14182
Points
Questions
3
Answers
7076
লাইসেন্সের প্রকারভেদ
প্রকারভেদ অনুযায়ী লাইসেন্স ৫ প্রকার। যেমন-
• শিক্ষানবীশ লাইসেন্স
• পেশাদার লাইসেন্স
• অপেশাদার লাইসেন্স
• পি.এস. ভি লাইসেন্স
• ইনস্ট্রাকটর লাইসেন্সপ্রকানভেদ অনুযায়ী লাইসেন্স ৫ প্রকার হলেও শিক্ষানবীশ লাইসেন্স, পেশাদার লাইসেন্স এবং অপেশাদার লাইসেন্সই বেশি প্রচলিত। নিম্নে এ সম্মন্ধে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হলো-
যে ধরণের ব্যক্তিগণ লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন :
• সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়স্ক ব্যক্তি অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
• সর্বনিম্ন ২০ বছর বয়স্ক ব্যক্তি পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
• পেশাদার এবং অপেশাদার লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যাদের বয়স (২০/১৮) নির্ধারিত বয়স অপেক্ষা কম এবং যিনি কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণী বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন।
• ক্ষিপ্রতা গ্রস্ত ব্যক্তি ও মৃগী রোগী
• বধিরতা
• যিনি রাতকানা রোগগ্রস্ত
• হৃতরোগী
• বর্ণান্ধ
• যে সকল ব্যক্তি শারিরীক অক্ষমতা / শারিরীক স্বল্পতা/ ত্রুটির কারণে গাড়ী চালনায় অযোগ্য।শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পদ্ধতি
যে কোন ব্যক্তিকে শিৰানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে নিম্নলিখিতভাবে অগ্রসর হতে হবে :
১. বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বি.আর.টি.এ) অফিস হতে ছাপানো নির্ধারিত আবেদন ফরমে আবেদন করতে হবে।
২. একজন রেজিস্ট্রার্ড ডাক্তার কর্তৃক শারীরিক ফিটনেস সার্টিফিকেট ও রক্তের গ্রুপ ফর্মে উল্লেখ থাকতে হবে।
৩. নির্ধারিত আবেদন ফিস স্হানীয় পোস্ট অফিসে জমা দিতে হবে।
৪. আবেদন পত্র সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের তিনকপি ছবিসহ বি আর টি এ অফিসে জমা দিতে হবে।
আবেদনপত্র পাওয়ার পর লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ আবেদন পত্রের যথার্থতা বিবেচনাক্রমে ৩ (তিন) মাসের জন্য শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করে থাকেন। অতঃপর লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হবে।একজন চালককে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে যে সমস্ত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হয় তা হলো :
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের দেয়া শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ কালের মধ্যে ধার্যকৃত ফিস জমা দিয়ে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। আবেদন পত্র পাওয়ার পর লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ আবেদনকারীকে-
ক. লিখিত পরীক্ষা
খ. মৌখিক পরীক্ষা
