ZoomBangla Answer's Profile
Professor
14182
Points

Questions
3

Answers
7076

  • Professor Asked on March 3, 2015 in সাধারণ.

      জাতীয় পতাকা অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও জাতীয় পতাকার আকৃতি, গড়ন, রং ও পতাকা উত্তোলনের ধরনের কিছু অনুমোদিত নিয়মকানুন অনুসরণ করে। পতাকা বিধি (১৯৭২) অনুসারে জাতীয় পতাকার রং হবে গাঢ় সবুজ এবং ১০:৬ অনুপাতে আয়তাকার, তাতে থাকবে সবুজ অংশের মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত। লাল বৃত্তের ব্যাসার্ধ হবে পতাকার মোট দৈর্ঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ। বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দুর অবস্থান হবে পতাকার দৈর্ঘের ৯/২০ অংশ থেকে টানা লম্বের এবং প্রস্থের মাঝখান দিয়ে টানা আনুভূমিক রেখার ছেদবিন্দুতে। পতাকার সবুজ অংশ হবে প্রসিয়ন গাঢ় সবুজ এইচ-২ আর.এস, হাজারে ৫০ ভাগ হিসেবে, লাল বৃত্তের অংশ হবে প্রসিয়ন উজ্জ্বল কমলা রং এইচ-২ আর.এস, হাজারে ৬০ ভাগ হিসেবে।

      ভবনের আকারভেদে পতাকার আকার হবে ১০´ × ৬´; ৫´ × ৩´; ২১/২´ × ১১/২´। মোটরগাড়িতে ব্যবহূত পতাকার সাইজ হবে ১২১/২´´ × ৭১/২´´ এবং দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠানে ব্যবহূত টেবিল পতাকার সাইজ হবে ১০´´ × ৬´´। প্রথম অবস্থায় পতাকার কেন্দ্রস্থলে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত ছিল। পরে তা বিলোপ করা হয়। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ছাত্রনেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পতাকা উত্তোলন করেন সে পতাকার আদলে মুজিবনগর সরকার জাতীয় পতাকার নমুনা নির্ধারণ করেন।

      ইতিহাস

      ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যবহৃত পতাকার উপর ভিত্তি করে এই পতাকা নির্ধারণ করা হয়, তখন মধ্যের লাল বৃত্তে বাংলাদেশের মানচিত্র ছিল, পরবর্তীতে পতাকাকে সহজ করতেই, মানচিত্রটি বাদ দেয়া হয়। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, জাপানের জাতীয় পতাকার সাথে মিল রয়েছে, কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে বাংলাদেশের সবুজের স্থলে, জাপানীরা সাদা ব্যবহার করে। লাল বৃত্তটি একপাশে একটু চাপানো হয়েছে, পতাকা যখন উড়বে তখন যেন এটি পতাকার মাঝখানে দেখা যায়।

      আদি পতাকাটি এঁকেছিলেন স্বভাব আঁকিয়ে ছাত্রনেতা শিবনারায়ণ দাশ। ঢাকা নিউ মার্কেটে অবস্থিত অ্যাপোলো টেইলরের মালিক, বজলুর রহমান লসকর এই পতাকা তৈরীর জন্য কাপড় দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের ২রা মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন ছাত্র নেতা আ.স.ম. আব্দুর রব। তিনি সেই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানের চিহ্ন চাঁদ তারা ব্যবহার না করার জন্য নতুন এই প্রতীক তৈরী করা হয়েছিল। সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যক্টবুক অনুযায়ী বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি বুঝাতে পতাকায় সবুজ রং ব্যবহার করা হয়েছিল।

      শেখ মুজিবর রহমান মার্চ ২৩ তারিখে তাঁর বাসভবনে, স্বাধীনতা ঘোষণার প্রাক্কালে পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৭২সালে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার শিবনারায়ণ দাশের ডিজাইনকৃত পতাকার মাঝে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ, রঙ ও তার ব্যাখ্যা সম্বলিত একটি প্রতিবেদন দিতে বলে পটূয়া কামরুল হাসানকে। কামরুল হাসান দ্বারা পরিমার্জিত রূপটিই বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।

