ধির জন্য বাদাম রাখুন খাদ্যতালিকায়। বাদামে রয়েছে পলিআনস্যচুরেটেড ফ্যাট যা আপনার স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
৬) বাটার ও পিনাট বাটারপ্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ বাটার রাখুন খাদ্য তালিকায়। এই স্নেহ জাতীয় খাবার খুব দ্রুতই ওজন বাড়াবে। তবে প্রচুর পরিমাণ মাখন আবার আপনার হার্টে সমস্যা করতে পারে তাই খুব বেশি মাখন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আবার সকালের নাস্তায় পাউরুটিতে পুরু করে মাখিয়ে নিতে পারেন পিনাট বাটার। ১ টেবিল চামচ পিনাট বাটারে থাকে প্রায় ১৯২ ক্যালরি যা ওজন বাড়াতে সহায়তা করবে।
৭) চীজএক চামচ চীজে থাকে প্রায় ৬৯ ক্যালরি। এবং দুধ থেকে তৈরি করা এই চীজে থাকে প্রচুর প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, চর্বি ও কলেস্টেরল যা বাড়াবে আপনার ওজন স্বাস্থ্যকর ভাবেই।
৮) পাউরুটিপাউরুটিতে রয়েছে ক্যালরি এবং প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট। এছাড়াও পাউরুটিতে যোগ করা সুগার ও সল্ট ওজন বাড়াতে সহায়তা করে।
৯) ভুট্টার রুটিভুট্টার রুটি সকালে ও বিকেলের নাস্তায় রাখতে পারেন। ভুট্টাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট। এতে বাড়বে ওজন খুব দ্রুত।
১০) পাস্তা ও নুডুলসকার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ পাস্তা ও নুডুলস উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার হিসাবে পরিচিত। আপনি প্রতিদিন পরিমাণ মত পাস্তা অথবা নুডুলস খেতে পারেন। তবে ইনস্ট্যান্ট নুডলস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
১১) ফলের জুসফলের রস হচ্ছে ওজন বাড়ানোর সবচাইতে স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর উপায়। ফলের রসের সাথে যুক্ত চিনি আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে।
১২) ভাতভাতে সব চাইতে বেশি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার পাওয়া যায়। এতে করে দেহের ওজন খুব দ্রুত বাড়তে থাকে। তাই প্রতিদিন ৩ বেলা ভাত খেয়ে দেখতে পারেন।
১৩) চিংড়ি মাছচিংড়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিকর ও প্রয়োজনীয় এসিড যা আপনার স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
১৪) শুকনো ফলআপনি দ্রুত ক্যালোরি পেতে পারেন শুকনো ফল যেমন কিশমিশ, খেজুর ইত্যাদি খেয়ে। শুকনো ফলে পাকা ফলের মতই প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি থাকে।
১৫) স্বাস্থ্যকর চর্বি ও তেলখাদ্য তালিকাতে পরিমাণমতো তেল বা চর্বি রাখুন, তবে তা অবশ্যই স্বাস্থ্যকর তেল বা চর্বি, যেমন অলিভ অয়েল, ক্যানোলা অয়েল ইত্যাদি। এতে করে আপনার ক্যালোরির অভাব পুরন হয়ে যাবে।
- 499 views
- 1 answers
- 0 votes
নিয়মিত ভিটামিন এ খাচ্ছেন? ভুলে যান বাইরের ভিটামিনের কথা। খেয়ে নিন একটি কমলা রঙের গাজর। কারণ একটি গাজর আপনাকে দিতে পারবে ভিটামিন এ ছাড়াও নানা উপকার। একে তাই বলা হয়ে থাকে ‘শক্তিশালী’ খাদ্য উপাদান। শুধু ভিটামিন এ’ ই পাওয়া যা তা নয়, গাজরের আছে নানাবিধ উপকার। এটি আপনাকে উপহার দেবে সুন্দর ত্বক থেকে শুরু করে ক্যান্সারের থেকে সুরক্ষাও। আসুন জেনে নেই একটি গাজর থেকে আপনি কি কি উপকার পাচ্ছেন।
- ১. আগে গাজর না খেয়ে থাকলে এখন থেকেই শুরু করুন গাজর খাওয়া। কারণ গাজর খেলে বৃদ্ধি পাবে আপনার দৃষ্টিশক্তি। এতে আছে বেটা ক্যারোটিন যা আমাদের লিভারে গিয়ে ভিটামিন এ তে বদলে যায়। যা পরে চোখের রেটিনায় গিয়ে পৌছিয়ে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, সেই সাথে রাতের বেলায় অন্ধকারেও চোখের ভাল দেখার জন্য দরকারি এমন এক ধরনের বেগুনি পিগ্মেন্ট এর সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়ে দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে গাজর।
