14182
Points
Questions
3
Answers
7076
ফেসিয়াল স্টিম :
মুখের ত্বকে ময়লা জমলে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায় ও ব্লেকহেডস, হোয়াইটহেডস, ব্রণসহ নানারকম সমস্যা হয়। তাই ত্বক পরিষ্কারে অনেকে স্টিম নিয়ে থাকেন। স্টিম মানে ত্বকে গরম ভাপ নেয়া। ত্বকের যত্নে স্টিম নেয়ার ব্যাপারটা কিন্তু নতুন যুগের আবিষ্কার না, এর প্রচলন ও ব্যবহার সেই রোমান যুগ থেকেই। স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য চর্চায় অনেক আগে থেকেই স্টিম নেয়া হতো।উপকারিতা :
বিভিন্ন পার্লারে এখন ফেসিয়াল স্টিম এর ব্যবস্থা রয়েছে। এতে উপকার অনেক। বিশেষ করে যাদের মুখে ব্রণ আছে তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী। মুখে ময়লা জমেই সাধারণত ব্রণ হয়, আর স্টিম বা ভাপ নেয়ার ফলে ত্বকের ময়লা পরিষ্কার হয় ফলে ব্রণও কমে যায়।তবে যাদের ত্বকে অ্যালার্জির প্রকোপ রয়েছে বা একটু নাজুক ধরনের তাদের স্টিম না নেয়াই ভালো। ত্বকের ধরণ বুঝে স্টিম নেয়া উচিত। সাধারণত একটু দূর থেকে অর্থাৎ ১২-১৫ ইঞ্চি দূরত্বে থেকে স্টিম নেয়া ভালো আর খেয়াল রাখতে হবে স্টিম যেন অনেকক্ষণ ধরে নেয়া না হয়। ৫-৭ মিনিট স্টিম নিলেই যথেষ্ট। প্রতিদিন স্টিম না নিয়ে সপ্তাহে একদিন স্টিম নেয়া ভালো।
স্টিম ত্বকের রক স্বঞ্চালন বাড়ায় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। অনেকের ত্বকে মৃত কোষ হয়, স্টিম ত্বকের মৃত কোষ নরম করে এবং ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
যেভাবে স্টিম নিতে হয় :
বর্তমানে সৌন্দর্য সচেতনতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে তাই স্টিমের কদরও বেড়েছে। একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পানি ফুটিয়ে একে বাষ্প করা হয়। তারপর এর ভাপ নেয়া হয়। ত্বকে এই ভাপ নেয়ার প্রক্রিয়াকেই স্টিমিং বলে। স্টিম নেয়ার ফলে ত্বকে ঘামের সৃষ্টি হয় ও আর্দ্রতা বাড়ে, যা ত্বক নিমিষেই পরিষ্কার করে ফেলে। কেবল মুখের ত্বকেই না পুরো শরীরেই স্টিম নেয়া যায়। অনেকের বাসায় বাথ টাব আছে সেখানে গরম পানিতে স্টিম বাথ নিতে পারেন অথবা কোন স্টিম কক্ষে কিছু সময় থাকতে পারেন। বাড়িতে স্টিম নেয়ার জন্য পানি ফুটিয়ে নিন। একটি গামলায় পানি নিয়ে মুখটি বাষ্পের উপরে ধরুন, এবং একটি তোয়ালে দিয়ে মাথাটি ঢেকে দিন। এভাবে কিছুক্ষণ নিয়ে মুখ সরিয়ে ফেলুন। তারপর আবার একটু নিন। বাষ্পের খুব কাছে মুখ নেবেন না, সহ্য করতে পারবেন এমন ভাবে নিন। চোখ বন্ধ রাখুন।- 566 views
- 1 answers
- 0 votes
হ্যাঁ, মানুষের ব্লাড গ্রুপের ভিন্নতার সাথে স্বভাবগত বা আচরণগত ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। আসুন জেনে নিই কোন ব্লাড গ্রুপের মানুষ কেমন আচরণের হয়ে থাকেন।
”O+” এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা স্বচ্ছ দৃষ্টি সম্পন্ন, গভীর মনোযোগী, উচ্চাকাঙ্খী, স্বাস্থ্যবান, বাকপটু, বাস্তববাদী, রোমান্টিক এবং অত্যান্ত বুদ্ধিমান হয়ে থাকে।
”O-” এই গ্রুপের মানুষেরা সাধারণত অন্যের মতামতকে গ্রাহ্য করে না। সমাজে মর্যাদা বাড়াতে আগ্রহী, বড়লোকের সঙ্গপ্রিয় এবং বড় বেশি বাচাল।
