ZoomBangla Answer's Profile
Professor
14182
Points

Questions
3

Answers
7076

  • Professor Asked on March 4, 2015 in আইন.

      – ২ জন সাক্ষী – জাতীয় পরিচয়পত্র বা যে কোন পাবলিক পরীক্ষার সার্ফিকেট (বয়স প্রমাণের জন্য) – প্রয়োজনীয় টাকা।

      • 625 views
      • 1 answers
      • 0 votes
    • Professor Asked on March 4, 2015 in আইন.

        জেনারেল ডায়েরির সংক্ষিপ্ত রূপ। এই ডায়েরীতে থানার বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন আসামী কোর্টে চালান দেয়া, এলাকার বিভিন্ন তথ্য, থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আগমন ও প্রস্থানের তথ্য ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে।
        কাউকে ভয় ভীতি দেখানো হলে বা অন্য কোন কারণে যদি তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন, কিংবা কোন ধরনের অপরাধের আশঙ্কা করেন তাহলে তিনি জিডি করতে পারেন। জিডি করার পর পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। প্রয়োজনবোধে তদন্ত করা, নিরাপত্তা দেয়া ছাড়াও জিডির বিষয়টি মামলাযোগ্য হলে পুলিশ মামলা করে থাকে। আইনগত সহায়তা পাওয়ার জন্য জিডি অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। অনেক সময় আদালতেও জিডিকে সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

        জিডি করা 
        থানার ডিউটি অফিসার জিডি নথিভুক্ত করেন। এক্ষেত্রে তিনি একটি ডায়েরীতে জিডির নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য লিপিবদ্ধ করেন। জিডির দুটি কপি করা হয়। একটি থানায় সংরক্ষণ করা হয় এবং অন্যটিতে জিডির নম্বর লিখে প্রয়োজনীয় সাক্ষর ও সীলমোহর দেয়া হয়। এটি ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করতে হয়।

        অভিযোগকারী নিজে জিডি লিখতে পারেন, আবার প্রয়োজনে থানার কর্মকর্তাও লিখে দিয়ে থাকেন।

        প্রতিটি জিডির বিপরীতে একটি নম্বর দেয়া হয়, ফলে কোন অবৈধ প্রক্রিয়া মাধ্যমে কেউ আগের তারিখ দেখিয়ে জিডি করতে পারেন না।

        পুলিশের তাৎক্ষণিক সাড়া দেবার প্রয়োজন নেই এমন ক্ষেত্রে যেমন পাসপোর্ট হারানো, বাখাটে বা মাদক সেবীদের সম্পর্কে তথ্য প্রদান বা এজাতীয় ক্ষেত্রে অনলাইনে জিডি করা যেতে পারেন বা সরাসরি পুলিশ সদরদপ্তরে ফ্যাক্স বা ই-মেইল করতে পারেন। এ পদ্ধতিতে দেশের বাইরে থেকেও জিডি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে অনলাইনে জিডি করার পর ই-মেইল বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জিডি নম্বরটি জিডিকারীকে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

        ই-মেইল: [email protected].
        ফ্যাক্স: +৮৮০-২-৯৫৫৮৮১৮
        অনলাইনে জিডি করার জন্য www.police.gov.bd সাইটে গিয়ে ‘Citizens help request’ –এ ক্লিক করতে হবে।

        হারানো বিষয়ের জিডি
        মোবাইল ফোনের সিম, পরীক্ষার সার্টিফিকেট, জমির দলিল প্রভৃতি হারিয়ে গেলে ঐ সব কাগজপত্র পুনরায় তুলতে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হারানো সংবাদের জিডি চেয়ে থাকে, তাই ঐসব ক্ষেত্রে হারানো সংবাদের জিডি করে সেই জিডি নম্বরসহ কর্তৃপক্ষরে কাছে আবেদন করতে হয়।

        জিডির নমুনা
        বরাবর

        ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

        ………. থানা

        ঢাকা।

        বিষয়: এসএসসি সার্টিফিকেট হারানো সংবাদ ডায়েরীভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন।

        মহোদয়,

        আমি নিম্ন সাক্ষরকারী আপনার থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে জানাচ্ছি যে, আমার এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট আজ সকাল আনুমানিক ১১ টার সময় ঢাকা কলেজের পাশের রাস্তার একটি ফটোকপি করার দোকান থেকে হারিয়ে গেছে।

        এমতাবস্থায় হারানোর বিষয়টি ডায়েরীভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

        সার্টিফিকেটের বিবরণ:

        পরীক্ষার নাম…শিক্ষাবর্ষ…রেজিষ্ট্রেশন নং… রোল নং…

        দাখিলকারী,
        ….