গ. ব্যবহারিক পরীক্ষা অংশ গ্রহণ করতে হবে।লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে মটর যানের যে শ্রেণীর (মটর কার, মটর সাইকেল বা হালকা/ভারী) জন্য আবেদন করেছে সে শ্রেণীর গাড়ী নিয়ে বি.আর.টি.এ অফিসের নির্ধারিত স্হানে (জেলা পর্যায়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট/১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে) ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হবে।
ব্যবহারিক পরীক্ষা ৩ (তিন) টি ধাপে সম্পন্ন হয়ে থাকে। যথাঃ
ক. জিগ জ্যাগ টেস্ট
খ. র্যাম্প টেস্ট
গ. রোড টেস্ট : এসব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে লাইসেন্সিং কর্তৃপৰ আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করবেন।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, মধ্যম ও ভারী যানবাহনের লাইসেন্স পেতে হলে অবশ্যই আবেদনকারীর হালকা মটরযানের লাইসেন্স থাকতে হবে এব তিন বছর পার না হলে উক্ত প্রকার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যাবে না।ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পরীক্ষা পদ্ধতি :
তিনটি বিষয়ের উপরে লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়। যথা :
ক. রোড সাইন, ট্রাফিক সিগন্যাল ও ট্রাফিক চিহ্ন,
খ. ট্রাফিক নিয়মাবলী,
গ. মটরযান ও ইহার ইঞ্জিন সংক্রান্ত প্রাথমিক জ্ঞান বিষয়ে।সাধারণত লিখিত পরীক্ষায় ২৫-৩০ মিনিট সময় দেওয়া হয় এবং শতকরা ৬৬% নম্বর পেলে উত্তীর্ণ হওয়া যায়। উত্তর দেওয়ার জন্য প্রত্যেক প্রশ্নের নিচেই ফাঁকা জায়গা থাকে এবং সেখানেই উত্তর লিখতে হয় অথবা প্রশ্ন পত্রে কয়েকটি উত্তর দেওয়া থাকে সঠিক উত্তরের পাশ্বে টিক দিতে হয়। রোড সাইন, ট্রাফিক সিগন্যাল ও ট্রাফিক চিহ্ন, ট্রাফিক নিয়মাবলী বাস্তবে চিহ্নিত করতে পারে কিনা এবং মটরযান ও ইহার ইঞ্জিন সংক্রান্ত প্রাথমিক জ্ঞান আছে কিনা। তদুপরি বয়স ও শারীরিক দিক হতে উপযুক্ত কিনা ইত্যাদি বিষয়ে মৌখিক পরীক্ষয় প্রশ্ন করা হয়।
পরীক্ষার্থী মটরযানের যে শ্রেণীর জন্য লাইসেন্স পেতে চায় সেই শ্রেণীর গাড়ী দিয়েই মাঠে প্রাকটিক্যাল টেস্ট দিতে হয়। এ প্রাকটিক্যাল টেস্টে ইঞ্জিন চালু করা, গিয়ার পরিবর্তন করা, সিগন্যাল লাইট ব্যবহার করা, গাড়ী থামানো, সামনে অগ্রসর হওয়া ও পিছনের দিতে সুষ্ঠুভাবে চালাতে পারে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষা ১ম ধাপ হচ্ছে জিগজাগ টেস্ট। মাঠে যে আঁকা বাকা রাস্তা মার্কিং করা থাকে তার ভিতর দিয়ে গাড়ী নিয়ে অগ্রসর হওয়ার নাম জিগজাগ টেস্ট।
ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে কিংবা ছিড়ে গেলে ‘ইস্যুকরণ পদ্ধতি’
ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে কিংবা ছিড়ে গেলে লাইসেন্সধারীকে নির্ধারিত ফরমে সাদা কাগজে প্রয়োজনীয় ফিস পোস্ট অফিসে জমা দিয়ে লাইসেন্স পূর্ণ বিবরণাদি উল্লেখপূর্বক যে লাইসেন্সিং অথরিটি কর্তৃক ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছিল তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে লাইসেন্সিং অথরিটির নিকট ৩ (তিন) কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবিসহ আবেদন দাখিল করতে হবে।