      যেসব অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করতে হবে

      যেসব দিবসে সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি ভবনে এবং বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন ও কনস্যুলেটসমূহে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করতে হবে সেগুলি হলো স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ঈদে মিলাদুন্নবী এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য দিবসসমূহ। একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অনুমোদিত অন্যান্য দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উড্ডীন করা হবে।

      বিদেশে জাতীয় পতাকা উত্তোলন

      বিদেশে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন ও কনস্যুলার ভবনগুলিতে সেসব দেশের প্রচলিত রীতি অনুযায়ী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

      সরকারি ভবন, বাসস্থান, মোটরগাড়ি ইত্যাদিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন

      প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন ও দপ্তর, যেমন রাষ্ট্রপতি ভবন, প্রধানমন্ত্রী ভবন, জাতীয় সংসদ ভবন ইত্যাদিতে কর্মদিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হবে। সকল মন্ত্রণালয়, সচিবালয়, হাইকোর্ট ভবন, জেলা আদালত ও সেসন জজের আদালত এবং বিভাগীয় কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার/কালেক্টর, উপজেলা পরিষদ কার্যালয়, কেন্দ্রীয় ও জেলা কারাগার, থানা, শুল্ক ঘাঁটি এবং সময়ে সময়ে সরকারের প্রজ্ঞাপন মোতাবেক এ ধরনের অন্যান্য ভবনে প্রতিটি কার্যদিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ চ্যান্সারি ও দূতাবাসভবনে জাতীয় পতাকা উড্ডীন থাকবে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, জাতীয় সংসদের স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গ, চীফ হুইপ, সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা, বিদেশে অবস্থানরত দূতাবাস প্রধানদের সরকারি বাসভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হবে। এদের প্রত্যেকে নিজস্ব গাড়িতে পতাকা ব্যবহার করতে পারেন। জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন সম্পর্কিত বিস্তারিত বিধিমালা ও প্রটোকল রয়েছে।

      • 2045 views
      • 1 answers
      • 0 votes
    • Professor Asked on March 3, 2015 in সাধারণ.

        স্বাধীনতার সময়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ ছিলেন।

        • 739 views
        • 1 answers
        • 0 votes
      • Professor Asked on March 3, 2015 in সাধারণ.

          গিরগিটি camouflage অর্থাৎ ছদ্মবেশ ধরতে রং বদলায় যাতে শত্রুরা দেখতে না পায়। প্রাণী জগতে শুধু গিরগিটিই রং বদলায় না, অনেক পোকামাকড়, ব্যাঙ , সরীসৃপ, মাছ মায় অক্টোপাসও রং বদলাতে পারে। তাদের রং বদলানোর পদ্ধতি এবং কারণের রকমফের আছে, কিন্তু details-টা এখনো অজানা। তবে গিরগিটি শুধু camouflage করতেই রং বদলায় না, নিজেদের মধ্যে ভাব আদান-প্রদান করতে, অন্য গিরগিটিকে ভয় দেখাতে এমনকি প্রজননের জন্য পুরুষ সঙ্গীকে ইমপ্রেস করতেও রং বদলায়। গিরগিটি ectotherm প্রজাতির অর্থাৎ যেসব প্রাণীর রক্ত খুব ঠান্ডা, দেহের ভেতরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে বাইরে থেকে তাপ নেয় প্রাণী। যখন খুব ঠান্ডা তখন দেহের মধ্যে যাতে বেশি তাপ শোষণ হয় তার জন্য বেশ dark হয়ে যায় আবার যখন বেশ গরম তখন light colured হয়ে যায় যাতে তাপ প্রতিফলিত করে দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে পারে। বাইরের তাপমাত্রা, আলো অনুভব করে এরা নিজদের রং বদলায়। এমনও দেখা গেছে রাতের বেলায় বেশ গাঢ় রঙের হয়ে ঘুমোচ্ছে, এমন সময় শরীরের কোন অংশে টর্চের আলো ফেললে সেই অংশের রং আস্তে-আস্তে হালকা হয়ে যায়। এদের যে চামড়া বা ত্বক তাতে তিনটে স্তর থাকে আর প্রত্যেক স্তরে এক-এক রকমের chromatophore বা রঞ্জকগ্রন্থি থাকে। সচেয়ে বাইরের যে স্তর তাতে থাকে xanthophore, যেগুলো লাল আর হলুদ রঙের জন্য দায়ী। মাঝেরটায় থাকে iridophore যেগুলো নীল রঙের জন্য দায়ী, এই iridophore-কে আবার guanophores-ও বলে, কারণ ওই গ্রন্থীগুলোতে বর্ণহীন guanine crystal থাকে, আর এগুলোর মধ্যেই আলো reflected(প্রতিফলিত) এবং scattered(বিচ্ছুরিত) হয়ে নীল দেখায়। সবচেয়ে ভিতরের তিন-নম্বর স্তরটায় থাকে কালো রঙের রঞ্জক পদার্থ নিঃসরণকারী গ্রন্থী melanosome তাই ওটার নাম melanophore, আর এগুলোই রং বদলানোর জন্য মূল ভূমিকা নেয়।