        ঠিকানা…

        ফোন…

        • 837 views
        • 1 answers
        • 0 votes
      • Professor Asked on March 4, 2015 in আইন.

          মেজিস্ট্রেট সাধারনত ২ প্রকার

          ১) Executive magistrate(Admin)
          ২) Judicial Magistrate (1st, 2nd, 3rd Class)

          • 2420 views
          • 1 answers
          • 0 votes
        • Professor Asked on March 4, 2015 in আইন.

            ধর্ষণের প্রমাণ হল :

            ১. ধর্ষিতার স্বীকারোক্তি
            ২. ঘটনাস্থল এবং
            ৩. চিকিৎসক কর্তৃত প্রেরিত ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট

            • 711 views
            • 1 answers
            • 0 votes
          • Professor Asked on March 4, 2015 in আইন.

              বাংলাদেশে বিদ্যমান ‘মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১’ এর ৭ ধারার বিধান অনুসারে একজন পুরুষের তালাক প্রদানের পদ্ধতি নিম্নরূপ :

              ১) ধারা ৭, উপধারা মোতাবেক কোন ব্যাক্তি স্ত্রীকে তালাক দিতে চাইলে যে কোন পদ্ধতির তালাক ঘোষণার পর যত শীঘ্র সম্ভব চেয়ারম্যনকে লিখিতভাবে তালাকের নোটিস দিতে হবে এবং স্ত্রীকে উক্ত নোটিসের কপি প্রদান করতে হবে।

              ২) যে ব্যাক্তি উপধারা ১ এর বিধান লংঘন করবে তাকে এক বৎসর পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা দশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় প্রকার শাস্তি প্রদান করা যাইতে পারে।

              ৩) নিম্নের ৫ উপধারার মাধ্যম ব্যাতিত প্রকাশ্য বা অন্যভাবে প্রদত্ত কোন তালাক পুর্বাহ্নেই বাতিল না হলে উপধারা ১ অনুযায়ী চেয়ারম্যনের নিকট নোটিস প্রদানের তারিখ হতে ৯০ দিন অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ হবেনা।

              ৪) উপধারা ১ অনুযায়ী নোটিস প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট পক্ষ গণের মধ্যে সমঝোতার জন্য সালিশি পরিষদ গঠন করবেন।

              ৫) তালাক ঘোষণা কালে স্ত্রী অন্তঃসত্তা থাকলে ৩ উপধারার উল্লেখিত সময় বা গর্ভাবস্তা এই দুটির মধ্যে দীর্ঘতরটি অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তালাক কার্যকর হবেনা।

              ৬) উক্ত ধারা অনুযায়ী কার্যকর তালাক দ্বারা যার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে সেই স্ত্রীর একই ভাবে ৩য় বার বিবাহ বিচ্ছেদ না ঘটলে মধ্যবর্তি অন্য কোন পুরুষ কে বিবাহ না করে পুনরায় একই স্বামীকে বিবাহ করতে পারবে।

              ৭) এই ধারা অনুযায়ী কার্যকর তালাক দ্বারা পর পর তিনবার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলে পুনরায় একই স্বামীকে বিবাহ করতে হলে মধ্যবর্তি বিবাহ করা প্রয়োজন।

              তালাক ব্যতীত অন্যভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ :

              ধারা ৮ অনুযায়ী, যেখানে তলাকের অধিকার স্ত্রীকে যথাযথভাবে প্রদান করা হয়েছে এবং স্ত্রী যেখানে উক্ত অধিকারটি প্রয়োগ করতে ইচ্ছুক অথবা স্বামী বা স্ত্রী তালাক ব্যতীত অন্য কোন উপায়ে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে চায় সেখানে ৭ ধারার বিধান সমূহ যথা সম্ভব প্রযোজ্য হবে।

              • 715 views
              • 1 answers
              • 0 votes
            • Professor Asked on March 4, 2015 in আইন.