লাইসেন্স হারিয়ে বা পুড়ে গেলে সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডাইরি (জিডি এন্ট্রি) করতে হবে এবং তার একটি সত্যায়িত অনুলিপি আবেদন পত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
এছাড়া দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে এবং সেই বিজ্ঞপ্তির তারিখ আবেদন পত্রে উল্লেখসহ উক্ত পত্রিকার নির্দিষ্ট স্হানটি চিহ্নিত করে আবেদন পত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। আবেদন পত্র সঠিক বিবেচিত হলে লাইসেন্সধারীর অনুকুলে একটি প্রতিলিপি ইস্যু করা হবে।
লাইসেন্স ফি
সকল জেলা শহরেই বেসরকারীভাবে ড্রাইভিং শেখানোর কিছু প্রতিষ্ঠান থাকে যেখানে প্রতিষ্ঠানভেদে ফি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে ।
সাধারণত ভাল প্রতিষ্ঠানগুলো যে ধরনের ফি নিয়ে থাকে যেমন- শিক্ষানবীশ লাইসেন্স ফি ১২৭০/-
জিগজ্যাগ পরীক্ষা বাবদ ৪৭০/-
অপেশাদার প্লাষ্টিক লাইসেন্স বাবদ ২১০০/-
পেশাদার প্লাষ্টিক লাইসেন্স বাবদ ১৫০০/-- 746 views
- 1 answers
- 0 votes
আমাদের সমাজে প্রচলিত ধারণা হচ্ছে, যদি কোনো মা-বাবা তাঁর সন্তানকে ত্যাজ্য হিসেবে ঘোষণা করেন তবে সেই সন্তান চিরতরে তাঁর মা-বাবার সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। অনেক সময় দেখা যায় যে বাবা তাঁর সন্তানকে ত্যাজ্য হিসেবে ঘোষণা করেন এবং হলফনামা করে লিখে দেন যে তাঁর মৃত্যুর পর সেই সন্তান সম্পত্তির কোনো অংশীদার হবেন না। এ ধরনের ঘোষণার আদৌ কোনো আইনি ভিত্তি নেই। মুসলিম পারিবারিক আইনে স্পষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়েছে কারা সম্পত্তির উত্তরাধিকার হবেন এবং তাঁদের অংশ কতটুকু হবে। মুসলিম আইন অনুযায়ী জন্মসূত্রেই কোনো সন্তান তাঁর পরিবারের সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার অর্জন করেন এবং তাঁদের এ অধিকার কোনোভাবেই খর্ব করা যায় না।
তবে কোনো মা-বাবা দান, উইল বা বিক্রয়ের মাধ্যমে তাঁদের সম্পত্তি যে কারও কাছে হস্তান্তর করতে পারেন। এখানে মনে রাখতে হবে মুসলিম আইনে উইলের দ্বারা এক-তৃতীয়াংশের বেশি হস্তান্তর করা যায় না এবং ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর তা কার্যকর হবে। জীবিতকালে কোনো মা-বাবা তাঁদের সম্পত্তি অন্য কাউকে যথাযথ উপায়ে দান না করে গেলে কিংবা বিক্রয় করে না গেলে মৃত্যুর পর তাঁদের সন্তানেরা অবধারিতভাবেই উত্তরাধিকারী হিসেবে সেই রেখে যাওয়া সম্পত্তির অংশীদার হবেন।
কিন্তু জীবিতকালে শুধু ত্যাজ্যপুত্র বলে ঘোষণা করে ভবিষ্যতে সন্তানেরা সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবেন বলে দিলেই সন্তানেরা ত্যাজ্য হয়ে যাবেন না। সন্তানেরা অবশ্যই বাবা-মায়ের সম্পত্তির অংশীদার হবেন। যেকোনো দলিল সম্পাদন কিংবা হলফনামার মাধ্যমে ত্যাজ্য করার ঘোষণা আইনের চোখে অচল এবং আদালতের মাধ্যমে বলবৎ করার সুযোগ নেই। যদি এমন হয় বাবা-মা ত্যাজ্যপুত্র বলে সন্তানদের ঘোষণা দিয়ে গেছেন এবং এ জন্য অন্য অংশীদারেরা তাঁদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছেন তাহলে সন্তানেরা আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।
