ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবার লক্ষণ ও প্রতিকারের সহজ উপায় কি?

    ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবার লক্ষণ ও প্রতিকারের সহজ উপায় কি?

    Doctor Asked on December 9, 2016 in সাধারণ.
    Add Comment
    1 Answer(s)

      শীতের সবচেয়ে সাধারণ সমস্যাটি হচ্ছে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যাওয়া।শীতের ঠান্ডা বাতাস ত্বকের রেশম কোমল ভাব নষ্ট করে দেয়। শীত ছাড়াও অন্য যে কারণে ত্বক শুষ্ক হতে পারে তা হল-জিনগত প্রবণতা,পুষ্টির অভাব ও বয়স বৃদ্ধিজনিত কারণ। Boldsky.com শুষ্ক ত্বকের কিছু লক্ষণ জানিয়েছে-

      ১। ত্বক খুব বেশি টান টান ও শক্ত হয়ে যায় এবং ত্বক তাঁর স্বাভাবিক স্থিতিস্থাপকতা হারায়।গোসল বা সাঁতারের পরে এমন হতে দেখা যায় বেশি।

      ২। ত্বক পানিশূন্য হয়ে যায়।ফলে ত্বক রুক্ষ হয় ও চুলকানি হয়।

      ৩। আঙ্গুল, হাত-পা,গোড়ালি ও গালের ত্বক অমসৃণ হয়ে যায়।

      ৪। অনেক সময় ত্বক লাল হয়ে যায়।বিশেষ করে কপাল ও চিবুক।

      ৫। চুলকানি অনেক সময় তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।

      ৬। শরীরে লালা লাল ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে যা নিজে নিজেই দূর হয়ে যায়।

      ৭। মুখে র‍্যাশের মত সূক্ষ্ম ও সাদা লাইন দেখা যায়।

      ৮। পিলিং হয়, এতে ত্বকের উপরের স্তরটি পরে যায়।ফলে ব্যাথা ও যন্ত্রণা সৃষ্টি হয়।

      ৯। খুশকি হতে দেখা যায় যা হাত ও পায়েও হয়।একে ফ্লেকিং বলে।

      ১০। ত্বক ফেটে যায়।বিশেষ করে ঠোঁট ও হাত-পা এ বেশি হয় ।

      শুষ্ক ত্বকের জন্য বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। সঠিক ভাবে এর পরিচর্যা না করলে ত্বক তার স্বাভাবিক দীপ্তি হারায় এবং ত্বক হয়ে উঠে রুক্ষ ও নিস্তেজ। প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া এমন কিছু উপাদান আছে যা দিয়ে শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যা করা যায়। প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া এই উপাদান গুলো শুধু সস্তা ও সহজ লভ্যই না ত্বককে প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও আদ্রতা দিতেও সক্ষম। আসুন এবার জেনে নেই সেই উপাদান ও তাদের ব্যবহার বিধি।

      দুধ

      দুধে প্রদাহরোধি ও শীতলকারক উপাদান আছে যা চুলকানি ও শুষ্কতার সমস্যা দূর করে। দুধের ল্যাকটিক এসিড মরা চামড়া দূর করে এবং ত্বকের আদ্রতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও দুধ ত্বক ফর্সা করে।

      • –   একটি পরিষ্কার কাপড় ঠাণ্ডা দুধে চুবিয়ে আপনার ত্বকের উপর ৫-৭ মিনিট রাখুন।
      • –   তারপর আর একটি পরিষ্কার কাপড় কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে আপনার ত্বক পরিষ্কার করে নিন।
      • –   একদিন পর পর এটা করুন।
      • –   এছাড়াও ৪ টেবিল চামুচ দুধের মধ্যে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মিশান।
      • –   মিশ্রণটি আপনার সারা শরীরে লাগান।
      • –   ১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
      • –   দিনে দুই বার এভাবে করুন।

      মধু

      অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল ও হিউমেক্টেন্ট উপাদানে সমৃদ্ধ হওয়ায় মধু হচ্ছে সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার।মধু ত্বকের আদ্রতা ধরে রেখে ত্বককে নরম-কোমল করে এবং মধুতে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল আছে যা ত্বককে স্বাস্থ্য বান করে।

      • –   প্রতিদিন গোসলের আগে আপনার সারা শরীরে মধু লাগিয়ে ৫-১০ মিনিট রাখুন।এতে আপনার ত্বক হারানো আদ্রতা ফিরে পাবে।
      • –   এছাড়াও সম পরিমাণ কাঁচা মধু, মধুমোম ও অলিভ ওয়েল নিন।একটি পাত্রে মধুমোম নিয়ে অল্প তাপে গরম করুন।গলানো মোমের সাথে মধু ও অলিভ ওয়েল মিশান।
      • –   মিশ্রণটি আপনার সারা শরীরে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে গোসল করে ফেলুন।
      • –   প্রতিদিন বা একদিন পর পর এটা করতে পারেন।

      আপনার শরীরে আদ্রতা বজায় রাখার জন্য প্রচুর পানি পান করুন,রসালো ফল ও শাকসবজি খান।ভিটামিন সি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার খান। রাতের বেলা ঘুমানোর আগে আপনার ত্বকে ভেসেলিন বা গ্লিসারিন লাগান।এই নিয়ম গুলো অনুসরণ করলে আপনার ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে এবং ত্বক হয়ে উঠবে নরম ও কোমল।

      Professor Answered on December 9, 2016.
      Add Comment
    • RELATED QUESTIONS

    • POPULAR QUESTIONS

    • LATEST QUESTIONS

    • Your Answer

      By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.