          melanophores গুলো অনেকটা তারার মত আকৃতি, আর তারার বিস্তারটা সবগুলো স্তরে ছড়িয়ে থাকে , আর এর ভেতরেই রয়েছে melanosomes-গুলো। Melanosomes-গুলো যখন ছড়িয়ে পড়ে তখন skin-টা dark দেখায় আর তারার কেন্দ্রে থাকলে skin-টা light হয়ে যায়। এখন এই melanosomes- এর বিস্তার বিভিন্ন রঞ্জক পদার্থগুলোকে ঢেকে দেওয়ার তারতম্য অনুযাযী ত্বকের রং পাল্টে যায়। অনেকেই জল রং করে থাকেন। কালো, লাল আর হলুদ রং বিভিন্ন ভাবে মিশিয়ে কতগুলো রং পাওয়া যায়। এগুলো খুব ছোট ছোট থলির মধ্যে ভরা থাকে আর ত্বকের বিভিন্ন স্তর সঙ্কুচিত-প্রসারিত হয়ে ত্বকের বিভিন্ন অংশে রঞ্জক পদার্থের ঘনত্ব পাল্টে-পাল্টে আলাদা আলাদা রং দেখায়। নীল আর সাদা রঙ তো iridophores-এ থাকা guanine crystal গুলোয় scattering বা reflection-এর জন্য হয়।

          গিরগিটির skin-এ কিছু receptors থাকে যারা বাইরের তাপমাত্রা অনুভব করে এমন কিছু neuronal বা hormonal signal central nervous system-কে পাঠায়, সেখান থেকে রং পরিবর্তনের সংকেত আসে, যার বহিঃপ্রকাশ এই রং পরিবর্তন।”

          • 1239 views
          • 1 answers
          • 0 votes
        • Professor Asked on March 3, 2015 in স্বাস্থ্য.