চাইলে দেওয়ানি আদালতে বাবা-মায়ের করা দলিলটি বাতিল চেয়ে মোকদ্দমা দায়ের করতে পারেন। কোনো বাবা-মা যদি তাঁদের অবাধ্য সন্তানকে কোনো সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে চান তাহলে জীবিতাবস্থায় ওই সম্পত্তি অন্য কাউকে দান করে কিংবা বিক্রি করে সম্পত্তির দখল ছেড়ে দিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে যেটুকু সম্পত্তিই বাবা-মা নিজের নামে রেখে যান না কেন তাঁদের মৃত্যুর পর তাঁর বৈধ উত্তরাধিকারীরা এ সম্পত্তির অংশীদার হবেন। এ থেকে জীবিত অবস্থায় কাউকে বঞ্চিত করার ঘোষণা মুসলিম আইন অনুযায়ী করা যাবে না।
- 648 views
- 1 answers
- 0 votes
বলা হয়ে থাকে বিয়ে, জন্ম আর মৃত্যু মানুষের জীবনের ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। দুজন মানুষের মনের মিল থেকেই সাধারণত তাদের মাঝে বিয়ে সংঘটিত হয়ে থাকে। কিন্তু এমন অনেক বিয়ে রয়েছে যেগুলো বেশিদিন স্থায়ী হয় না। সাংসারিক নানা ধরনের ঝামেলার কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটছে প্রতিনিয়তেই। আপনার সমস্যাটিও খুবই সাধারণ একটি ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
আপনি চাইছেন আপনার স্বামীকে ডিভোর্স দিতে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি ইসলাম ধর্মে নারীদের ডিভোর্স দেয়ার নিয়মটি বেশ জটিল করে তৈরি করা হয়েছে। পুরুষদের জন্য বিষয়টি অনেক বেশি শিথিল। যদি দুই পক্ষের মধ্যে কোনোভাবেই পুনঃমিলন সম্ভব না হয় তবে তালাক নোটিশ প্রদানের তারিখ হতে ৯০ দিনের মধ্যে তালাক কার্যকর হয়ে যাবে।
এই ৯০ দিন পর্যন্ত স্ত্রীর ভরণপোষণ ও অন্যান্য খরচাপাতি বহন করবেন স্বামী। তালাকের ক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, যদি তালাক দেওয়ার সময় স্ত্রী গর্ভবতী হয়ে থাকে তবে তার গর্ভাবস্থার পরিসমাপ্তি না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ সন্তান ভূমিষ্ঠ না হওয়া পর্যন্ত তালাক কার্যকর হবে না।
তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, মুসলিম আইনে স্ত্রীর তালাক দেওয়ার কোনও ক্ষমতা নেই, যদি না কাবিননামার ১৮তম কলামে স্ত্রীর তালাক প্রদানের ক্ষমতা দেওয়া থাকে।
তবে মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন ১৯৩৯ অনুযায়ী মুসলিম আইনে বিবাহিত কোনও মহিলা নিচের এক বা একাধিক কারণে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করতে পারবেন।
১. চার বছর পর্যন্ত স্বামীর কোনও খোঁজখবর পাওয়া না গেলে।
২. দুই বছর যাবত স্বামী কর্তৃক অবহেলিত এবং স্বামী ভরণপোষণ দিতে ব্যর্থ হলে।
৩. মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১’র বিধান লঙ্ঘন করে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করলে।