                জামিন : 
                ফৌজদারি কার্যবিধিতে জামিনের কোন সংজ্ঞা প্রদান করা হয়নি। সাধারণত সংশ্লিষ্ট আদালতে সময়মত হাজির করার শর্তে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সাময়িকভাবে আইনগত হেফাজত থেকে মুক্তি প্রদান করে জামিনদারের নিকট সম্পন্ন করাকে জামিন বলে। মামলার যেকোন পর্যায়ে জামিন মঞ্জুর করা যায়। এমনকি বিচার শুরু হবার পরও জামিন মঞ্জুর করা যায়।

                কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন অপরাধের অভিযোগ থাকলেই তাকে দোষী বলা যায় না। আদালতে দোষী প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত তাকে নির্দোষ ধরতে হবে এটাই আইনের নীতি। তাই দোষী প্রমানিত হবার পুর্বে কাউকে আটকে রাখা হলে তা ন্যায় বিচারের পরিপন্থি হবে। এছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তি আটক থাকলে তার সামাজিক, পারিবারিক, শারিরিক, মানসিক নানাবিধ সমস্যা হতে পারে। তাই অহেতুক তাকে আটক রাখা আইনে সমর্থনীয় নয়। আবার বিচারের সময় অপরাধীকে আদালতে থাকা প্রয়োজন, তাই বিচারের সময় তার উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য ফৌজদারি কার্যবিধিতে জামিনের বিধান রাখা হয়েছে।

                ফৌজদারি আইনে অপরাধগুলিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। 
                ক) জামিন যোগ্য (bailable) এবং
                খ) জামিন-অযোগ্য (Non bailable)।

                ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসারে আসামী যে অবস্থায় মুক্তি পেতে পারে তা নিম্নে প্রদান করা হলো :

                জামিন যোগ্য অপরাধ : 
                ধারা ৪৯৬। জামিনের অযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ব্যতীত অপর কোন ব্যক্তি কোন থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার কর্তৃক বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার হলে বা আটক থাকলে, বা আদালতে হাজির হলে বা তাকে হাজির করা হলে, সে যদি উক্ত অফিসারের হেফাজতে থাকার সময় বা উক্ত আদালতের কার্যক্রমের কোন পর্যায়ে জামানত দিতে প্রস্তুত থাকে তা হলে তাকে জামিনে মুক্তি দিতে হবে।

                তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত অফিসার বা আদালত উপযুক্ত মনে করলে তার নিকট হতে জামানত গ্রহণের পরিবর্তে সে অতঃপর বর্ণিতভাবে হাজির হবার জন্য জামিনদার ব্যতীত মুচলেকা সম্পাদন করলে তাকে মুক্তি দিতে পারবেন।

                তবে আরও শর্ত থাকে যে, এই ধারার কোন বিধান ১০৭ ধারার (৪) উপধারা বা ১১৭ ধারার (৩) উপধারার কোন বিধানকে প্রভাবিত করবে বলে গণ্য হবে না।

                জামিন-অযোগ্য অপরাধ : 
                ধারা ৪৯৭। যখন জামিনের অযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন মঞ্জুর করা যাবে।

                (১) জামিনের অযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার কর্তৃক বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার হলে বা আটক থাকলে অথবা আদালতে হাজির হলে বা তাকে হাজির করা হলে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে; কিন্তু সে মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডনীয় কোন অপরাধে দোষী বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকলে উক্তরূপে দেওয়া যাবে না।

                তবে শর্ত থাকে যে, আদালত এইরূপ অপরাধে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তি ষোল বৎসরের কম বয়স্ক বা স্ত্রীলোক বা পীড়িত বা অক্ষম হলে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন।