            জুম্মার দিনের বিশেষত্ব অনেক বেশি। এই দিনে প্রথম মানুষ হযরত আদম(আ) কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনে তাকে বেহেশতে স্থান দেয়া হয়েছে, এই দিনেই তিনি পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং সপ্তাহের সাতটি দিনের মাঝে শুক্রবারই সে দিন যেদিন তিনি মৃত্যুবরণ করেছিলেন। শুক্রবার দু’আ কবুলেরও দিন,তবে দুয়ায় নিষিদ্ধ কিছু চাওয়া যাবে না। এই দিনেই সংঘটিত হবে কিয়ামত। আল্লাহ শুক্রবারকে অন্যান্য দিনের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। রাসুলুল্লাহ(স) দিনটির এরকম আরো কিছু বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন। হযরত আবু হুরায়রা(রা) এবং হুযাইফা(রা) থেকে বর্ণিত : রাসুলুল্লাহ(স) বলেন : “আমাদের পূর্বে যারা এসেছিলেন আল্লাহ তাদেরকে শুক্রবার থেকে দূরে রেখেছিলেন। ইহুদীদের ছিল শনিবার এবং খ্রিস্টানদের ছিল রবিবার। অতঃপর আল্লাহ আমাদেরকে শুক্রবারের ব্যাপারে জ্ঞান দিলেন। তাই শুক্রবার, শনিবার, রবিবার যেভাবে ক্রমানুসারে আসে, হাশরের দিনেও তারা আমাদের অনুসরণ করবে। আমরা এই পৃথিবীর সর্বশেষ উম্মত কিন্তু হাশরেরে দিন আমরা সবার অগ্রে থাকব এবং আমাদের বিচার কার্যও অন্য সবার পূর্বে হবে।” (মুসলিম) আউস ইবন আউস (রা) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স) বলেন, “তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম শুক্রবার। এই দিনে আদম (আ)কে সৃষ্টি করা হয়েছিল, এই দিনেই তিনি মারা যান, এই দিনেই শিঙ্গায় ফু (কেয়ামত) হবে এবং সকল সৃষ্টিকূল ধ্বংশ হয়ে যাবে । কাজেই বেশি করে আমার নামে দরুদ পেশ কর এই দিনে, কারণ তোমাদের পেশকৃত দরুদ আমার কাছে দেখানো হবে।” তারা বললেন ,”ইয়া রাসুলুল্লাহ(স) যখন আপনি ধূলার সাথে মিশে যাবেন তখন কিভাবে আমাদের দরুদ আপনার কাছে পেশ করা হবে ?” প্রিয় নবীজী রাসুলুল্লাহ মুহাম্মদ(স) জবাবে বলেন, “আল্লাহ মাটিকে নিষেধ করেছেন নবীদের দেহ ভক্ষণ না করতে, তাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক” (আবু দাউদ, সুনান আবু দাউদ ৪/২৭৩)। আবু লুবাবাহ ইবন আল-মুনধির হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ(স) বলেন, “শুক্রবার সব দিনের সেরা,এবং আল্লাহর কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ।ঈদুল আজহা এবং ঈদুল ফিতরের চেয়েও এই দিন আল্লাহর কাছে মহান।” এই দিন আল্লাহ আদম(আ) কে সৃষ্টি করেন, এই দিনেই পৃথিবীতে প্রেরণ করেন, এই দিনেই তিনি মারা যান, এই দিনে এমন একটি সময় আছে যখন কেউ আল্লাহর কাছে যা চায় , আল্লাহ তাকে তাই দেন, যতক্ষণ না হারাম কিছু চাওয়া হয়, এই দিনেই হবে কেয়ামত। এমন কোন ফেরেশতা নেই, নেই কোন আসমান, নেই কোন যমীন, নেই কোন পর্বত আর নেই কোন সাগর যে কিনা শুক্রবারের দিনটিকে ভয় করে না। ” (ইবন মাজাহ : ১০৮৪). বুখারী ও মুসলিম হতে বর্ণিত আছে, শুক্রবারের দিনটিতে এমন একটি নিদৃষ্ট সময় আছে যখন আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে যাই চাই না কেন আল্লাহ তা কবুল করেন যতক্ষণ পর্যন্ত না এমন কিছু চাওয়া হয় যা ইসলামে নিষিদ্ধ। এখানে হাদীসটি উল্লেখ করা হল, আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স) জুমার দিনের ফযিলত সম্পর্কে বলেন, ” শুক্রবারে এমন একটি ক্ষণ আছে যখন একজন মুসলিম, সে নামাজ আদায় করেছে এবং দুয়া করেছে, সেই দুয়া কবুল করা হয়ে থাকে”. তিনি(স) তাঁর হাতের দ্বারা ইশারা করে বোঝান যে, তা খুব অল্প একটি সময় । (বুখারি ও মুসলিম).শুক্রবারের আরেকটি ফযিলত হল জুমার নামায।এর গুরুত্ব এতই অধিক যে , পবিত্র কুরআনে আল-জুমুয়াহ নামে একটি পূর্ণ সুরা রয়েছে । আল্লাহ তায়ালা কুরআনে জুমার দিনের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন, “মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাজের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে তাড়াতাড়ি করো এবং বেচাকেনা বন্ধ কর । এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ ।” (আল-জুমুয়াহ ৬২:৯). এটি এমন একটি দিন যেদিন আল্লাহ তায়ালা, পরম করুণাময় আমাদের সগীরা (ছোট) গুণাহসমূহ ক্ষমা করে দিয়ে থাকেন, শুধুমাত্র ঐ দিনেরই নয় বরং পুরো সপ্তাহের এবং সাথে অতিরিক্ত আরো তিন দিনের। সহীহ মুসলিমের হাদীসটি বর্ণিত হল : আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ(স) বলেন, যদি কেউ যথাযথভাবে ওযু (পবিত্রতা অর্জন) করল, এরপর জুমার নামাযে আসলো, মনোযোগের সাথে খুতবা শুনলো এবং নীরবতা পালন করে, তার ঐ শুক্রবার এবং পরবর্তী শুক্রবারের মধ্যবর্তী সকল ছোটোখাট গুণাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে, সাথে অতিরিক্ত আরো তিনটি দিনেরও,…… ” (মুসলিম)। জুমআর আজান হওয়ার পর নামাজের প্রস্তুতি ব্যতীত সকল কাজ হারাম হয়ে যায়। (সংগৃহীত)

