অ্যালবার্ট আইনস্টাইন সম্পর্কে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য কি?
অ্যালবার্ট আইনস্টাইন সম্পর্কে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য কি?
আলবার্ট আইনস্টাইন প্রচন্ড রকমের আত্মভোলা ছিলেন। তিনি সাধারণ সাধারণ বিষয় ভুলে যেতেন। একদিন বাসা থেকে বের হয়েছে অফিসে যাবে। অফিসে যাওয়ার সময় উনি অফিসের ঠিকানা ভুলে গেছে।
তারপরে বেবিট্যাক্সির ড্রাইভারকে বলে,”আচ্ছা তুমি কী আলবার্ট আইনস্টাইনের অফিসের ঠিকানা চিন।”
বেবিট্যাক্সির ড্রাইভার বলে, “আলবার্ট আইন্সটাইনকে তো সবাই চিনে। তাকে চিনবো না কেন? আপনি কী আলবার্ট আইনস্টাইনের অফিসে যাবেন?আলবার্ট আইন্সটাইন বললেন হ্যাঁ। তাহলে আপনি গাড়িতে উঠেন, আমি আপনাকে নামিয়ে দিয়ে আসব।” তারপর আইনস্টাইন অফিসে যায়।
একদিন আলবার্ট আইনস্টাইন ট্রেনে করে অফিস থেকে বাসায় যাবে। টিটি উনার টিকেট চেক করবে। টিকেট চেক করার সময় উনি টিটিকে টিকেটের বদলে অন্য কাগজ বের করে দেখায় এবং বলে যে টিকেট তো হারিয়ে ফেলেছি। টিকেট নেই। তখন টিটি বলে যে “আচ্ছা আপনার টিকেট লাগবে না, স্যার। থ্যাংক ইউ। আমি জানি আপনি যে আত্মভোলা।”
অনেকবার এমন হয়েছে যে উনি উনার বাসায় গিয়েছে। বাসায় গিয়ে উনার ছেলে-মেয়ে কে চিনে না। “তুমি কে? তুমি কার ছেলে? কার মেয়ে” এসব বলে।
এমন আরও কিছু তথ্যঃ
- ১৯৫২ সালে ইসরায়েলের প্রথম প্রেসিডেন্ট ওয়াইজম্যানের মৃত্যুর পর বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনকে অনুরোধ করা হলো ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য। তিনি সবিনয়ে প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দিলেন। তখন তাঁর বয়স ৭৩ বছর। তিনি আনুষ্ঠানিক প্রত্যাখ্যানপত্রে লিখলেন, ‘যথাযথভাবে মানুষের সঙ্গে মেলামেশার স্বাভাবিক প্রবণতা ও অভিজ্ঞতার অভাব আমার রয়েছে, তা ছাড়া আমি বৃদ্ধও হয়ে যাচ্ছি।’
- আলবার্ট আইন্সটাইন মোজা পরতে একদম পছন্দ করতেন না।( যেটা আমিও পছন্দ করি না।)
- এফবিআই(FBI) এর নজরে থাকতেন সবসময়। কারণ তিনি বিভিন্ন সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে কথা বলতেন। এজন্য উনার নামে অভিযোগ ছিল অনেক।
- আলবার্ট আইনস্টাইন নৌকা চালাতে ভালোবাসতেন। নৌকা চালানো ছিল উনার প্রিয় শখ। নৌকা চালাতে গিয়ে উনি নৌকা হারিয়ে ফেলতেন।নৌকা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দিন পাওয়া যেত।
- বেহালা বাজাতে ভালোবাসতেন। তিনি টানা ৭০ বছর বেহালা বাজিয়ে গেছেন।
রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে জুলাই ১৪, ১৯৩০-এর গ্রীষ্মের অপরাহে যখন আইনস্টাইনের দেখা, তখন তাঁদের আলাপের প্রায় পুরোটা জুড়েই ছিল সংগীতের কথা। রবীন্দ্রনাথ বললেন, পিয়ানো তাঁকে হতবাক করে আর বেহালা তাঁকে দেয় তৃপ্তি।
আইনস্টাইন বললেন, ব্যক্তির অনুভূতির সঠিক বিকাশ তখনই সম্ভব, যখন সংগীতের সমৃদ্ধ শৈল্পিক ঐতিহ্য মানুষের মনকে চালিয়ে নিয়ে যায়।
আইনস্টাইনের নিজের কথা,
‘আমি খুব সুখী। কারণ, কারও কাছে আমার কিছু চাওয়ার নেই। আমার টাকার প্রয়োজন নেই। পদক, খেতাব, উপাধি—আমার কাছে এসবের কোনো মানেই নেই। আমি প্রশংসার জন্যও লালায়িত নই। আমার নিজের কাজ ছাড়া একটি মাত্র বিষয় আমাকে আনন্দ দেয়, তা হচ্ছে আমার বেহালা।’
আলবার্ট আইনস্টাইন জীবনে বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির চর্চা সমানতালে চালিয়ে গেছেন। যারা বিজ্ঞানকে ভালোবাসে তারাও যে সংস্কৃতিকে ভালোবাসে। তাদের মনে থাকে কবিতা, গলায় থাকে গান। তারা পড়ালেখার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা করে।
এজন্য আমি বর্তমান প্রজন্মকে বারেবারে শুধু বলিতে চাই ———
বই পড়া আর বই কেনা হোক বর্তমান প্রজন্মের প্রিয় শখ। বই হোক আমাদের আত্মার খাবার। বইয়ের আলাপ ছড়িয়ে পড়ুক আমাদের অন্তরে অন্তরে।