তেল বিহীন খাবার কীভাবে তৈরি করব?

    তেল বিহীন খাবার কীভাবে তৈরি করব?

    Vice Professor Asked on November 3, 2016 in সাধারণ.
    Add Comment
    1 Answer(s)

      আধুনিক যুগে মানুষের জীবন শৈলী এতই আরামদায়ক হয়ে উঠেছে যে সেখানে শারীরিক ব্যায়ামের কোনো স্থান নেই বললেই চলে। বেশিরভাগ লোকই কাজ করতে ভয় পান, খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসও কোনো নিয়মের মাঝে নেই।

      আমরা জানি যে, ফ্যাট হৃদপিন্ডের ধমনীতে বাধার সৃষ্টি করে। আর এটাই কোলেস্টোরেল নামে পরিচিত। এই কোলেস্টোরেল এবং ট্রাইগ্লিসরাইড ধমনীতে স্তরে স্তরে জমাতে থাকে। বিপদের সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করার পর এটি ধমনীগুলির রক্ত প্রবাহতে বাধার সৃষ্টি করে এবং করোনারী ধমনীগুলির রোগের সৃষ্টি করে।

      গত পঞ্চাশ বছর ধরে ধমনীতে বাধা সৃষ্টির জন্য কোলেস্টোরেলকেই প্রধান কারণ বলে মনে করা হত।। কিন্তু গত ১০ বছর ধরে ট্রাইগ্লিসরাইড নামক বনস্পতিকেও ধমনীগুলিতে বাধা দানের জন্য ঠিক ততটাই দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। বনস্পতি ফ্যাট কুকিং অয়েল রুপে পরিচিত। তেল উৎপাদক কোম্পানিগুলি লোকেদের এটাই বোঝানোর চেষ্টা করে যে, তাদের তেল একদমই ক্ষতিকারক নয়। তারা লোভনীয় বিজ্ঞাপনের দ্বারা নিজেদের উৎপাদন বিক্রী করছে। এমনকি তারা তাদের উৎপাদনগুলোকে কোলেস্টোরেল ফ্রি বা জিরো কোলেস্টোরেল বলেও চালিয়ে যাচ্ছে। এটা ঠিক যে দুধ বা মাংস থেকে প্রাপ্ত কোলেস্টোরেল থেকে বনস্পতি ফ্যাট থেকে পাওয়া কোলেস্টোরেল ততটা ক্ষতিকারক না। তবে এই তেলে থাকা ক্যালরি স্থূলতা, ডায়বেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণ হয়ে উঠতে পারে। এজন্য এই খাদ্য থেকে ক্যালরির মাত্রা কমানো খুবই প্রয়োজন।

      প্রায় সবরকম খাদ্যের মধ্যেই কোনো না কোনোভাবে ফ্যাট লুকিয়ে থাকে। তবে এটা নিতান্তই প্রশ্নাতীত যে তেল ছাড়া কিভাবে রান্নায় স্বাদ আনা সম্ভব। এর উত্তর হতে পারে রান্নায় স্বাদ আনে মসলা। আর তেল ছাড়া এই মসলা দেয়ার কথাও চিন্তা করা যায় না। তাই রান্নার সময়ে তেলের সাথে সাথে মসলার চিন্তাও মাথা থেকে বের করে দিতে হবে।

      এই সমস্যাটি থেকেই মূলত জিরো অয়েলের চিন্তা সাওলের মাথায় এসেছিল। এর অর্থ হল এক ফোঁটাও তেল ব্যবহার না করে খাদ্য প্রস্তুত করা। সাওল খাদ্য পদ্ধতিতে মসলা আর পানির সাহায্যে রান্না করা হয় কিন্তু এতে স্বাদ, গন্ধ এবং রং অভিন্নই থাকে।

      সাওল একটা বিষয় বুঝতে পেরেছিলেন যে রান্নায় তেলের পরিবর্তে পানির ব্যবহার অনেকেই মেনে নিতে পারবেন না। এজন্য তিনি পানিকে সাওল তেল বলেন। এর ফলে খাদ্যের মধ্যে কোলেস্টেরেল এবং ট্রাইগ্লিসরাইডের বিপদটি থাকে না। উচ্চ ক্যালরি নিশ্চিহ্ন হওয়ার সাথে সাথে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যায়।

      এটা নিশ্চিত করে বলা যায় যে সাওল তেলে ফ্যাট ও কোলেস্টোরেল একেবারেই থাকে না। এটি ১০০ ভাগই খনিজরুপে শরীরের জন্য ভালো্।

      তেল ছাড়া ভাজার পদ্ধতি :

      – কড়াই গরম করুন।

      – জিরে লাল করে ভেজে নিন।

      – এবার পেঁয়াজ দিয়ে নাড়তে থাকুন। লেগে গেলে অল্প পরিমাণে পানি দিন।

      – প্রয়োজন অনুসারে আদা রসুনের পেস্ট তৈরি করুন।

      – এগুলো লাল না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।

      – এরপর টমেটো পেস্ট আর সামান্য পানি দিয়ে ভাজুন।

      – হলুদ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন কেননা হলুদ মিশতে বেশ খানিকটা সময় লাগে।

      – এবারে স্বাদ মতো মসলা, লঙ্কা আর লবণ দিন।

      – এরপরে সবজি দিন এবং গরম মসলা আর কুচি করা ধনেপাতা দিয়ে পানিতে সিদ্ধ করুন।

      – সবজি সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।

      Professor Answered on November 3, 2016.
      Add Comment
    • RELATED QUESTIONS

    • POPULAR QUESTIONS

    • LATEST QUESTIONS

    • Your Answer

      By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.