”A+” এই ব্লাডগ্রুপের মানুষেরা গোছগাছ প্রিয়, দক্ষ চাকুরে এবং খুঁতখুঁতে স্বভাবের হয়ে থাকে।এরা আত্নকেন্দ্রিক, সুবিচারক, শান্ত, নিয়মতান্ত্রিক, বিশস্ত, নিয়মানুবর্তী ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।
”A-” এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা খুব খুঁতখুঁতে স্বভাবের এবং কিছুটা অমনোযোগী। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে বেশি মনোযোগী। এদের অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার প্রবণতা বেশি। এদের আছে নিজেকে লুকানোর অভ্যাস এবং একঘেয়েমি জীবন।
”B+” এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা স্বাধীনচেতা, মেধাবী, নমনীয়, মনোযোগী, স্বাস্থ্যবান, সরল, দক্ষ, পরিকল্পনাবাদী, বাস্তববাদী, আবেগপ্রবণ এবং খুব বেশি রোমান্টিক হয়ে থাকে।
”B-” এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা অসংযমী, অপরিনামদর্শী, দায়িত্বহীন, অলস, স্বার্থপর, অগোছালো, অবিবেচক এবং স্বার্থান্বেষী হয়ে থাকে।
”AB+” এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা সাধারণত সুবিবেচক, বুদ্ধি সম্পন্ন, হিসেবী, পরিকল্পনাবাদী, সৎ কৌশলী সংবেদনশীল, নিরেট এবং খুব চমৎকার সাংগঠনিক হয়ে থাকে।
”AB-” এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা দুর্বোধ্য, ক্ষমতাহীন, অন্যকে আঘাত করার প্রবণতা বেশি, এনার্জি স্বল্পতা, খুববেশি রক্ষনশীল ও বড় বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকেন।
- 1090 views
- 1 answers
- 0 votes
বই অনেকদিন ব্যবহারে না থাকলে বইয়ে পোকা বসবাস করতে শুরু করে। পোকাগুলো বইয়ের পাতা কাটতেও শুরু করে। এই পোকাগুলো তাড়াতে যা যা করতে পারেন :
– বইয়ের তাক কাচ বা কাঠের পাল্লা দিয়ে ঢাকার ব্যবস্থা করুন।
– অন্তত দুই সপ্তাহে একবার বুকসেলফ ও বইগুলো পরিস্কার করুন।
– বইয়ের কোণে কোণে নেপথলিন গুড়ো করে দিন। এতে পোকার আক্রমণ কমবে। তবে উইপোকা হলে শেলফটি থেকে বই সরিয়ে ভালোভাবে ঝাড়ুন। করুন। ভালোমত ধুলো ঝেড়ে বইগুলোর সামনে পিছনে পরিষ্কার শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে রাখুন।
– খাওয়ার সময় কখনোই বই পড়বেন না। কারণ খাবার লেগেও বইয়ে পোকার সৃষ্টি করতে পারে।
– কাঠের তৈরি বুক শেলফ ব্যবহার করুন।
এছাড়া :
যত্নে থাকুক প্রিয় বই : যতই সবাই বলুক না কেন উন্নত প্রযুক্তির আগমনে বই এর আবেদন নাকি কমে যাচ্ছে দিনকে দিন- বই বিক্রি এবং নিত্য নতুন বই এর প্রকাশনার ধুম দেখলে এটা বিশ্বাস হয় না।বাড়ুক বইয়ের আয়ু : বই হচ্ছে মানুষের একমাত্র নিঃস্বার্থ বন্ধু। বইয়ের সাথে বন্ধুত্ব মানুষকে করে তোলে সমৃদ্ধ। শুধু জ্ঞানে নয়, গুণেও! এটা শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যবইয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, যেকোনো ধরনের বই আপনাকে কিছু না কিছু শেখাতে পারে। বই পড়ুয়াদের কাছে বই হচ্ছে আনন্দের উত্স। একটা বইও নেই এমন বাড়ি বোধহয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারো কারো বাড়িতে তো ব্যক্তিগত বা পারিবারিক লাইব্রেরিও থাকে। সহজেই পাওয়া যায় এবং পড়ার সুবিধার কারণে ই-বুকও এখন বেশ জনপ্রিয়। তবে প্রযুক্তি যতই উন্নত হোক না কেন, ছাপা বইয়ের আবেদন কমেনি একবিন্দুও!