৪. স্বামী ৭ বছর বা তার বেশি মেয়াদের জন্য কারাদণ্ড প্রাপ্ত হলে।
৫. স্বামী কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া তিন বছর ধরে বিবাহিত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে।
৬. বিয়ে করার সময় স্বামী পুরুষত্বহীন হলে এবং এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে।
৭. দুই বছর ধরে স্বামী অপ্রকৃতিস্থ থাকলে বা, কুষ্ঠ রোগ বা, সংক্রামক যৌন ব্যাধিতে ভুগলে।
৮. ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই যদি অভিভাবকের মাধ্যমে বিয়ে দেওয়া হয় এবং স্বামী-স্ত্রী সহবাস বা, বসবাস না করে তাহলে ১৯ বছর বয়স হওয়ার আগেই এই বিয়ে প্রত্যাখ্যান করলে।
৯. স্ত্রীর প্রতি স্বামী নিষ্ঠুর আচারণ করলে।এক্ষেত্রে নিষ্ঠুর আচরণগুলো হল:
ক) স্বভাবগতভাবে তাকে মারপিট বা, শারীরিক নির্যাতন ছাড়াও নিষ্ঠুর আচরণ করে স্ত্রীর জীবন দুর্বিষহ করে তুললে।
খ) খারাপ চরিত্রের মহিলাদের সঙ্গে মেলামেশা করলে বা অনৈতিক জীবনযাপন করলে।
গ) স্ত্রীকে অনৈতিক জীবনযাপানে বাধ্য করার চেষ্টা করলে।
ঘ) স্ত্রীর সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ করলে বা, তার স্ত্রীর সম্পত্তির অধিকারে বাধা প্রদান করলে।
ঙ) স্ত্রীর ধর্মকর্ম পালনে বাধা দিলে।
চ) একাধীক স্ত্রী থাকলে পবিত্র কোরআনেরর বিধান মোতাবেক সমভাবে ব্যবহার করতে ব্যর্থ হলে।
এসব নিষ্ঠুর আচরণের জন্য কাবিননামায় তালাকের ক্ষমতা না থাকা সত্বেও স্ত্রী তার স্বামীকে তালাক প্রদান করতে পারবেন।
অন্য যে কোনও সংগত কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন যে, উল্লেখিত যে কোনও একটি কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ চাইতে হলে স্ত্রীকে আদালতের মাধ্যমে যেতে হবে।তালাক স্বামী বা, স্ত্রী যেই দিক না কেন, স্ত্রী তার প্রাপ্য মোহরানা যে কোনও সময় দাবী করতে পারবেন।
মনে রাখতে হবে যে, তালাক নিবন্ধন বাধ্যতামূলক আর তাই যে এলাকায় তালাক কার্যকর করা হয়েছে সেই এলাকার নিকাহ রেজিস্ট্রার দিয়ে তালাক নিবন্ধন করাতে হবে।তবে বাংলাদেশের আইনে নারীদের জন্য বিষয়টি অনেকটাই শিথিলযোগ্য। আপনি চাইলে একজন আইন বিশেষজ্ঞের পরামর্ম নিতে পারেন। ধন্যবাদ
- 2028 views
- 1 answers
- 0 votes
https://www.fda.gov/Cosmetics/ResourcesForYou/Industry/ucm388736.htm
- 869 views
- 1 answers
- 0 votes
ভাল বিস্তারিত যানতে একানে আসুন https://adf.ly/wJ42e
- 607 views
- 1 answers
- 0 votes
আগাম জামিন :
যখন গ্রেপ্তার হবার সম্ভাবনায় বা গ্রেপ্তার হবার অনুমানে কোন ব্যাক্তিকে জামিন প্রদান করা হয়, তখন তাকে Anticipatory Bail বা আগাম জামিন বলে। অভিযুক্ত ব্যক্তি অনেক সময় গ্রেপ্তারের আগেই আদালত থেকে জামিন গ্রহণ করতে পারেন। এ ধরণের জামিন সাধারণতঃ দেয়া হয় না। জামিনের সাধারণ নিয়মের ব্যাতিক্রম হিসাবে এ ধরণের জামিন দেয়া হয়। যখন কোন ব্যাক্তির নিকট বিশ্বাস করার এমন কারণ থাকে যে, তিনি কোন জামিন অযোগ্য অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার হতে পারেন, তখন তিনি হাইকোর্ট বিভাগে বা দায়রা আদালতে নির্দেশের জন্য আবেদন করলে আদালত যদি যথাযথ মনে করেন তাহলে ঐ মুহুর্তে উক্ত ব্যাক্তিকে ভবিষ্যৎ গ্রেপ্তারের উপর আগাম জামিন নির্দেশ করবেন।
