ZoomBangla Answer's Profile
Professor
14182
Points

Questions
3

Answers
7076

  • Professor Asked on March 3, 2015 in সাধারণ.

      এই প্রশ্নটি অনেকেই করে থাকেন যে ইসলামে দাবা খেলা কেন হারাম। যদিও অন্যান্য খেলার মতই এটি একটি বুদ্ধির খেলা। এই খেলা খেললে বুদ্ধির চর্চা করা হয়। তারপরও এই খেলাটি কেন ইসলামে নিষিদ্ধ।

      আমরা সবাই হয়ত জানি যে ইসলাম সকল প্রকার মূর্তি হারাম করেছে। দাবার প্রায় সব গুটিই কোনো না কোনো মূর্তির আদলে তৈরি। এজন্য দাবাকে ইসলামে হারাম করা হয়েছে।

      যেকোনো কাজ যা মানুষকে আল্লাহ্র স্মরণ থেকে বিরত রাখে তাই হারাম। আবু হানিফা (র) , ইমাম মালিক (র) সহ আরও অনেক ইমাম এক্ষেত্রে একটা কুরআনের আয়াত প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেছেন, “হে মুমিনগণ! নিশ্চয় মদ,জুয়া,মূর্তি ইত্যাদি এবং লটারির তীর এসব গর্হিত বিষয় শয়তানি কাজ ছাড়া এর কিছুই নয় কাজেই এইসব বিষয় থেকে দূরে থাক,যাতে তোমাদের কল্যাণ হয়।শয়তান তো এটাই চায় যে মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের পরস্পরের মধ্যে হিংসা ও শত্রুতা এবং আল্লাহর স্মরণ এবং সালাত হতে তোমাদেরকে বিরত রাখে,সুতরাং এখনও কি তোমরা ফিরে আসবে?”(মায়েদাহ ৫:৯০-৯১)

      আল কুরতুবী (র) বলেছেন যে, এই আয়াত এটাই নির্দেশ করে যে পাশা বা দাবা খেলা হারাম সেখানে জুয়ার কোন অস্তিত্ব থাকুক আর নাই বা থাকুক কারণ আল্লাহ্ সুবহানাত’লা মদকে হারাম করেছেন এবং এর পেছনে কারণ ও বলে দিয়েছেন , আর কারণটা হচ্ছে শয়তান মানুষের মাঝে নেশা ও বাজির মাধ্যমে শত্রুটা ও বিদ্বেষ তৈরি এবং মানুষকে আল্লাহ্র স্মরণ এবং নামাজ থেকে বিরত রাখে । তাই এমন কোন খেলা যা তুচ্ছ জিনিসকে বড় করে তুলে এবং যারা ইহা খেলে তাদের মধ্যে শত্রুটা ও বিদ্বেষ জাগরিত করে সাথে সাথে আল্লাহ্র স্মরণ ও নামাজ থেকে বিরত রাখে তাও মদ খাওয়ার মতই হারাম ।

      সুলাইমান ইবনে বুরাইদাহ তার পিতা বুরাইদাহ (রাঃ) হইতে বর্ণনা করেছেন।রাসুল (সাঃ) বলেছেন,“যে ব্যাক্তি পাশা খেলল সে যেন শূয়রের গোশত ও রক্তে হাত রাঙাল”।(মুসলিমঃ২২৬০)

      আবু মুসা আল আশারি (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসুল (সাঃ) বলেন,“যে পাশা খেলল সে যেন আল্লাহ্ এবং আমাকে অমান্য করল”।(আবু-দাউদঃ৪১২৯,নাসিরুদ্দিন আলবানীর মতে সহীহ)
      একদিন দু’জন আনছার ছাহাবী তীর নিক্ষেপ প্রতিযোগিতা করছিলেন। হঠাৎ একজন বসে পড়লেন। তখন অপরজন বিস্মিত হয়ে বললেন, কি ব্যাপার। কষ্ট হয়ে গেল নাকি? জবাবে তিনি বললেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, প্রত্যেক বস্তু যা আল্লাহর স্মরণকে ভুলিয়ে দেয়, সেটাই অনর্থক (لَهْو) … (নাসাঈ, ছহীহাহ হা/৩১৫)। এতে বুঝা যায় যে, বৈধ খেলাও যদি আল্লাহর স্মরণকে ভুলিয়ে দেয়, তবে সেটাও জায়েয হবে না। ইমাম বুখারী (রহঃ) অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন, ‘প্রত্যেক খেলা-ধুলা (لَهْو) বাতিল, যদি তা আল্লাহর আনুগত্য থেকে উদাসীন করে দেয়’ (ফাৎহুলবারী ‘অনুমতি গ্রহণ’ অধ্যায় ৭৯, অনুচ্ছেদ ৫২; ১১/৯৪ পৃঃ)

      • 793 views
      • 1 answers
      • 0 votes
    • Professor Asked on March 3, 2015 in সাধারণ.