            • 713 views
            • 1 answers
            • 0 votes
          • Professor Asked on March 3, 2015 in সাধারণ.

              শীতকালে আবহাওয়া অনেক বেশি ঠান্ডা থাকে আর এর ফলে আমাদের শরীর উষ্ণতা খোঁজে। ফলে আমরা যখন উষ্ণতায় শরীরকে আচ্ছন্ন করে ফেলি তখন আমাদের ঘুম চলে আসে। আর এ কারণেই শীতকালে অনেক বেশি ঘুম পায়।

              • 716 views
              • 1 answers
              • 0 votes
            • Professor Asked on March 3, 2015 in সাধারণ.

                ইসলাম ধর্মে ফিতরা এবং যাকাতের আলাদা আলাদা ব্যাখ্যা রয়েছে।

                ফিতরা :

                ইসলামী শরিয়তের হুকুম মোতাবেক এটি একটি ওয়াজিব আমল। ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের সময় জীবিকা নির্বাহের অত্যাবশকীয় সামগ্রী ছাড়া নিসাব পরিমাণ বা অন্য কোনো পরিমাণ সম্পদের মালিকদের পক্ষ থেকে গরিবদের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণের একটি অর্থ প্রদান করার বিশেষ আয়োজনকে সাদকাতুল ফিতর বলা হয়। ফিতরার পরিমাণ জনপ্রতি আধা সা অর্থাৎ এক সের চৌদ্দ ছটাক বা পৌনে দুই সের গম বা সমপরিমাণ গমের মূল্য ফিতরা হিসেবে প্রদান করতে হবে।

                ইবনু আব্বাস (রা) সুত্রে বর্নিত, তিনি বলেন রাসুল (সা) যাকাতুল ফিতর যরয করেছেন অশ্লীল কথা ও খারাপ কাজ হতে রোযাকে পবিত্র করতে এবং মিশকিনদের খাদ্যের জন্য । যে ব্যক্তি ঈদের সলাতের (নামাযের) পুর্বে তা আদায় করে সেটা কবুল সদকাহ গণ্য হবে, আর যে ব্যক্তি সালাতের পর তা আদায় করবে তা সাধারণ দান হিসেবে গৃহিত হবে । (আবু দাউদ, ১ম খন্ড,হা/১৬০৯; ইবনু মাজাহ,হা/১৮২৭)

                যাকাত :

                ইসলামী শরীয়াতের পরিভাষায় জীবন যাত্রার অপরিহার্য প্রয়োজন পুরণের পর সম্পদে পূর্ণ এক বছরকাল অতিক্রম করলে ঐ সম্পদ থেকে নির্দিষ্ট অংশ আল্লাহর নির্ধারিত খাতে ব্যয় করাকে যাকাত বলা হয়।