আগাম জামিন নেয়ার উপায় :
আগাম জামিন অনুমোদন করার জন্য আইনের বিধানে কোন নির্দিষ্ট ধারা নেই। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারাকে ব্যাখ্যা করে পরবর্তীতে ‘আগাম জামিন’ দেয়া অব্যাহত রাখেন আদালত। তাই আগাম জামিনের জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারা অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। এই ধারার শব্দাবলী “হাইকোর্ট বিভাগ বা দায়রা আদালত যে কোন ক্ষেত্রে যে কোন ব্যাক্তিকে জামিন মঞ্জুর করার নির্দেশ প্রদান করতে পারেন” এই অংশের ব্যাখ্যা প্রদান করে কেবল মাত্র হাইকোর্ট বিভাগ ও দায়রা আদালত আগাম জামিন প্রদান করতে পারেন যে কোন ক্ষেত্রে এবং কোন রকম সীমাবদ্ধতা ছাড়া।
‘আগাম জামিন’ পেতে আবেদনকারীকে আদালতের সামনে প্রমাণ করতে হবে যে, তিনি সরকারের বিরাগভাজন হয়ে আশু গ্রেপ্তারের আশঙ্কা করছেন। তাকে দেখাতে হবে যে, রাষ্ট্রপক্ষ অসদুদ্দেশ্যে তাকে গ্রেপ্তার করতে চায় এবং এতে করে তার সুনাম এবং স্বাধীনতায় অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে। পিএলডি ১৯৮৩-এর একটি মামলায় বলা হয়েছে, পুলিশ যে তাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে গ্রেপ্তার করতে চাইছে, আদালতের সামনে তা প্রমাণ করতে হবে।
৫ বিএলডি ১৯৮৫’র একটি মামলায় আপিল বিভাগের পূর্ণ বেঞ্চের এক সিদ্ধান্তে বলা হয়, কাউকে খাটো করার উদ্দেশ্যে বিদ্বেষমূলক মামলায় জড়ানোর আশঙ্কা থাকলে একজন ব্যক্তি ‘আগাম জামিন’ পেতে পারেন। তবে আসামি যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে এবং আদালতের নির্দেশমাত্র হাজির হতে পারে, আগাম জামিন মঞ্জুর করার ক্ষেত্রে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
- 716 views
- 2 answers
- 0 votes
আগাম জামিন :
যখন গ্রেপ্তার হবার সম্ভাবনায় বা গ্রেপ্তার হবার অনুমানে কোন ব্যাক্তিকে জামিন প্রদান করা হয়, তখন তাকে Anticipatory Bail বা আগাম জামিন বলে। অভিযুক্ত ব্যক্তি অনেক সময় গ্রেপ্তারের আগেই আদালত থেকে জামিন গ্রহণ করতে পারেন। এ ধরণের জামিন সাধারণতঃ দেয়া হয় না। জামিনের সাধারণ নিয়মের ব্যাতিক্রম হিসাবে এ ধরণের জামিন দেয়া হয়। যখন কোন ব্যাক্তির নিকট বিশ্বাস করার এমন কারণ থাকে যে, তিনি কোন জামিন অযোগ্য অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার হতে পারেন, তখন তিনি হাইকোর্ট বিভাগে বা দায়রা আদালতে নির্দেশের জন্য আবেদন করলে আদালত যদি যথাযথ মনে করেন তাহলে ঐ মুহুর্তে উক্ত ব্যাক্তিকে ভবিষ্যৎ গ্রেপ্তারের উপর আগাম জামিন নির্দেশ করবেন।
আগাম জামিন নেয়ার উপায় :