- ২. গাজর যারা খান তাদের ক্যান্সারের ঝুকি কম থাকে। গাজরে আছে falcarinol এবং falcarindiol যা আমাদের শরীরে এন্টিকান্সার উপাদানগুলোকে রিফিল করে। তাই গাজর খেলে ব্রেস্ট, কোলন, ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার ঝুকি কম থাকে।
- ৩. গাজর শুধু শরীরের জন্য ভাল তাই নয় এটি আমাদের জন্য এন্টি এজিং উপাদান হিসেবেও কাজ করে। এতে যে বেটা ক্যারোটিন আছে তা আমাদের শরীরের ভেতরে গিয়ে এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে আমাদের শরীরের ক্ষয়প্রাপ্ত সেলগুলোকে ঠিকঠাক করে যা সাধারন মেটাবোলিজমের কারনে হয়ে থাকে। এছাড়াও এটি এজিং সেলগুলোর গতি ধীর করে দিতে সাহায্য করে, ফলে আপনি ধরে রাখতে পারবেন আপনার যৌবনকে অধিক সময়ের জন্য।
- ৪. সুন্দর ত্বকের জন্যও গাজর খেতে পারেন। এটা আপনার ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করবে। এর ভিটামিন এ ও এন্টিওক্সিডেন্ট আপনার ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দুর করবে। সেই সাথে ভিটামিন এ ত্বকের অযাচিত ভাঁজ পড়া, কালো দাগ, ব্রন, ত্বকের রঙের অসামাঞ্জসসতা ইত্যাদি দূর করে আপনাকে সুন্দর হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
- ৫. এছাড়াও গাজর একটি ভাল এন্টিসেপ্টিক হিসেবেও কাজ করে। এটি ইনফেকশন হওয়া থেকে রক্ষা করে। কোথাও কেটে গেলে বা পুড়ে গেলে সেখানে লাগিয়ে নিন কুচি করা গাজর বা সিদ্ধ করা গাজরের পেস্ট। আপনার ইনফেকশন হবার আশকংকা আর থাকবেনা।
- ৬. এছাড়া গাজর বাইরে থেকেও ত্বকের অনেক উপকার করে। এটা ব্যবহার করতে পারেন ফেশিয়ালের উপাদান হিসেবে।
- ৭. এছাড়াও হৃৎপিণ্ডের নানা অসুখে এটি খুব ভাল কাজ করে। এর ক্যারোটিনয়েডগুলো হৃৎপিণ্ডের নানা অসুখের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। যেসব খাবারে যেমন গাজরে উচ্চমাত্রাই এই উপাদান পাওয়া যায় সেসব খেলে হৃৎপিণ্ডের রোগের ঝুকি অনেক কমে আসে।
- ৮. গাজরে উপস্থিত ভিটামিন এ লিভারে গিয়ে তাকে শরীর থেকে নানা ধরনের টক্সিন জাতীয় খারাপ উপাদান পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এছাড়াও গাজরের এই উপাদান লিভার থেকে অতিরিক্ত চর্বি সরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। সেই সাথে গাজরের ফাইবার কোলন পরিষ্কার রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যর হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।
- ৯. সুন্দর ও সুস্থ্য সবল দাঁত চান? তবে এখনি গাজর খাওয়া শুরু করুন। গাজর আপনার দাঁত ও মুখ গহ্বর পরিষ্কার রাখে। গাজর মুখের প্ল্যাক ও খাবারের উপাদান মুখ থেকে দূর করে টুথ পেস্ট ও টুথ ব্রাশের মতই। এছাড়াও গাজরের মিনারেলগুলো দাঁত মজবুত থাকতে সাহায্য করে অনেকাংশেই।
- ১০. হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা পরিচালিত এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা সপ্তাহে ৬টির বেশি গাজর খেয়েছেন বা খাচ্ছেন তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি যারা এর থেকে কম পরিমানে কম বা একটি গাজর খাচ্ছেন তাদের তুলনায় অনেক কম হয়েছে। তাই স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে হলে এখনি নিজের খাবারের তালিকায় যুক্ত করুন গাজর।