        কারণ তারা একটি সিদ্ধান্তে স্থির থাকতে পারেন না বলে।

        • 511 views
        • 1 answers
        • 0 votes
      • Professor Asked on March 3, 2015 in আইন.

          অতিরিক্ত পরিমানে লিংক রোড করতে হবে। যত সম্ভব ফ্লাইওভার নির্মাণ করতে হবে।

          • 643 views
          • 1 answers
          • 0 votes
        • Professor Asked on March 3, 2015 in সাধারণ.

            উন্নতি করতে পারে না কে বলেছে? উন্নতি করছে। একবারেই তো বিশ্ব জয় করা যায় না। এর জন্য প্রয়োজন ধৈর্য আর পরিশ্রমের। খেয়াল করে দেখুন বাংলাদেশ যখন প্রথম ক্রিকেট জগতে নাম লেখায় তার চেয়ে বর্তমানে অনেক ভালো খেলছে, অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। এভাবেই ধীরে ধীরে বাংলাদেশ ক্রিকেটে উন্নতি করছে এবং ভবিষ্যতেও অঅরও উন্নতি করবে বলে আমরা আশা রাখি।

            • 609 views
            • 1 answers
            • 0 votes
          • Professor Asked on March 3, 2015 in বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি.

              বরফ পানিতে ভাসে এটা আমরা সবাই জানি কিন্তু কেন ভাসে এটা জানি না। খেয়াল করে দেখবেন যত বড় বরফের চাকা হোক না কেন, পানিতে ডুবে যাবে না। বরফের পাহাড় পর্যন্ত পানিতে ভেসে থাকে। গ্রিক বৈজ্ঞানিক আর্কিমেডিস প্রথম জানতে পারেন পানিতে একটা বস্তু কি করে ভাসে। এর নিয়মটা হলো, একটা বস্তু পানিতে ফেললে তার ওপর দুটো পরস্পর বিরুদ্ধ শক্তি কাজ করে। একটি হলো বস্তুটির নিজের ওজন তাকে তলিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেয়। অন্যদিকে পানি তাকে ধাক্কা দিয়ে উপরের দিকে ঠেলতে থাকে। এখন বস্তুটির ওজন যদি পানির চাপের সমান হয় বা হালকা হয়, তাহলে তা ভেসে থাকবে, ডুববে না। পানির চাপের সমান হওয়া মানে হলো, কত ওজনের পানি বস্তুটির পানিতে পড়ার পর সরে গিয়ে তাকে জায়গা করে দিচ্ছে। আর যদি বস্তুটির ওজন ওই স্থানচ্যুত পানির ওজনের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে সেটা টুপ করে ডুবে যাবে। তাহলে কথা হলো, একটি বস্তুর ওজনের পানি যদি সরে গিয়ে জায়গা করে দেয় তাহলে বস্তুটি ভেসে থাকবে। এক টুকরা কাঠ যে পানিতে ভেসে থাকে তার কারণ হলো তার নিজের ওজন যে পরিমাণ পানি সরে গেছে তার ওজনের চেয়ে কম। এক টুকরা কাঠের ওজন যে পরিমাণ পানি স্থানচ্যুত হচ্ছে তার ওজনের ঠিক অর্ধেক। তাই তার অর্ধেক থাকে পানির তলায় আর বাকি অর্ধেক থাকে পানির উপরে। ঠিক একই নিয়মে এক টুকরা কর্কের ওজন স্থানচ্যুত পানির ওজনের মাত্র পাঁচ ভাগের একভাগ, তাই কর্কটির এক-পঞ্চমাংশ জলে ডুবে থাকে। এ নিয়মটি বুঝতে পারলেই বোঝা যাবে যে বরফ জলে ভাসে কেন। সাধারণ নিয়মে কোনো তরল বস্তুর শক্ত বা ঘন হয়ে ওঠার মানে হলো তার অণু-কণাদের খুব কাছাকাছি চলে আসা। এর ফলে বস্তুটির আয়তন যায় কমে, মানে ঘনত্ব বেড়ে যায়। সোজা কথায় একটি বস্তু জমে কঠিন হলে তার ওজন তরল অবস্থার চেয়ে বেশি হয়। তবে পানি হলো এমন এক মজার তরল পদার্থ যে, জমে বরফ হওয়ার পর আকারে ছোট না হয়ে বরং আরো ছড়িয়ে পড়ে। পানির তুলনায় বরফের আয়তন আকারে আরো বেড়ে ওজন দাঁড়ায় পানির ওজনের ১০ ভাগের ৯ ভাগ। তাহলে ৯ লিটার পানি জমিয়ে বরফ করলে তার আয়তন ১০ লিটারের মতো হবে। আমরা জানি যে, লিটার পানির ওজনের মাপ নয়, এটা হলো আয়তনের মাপ। তাহলে বরফের আয়তন বেড়ে যাওয়ায় এর ঘনত্ব দাঁড়াচ্ছে পানির ঘনত্বের ১০ ভাগের ৯ ভাগ মাত্র, যার মানে হলো এর ওজন পানির চেয়ে হাল্কা। এ জন্যই বরফের নয়-দশমাংশ পানিতে তলিয়ে থাকে আর ভাসে এক-দশমাংশ। তাহলে দেখা যাচ্ছে, বরফের যে অংশ পানির তলায় রয়েছে, অর্থাৎ নয়-দশমাংশ, আর তাতে যে পরিমাণ পানি স্থানচ্যুত হচ্ছে তাহলো পুরো বরফের ওজনের সমান। ফলে বরফের এক-দশমাংশ পানিতে ভেসে থাকছে। ভেসে থাকার এই নিয়মকে বলা হয় আর্কিমিডিসের তত্ত্ব। এ থেকে বোঝা যায়, বিরাট হিমপাহাড়ের বেশিরভাগ অংশ কেন পানিতে ডুবে থাকলেও তার এক-দশমাংশ পানির উপর ভেসে থাকে। খুব ঠাণ্ডা এলাকায় অনেক সময় কলের পানির পাইপ ফেটে যায়। তার কারণ হলো পানি জমে বরফ হওয়ায় তার আয়তন পাইপের আয়তন অপেক্ষায় বেশি হয়। আর তার চাপেই পাইপ ফাটে। ফিনল্যান্ডে পাহাড় ভাঙার কাজে এ নীতি কাজে লাগানো হয়। পাথরের মাঝে একটু খালি জায়গা পেলে সে জায়গায় পানি ভরে রাখা হয়। তারপর যখন বরফ জমার দিন আসে তখন পানির আয়তন বেড়ে প্রচণ্ড চাপ পড়ে চারপাশের পাথরের উপর তা ফাটিয়ে দেয়।