আগাম জামিন অনুমোদন করার জন্য আইনের বিধানে কোন নির্দিষ্ট ধারা নেই। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারাকে ব্যাখ্যা করে পরবর্তীতে ‘আগাম জামিন’ দেয়া অব্যাহত রাখেন আদালত। তাই আগাম জামিনের জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারা অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। এই ধারার শব্দাবলী “হাইকোর্ট বিভাগ বা দায়রা আদালত যে কোন ক্ষেত্রে যে কোন ব্যাক্তিকে জামিন মঞ্জুর করার নির্দেশ প্রদান করতে পারেন” এই অংশের ব্যাখ্যা প্রদান করে কেবল মাত্র হাইকোর্ট বিভাগ ও দায়রা আদালত আগাম জামিন প্রদান করতে পারেন যে কোন ক্ষেত্রে এবং কোন রকম সীমাবদ্ধতা ছাড়া।
‘আগাম জামিন’ পেতে আবেদনকারীকে আদালতের সামনে প্রমাণ করতে হবে যে, তিনি সরকারের বিরাগভাজন হয়ে আশু গ্রেপ্তারের আশঙ্কা করছেন। তাকে দেখাতে হবে যে, রাষ্ট্রপক্ষ অসদুদ্দেশ্যে তাকে গ্রেপ্তার করতে চায় এবং এতে করে তার সুনাম এবং স্বাধীনতায় অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে। পিএলডি ১৯৮৩-এর একটি মামলায় বলা হয়েছে, পুলিশ যে তাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে গ্রেপ্তার করতে চাইছে, আদালতের সামনে তা প্রমাণ করতে হবে।
৫ বিএলডি ১৯৮৫’র একটি মামলায় আপিল বিভাগের পূর্ণ বেঞ্চের এক সিদ্ধান্তে বলা হয়, কাউকে খাটো করার উদ্দেশ্যে বিদ্বেষমূলক মামলায় জড়ানোর আশঙ্কা থাকলে একজন ব্যক্তি ‘আগাম জামিন’ পেতে পারেন। তবে আসামি যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে এবং আদালতের নির্দেশমাত্র হাজির হতে পারে, আগাম জামিন মঞ্জুর করার ক্ষেত্রে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
- 716 views
- 2 answers
- 0 votes
নারী বা পুরুষ যে কেউই নির্যাতিত হলে আইন অনুযায়ী বিচার হওয়া উচিৎ। আমাদের দেশ নারী নির্যাতন বেশী হওয়ার কারণে নারী নির্যাতন বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন সময় আইন প্রণয়ন করা হয় বা হচ্ছে।
তাই বলে এই না যে সমাজের পুরুষরা নির্যাতিত হচ্ছেন না। আমাদের সমাজের যে শ্রেণীর পুরুষরা নির্যাতিত হচ্ছেন তাদের পুরুষত্বের ব্যপারে প্রশ্ন উঠতে পারে ভেবে তা প্রকাশ করছেন না। যেমন নির্যাতিত পুরুষটি যখন তার অবস্থার কথা কাউকে বলতে যাবেন হয়তো সে সব কিছু শুনে বলেই বসবেন তুমি কেমন পুরুষ মানুষ যে তোমার স্ত্রীকে কন্ট্রোল করতে পারনা? এই সব নানান কারণে হয়তো পুরুষেরা নীরবে নির্যাতন সহ্য করে যাচ্ছেন। নির্যাতিত পুরুষটি নির্যাতনের মামলা করতে আদালতে যান না বলেই পুরুষ নির্যাতন মামলা নেই ।
- 647 views
- 1 answers
- 0 votes
ভ্রাম্যমান আদালত হলো ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিচারক কর্তৃক বিচারকার্য পরিচালনা এবং তাৎক্ষণিকভাবে বিচারাদেশ প্রদান। ক্ষমতাপ্রাপ্ত বিচারক বা ম্যাজিস্ট্রেট তার বিচারিক এখতিয়ার অনুযায়ী অপরাধ তাৎক্ষণিকভাবে আমলে নিয়ে, উপস্থিত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদেশ দিয়ে থাকেন। এটি একটি সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতি। তবে ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক প্রদত্ত বিচারাদেশের বিরূদ্ধে উচ্চতর আদালতে আপিল রুজু করা যায়।