- 890 views
- 1 answers
- 0 votes
শীতকালে শুষ্ক শীতল হাওয়া ও বাতাসে বেড়ে যাওয়া ধুলাবালুর কারণে ত্বক হয়ে যায় খসখসে ও মলিন। এর ফলে দেখা দেয় নানা সমস্যা, যেমন ত্বক ফেটে যাওয়া, ত্বকে চুলকানি ইত্যাদি। তাই শীতকালে ত্বকের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় দরকার বাড়তি যত্ন ও সতর্কতা।
ত্বকের শুষ্কতা
শীতে শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য ত্বক স্বাভাবিক আর্দ্রতা দ্রুত হারিয়ে ফেলে। তাই শীতকালে গোসলে সাবান কম ব্যবহার করুন। আর করলেও ময়েশ্চারাইজিং সাবান ব্যবহার করুন। এতে ত্বকে খসখসে ভাব কমে আসবে।রাতে ঘুমানোর আগে ও গোসলের পর নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করলে ত্বকের খসখসে ভাব দূর হবে। ফলে চুলকানিও হবে না এবং ত্বকও ফাটবে না। ত্বকের আর্দ্রতা ও ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে রোজ গোসলের পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে অলিভ অয়েল অথবা লিকুইড প্যারাফিন মাখতে পারেন।
চুলের যত্ন
শীতের সময় চুলে খুশকির উপদ্রব বেড়ে যায়। খুশকিমুক্ত থাকতে নিয়মিত সপ্তাহে দুই দিন কিটোকোনাজল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।হাতের তালু ও পায়ের তলার যত্ন
এ সময় ১০ ভাগ ইউরিয়া, ভেসলিন লাগালে হাতের তালু অনেকটা মসৃণ হয়ে আসে। শীতে অনেকের পায়ের তলা ফেটে যায়।
৫ ভাগ সেলিসাইলিক অ্যাসিড অয়েন্টমেন্ট অথবা ভেসলিন নিয়মিত মাখতে পারেন।মুখের যত্ন
ভালো ময়েশ্চা-রাইজারযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। যাঁদের ব্রণের সমস্যা আছে, তাঁরা ক্রিমের সঙ্গে একটু পানি মিশিয়ে নিতে পারেন।শীত আসছে বলে ভাববেন না যে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজনীতা কমে গেছে। শীতকালেও বাইরে বের হওয়ার ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
ঠোঁটের যত্ন
ঠান্ডা বাতাসে ঠোঁট বারবার ফেটে যায়। কখনো এতটাই ফেটে যায় যে চামড়া উঠে আসে ও রক্ত বের হয়। কখনোই জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো উচিত নয়।
কুসুম গরম পানিতে পরিষ্কার একটি কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে ঠোঁটে হালকা করে তিন-চারবার চাপ দিন। তারপর ভেসলিন বা গ্লিসারিন পাতলা করে লাগিয়ে নিন। ঠোঁটের জন্য ভালো কোনো প্রসাধনী ব্যাগে রাখুন এবং দিনে তিন-চারবার লাগাতে পারেন।এছাড়া :
সকালে ঝলমলে চেহারা পেতে শীতের রাতে করুন বিশেষ যত্ন-আত্তি : দেখতে দেখতে প্রকৃতির দরজায় কড়া নেড়েছে আরেকটি শীত। আর শীত কাল মানেই প্রকৃতির শুষ্ক হয়ে ওঠা। প্রকৃতির এই শুষ্কতার পাশাপাশি এসময়ে চেহারাও হয়ে ওঠে শুষ্ক ও অনুজ্জ্বল। আর এই শুষ্ক ও অনুজ্জ্বল চেহারার জন্য এসময়ে দরকার বাড়তি কিছু যত্ন।শুধু মুখের যত্ন করলে হবে?শীতে প্রয়োজন পুরো দেহের যত্ন : শুধু শীত কেন, সারা বছরই মুখের যত্ন করে থাকি আমরা। কিন্তু শুধু মুখের যত্ন করলে কি হবে? বিশেষ করে এই শীতে তো সেটা একদমই চলবে না। তাকিয়ে দেখুন তো নিজের পা গুলোর দিকে, মলিন আর কালচে দেখাচ্ছে না? গোড়ালি ফেটেছে না? নিজের কনুইর দিকে দেখুন,হাত বুলিয়ে দেখুন নিজের দেহে, চুলগুলোকে একটু নাড়া দিন। খসখসে আর প্রাণহীন লাগছে দেহের ত্বক,চুলে জমেছে খুশকি। না,চিন্তার কিছু নেই। কীভাবে স্বল্প সময়ে এই শীতেও দেহকে সুন্দর রাখতে পারবেন, আমাদের আজকের লেখা সেই বিষয়েই।