                (২) ক্ষেত্রমতে তদন্ত, ইনকোয়ারী বা বিচারের কোন পর্যায়ে উক্ত অফিসার বা আদলতের নিকট যদি প্রতিয়মান হয় যে, আসামী জামিনের অযোগ্য কোন অপরাধ করেছে বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ নাই, কিন্তু তার অপরাধ-সম্পর্কে আরও ইনকোয়ারির পর্যাপ্ত হেতু রহয়েছে, তাহলে এইরূপ ইনকোয়ারী সাপেক্ষে আসামীকে জামিনে, অথবা উক্ত অফিসার বা আদলত বা আদালতের ইচ্ছানুযাসারে সে অতঃপর বর্ণিতভাবে হাজির হবার জন্য জামিনদার ব্যতীত মুচলেকা সম্পাদন করলে তাকে মুক্তি দিতে পারবেন।

                (৩) কোন অফিসার বা আদালত (ক) উপধারা বা (খ) উপধারা অনুসারে কোন ব্যক্তিকে মুক্তি দিলে তার ঐরূপ করার কারণ লিপিবদ্ধ করবেন।

                (৪) জামিনের অযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচার সমাপ্ত হবার পর এবং রায় দানের পূর্বে কোন সময় আদালত যদি মনে করেন যে, আসামী উক্ত অপরাধে দোষী নয় বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে, তা হলে আসামী হাজতে থাকলে রায় শ্রবণের উদ্দেশ্যে হাজির হবার জন্য জামিনদার ব্যতীত মুচলেকা সম্পাদনের পর তাকে মুক্তি দিবেন।

                (৫) হাইকোর্ট বিভাগ বা দায়রা আদালত এবং নিজে মুক্তি দিয়ে থাকলে অন্য কোন আদালত এই ধারা অনুসারে মুক্তিপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে ও তাকে হাজতে প্রেরণ করতে পারবেন।

                • 692 views
                • 1 answers
                • 0 votes
              • Professor Asked on March 4, 2015 in আইন.

                  কোনো কারণে জমি হস্তান্তর হলে খতিয়ানে পুরোনো মালিকের নাম বাদ দিয়ে নতুন মালিকের নাম প্রতিস্থাপন করানোকে বলে মিউটেশন বা নামজারি। উত্তরাধিকারসূত্রে, বিক্রয়, দান, খাসজমি বন্দোবস্তসহ বিভিন্ন ধরনের হস্তান্তরের কারণে জমির মালিকানা বদল হয়। কিন্তু জমির নামজারি না করানো হলে মালিকানা দাবি করার ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা তৈরি হয়। জমি রেজিস্ট্রেশন, জমি ক্রয়-বিক্রয়, খাজনা প্রদানসহ নানা ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় নামজারি। জমি হস্তান্তর হওয়ার পর নামজারি করা অনেকটাই বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

                  কীভাবে আবেদন করতে হয়

                  সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে নির্ধারিত আবেদনপত্র সংগ্রহ করে আবেদন করতে হবে। এতে নির্ধারিত জায়গায় জমির বিস্তারিত পরিচয় দিতে হবে। আবেদনে নাম, ঠিকানা, রেজিস্ট্রি ক্রয় দলিলের নম্বর ও সাল স্পষ্ট থাকতে হবে। একই সঙ্গে মূল দলিলের অনুলিপি, ভায়া দলিল, পরচা বা খতিয়ানের অনুলিপি, ভূ-উন্নয়ন কর পরিশোধের দলিল, ওয়ারিশান সনদপত্র (তিন মাসের মধ্যে ইস্যু করা), বণ্টননামা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) দিতে হবে। কোনো রায় বা ডিক্রির কারণে নামজারি করতে হলে ডিক্রি বা রায়ের অনুলিপি জমা দিতে হবে। আবেদনকারী নিজেও আবেদন করতে পারেন অথবা আবেদনকারী কোনো প্রতিনিধি নিয়োগ করেও আবেদন করতে পারেন। আবেদনের সঙ্গে আবেদনকারী অথবা আবেদনকারীর প্রতিনিধির পাসপোর্ট আকারের ছবি সংযুক্ত করে দিতে হবে আবেদনের নির্ধারিত জায়গায়। খেয়াল রাখতে হবে নামজারি করাতে গিয়ে কোনো দালালের খপ্পরে যেন না পড়েন। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী মহানগরে ৬০ কর্মদিবসে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে নামজারি-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নিয়ম করা হয়েছে।