              • 2279 views
              • 1 answers
              • 0 votes
            • Professor Asked on March 3, 2015 in সাধারণ.

                ‘তোতলামি’ বা কথা বলার বিশেষ সমস্যার কারণ খুঁজতে শত শত বছর ধরে চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা৷ কিন্তু, এই দুর্ভোগের কোনো উৎসসূত্র পাওয়া যায়নি এতোদিন৷ সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, জিনগত ত্রুটির সঙ্গে সম্পর্ক থাকতে পারে এর৷

                ‘তোতলামি করাটা এক ধরনের রোগ। এই রোগের পিছনে অনেকগুলো কারণ চিন্তা করা হয়েছে। মানুষের কথা বলা নিয়ন্ত্রিত হয় মস্তিষ্কের বেশ কয়েকটি অংশ দিয়ে। বিভিন্ন অংশে সমস্যা হলে বিভিন্ন ধরনের কথা বলা সংক্রান্ত রোগ হয়। তোতলামি বা স্টাটারিং-এর পিছনে ব্রেইনের কোন অংশ কাজ করছে সেটা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। কেউ বলছেন যারা তোতলায় তাদের ব্রেইনের সামনের নিচের দিকের অংশ, যেটাকে ব্রোকাস এরিয়া বলে এবং যেটা মানুষের কথা বলতে পারাকে প্রোগ্রাম করে, সেটাতে ফাংশন কম হয়। আবার কেউ বলছেন ‘রাইট ফ্রণ্টাল অপারকুলাম’নামক একটা জায়গায় এবনরমাল একটিভিটি হয়। তবে মূলত দেখা গেছে কথা বলার সময় ব্রেইনের বিভিন্ন অংশগুলো যেই ক্রমে কাজ করে, তোতলামোর রোগীদের সেই ক্রমটা একটু ওলটপালট হয়ে যায়।

                তোতলামি রোগটা শিশু থেকে বড় হওয়ার সময় হতে পারে। যেগুলোকে বলে ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার। আবার একদল বিজ্ঞানী তোতলামো রোগীদের মধ্যে তিনটে জিনকে এর সাথে সম্পর্কিত পেয়েছেন। যদিও স্টাটারিং রোগটার পুরোপুরি ভাল হয় না, কিন্তু কিছু থেরাপী আছে যার মাধ্যমে এটিকে নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে নিয়ে আসা যায়’।