                ইউসুফ কারযাভী বলেন,শরীয়াতের দৃষ্টিতে যাকাত ব্যবহৃত হয় ধন-মালে সুনির্দিষ্ট ও ফরযকৃত অংশ বোঝানোর জন্য। যেমন পাওয়ার যোগ্য অধিকারী লোকদের নির্দিষ্ট অংশের ধন-মাল দেওয়াকে যাকাত বলা হয়।
                ইমাম ইবনে তাইমিয়া বলেন,যাকাত আল্লাহ নির্দেশিত অংশ ধন-মাল থেকে হকদারদের দিয়ে দেয়া,যাতে মন-আত্মা পবিত্র হয় এবং ধন-মাল পরিচ্ছন্ন হয় ও বৃদ্ধি পায়।

                নিজের অর্থ সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ অভাবী মিসকিনদের মধ্যে বন্টন করে দেওয়াকে যাকাত বলে। এটাকে যাকাত বলার কারণ হল এভাবে যাকাত দাতার অর্থ সম্পদ এবং তার নিজের আত্মা পবিত্র -পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। যাকাতের শরয়ী অর্থই তো,আল্লাহর সন্তোষ লাভের উদ্দেশ্যে কোন মালদার ব্যক্তি কর্তৃক কোন হকদার ব্যক্তিকে তার মালের নির্ধারিত অংশ অর্পন করা।

                সাদকাতুল ফিতর শুধু মাত্র রমজান মাসে রোজাদরদের ভুল-ত্রটি ইত্যাদি’র কাফ্ফারা হিসেবে দিতে হয়। আর যাকাত অর্জিত সম্পদের বাৎসরিক হিসাবের উপর নির্ধারিত হয়।

                • 746 views
                • 1 answers
                • 0 votes
              • Professor Asked on March 3, 2015 in শিক্ষাব্যবস্থা.

                  রুটিনে পরিবর্তন আনুন। পড়ালেখা না করলে গাড়িতে চড়তে পারবেন না তা মাথায় রাখতে হবে।

                  • 1206 views
                  • 1 answers
                  • 0 votes
                • Professor Asked on March 3, 2015 in সাধারণ.

                    অনেকে নিজের ফোন নম্বর, আইডি নম্বর, এমনকি হঠাৎ করে নিজের নাম পর্যন্ত ভুলে যান। স্মৃতিশক্তি যেন কাজ করতে চায় না। এসব সমস্যায় হয়তো ছেলে-বুড়ো সবাই পড়েছেন। বয়স বাড়তে থাকলে ভুলে যাওয়াটা ধীরে ধীরে রোগে পরিণত হয়! কিন্তু কিছু বিষয় খেয়াল করলে এই সমস্যাতো সমাধান হবে সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তি আরো বৃদ্ধি পাবে।

                    মস্তিষ্কে খেলা খেলুন

                    নিয়মিত ব্রেনের কাজ করলে মস্তিষ্ক ভালো থাকে। সুডোকো কিংবা ক্রসওয়ার্ডস খেলাসহ ব্রেনের ব্যায়াম হয় এমন খেলা খেললে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় সেইসঙ্গে মস্তিষ্ক অধ:পতন হওয়া থেকে রক্ষা করে।

                    সঠিক খাবার

                    স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে খাদ্যের কোনো বিকল্প নেই। নিয়মিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার, রঙিন সবজি ও ফলমূল খেলে মস্তিষ্ককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে মস্তিষ্ককে ভালো রাখে। কিন্তু চিনি এবং মাংস জাতীয় খাবার বেশি পরিমানে খেলে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেয়ে আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়। কিন্তু ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার বেশি খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে।

                    পরিমিত ঘুম

                    ঠিকমতো ঘুম না হলেও স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়। ঘুমের সময়ের উপর স্মৃতিশক্তি হ্রাস ও বৃদ্ধি পায়। দৈনিক আট ঘণ্টা গভীর ঘুম হলে স্মৃতিশক্তি অস্থায়ী থেকে দীর্ঘমেয়াদী হবে।