                  কোথায় করা হয় নামজারি

                  সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে নামজারির জন্য আবেদন করতে হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে মিউটেশন সহকারী পদের একজন দায়িত্বে থাকেন। নাজির পদের একজন নামজারির জন্য ফি জমা নেন। তহশিলদারেরা (সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা) নামজারির তদন্তের দায়িত্বে থাকেন। কোনো আবেদন করা হলে এ নামজারি করা জমির ওপর তদন্ত করার নিয়ম আছে। অনেকে বিভ্রান্ত হয়ে তহশিলদারের অফিসে নামজারি আবেদন করে থাকেন। এটা ঠিক নয়।

                  নামজারি কেন করাবেন

                  নামজারি করাটা খুবই জরুরি। নামজারি না করলে রেকর্ডে নতুন মালিকের নাম অন্তর্ভূক্ত হবে না। আপনি নিজ নামে খাজনাও দিতে পারবেন না। অর্থাৎ ভূমি অফিস বা তহসিল অফিসের রেজিস্টারে আপনার নামই উঠবে না। রেকর্ডই মালিকানার প্রকৃত দলিল। ধরুন আপনি রেকর্ডিয় মালিক জনাব আজিজুর রহমানের নিকট হতে জমি কিনেছেন। এরপর আপনি যতক্ষণ না আপনার নামে নামজারি করাচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত সরকারি রেকর্ডে আপনার নামই উঠবে না। আপনার কেনা জমি সরকারি খাতাপত্রে পূর্ববর্তী মালিক আজিজুর রহমানের নামেই রয়ে যাবে। আপনি জমি কিনলেন অথচ মালিক হিসেবে গণ্য হবেন না। কাজেই নামজারি করাটা খুবই জরুরি।

                  নামজারিতে যা যা প্রয়োজন হয়ঃ

                  ১. নির্ধারিত ফর্মে আবেদন

                  ২. ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি

                  ৩. জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি

                  ৪. মালিকানার প্রমাণস্বরূপ দলিলাদি ও অন্যান্য কাগজপত্র (দলিলের ফটোকপি, সিএস/এসএ/আরএস/মহানগর পড়চা ইত্যাদি)

                  ৫. ওয়ারিশ হিসেবে নামজারির ক্ষেত্রে কোর্টের সাকসেশন সার্টিফিকেট বা নির্ধারিত জনপ্রতিনিধি (ইউপি চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড কমিশনার, পৌরসভার চেয়ারম্যান ইত্যাদি) কর্তৃক প্রদত্ত ওয়ারিশ সনদ

                  নামজারি প্রক্রিয়া

                  ১। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নামজারির আবেদন এসি (ল্যান্ড) অফিসে জমা দিতে হবে। জমা প্রদানকালে কেস নম্বর যুক্ত একটি টোকেন বা স্লিপ আপনাকে দেয়া হবে। এটি সাবধানে রাখতে হবে। সতর্কতার জন্য নম্বরটি অন্য কোন নিরাপদ জায়গায় লিখে রাখুন;

                  ২। আপনার আবেদনের বিপরীতে একটি নামজারি কেস নথি তৈরী হবে। এসি (ল্যান্ড) আপনার দাখিলকৃত কাগজপত্রের যথার্থতা এবং জমির মালিকানা যাচাই পূর্বক নামজারির প্রস্তাব বা প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বা তহসিলদারের নিকট প্রেরণ করবেন।

                  ৩। তহসিলদার কেস নথিটি পাওয়ার পর আপনার কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য দলিল এবং কাগজপত্রের মূল কপিসহ তার কার্যালয়ে (তহসিল অফিস) উপস্থিত হওয়ার জন্য বলতে পারেন। সেক্ষেত্রে তহসিল অফিসে যেয়ে মূল কাগজপত্র দেখাতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে তহসিলদার বা এসি (ল্যান্ড) অফিসের সার্ভেয়ার সরেজমিনে গিয়ে আপনার জমি পরিদর্শন করতে পারেন।