                তোতলামি বা কথা বলার প্রতিবন্ধকতা এমন একটি শারীরিক ব্যাধি যার কারণে কিছু মানুষ একই শব্দকে বার বার বলে, অনেক সময় একটা শব্দকে টেনে অনেক লম্বা করে বলতে থাকে এবং অনিচ্ছাকৃত এই সমস্যার কারণে কথা বলার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়৷

                ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন’ সম্প্রতি এই তোতলামির কারণ সংক্রান্ত এক গবেষণা প্রতিবেদন ছেপেছে৷ জিনতত্ত্ববিদ এবং এই গবেষণা প্রতিবেদনের অন্যতম রচয়িতা ডেনিস দ্রায়ানা তাঁদের অনুসন্ধানের সাফল্য সম্পর্কে বার্তা সংস্থা এএফপি-কে বলেন,‘‘তোতলামির কারণ অনুসন্ধানে হাজার বছর ধরে নানা অনুমান করেছে মানুষ৷ অবশেষে আমরা অন্ততপক্ষে এর কিছুটা হলেও জানতে পেরেছি”৷

                যুক্তরাষ্ট্রের ‘শ্রবণ এবং অন্যান্য যোগাযোগ প্রতিবন্ধিত্ব বিষয়ক জাতীয় ইন্সটিটিউট’ বা ‘এনআইডিসিডি’-এর বিজ্ঞানীরা এই গবেষণা করেন৷ এই ইন্সটিটিউটে দ্রায়না এবং তাঁর সহকর্মীরা যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং পাকিস্তানের প্রায় সাড়ে সাতশ মানুষের ওপর এই গবেষণা চালান৷ এজন্য বেছে নেওয়া হয় তোতলামি’র সমস্যা আছে এমন ১২৩ জন এবং এই সমস্যা নেই এমন ৯৬ জন পাকিস্তানিকে৷ এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের ৫৫০ জন ব্যক্তিকেও বাছাই করা হয় একইভাবে৷ যাদের প্রায় অর্ধেকেরই তোতলামি’র সমস্য রয়েছে৷

                এই গবেষণায় অন্তর্ভূক্ত কিছু পাকিস্তানিকে আগের এক কাছাকাছি গবেষণাতেও বেছে নেওয়া হয়েছিল৷ আগের ওই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছিলেন যে, তোতলামির সমস্যা আছে এমন ব্যক্তিদের জিনে ‘জিএনপিটিএবি’ নামে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে৷
                নতুন গবেষণার ফলাফল বলছে ‘তোতলা’ ব্যক্তিদের জিনে ‘জিএনপিটিএবি’ নামক ‘মিউটেশন’ তো আছেই বরং একইসঙ্গে এমন আরও দু’টি ‘মিউটেশন’ আছে৷ এগুলো হল ‘জিএনপিটিজি’ এবং ‘এনএজিপিএ’৷ কিন্তু ‘তোতলা’ নন এমন ব্যক্তিদের এই তিনটির কোনো ‘জিন মিউটেশন’-ই নেই৷

                মার্কিন এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক জেমস বেটি বলেন, ‘‘এই গবেষণাতেই প্রথমবারের মতো তোতলামি’র সঙ্গে সম্পৃক্ত হিসেবে সুনির্দিষ্ট করে কোনো জিন মিউটেশনকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে৷ ফলে এখন তোতলামি’রি চিকিৎসার সুযোগ নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেল৷”

                ‘স্টাটারিং ফাউন্ডেশন’ এর প্রেসিডেন্ট জেন ফ্রাসের বলেছেন, এই গবেষণার ফলে অনেক অভিভাবকের কাঁধ থেকে একটা বোঝা নেমে গেল৷ যারা ভাবতেন যে, তাঁদের কোনো ভুলের কারণেই সন্তান তোতলামির সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে৷ ফ্রাসের বলেন, ‘‘গবেষণা থেকে এটা স্পষ্ট যে সমস্যাটা শরীরবৃত্তীয়৷”

                তবে, ওষুধের মাধ্যমে তোতলামির শারীরিক চিকিৎসার এখনও অনেক পথ বাকি বলে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, এখনও আগের মতোই থেরাপির মাধ্যমেই চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে৷ পাকিস্তানের লাহোরের পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ‘হলিন্স কমিউনিকেশন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ এবং ‘ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ’-ও ‘এনআইডিসিডি’র এই গবেষণায় অংশ নিয়েছে৷

                ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদক রোকেয়া হায়দার তাঁর একটা প্রতিবেদনে তোতালামি নিয়ে মেরীল্যাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ন্যান র‌্যাটনার মুক ও বধির সংক্রান্ত বিজ্ঞানের শিক্ষকের কথা তুলে ধরেন এভাবে, ‘অনেকেই ব্যাপারটাকে ভুল বোঝে এবং মনে করে যে, তোতলামি হচ্ছে আবেগ সামলানোর এক সমস্যা। ছেলেবেলায় কোন কিছুতে ভয় পাওয়ার কারণে হয়েছে, বা অতিরিক্ত উদ্বেগ উত্কণ্ঠা এর কারণ। আসলে কিন্তু তা নয়’।