ভ্রাম্যমান আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটকে তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্ব প্রদান করা হয় এবং বিচার শেষে ভ্রাম্যমান আদালতটি তাৎক্ষণিকভাবে ভেঙ্গে যায় বলে এর নির্দিষ্ট কোনো ফোন নম্বর নেই। তবে আপনি চাইলে মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে যোগাযোগ করতে পারেন। ধন্যবাদ
- 2566 views
- 1 answers
- 0 votes
জাতীয় পতাকা আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের পর আমরা একটি স্বাধীন দেশ পাই এবং স্বাধীন দেশের স্বাধীন পতাকা উত্তোলন করি। কিন্তু আমরা এই পতাকা ব্যবহারের অনেক নিয়ম কানুন সঠিকভাবে জানি না।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পতাকা ব্যবহারের কিছু নীতিমালা তৈরি করেছিল ১৯৭২ সালে যা পরে ২০১০ সালে পুনরায় চূড়ান্ত করা হয়। বিশেষ করে পতাকা উত্তোলন এর জন্য কিছু নীতিমালা আছে, এছাড়াও কোন কোন দিবসে তা উত্তোলন করা যাবে এবং অমান্য করলে কি কি শাস্তি হতে পারে চলুন জেনে নিই :
People’s Republic Of Bangladesh Flag Rules, 1972 (Revised up to May, 2010)
– যে কোন ভবন বা দালানকোঠায় ব্যবহারের জন্য —১০ ফুটx৬ ফুট, ৫ ফুট x৩ ফুট, ২.৫ ফুট /১.৫ ফুট।– মোটরগাড়িতে ব্যবহারের জন্য পতাকার বিভিন্ন মাপ হলো—১৫ ইঞ্চিx ৯ ইঞ্চি, ১০ ইঞ্চি x৬ ইঞ্চি।
– আন্তর্জাতিক ও দ্বিপাক্ষিক অনুষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য টেবিল পতাকার মাপ হলো—১০ ইঞ্চি x৬ ইঞ্চি।
এখানে উল্লেখ্য, সরকারি ভবনের আয়তন অনুযায়ী এবং প্রয়োজনে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ঠিক রেখে বড় আয়তনের পতাকা প্রদর্শনের অনুমতি প্রদান করতে পারবে।
উল্লেখযোগ্য কিছু বিশেষ দিবস আছে যখন সরকারী-বেসরকারী সব ধরনের অফিসে পতাকা অবশ্যই উড়াতে হবে। এই দিবসগুলো হলো :
– মহানবীর জন্মদিন (ঈদ এ মিলাদুন্নবী)
– স্বাধীনতা দিবস (২৬ শে মার্চ)
– বিজয় দিবস (১৬ই ডিসেম্বর)
– সরকার কর্তৃক ঘোষিত অন্য যে কোন দিনএছাড়া
১) শহীদ দিবস (২১শে ফেব্রুয়ারি) এবং
২) সরকার কর্তৃক ঘোষিত অন্য যে কোন দিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার বিধান আছে।তাই উল্লেখিত দিনের শেষভাগে আমাদের উচিত জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলা। অন্যথায় অজ্ঞতা ও অসচেতনতার কারণে জাতীয় পতাকার প্রতি অসম্মান প্রদর্শন হয়ে যেতে পারে।
জাতীয় পতাকা আইন ভঙ্গে শাস্তিঃ
জাতীয় পতাকার জন্যে এই আইন ১৯৭২ সালে প্রণীত হলেও ২০১০ সালের আগ পর্যন্ত এই আইন অমান্যকারীদের জন্যে কোন শাস্তির বিধান ছিলোনা। পরবর্তীতে ২০১০ সালের ২০ জুলাই জাতীয় সংসদে একটি নতুন বিল পাশ হয় যার দ্বারা এই আইনে শাস্তির বিধান সংযোজন করা হয়। পাশ হওয়া সেই বিলে আইন অমান্যকারীদের জন্যে ১ বছরের কারাদন্ড বা ৫০০০ টাকা জরিমানা বা উভয় শাস্তির বিধান রাখা হয়।
- 665 views
- 1 answers
- 0 votes