                  ৪। জমির মালিকানার বিষয়ে সন্তুষ্ট হলে তহসিলদার নামজারির প্রস্তাব এসি (ল্যান্ড) এর নিকট প্রেরণ করবেন।

                  ৫। এসি (ল্যান্ড) তহসিলদারের নিকট হতে নামজারি প্রস্তাব পাওয়ার পর আবেদনকারী, জমির বিক্রেতা বা পূর্ব মালিক, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ওয়ারিশগণকে শুনানীর জন্য নোটিশ করবেন। এসি (ল্যান্ড) প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট যে কাউকে শুনানীর জন্য নোটিশ করতে পারেন। আবেদনকারীর উচিৎ সকলে যেন নোটিশ পায় এজন্য সঠিক নাম ঠিকানা বা ফোন নম্বর দিয়ে এসি (ল্যান্ড) অফিসকে সহযোগিতা করা। এতে করে আপনার শুনানী পর্বটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।

                  ৬। সকল পক্ষের শুনানী অন্তে এবং দাখিলকৃত কাগজপত্র ও রেকর্ড যাচাইপূর্বক সন্তুষ্ট হলে এসি (ল্যান্ড) নামজারি কেসটি মঞ্জুর করবেন।

                  ৭। নামজারি মঞ্জুর হওয়ার পর আপনাকে অবশ্যই কতগুলো কাগজ বা ডকুমেন্ট সাবধানে বুঝে নিতে হবে। অনুমোদিত নামজারি প্রস্তাবের একটি ফটোকপি, নামজারি পড়চা এবং ডিসিআর। এসি (ল্যান্ড) অফিসের নাজিরের নিকট হতে নির্ধারিত সরকারি ফী (বর্তমানে ২৫০/- টাকা) প্রদানপূর্বক ডিসিআর (Duplicate Carbon Receipt DCR)এবং নামজারি পড়চা সংগ্রহ করতে হবে।

                  ৮। নামজারি পড়চা, ডিসিআর এবং নামজারি প্রস্তাবের ফটোকপি বুঝে নেয়ার পর অবশ্যই তহসিল বা ভূমি অফিসে গিয়ে জোত খুলে খাজনা প্রদান করবেন। জোত খোলা মানে খাজনার রেজিস্টারে আপনার নাম ও মালিকানার বিবরণসহ একটি এ্যাকাউন্ট খোলা। কাজটি তহসিলদার বা সহকারী তহসিলদার করবেন। খাজনা প্রদানের প্রমাণস্বরূপ খাজনার রশিদ বা আর আর (rent receipt) বুঝে নিবেন। খাজনার রশিদকে অনেকে দাখিলাও বলে থাকেন। এটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট। অনেক সময় আবার এসি (ল্যান্ড) অফিসে নামজারি প্রস্তাব মঞ্জুরের পর প্রস্তাবপত্রের ফটোকপি বা ডুপ্লিকেট কপি দিয়ে আপনাকে তহসিল অফিসে গিয়ে খাজনা পরিশোধ করার জন্য বলা হতে পারে। সেক্ষেত্রে তাই করবেন। খাজনা পরিশোধের পর খাজনার রশিদ দেখিয়ে এসি (ল্যান্ড) অফিসের নাজিরের কাছ থেকে নামজারি পড়চা এবং ডিসিআর বুঝে নিবেন।