শীতের সকালে চাই ঝলমলে ত্বক? রাতেই সেরে নিন মাত্র ১০ মিনিটের রূপচর্চা : শীতের আগমন ত্বকের রুক্ষতাই প্রমান করে দিচ্ছে। শীতকালে ত্বক নিষ্প্রাণ ও রুক্ষ হয়ে পড়ে। ত্বক চায় একটু আলাদা যত্ন। এই জন্য শীতে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেয়া উচিত। কিন্তু ব্যস্ততার এই যুগে কার বা সময় আছে আলাদা ভাবে ত্বকের একটু বেশি যত্ন নেয়ার। কিন্তু ঠিক মত যত্ন না নিলে ত্বকের উজ্জলতা হারায়, ত্বকের উপরিভাগ কালো হয়ে আসে এবং ত্বক ফেটে যায়। তাই আজকে আপনাদের জন্য রইল ৩ টি অতি জরুরী ফেসিয়াল মাস্ক। যা ত্বককে শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচায়। সারাদিন যারা কাজের ব্যস্ততায় সময় করে উঠতে পারেন না তারা রাতে বাসায় ফিরে ঘুমানোর পূর্বে অনায়েসে এই ফেসিয়াল মাস্ক তৈরি করে ত্বকে উজ্জলতা ফিরিয়ে আনতে পারেন।
শুষ্ক ত্বকের যত্নে ৩টি সহজ ফেসমাস্ক : বলাই বাহুল্য যে একেক জনের ত্বকের ধরন থাকে একেক রকম। তাই অতি অবশ্যই নিজের ত্বকের ধরণ বুঝে সেই অনুযায়ী প্রসাধনী ব্যবহার ও রূপচর্চা করা উচিত। ঋতুতে এখন শীতের আমেজ এবং এই সময়টাতেই যাদের শুষ্ক ত্বক তারা খুব সমস্যায় ভুগে থাকেন। কারণ শীতের আবহাওয়ায় ত্বক আরও বেশি শুষ্ক হয়ে ওঠে, হারায় সৌন্দর্য। তাই ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে নিজেকে বাঁচাতে আপনাদের জন্য রয়েছে কিছু সহজ টিপস।
শীতের মৌসুমে শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তির ৬টি সহজ উপায় : শীত কড়া নাড়ছে দরজায়। আর সেই সঙ্গে আমাদের ত্বকও তা জানান দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই অনেকের ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া শুরু করেছে। হাত পায়ের ত্বকও বেশ রুক্ষ হয়ে যেতে শুরু করেছে, ঠোঁটও ফেটে যাচ্ছে অনেকেরই। শীতকালে আদ্রর্তা হারিয়ে ত্বক শুষ্ক হয়ে উঠে এবং নানান রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই শীতে ত্বকের অবশ্যই দরকার বাড়তি যত্ন। আসুন জেনে নেয়া শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি পাওয়ার ৫টি সহজ উপায়।
- 975 views
- 1 answers
- 0 votes
চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে যা যা করবেন :
– পরিমিত ঘুমানোর অভ্যাস। অন্তত সাত-আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
– ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় এমন ওষুধ পরিহার করতে হবে।
– পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করুন। তবে রাতে ঘুমানোর আগে বেশি পানি খাওয়া অনুচিত।
– চোখ কচলানো একেবারে বাদ দিন। চোখে ঠান্ডা সেঁক দিতে পারেন।
– মাথার নিচে অতিরিক্ত বালিশ ব্যবহার করতে পারেন। এটি অনেক সময় চোখের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
– প্রচুর সবুজ মৌসুমি শাকসবজি আর ফলমূল খান।
– ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।
– দুশ্চিন্তা আর মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন।
– রোদে বাইরে বের হলে রোদচশমা ব্যবহার করতে পারেন।
– ঘরে বসে সহজেই আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে চোখের নিচের কালি দূর করতে পারেন।
– পাতলা করে কাটা শসা চোখে দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট চোখ বন্ধ রাখুন।
– ব্যবহৃত টি ব্যাগ ফ্রিজে রেখে সকালে ১০ থেকে ১৫ মিনিট চোখে রাখুন।
– পাতলা করে কাটা আলুর টুকরা ফ্রিজে রেখে চোখে রাখুন।
-আলু ও শসা সমপরিমাণে মিশিয়ে চোখের চারপাশে ক্রিম হিসেবে লাগাতে পারেন।
– টমেটোর রস অনেক ক্ষেত্রে উপকারী।
– নিয়মিত নিজের যত্ন নিন, হাসিখুশি থাকুন।
চোখের কালো দাগ এবং ফোলা যদি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে এবং দৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। অযথা বাজারের বাহারি ক্রিমে আকৃষ্ট হবেন না। এতে উল্টো হিতে বিপরীত হতে পারে।
এছাড়া :
চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে : চোখের নিচে কালো দাগ আজকাল তরুণ-তরুণী এমনকি অনেক মধ্যবয়স্ক নারী-পুরুষের মুখের সৌন্দর্যের ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে৷ পুরো মুখটি অসম্ভব সুন্দর অথচ চোখের নীচে কালোদাগ- অনেকেই এটা মানতে পারেন না৷ তখন ছুটে যান কোন ত্বক বিশেষজ্ঞ বা বিউটিশিয়ানের কাছে৷ অনেকে আবার প্রশ্ন করেন চোখের নীচের কালোদাগের আসলেই কোন চিকিত্সা আছে কিনা?বেশিরভাগ সময়ই আমরা আমাদের চোখের নিচের কালি ঢাকার জন্য কনসিলার, ফাউণ্ডেশন কিনে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করি, কিন্তু কখনো কি আমরা আমাদের চোখের নিচে কেন কালি জমে তার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি? আমাদের চোখের নিচের ত্বক অনেক বেশি স্পর্শকাতর এবং এর নিচে অনেক ছোট ছোট রক্তনালী বয়ে গেছে যারা আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে এবং চোখের নিচের ত্বক কালো হতে থাকে। চোখের নিচের অংশে ফ্লুইড জমা হতে থাকার কারণে চোখের নিচটা ফুলে যেতে থাকে এবং চোখের নিচে কালি পড়ে। এর পিছনে অনেকগুলো কারণ আছে।
- 751 views
- 1 answers
- 0 votes
খুশকি সমস্যায় কখনোই ভোগেননি, এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়াই যাবে না! কারণ এটা অতি সাধারণ একটা সমস্যা। মাথার ত্বকে নতুন কোষ তৈরি হয় এবং পুরনো কোষগুলো ঝরে যায়। এটা একটা ক্রম। কিন্তু পুরনো কোষগুলো যখন ঠিকঠাক মতো ঝরে যেতে পারে না তখন সেগুলো জমে যায় এবং ফাঙ্গাস সংক্রমিত হয়। ফলে খুশকি হয়। মাথা থেকে সাদা গুঁড়ার মতো খুশকি পড়ে এবং মাথা চুলকায়।
মাথায় খুশকির সৃষ্টি নানা ভাবে হতে পারে। মাথার ত্বক যদি অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়, যদি চুল নিয়মিত পরিষ্কার না করা হয় তাহলে সহজেই খুশকি হয়। স্কাল্প বা মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হলেও খুশকি হতে পারে। এমনি মানসিক দুশ্চিন্তার কারণেও খুশকি হয়।
শীতকালে আবহাওয়া থাকে শুষ্ক ও ধুলাবালিযুক্ত। ফলে খুশকির প্রকোপও বেড়ে যায়। যাঁদের খুশকির সমস্যা অন্যান্য সময় থাকে না, দেখা যায় শীতকালে তাঁদেরও খুশকির সমস্যা হয়।
উপায় :
তবে চুল ও মাথার ত্বকের সামান্য যত্ন নিলেই এই সমস্যা দূর করা সম্ভব। জেনে নিন খুশকি দূর করার ৭টি উপায়।১. পুরনো তেঁতুল পানিতে গুলে নিন। গোলানো তেঁতুল চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগান। ১০-১২ মিনিট অপেক্ষা করে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুদিন তেঁতুল মাথায় দিন। এতে খুশকি যেমন দূর হয় তেমনি মাথার চুলকানিও কমে যায়।
২. টকদই খুশকি দূর করতে ও চুল ঝলমলে করতে খুবই কার্যকরী। ৬ টেবিল চামচ টকদই খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে ১ টেবিল চামচ মেহেদি বাটা ভালোভাবে মেশান। মিশ্রণটি চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। এতে চুল যেমন খুশকিমুক্ত হবে তেমনি চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে ও রেশমি।
৩. একটি ডিমের সাদা অংশ ও ৪ টেবিল চামচ টকদই খুব ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে ১ টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস মেশান। মিশ্রণটি মাথার ত্বকসহ পুরো চুলে লাগান। ২০ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ১ বার এটা ব্যবহার করুন।
৪. মেথি চুলের খুবই উপকারী একটা জিনিস। নারকেল তেল গরম করুন। এরপর এতে মেথি গুঁড়া মেশান। মিশ্রণটি পুরো চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টার পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। দ্রুত ফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে ৩ দিন এটি ব্যবহার করুন।
৫. মেথি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এটি থেঁতো করে চুলের গোড়ায় লাগান। ৩০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুবার মেথি লাগান।