                    নতুন দক্ষতা অর্জন করা

                    সম্প্রতি সুইডিশ এক গবেষণায় দেখা যায়, যারা নতুন নতুন ভাষা শেখেন, নতুন নতুন মানুষের নাম মনে রাখেন কিংবা নতুন নতুন বিষয় শিখেন তাদের স্মৃতিশক্তি অন্যান্যদের তুলনায় ভালো থাকে। যারা এই বিষয়গুলো চর্চা করেন না তাদের স্মৃতিশক্তি খানিকটা লোপ পায়।

                    কায়িক পরিশ্রম

                    গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিদিন সামান্য কাজ করলে বিশাল মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। যারা একসঙ্গে ৬ মিনিট সাইকেল চালায় এবং যারা নিয়মিত দলবেধে পাহাড়ে ওঠে। যারা নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম করে তাদের অন্যদের তুলনায় স্মৃতিশক্তি ভালো থাকে। প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ মিনিট হাটলে স্মৃতিশক্তি ভালো থাকে, সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

                    একসঙ্গে অনেক কাজ থেকে বিরত থাকা

                    একই সময়ে এক সঙ্গে একাধিক কাজ না করে একটি মাত্র কাজ করতে হবে। অনেক কাজ একসঙ্গে করলে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়। কাজ করার পাশাপাশি তা মুখে উচ্চারণ করলে তা মনে থাকবে দীর্ঘসময়। যেমন আপনি টেবিলে চাবি রাখছেন তখন চাবি রাখার পাশাপাশি মুখেও বলুন ‘আমি টেবিলে চাবি রাখছি।’ তাহলে আর ভুলে যাবেন না।

                    বৈজ্ঞানিক উপায় :

                    দুশ্চিন্তা দূর করুন :

                    দুশ্চিন্তা ও মানসিক অশান্তি মানুষের স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দেয়। তাই স্মৃতিশক্তি ধারালো রাখার জন্যে মনকে ফ্রেস রাখা জরুরী। এজন্যে মেডিটেশন, ইয়োগো করলে ভাল হয়।

                    রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখা :

                    ব্যায়াম শুধু স্বাস্থ্য নয়, মনের জন্যও দরকারি। লং টার্ম মেমোরি গড়ে তোলার জন্যে ব্যায়াম বেশ কার্যকরী। কেননা এতে শরীরের রক্তপ্রবাহ ঠিক থাকে। আর রক্তপ্রবাহ ঠিক থাকলে মনও ভাল কাজ করে।

                    চিত্রকল্প তৈরি :

                    মানুষের মন ভিজুয়াল বা ইমেজ স্মরণে রাখতে পটু। তাই যে কোনো স্মৃতির সঙ্গে ইমেজ এসোসিয়েশন স্মৃতিশক্তি প্রখর করার জন্যে কার্যকরী ভূমিকা পালক করে।

                    পাজেল খেলা :

                    ব্রেন গেম যেমন পাজল, সুডোকু, ক্রসওয়ার্ডস এগুলো মানুষের স্মৃতিশক্তিকে আরো প্রখর করে তুলতে বিরাট ভূমিকা পালন করে।

                    বেশি বেশি মাছ খান :

                    স্মৃতিশক্তি বর্ধনে খাদ্য হিসেবে মাছের বিকল্প পাওয়া মুশকিল। তাই প্রচুর পরিমাণে মাছ খান, সামুদ্রিক ও ছোটো মাছ।

                    পর্যাপ্ত ঘুমান :

                    কম ঘুমের কারণে মানুষের ব্রেনের কিছু কিছু সেল বা কোষ ক্ষমতা হারায়। তাই নিয়ম করে ঘুমান। প্রাপ্ত বয়স্করা কম করেও ৬ ঘণ্টা ও শিশু-বৃদ্ধরা ৮ ঘণ্টা ঘুমান।