                উপায় :

                তোতলামি দূর করার তেমন কোনো নির্দিষ্ট উপায় নাই। তারপরও কিছু মুখের ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো অনুশীলনে তোতলামির অভ্যাসটা কিছুটা আয়ত্তে আনা সম্ভব। এছাড়া ধীরে ধীরে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সম্ভব হলে গানে গানে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। এতে করে নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে বাক্যটি শেষ করার একটা প্রবণতা তৈরি হবে। ধন্যবাদ

                • 9420 views
                • 1 answers
                • 0 votes
              • Professor Asked on March 3, 2015 in স্বাস্থ্য.

                  এখন শীতকাল। সকাল বেলাতেই শীতের দাপট বোঝা যায় সবচাইতে বেশি। আর শীত যত বাড়বে, সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠা ততই মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু শীতকাল বলেই তো আর সারা সকাল বিছানায় পড়ে পড়ে ঘুমানো যায় না! ঘুম থেকে উঠতেই হয় আর শীতের সকালে নিতান্তই ইচ্ছার বিরুদ্ধে ঘুম থেকে উঠতে গিয়ে অনেকের সকালটাই মাটি হয়ে যায়। আসুন দেখে নেওয়া যাক এমন কয়েকটি উপায় যাতে শীতকালেও আপনি একেবারে সকাল সকালই ঘুম থেকে উঠতে পারবেন আর ঘুম থেকে ওঠার পরে থাকবেন একেবারে তরতাজা!

                  পানি পান করুন

                  সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পরই ঘুম কাটানোর জন্য এক গ্লাস পানি পান করুন। শরীরকে সক্রিয় করে তুলতে আপনাকে সাহায্য করবে এই তরল। আর ঘুম কাটাতেও এটা কার্যকরী। আপনার বিছানার পাশের টেবিলেই রাখুন এই পানির গ্লাস যাতে ঘুম ভেঙে যাবার সাথে সাথেই এর দিকে হাত বাড়াতে পারেন।

                  চা/কফি পান করুন

                  সম্ভব হলে ঘুম থেকে উঠেই চা/কফি বানাতে লেগে পড়ুন। চুলার কাছে গেলে শরীর যেমন গরম হবে, তেমনি এসব ধোঁয়া ওঠা পানীয়ের গন্ধে আপনার ঘুম পালিয়ে যাবে। বাড়িতে যদি আপনার আগে কারও ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস থাকে তাহলে তাকে অনুরধ করতে পারেন যেন তিনি আপনার ঘুম ভাঙ্গিয়েই এক কাপ চা হাতে ধরিয়ে দেন। বিছানায় বসে চা পান করাতে ক্ষতির কিছু নেই, কারণ এতে আপনার ঘুম চলেই যাবে।

                  ঘুমানোর আগে কিছু পান করুন

                  ঘুমানোর আগে কিছু পান করলে (পানি বা জুস) সেটা শরীরের কাজেও লাগবে আবার আরেকটা কাজও করবে। সকাল সকালই আপনার প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে হবে আর ঘুমও ভেঙে যাবে। বিছানা থেকে একবার উঠে পড়ার পর আবার ঘুমাতে যেতে ইচ্ছে করবে না।
                  নিজের সাথে কোনও সমঝোতায় যাবেন না

                  আর একটু পরেই উঠবো। আর পাঁচ মিনিট ঘুমিয়ে নেই। নিজের মনকে এই জাতীয় কথা বলে আরও কিছুক্ষণ বিছানায় থাকার অভ্যাসটা ত্যাগ করুন। যত কষ্টই হোক না কেন, অ্যালার্ম ঘড়ি বেজে ওঠার সাথে সাথে বিছানা থেকে উঠে পড়ার অভ্যাস করুন। আরও কিছুক্ষণ ঘুমানোর সুযোগ থাকলেও সেটা নিয়ে চিন্তা করবেন না। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে যদি দেখেন আপনার হাতে বেশ কিছুক্ষণ সময় আছে তবে হালকা ব্যায়াম করে নিন। নিমিষেই শরীর এবং মন ফুরফুরে হয়ে উঠবে।