৬. চুলের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে ও খুশকি দূর করতে অলিভ অয়েলের জুড়ি নেই। অলিভ অয়েল গরম করে নিন। এতে পাতিলেবুর রস মেশান। চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার চুলে অলিভ অয়েল লাগান। খুশকি দূরের পাশাপাশি চুল হবে কোমল ও ঝলমলে। একই পদ্ধতিতে নারকেল তেলও ব্যবহার করতে পারেন।
৭. পেঁয়াজের রস খুব দ্রুত খুশকি দূর করতে পারে। পেঁয়াজ মিহি করে বেটে নিয়ে রস ছেঁকে নিন। পেঁয়াজের রস চুলের গোড়ায় ভালো করে ঘষে ঘষে লাগান। ২০-২৫ মিনিট রেখে চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুবার মাথায় পেঁয়াজের রস লাগান। এতে মাথা চুলকানোও কমে যাবে।
লক্ষ্য করুন :
*নিয়মিত চুল আঁচড়ান। এতে খুশকি হবার সম্ভাবনা কমে যাবে।
*পুষ্টিকর খাবার খান। এতে মাথার ত্বক ও চুল ভালো থাকবে।
*চুল নিয়মিত পরিষ্কার করুন। কারণ অপরিচ্ছন্ন চুলে খুশকি হয় বেশি।
*কিছু চর্মরোগ সাধারণভাবে দেখতে খুশকির মতো হয়। তাই মাথায় খুশকির পরিমাণ বেশি হলে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হোন।এছাড়া :
চুলকে রাখুন চিরকাল খুশকি মুক্ত খুব সহজে : খুশকির সমস্যা চুলের জন্য সব চাইতে বড় একটি সমস্যা। কারণ খুশকি থেকেই চুলের নানা সমস্যার সৃষ্টি হওয়া শুরু হয়। খুশকির সমস্যা থেকে শুরু হয় চুল পড়া, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া, উকুনের সমস্যা, চুলের আগা ফাটা ইত্যাদি। কারণ খুশকির কারণে চুলের গোঁড়ায় পুষ্টি পৌছুতে পারে না। আপনি চুলের যত্নে যাই ব্যবহার করুন না কেন এই খুশকির কারণে চুল ভেতর থেকে পুষ্টি পায় না। তাই সবার প্রথমে খুশকি মুক্ত করতে হবে চুলকে। হালকা পাতলা খুশকিকে অনেকেই অবহেলা করেন। কিন্তু অবহেলা করবেন না। কারণ সামান্য অবহেলা থেকেই খুশকির সমস্যা বাড়তে থাকে। এতে করে চুলের স্থায়ী ভাবে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাই খুশকি দেখতে পেলেই নির্মূল করতে সচেষ্ট হতে হবে আমাদের।খুশকি তাড়াতে ঘরোয়া উপায় : খুশকিমুক্ত ঝলমলে চুল আমারা সবাই চাই। তাই বলে প্রতিদিনে পার্লারে গিয়ে নিয়মিত ট্রিটমেন্ট নেয়ার সময় হয়না কারো। খুশকি হচ্ছে হরমোনের একধরনের ভারসাম্যহীনতা, বেশি বেশি জেল বা স্প্রে ব্যবহার করা, মানসিক চাপ,চর্বি বা মিষ্টি খাওয়া এবং খারাপ স্বাস্থ্যও খুশকির কারণ হতে পারে।
চুলকে রাখুন খুশকি মুক্ত-৩টি সহজ ঘরোয়া উপায়ে : শীতকালে চুলে খুশকির উপদ্রব বেড়ে যায় অনেকাংশে। শুষ্ক বাতাস ও রুক্ষ আবহাওয়া মাথার ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলে অনেকখানি। বাতাসের সাথে ধুলোবালি পুরোটাই চুলে এসে পড়ে। মাথার ত্বকের তৈলাক্ততায় এই ধুলোবালি আটকে গিয়ে খুশকির উপদ্রব বাড়িয়ে ফেলে বহুগুন। আবার শীতকালে যখন গরম পানিতে গোসল করা হয়, তখন গরম পানি মাথার ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে ফলে সৃষ্টি হয় খুশকি। নামিদামী অনেক শ্যাম্পু ও অন্যান্য চুলের প্রসাধন ব্যবহার করেও এই যন্ত্রণাদায়ক খুশকির উপদ্রব থেকে মুক্ত হওয়া যায় না সহজে। আবার খুশকি দূর করতে গিয়ে এই এসব রাসায়নিক প্রসাধন রুক্ষ করে ফেলে চুলকে।
খুশকি থেকে রক্ষা পেতে : চুলে খুশকি নিয়ে অনেকেই খুব দুশ্চিন্তা করে। সাধারণত ত্বক রুক্ষতা ও ছত্রাকের প্রভাবে চুলে খুশকি হয়। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। একটু যত্ন নিলেই খুশকি থেকে রক্ষা পেতে পারে আপনার চুল।
যে ৯ টি অভ্যাস চিরতরে রাখবে খুশকি মুক্ত : খুশকির যন্ত্রণা ভুক্তভোগী মাত্রেই জানেন। সারাক্ষণ মাথার তালুতে অস্বস্তিকর একটা অনুভূতি ছাড়াও পোষাকের কাঁধের কাছে সাদা সাদা গুঁড়ো গুঁড়ো খুশকি পরে থাকা আপনার ব্যক্তিত্বকেও অনেকটাই ম্লান করে দেয়। প্রিয়জনের সামনে এই খুশকির কা্রণে আপনি পড়ে যেতে পারেন বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও। অথচ খুশকি রোধ করা কিন্তু খুব কঠিন কিছু নয়। প্রয়োজন কিছু ভালো অভ্যাসের। যা আপনি গড়ে তুলতে পারেন সহজেই!