                  নামজারি আবেদন নামঞ্জুর হলে কী করবেন

                  যেকোনো কারণেই নামজারি আবেদন নামঞ্জুর হতে পারে। কোনো দলিল-দস্তাবেজে ত্রুটির কারণে হতে পারে, আবার অন্য কোনো উদ্দেশ্যেও নামঞ্জুর হতে পারে। কিন্তু আবেদন নামঞ্জুর হলে প্রতিকারের সুযোগ রয়েছে। নামজারি নামঞ্জুর হলে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) আদেশের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কাছে আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ আছে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের (রাজস্ব) কাছে এবং তা করতে হয় আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের (রাজস্ব) আদেশের বিরুদ্ধে ভূমি আপিল বোর্ডে আদেশের ৯০ দিনের মধ্যে আপিল করা যায়। এ ছাড়া রিভিশনের পথও খোলা রয়েছে। ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা তাঁর নিজের ইচ্ছায় নথি তলব করে সংশোধনের আদেশ দিতে পারেন। এ ছাড়া রিভিউর পথও খোলা আছে। রিভিউ মানে হচ্ছে পুনর্বিবেচনা করা। দলিলপত্রে কোনো ভুল পর্যবেক্ষণ হয়েছে বলে মনে করলে কিংবা আবেদন বাতিল করলে রিভিউর আবেদন করতে হয়। যে কর্মকর্তা আদেশ দিয়েছেন, তাঁর বরাবরই রিভিউ করতে হবে। রিভিউ করতে হয় ৩০ দিনের মধ্যে। তবে রিভিউ আবেদন করা হলে আর আপিল করা যায় না।

                  • 773 views
                  • 1 answers
                  • 0 votes
                • Professor Asked on March 4, 2015 in সাধারণ.

                    বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য বর্তমানে অনলাইনেই আবেদন করা যাবে। আর আবেদনের এক মাসের মধ্যেই সংযোগ মিলবে।

                    আপনি এর জন্য নিচের লিঙ্কটি ব্রাউজ করতে পারেন।
                    https://www.rajshahipbs.org/connection_rules.php?page_name=connection_rules

                    আপনি চাইলে এখান থেকে অনলাইন আবেদন পত্র ব্যবহার করে আবেদন করতে পারেন। তাছাড়া রাজশাহী পল্লী বিদ্যুতের যাবতীয় তথ্য পেতে পারেন এই লিঙ্কটিতে। ধন্যবাদ।

                    • 945 views
                    • 1 answers
                    • 0 votes
                  • Professor Asked on March 4, 2015 in সাধারণ.

                      আমরা মাছের কথাবার্তা শুনতে পাই না কিন্তু মাছেরা আমাদের কথা শুনতে পায় যদিও তা খুবই অস্পষ্ট। সাধারণভাবে মাছেরা কানে শোনার জন্য ভালোভাবেই সুসজ্জিত। তাদের এক জোড়া কান আছে। এই কানগুলি আমাদের মত বাহিরের দিকে বেরিয়ে থাকে না। তাদের মাথার দুই পাশে শুধু দুটি গর্ত থাকে এবং এই গর্তগুলি শরীরের অভ্যন্তরীন কানের পর্দার সাথে যুক্ত। তবে কানগুলি বাহিরের দিকে না থাকায় তারা আমাদের কথা ভালোভাবে শুনতে পায় না কিন্তু পানির মধ্যে শব্দ বা কম্পন অনুভব করতে পারে।

                      • 1013 views
                      • 1 answers
                      • 0 votes
                    • Professor Asked on March 4, 2015 in সাধারণ.

                        ধবল বা শ্বেতী রোগের ইংরেজি শব্দ Albinism এসেছে ল্যাটিন Albus থেকে যার অর্থ হল শ্বেত বা শাদা। শ্বেতী হল এব ধরনের বংশগত রোগ। জিনের পরিবর্তনের ফলেই এই রোগ হয়। উদ্ভিদ, জীবজন্তু, পাখি এবং মানুষ সবার মধ্যেই এই রোগটি দেখা যায়। চোখ, ত্বক, পালক এবং চুলে হলুদ, লাল, বাদামি অথবা কালো রঞ্জক পদার্থের অনুপিস্থিতির কারণেই ধবল রোগ হয়ে থাকে। মানুষের মধ্যে এই রোগ হয় মেলানিন নামক এক প্রকার গাঢ় বাদামি রঞ্জকের অভাবে। সাধারণত ত্বক, চুল এবং চোখে এই মেলানিন থাকে। শাদা গোলাকৃতি ছোট ছোট বিন্দুতে অথবা যেকোনো অঙ্গের সীমিত জায়গায় অথবা সম্পূর্ণ শরীরেই শ্বেতী হতে পারে।

                        • 926 views
                        • 1 answers
                        • 0 votes