                  ভালো কিছুর প্রত্যাশা রাখুন

                  এমন কোনও কাজ ঠিক করে রাখুন যার জন্য আপনি আগ্রহী। সেটা হতে পারে আপনার ভালোলাগার কোনও কাজ। যেমনমজার কোনও ব্রেকফাস্ট খাওয়া, প্রিয় সুগন্ধি সাবান দিয়ে গোসল করা, অথবা ঘুম থেকে উঠে নতুন একটা ম্যাগাজিনের পাতা ওলটানো। নিজেকে পুরস্কৃত করারও অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। যেমন নিজেকে বলতে পারেন, আগামীকাল সময়মত ঘুম থেকে উঠতে পারলে আপনি ওই উপন্যাসটির আরেকটি অধ্যায় পড়ে রাখবেন, অথবা অন্যদিনের চাইতে একটু বেশি মজার নাস্তা করবেন। যেটাই হোক না কেন, সকালে উঠেই যেন মনটা ভালো হয়ে যায় এমন কাজ করার চেষ্টা করুন।

                  অ্যালার্ম বাজার আগেই ঘুম ভেঙে গেলে বিছানায় থাকবেন না

                  ঘুম ভেঙে যাবার পরে আবার অ্যালার্ম বাজার অপেক্ষায় ঘুমিয়ে পড়লে আপনার শরীর আরও ম্যাজম্যাজ করবে এবং পরে আর ঘুমের ভাব কাটবে না। ঘুম ভেঙে গেলে নিজের শরীরের কথা শুনুন এবং উঠে পড়ুন। অ্যালার্ম বন্ধ করে দিন এবং দিন শুরু করুন।

                  সক্রিয় থাকুন

                  সকাল বেলাতেই একেবারে কোমর বেঁধে লম্বা সময় ধরে ব্যায়াম করার সময় হয়ত পাবেন না আপনি। কিন্তু যেভাবেই হোক, শরীরকে চালু রাখুন। নয়তো সকাল সকাল শরীরে ঠাণ্ডা জেঁকে বসবে। বিছানায় শুয়েই কিছুক্ষণ স্ট্রেচিং করুন, যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। একটা চটুল সুরের গান ছেড়ে দিয়ে নিজের মতো করে নাচতেও পারেন, মনটাও ভালো হয়ে যাবে। সম্ভব হলে কিছুক্ষণ জগিং করে নিন।

                  ঘুম থেকে উঠেই গোসল করুন

                  হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরে রক্ত চলাচল হবে ভালো। সতেজ সুবাসের কোনও সাবান ব্যবহার করুন। এতে মাথা থেকে ঘুমের রেশ কেটে যাবে জলদি।

                  নিজের কাজের কথা মনে করুন

                  অনেকে রাতের বেলাতেই আগামি দিনের কাজের কথা মাথায় রেখে ঘুমাতে যান। এতে কিন্তু দুশ্চিন্তা হয় আর ঘুমেরও সমস্যা হতে পারে। এর চাইতে সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর একটা একটা করে কাজের কথা মনে করুন আর চিন্তা করুন এগুলো যত দ্রুত করে ফেলা যায় তত ভালো। দরকার হলে একটা ছোট নোটবইতে কাজের তালিকা করে সেটা বিছানার পাশের টেবিলে রেখে দিন।

                  এই কৌশলগুলোর কোনটাই যদি কাজ না করে তবে কি করবেন? অ্যালার্ম ঘড়িটার শব্দ বেশ বাড়িয়ে দিন এবং তাকে রাখুন বিছানা থেকে বেশ দূরে, ঘরের একেবারে অপর প্রান্তে যাতে সেটা বন্ধ করতে আপনাকে বিছানা থেকে উঠতেই হয়! শীতের সকালে ঘুমিয়ে না থেকে উঠে পড়ুন আর দেখুন, মিষ্টি রোদ ছড়িয়ে সূর্যটা আপনাকেই শুভ সকাল জানাচ্ছে!

                  • 795 views
                  • 1 answers
                  • 0 votes
                • Professor Asked on March 3, 2015 in সাধারণ.

                    ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত স্টেডিয়ামকে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম বলে থাকে। স্টেডিয়ামটি মিরপুরের ৬ নং সেক্টরে অবস্থিত। এটি বর্তমানে শুধুমাত্র ক্রিকেট মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২৬,০০০ দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামটি স্থাপিত হয় ২০০৬ সালে। শুরুতে এটি মিরপুর স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার স্টেডিয়ামটির নাম পরিবর্তন করে বর্তমান নাম শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম রাখে। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নিজস্ব মাঠ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে করা হয়। এটি বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট, টেস্ট,ওয়ান-ডে, টুয়েন্টি২০ এবং বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের নিজস্ব মাঠ।

                    ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের অন্যতম ভেন্যু হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়।