- 633 views
- 1 answers
- 0 votes
বাকরখানি পছন্দ করেন এমন অনেকেই আছেন। তবে সবসময় তো আপনার পছন্দের খাবারটি আশেপাশে খুঁজে পাওয়া যায় না। দেখে নিন এই বাকরখানি কীভঅবে বাসায় তৈরি করা যেতে পারে।
উপকরণ-
ক) খামিরের জন্য
ময়দা ১ কাপ,
তেল ১ ১/২ টেবিল চামচ
লবণ ১/৪ চা চামচ
গুড়ো দুধ ২ টেবিল চামচ
পানি পরিমাণমতো।খ) লেয়ারের জন্য
তেল ১ কাপ
ঘি ১/৪ কাপগ) ছিটানোর জন্য
ময়দা ১/২ কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ১/৪ কাপপ্রস্তুত প্রণালি
ক) ময়দা,তেল,গুঁড়ো দুধ,লবণ ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে ভালো করে ময়ান করে ঢেকে রাখুন ২ ঘণ্টা
খ) ঘি ও তেল এক সাথে মিক্স করে লেয়ারের জন্য একটি বাটিতে রাখুন
গ) ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে প্রলেপ এর জন্য রেখে দিন।
এবার একটি পিড়িতে তেল মাখিয়ে খামিরকে যতটুকু সম্ভব খুব পাতলা রুটি বেলে নিন।
রুটিতে লেয়ারের তেল দিয়ে এর উপর গ-এর ময়দার মিশ্রণ ছিটিয়ে দিন। রুটিকে দুই ভাঁজ করে আবার তেল দিয়ে ময়দা ছিটিয়ে দিন। এভাবে আবার করুন।
এবার কোনা কোনো করে ভাঁজ দিয়ে তেল মাখিয়ে ময়দা ছিটিয়ে দিন। তারপর খামের মতো ভাঁজ করে রোল এর মতো করুন তারপর রোলটিকে ছোট ছোট লেচি কেটে বেলে ছুরি দিয়ে ৩ টি আঁচড় কেটে দিন।
ওভেন ট্রেতে ঘি ব্রাশ করে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এ প্রি-হিট করে ২০ মিনিট বেক করে নিন।
এভাবেই খুব সহজেই তৈরি করে ফেলতে পারেন পুরান ঢাকার মজাদার বাকরখানি।
- 754 views
- 1 answers
- 0 votes
সহজলভ্য পুষ্টির উত্স হিসেবে ডিমের তুলনা কেবল ডিমই হতে পারে। তাই বাড়িতে বা রেস্তোরাঁয় সকাল-বিকেলের নাশতাতেই হোক কিংবা দুপুর-রাতের খাবারে ডিমের একটা মেন্যু ঘুরেফিরে আসেই। আর ব্যাচেলরদের জীবনে সহজে রান্নার সহজ মেন্যু হিসেবে ডিম তো প্রায় ‘জাতীয় খাদ্য’ই বটে!
অবশ্য ডিমের জনপ্রিয়তার পাশাপাশি অনেক দিন ধরেই এই ধারণাও ব্যাপকভাবে প্রচারিত যে, ডিমের কুসুম খাওয়া অনেক সময়ই প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। বিশেষত যাদের হৃদরোগ বা এ রোগের ঝুঁকি আছে, তাঁদের ডিমের কুসুম খেতে নিষেধ করা হয়। বলা হয়ে থাকে, ডিমের কুসুমে থাকা ‘স্যাচুরেটেড ফ্যাট’ ও ‘উচ্চমাত্রার কোলেস্টরল’ উচ্চ রক্তচাপজনিত স্বাস্থ্যসমস্যা এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে বহুল প্রচলিত এ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছেন হালের বিজ্ঞানীরা।
পুষ্টিবিদ লিজ উলফি ডিমের কুসুম খাওয়ার লাভ-লোকসান নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। তাঁর মতে, ডিমের কুসুম না খেলে লাভের চেয়ে লোকসানই বেশি। কেননা, কুসুম না খেলে ভালো মানের পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হবেন আপনি। কুসুম খেলে শারীরিক ক্ষতির ঝুঁকি নিয়েও বিশদ আলোচনা করেছেন উলফি। তিনি জানান, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও কোলেস্টরলের উত্স কুসুম নিয়ে হইচই শুরু হয় বিশ শতকের গোড়ায় নিকোলাই আনিচকভের গবেষণার পর। আনিচকভ খরগোশের ওপর এ নিয়ে পরীক্ষা চালান এবং দেখেন, কোলেস্টরলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ওই গবেষণার ফল চ্যালেঞ্জ করে লিজ উলফি বলেন, ‘খরগোশের সঙ্গে মানুষের শরীরের তেমন কোনো সাধারণ মিল নেই। আর কোলেস্টরল ওদের ডায়েটের অংশও নয়।’ কিন্তু ওই গবেষণাই ডিমের কুসুমের বিষয়ে প্রচারণার ভিত্তি।