জানা হয়ে গেল গাজরের নানা উপকারিতার কথা। একটু ভাল থাকার জন্য আমরা কত কিছুই না করি। যদি একটি খাদ্য উপাদান আমাদের দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় যোগ করে নিজেদের আর একটু ভাল রাখতে পারি তাহলে তা কেন করব না? তাই আসুন নিয়মিত গাজর খাই এবং সুস্থ রাখি নিজেদেরকে।
- 578 views
- 1 answers
- 0 votes
মধু এবং দারুচিনি দুটোই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বেশ পরিচিত নাম। দুটোই ঔষধি গুনাগুনের জন্য প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ঠান্ডা-সর্দি থেকে শুরু করে হৃদপিণ্ডের নানা সমস্যার সমাধান করে মধু এবং দারুচিনি দুটোই। এই দুটি অসাধারণ প্রাকৃতিক ঔষধের গুণাবলী বলে শেষ করা যায় না। মাথায় টাক পড়ে যাচ্ছে? কোলেস্টোরল বাড়ছে নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে? কোনো চিন্তা নেই সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াবিহীনভাবে এইসব ধরণের সমস্যা দূর করে দিতে হাতের কাছেই পেতে পাবেন জাদুকরী উপাদান। মধু এবং দারুচিনির দারুণ মিশ্রন দূর করবে প্রায় ৭ ধরণের সমস্যা। চলুন জেনে নেয়া যাক সমস্যা ও তার সমাধানগুলো।
১) খারাপ কোলেস্টোরল কমায়
প্রতিদিন পৌনে ১ চা চামচ দারুচিনি এবং ৫ চা চামচ মধু দেহের খারাপ কোলেস্টোরল কমাতে বিশেষ ভাবে কার্যকরী। চাইলে এই দুটো একসাথে মিশিয়ে মিশ্রন তৈরি করে খেতে পারেন প্রতিদিন।
২) বাতের ব্যথা কমায়
এই দুটি ঔষধি খাবারের রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। মধু-দারুচিনির মিশ্রন বাতের ব্যথা এবং জয়েন্টে ব্যথার মতো ব্যথা দূর করতে সক্ষম। প্রতিদিন ১ কাপ গরম পানিতে ২ চা চামচ মধু এবং ১ চা চামচ দারুচিনিগুঁড়ো মিশিয়ে সকালে এবং বিকেলে পান করুন। সমস্যার দ্রুত সমাধান পাবেন।
৩) পেটের গণ্ডগোল দূর করে
মধু-দারুচিনির মিশ্রন পেটে গ্যাসের সমস্যা সমাধান করে, পেটে ব্যথা দূর করে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। ১ গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ মধু এবং আধা চা চামচ দারুচিনি খুব ভালো করে মিশিয়ে খালি পেটে পান করে নিন। পেটের গণ্ডগোল থেকে রেহাই পাবেন।
৪) চুল পড়া কমায়
মধু-দারুচিনির মিশ্রন মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং চুল মজবুত করে তোলে। চুলের আকার ও লম্বা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় অলিভ অয়েল গরম করে নিন। এরপর এতে মেশান ১ টেবিল চামচ মধু এবং ১ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো। মাথার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার ব্যবহারেই ভালো ফল পাবেন।
৫) শারীরিক দুর্বলতা কমায়
১ গ্লাস পানিতে মাত্র আধা চা চামচ মধু এবং ১ চিমটি দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে ১ সপ্তাহের মধ্যে শারীরিকভাবে অনেক পার্থক্য দেখতে পাবেন। এই মিশ্রণটি আপনাকে চা/কফির মতো স্ফূর্তি যোগাবে তবে এটি চা/কফির মতো ক্ষতিকর নয় একেবারেই।
৬) ঠাণ্ডা-সর্দি সারায়
মধু ও দারুচিনি উভয়েরই রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিভাইলার এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ঠাণ্ডা-সর্দির সমস্যা দ্রুত সারায়। প্রতিদিন মাত্র ১ চা চামচ মধুতে ১/৪ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে খান। দ্রুত সমস্যার সমাধান পাবেন।
৭) ব্রণ সমস্যার সমাধান করে
৩ টেবিল চামচ মধুতে ১ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর এই পেস্ট ব্রণের উপর লাগিয়ে ঘুমুতে যান। সকালে উঠে নিজেই পার্থক্য দেখতে পাবেন।
- 497 views
- 1 answers
- 0 votes