                    এই মাঠটি বিশ্বমানের সুবিধাসমূহের সমন্বয়ে তৈরি একটি আধুনিক স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামটি উপমহাদেশের সেরা মাঠগুলোর একটি। এই মাঠের মূল বৈশিষ্ট্য হল এর আধুনিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। মুলতঃ ফুটবল এবং এথলেটিকসের জন্য তৈরি করায় এই মাঠটি আয়তক্ষেত্রাকার। ক্রিকেট খেলার উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অনেক পুণঃনির্মাণ কাজ করতে হয়েছে। এমনকি তিনফুট মাটি খুঁড়ে লাল এথলেটিকস ট্র্যাক তুলে ফেলা হয়েছিল। কংকর, মাটি আর ঘাস বিছানোর পূর্বেই পিভিসি পাইপ বসিয়ে নেওয়া হয়েছিল। উইকেট থেকে বাউন্ডারি পর্যন্ত ঢাল চমৎকার এবং সমান হয় ২৯ ইঞ্চির সমান ব্যবধানের দ্বারা। ২০০৯ সালেফ্লাডলাইট লাগানোর পর থেকে শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রি ক্রিকেট ম্যাচ-ও আয়োজন করা সম্ভব হয়।

                    ২৫শে মে ২০০৭, এই মাঠে প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়। যা ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাথে ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের। এই মাঠে প্রথম ওয়ান-ডে ম্যাচ খেলা হয় ১৮-ই ডিসেম্বর ২০০৫ বাংলাদেশ বনাম স্কটল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে।

                    এই স্টেডিয়ামটি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় একটি স্টেডিয়াম।

                    • 1500 views
                    • 1 answers
                    • 0 votes
                  • Professor Asked on March 3, 2015 in স্বাস্থ্য.

                      ব্রণ। অনেকের কাছেই এটি বিশাল আতঙ্কের নাম । এমনকি ব্রণ সেরে উঠার পরও থেকে যায় এগুলোর অবাঞ্ছিত দাগ । ব্রণের গর্তের দাগ ত্বকের সৌন্দর্য কমিয়ে দেয় অনেকটাই । অনেকেরই দেখা ব্রণের কাল দাগ চলে গেলেও রয়ে যায় অসুন্দর গর্তের দাগ গুলো এবং সহজে যেতেও চায় না । আবার ত্বকের ক্ষতির কথা চিন্তা করে কেমিকেল জাতীয় প্রসাধনী ব্যবহার করাও সমীচীন নয় । তাই আসুন জেনে নেই একদম প্রাকৃতিক উপায়ে কেমন করে ব্রণের গর্ত নির্মূল করা যায় :

                      ভিটামিন ই তেল :

                      ব্রনের গর্তের দাগ সারানোর জন্য সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর সমাধান হচ্ছে ভিটামিন ই তেল। এটি ব্রণের গর্তে যাদুর মত কাজ করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে ভিটামিন ই তেলের ব্যবহারে আপনার মুখমন্ডল হয়ে উঠবে দাগহীন,উজ্জ্বল। এটি ব্রণের কালো দাগ সারাতেও সাহায্য করে। ভিটামিন ই তেল বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। আর না পেলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করুন। প্রথমে সমস্ত মুখ মন্ডল তেল মুক্ত ফেস ওয়াস দিয়ে পরিষ্কার করে নিন । আরপর একটা পরিষ্কার পিন বা সূঁচ এর সাহায্যে ক্যাপসুলটি ফুটো করে তেল নিঃসরন করুন। তারপর পরিষ্কার হাত দিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। খুব বেশি তৈলাক্ত ত্বক হলে লাগানোর আধ ঘণ্টা পর টিস্যু পেপার দিয়ে অতিরিক্ত তেল চেপে চেপে তুলে নিন। নয়ত সারা রাত লাগিয়ে রাখতে পারেন। সমস্যা খুব বেশি না হলে সপ্তাহে ২-৩ বার এভাবে করুন।

                      লেবু :

                      লেবু সাইট্রিক এসিদের খুব ভাল উৎস। সাইট্রাস এসিড স্কার সারাতে অনবদ্য। কয়েক গ্লাস লেবুর শরবত পান করলে তার সাইট্রিক উপাদান আপনার দেহের ভেতর থেকে মরা কোষ সারিয়ে ত্বকের রঙ হালকা করতে সাহায্য করে। একটি মাঝারি আকারের লেবু দু টুকরো করে মুখে ঘষুনএতে গর্তের দাগ হালকা হবে। সময়ের সাথে সাথে আপনি পাবেন দাগ মুক্ত ত্বক।

                      অ্যালোভেরা জেল :