পরবর্তী সময়ে ১৯৫০ সালের দিকে গবেষক অ্যাঙ্কেল কিজ স্যাচুরেটেড ফ্যাট নিয়ে তাঁর বিখ্যাত ‘সাত দেশের গবেষণা’ করেন। কিজ দেখিয়েছিলেন, বেশি মাত্রায় ‘অ্যানিমেল ফ্যাট’ গ্রহণ করে এমন মানুষেরা হৃদরোগের ঝুঁকিতে বেশি থাকে। কিন্তু তাঁর গবেষণাও পূর্ণাঙ্গ ছিল না বলে দাবি করেন উলফি।
২০১০ সালে দ্য আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন এ বিষয়ে একটা বিশদ বিশ্লেষণী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ২১টি আলাদা গবেষণার ফল নিয়ে প্রকাশিত ওই বিশ্লেষণে জানানো হয়, ‘স্যাচুরেটেড ফ্যাট করোনারি হার্ট ডিজিজ, স্ট্রোক কিংবা করোনারি ভাসকুলার ডিজিজের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।’ তা ছাড়া, চলতি বছরের শুরুর দিকে টাইম সাময়িকী তাদের ১৯৮৪ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছে, যাতে বলা হয়েছিল—ডিম এবং অন্যান্য উচ্চমাত্রার চর্বিযুক্ত খাবার ক্ষতিকর।
হৃদরোগের প্রকৃত কারণ সম্পর্কে পুষ্টিবিদ উলফি বলেন, স্থায়ী দুশ্চিন্তা-উদ্বেগ এবং উদ্ভিজ্জ তেল ও প্রক্রিয়াজাত শর্করাজাতীয় খাবারের সৃষ্ট প্রদাহ থেকেই হৃদরোগ হয়ে থাকে। এই পুষ্টিবিদ আরও বলেন, ডিমের কুসুম ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-বি-এর খুবই ভালো উত্স। ভিটামিন-এ ত্বকের জন্য ভালো। ভিটামিন-বি শরীরে শক্তি জোগায়, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং মাংসপেশির গঠনে সহায়ক। এ ছাড়া গর্ভধারণের জন্যও ডিমের কুসুম খাওয়া উপকারী। ডিমের কুসুমে থাকা স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে প্রয়োজনীয় হরমোনের উত্পাদন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং শরীরে ভিটামিন ও মিনারেল ধারণ করার ক্ষমতা বাড়ায়। খাবারদাবারে মোট ক্যালরির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে কুসুমসহ পুরো ডিম খেলেও ওজন বাড়বে না, বরং তা শরীরের জন্য উপকারী।
- 514 views
- 1 answers
- 0 votes
ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ফল-মূলে বিভিন্ন ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ লবণ ও এন্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। আর এই ফল খাওয়া নিয়ে রয়েছে নানা ধরনের ছোট খাটো কুসংস্কার। অনেকেই মনে করেন খালিপেটে ফল খাওয়া উচিত নয়। আবার অনেকে মনে করেন আহারের সঙ্গে সঙ্গে ফল খাওয়া উচিত নয়। এ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে।
চিকিত্সা বিজ্ঞানীদের মতে, আহারের আগে ফল খাওয়ার সঙ্গে কোন বিরূপ অবস্থা তৈরি হয় না। অনেকে ধারণা করেন, খালিপেটে ফল খেলে পাকস্থলীতে গিয়ে ফলের মেটাবলিজম বা বিপাকীয় প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন হয় না।
কিন্তু বাস্তবে এটা সঠিক নয়। কাঁচা ফল বা পাকা ফল যে কোন ধরনের ফলই খাওয়া হোক না কেন পাকস্থলীতে ফলকণা প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ফলের ক্ষতিকর উপাদান এমনকি জীবাণু পর্যন্ত ধ্বংস করে দেয় এবং যথাযথ মেটাবলিজম শুরু হয়। তাই খালিপেটে ফল খেলে কোন ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
তবে যাদের এসিডিটি রয়েছে তাদের সাইট্রাস জাতীয় বা লেবু জাতীয় ফল খালি পেটে না খাওয়াই ভালো। খালি পেটে ফল খেলে তা আপনার দেহের আন্ত্রিক পদ্ধতি বিষমুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা আপনাকে যেমন শক্তি যোগাবে তেমনি ওজন হ্রাস ও অন্যান্য দৈহিক তৎপরতায় যথেষ্ট সহায়তা করবে। খালিপেটে ফল খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ।
- 786 views
- 2 answers
- 0 votes
যদি আগে রাখেন তাহলে ডিম আগে, আর যদি মুরগি আগে রাখেন তাহলে মুরগি আগে।
- 786 views
- 2 answers
- 0 votes