                    নিজের সঙ্গে কথা বলা

                    লোকে আপনাকে পাগল বলতে পারে, তবুও সময় পেলেই একান্তে নিজের সঙ্গে নিজে একটু কথা বলে নিবেন। ব্যাপারটা সত্যিই স্বাস্থ্যকর। যারা এমন বকবক করেন তারা নাকি ডিমেনশিয়ায় তুলনায় কম আক্রান্ত হন। শুধু তাই নয়, নিজেকে নিজে গল্প শোনালে নাকি স্মৃতিভ্রংশের মতো ঘটনাকেও প্রতিরোধ করা যায় এবং তাতে রোজের ঘটনা হুবহু আপনার মনে থেকে যাবে।

                    নতুন ভাষা শেখা

                    নতুন কোনো ভাষা শেখা মানে আপনার মুকুটে আরও একটা পালক-ই শুধু বাড়ল না, আত্মবিশ্বাসও বাড়ল। এবং সবচেয়ে কাজের কথা আপনার স্মৃতিশক্তি কমার বদলে বাড়তে আরম্ভ করল।কেমন করে? নতুন শব্দ মনে রাখতে গেলে মাথাটাকেই তো বেশি করে খাটাতে হবে! প্রতিদিনকার এই মনে রাখা-টাই একসময় আপনার ভুলে যাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেবে।

                    শব্দ-জব্দ ছক আর ধাঁধাঁর সমাধান

                    এতদিন এসবগুলোকেই ছেলেমানুষি ভেবে এড়িয়ে গিয়েছেন। এবার কাগজ খুলে সবার আগে সুডুকু বা শব্দ-জব্দ খুলে বসুন। যত বেশি সমাধান করতে পারবেন লাভ আপনার। ব্রেন-কে খাটালে তবেই তো সেটা কর্মক্ষম থাকবে!

                    গান শুধু গান

                    সময় পেলেই গান শুনুন। সমীক্ষা বলছে, রাগ সঙ্গীত নাকি মস্তিষ্কের কোষকে উদ্দীপিত করে। তবে শুধু শুনলেই হবে না। শোনার পর গানের সুর বা কথা মনে মনে গুনগুন করতে হবে যাতে গানটা মনে থাকে। এভাবে গান মনে রাখতে গিয়ে নিজের অজান্তে মনে রাখার ক্ষমতাকেই আপনি বাড়িয়ে তুলবেন।

                    • 877 views
                    • 1 answers
                    • 0 votes
                  • Professor Asked on March 3, 2015 in সাধারণ.

                      গরু, মহিষের মত ছাগল এক ধরনের। তবে খাসি এবং পাঠার মধ্যে পার্থক্য আছে। এরা উভয়ই ছাগলের পুরুষ প্রজাতি তবে জন্মের কিছুদিন পরে যেসব পুরুষ লিঙ্গের ছাগলের অন্ডকোষ কেটে ফেলে দেওয়া হয় সে সব শাবককেই খাসি বলা হয়। এর কারণ হল অন্ডকোষ কাটলে এরা প্রজনন অক্ষম হয়, ফলে মনযোগ দিয়ে খাওয়া দাওয়া করে ও অন্যান্য কারণে খাসি মোটাতাজা হয় এবং খাসির মাংস সুস্বাদু হয়। আর যেসব শাবক পুরুষ ছাগলের এই অপারেশন হয় না তাদেরকেই পাঠা বলা হয়। তবে এরা না থাকলে ছাগলের আর বংশ বিস্তার হত না এবং ছাগল বিলুপ্ত হয়ে যেত। পাঠার মাংসে এক ধরনের গন্ধ থাকে বিধায় এদের মাংস তেমন জনপ্রিয় না।

                      • 6953 views
                      • 1 answers
                      • 0 votes
                    • Professor Asked on March 3, 2015 in সাধারণ.

                        মুখে অতিরিক্ত তিল হওয়া স্কিন ক্যান্সারের পূর্ব লক্ষণ। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই অতিরিক্ত এই তিলের দাগ কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে কমানো যেতে পারে। এর জন্য গরম পানিতে আটার পেস্ট মুখে নিয়মিত লাগাতে পারেন। এছাড়া শসার রসও লাগাতে পারেন। এগুলো মুখের অতিরিক্ত তিলের দাগ হালকা করতে সহায়তা করে।

                        • 699 views
                        • 1 answers
                        • 0 votes