                      অ্যালোভেরা জেল প্রকৃতির আশীর্বাদ স্বরূপ। এই একটা উপাদান ত্বকের নানা রকম সমস্যা থেকে মু্ক্তি দেয়। টাটকা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন । এখন বিভিন্ন সুপার শপ গুলোতে অ্যালোভেরা পাওয়া যায়। সেখান থেকে কাঁচা অ্যালোভেরা কিনে জেল বের করে নিতে হবে। বাইরে থেকে কিনতে না চাইলে নিজের টবেও লাগাতে পারেন অ্যালোভেরা। প্রথমেই একটি আস্ত অ্যালোভেরা নিয়ে সেটিকে ছুঁরির সাহায্যে যে কোন এক দিক থেকে কাটুন। কাটলেই দেখবেন ভেতরে স্বচছ্ব জ়েলীর মত উপাদান, এটি ব্যবহার করুন। দিনে যতবার ইচ্ছা ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনাকে দেবে বিরক্তিকর ব্রণের গর্তের দাগ থেকে মুক্তি।

                      টমেটো :

                      টমেটোতে আছে ভিটামিন এ; যা সেবামের অতিরিক্ত ক্রীয়া বন্ধ করতে সক্রিয় ভূ্মিকা রাখে এবং ব্রণ ও ব্রণের দাগ দুটোই সারিয়ে তোলে। তাছাড়া এতে আছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের ক্ষয়-ক্ষতি সারিয়ে তুলতেও সাহায্য করে। মাঝারি আকারের টাটকা টমেটো নিন। একে সমান ২ ভাগে ভাগ করুন। এবার দুই গালে প্রথমে ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং তারপর ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ম্যাসাজ করুন। এতে যেমন গর্তের দাগ হালকা হবে, তদুপুরি রোদে পোড়া ভাব-ও কমবে। তাছাড়া এটি অনেক ভালো মেক-আপ রিমুভারের কাজ-ও করে থাকে ।

                      অলিভ ওয়েল :

                      অলিভ ওয়েল একটি জাদুকরী উপাদান। এটি শুধু খাদ্যদ্রব্যই সুস্বাদু করে না, এটি ত্বক পরিচর্যায় ও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এক্সট্রা ভারজিন অলিভ ওয়েল দ্রুত ব্রনের গর্ত সারাতে সাহায্য করে। অলিভ ওয়েলের ময়েশ্চারাইজিং গুণাগুণের কারণে এটি দ্রুত ত্বকের সাথে মিশে যায় এবং গর্ত সারাতে সাহায্য করে। অল্প পরিমাণে অলিভ ওয়েল নিয়ে মুখ মন্ডলে মালিশ করুন এবং ভালো ফল পেতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করুন ।

                      মধু :

                      মধু একটি পরিচিত প্রাকৃতিক প্রসাধনী। প্রাচীন কাল থেকেই রূপচর্চার জন্য মধুর ব্যবহার প্রচলিত। মধুর মিষ্টতা খাবার হিসাবেও খুব ভালো। ফ্যাট কম থাকায় এটি আপনাকে ফিট থাকতে যেমন সাহায্য করে তেমনি নিয়মিত ব্যবহারে সারিয়ে তোলে ব্রণের গর্তের দাগ।

                      বরফ কুচি :

                      বরফ কুচির ব্যবহারে ব্রণের গর্ত হালকা হওয়াটা অনেকটা পরীক্ষীত। অনেকেই আছে ঘরে বসে স্কার সারানোর জন্য বরফ কুচি ব্যবহার করে থাকেন। পাতলা কাপড় বা তুলোতে একটা বরফের টু্করো নিয়ে গর্তের জায়গায় ১৫-২০ মিনিট ঘষে লাগান। এতে ত্বকে আরামদায়ক অনুভুতির পাশাপাশি সারিয়ে দেবে গর্তের দাগ।

                      ফেস প্যাক :

                      ব্রণের গর্ত সারাতে আপনার ফেস প্যাকে মেশান বেসন, টকদই ও শশার রস। এটি আপনার ত্বককে রাখবে দাগহীন, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।

                      ব্রণ ও ব্রণের গর্ত সারাতে সবার আগে খেয়াল রাখতে হবে খাওয়া দাওয়া এবং জীবন যাত্রা যেন সুস্থ ও পরিকল্পিত হয়। সঠিক ঘুম, খাওয়া ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাই পারে ব্রণ মুক্ত রাখতে। এতে ত্বকের অন্য্যন্য সমস্যা থেকেও পরিত্রাণ মেলে।

                      • 864 views
                      • 1 answers
                      • 0 votes
                    • Professor Asked on March 3, 2015 in সাধারণ.

                        লুসিয়েন লরেন্ত (Lucien Laurent) বিশ্বের প্রথম গোলদাতা। তিনি ফ্রান্সের খেলোয়াড় ছিলেন।

                        • 695 views
                        • 1 answers
                        • 0 votes