বিয়ের প্রথম রাতে সে জিজ্ঞেস করলো আমার কারো সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল কিনা…

আমি যখন ৮ম শ্রেণীতে তখন এক ছেলের সাথে আমার সম্পর্ক হয়। একই শ্রেণীতে পড়তাম। ছেলের ছোট এক বোন ছিল। ছেলেটির বাসা অনেক দুরে কিন্তু তার বাবা এখানে চাকুরি করতো।

৮ম শ্রেণীর শেষের দিকে তার বাবা চাকুরি ছেড়ে বাড়িতে চলে যায়। এসময় সে বিদ্যালয়ে থেকে পরীক্ষা শেষ করে বাড়িতে চলে যায়। এরপর প্রায় ছয় মাস পর পর দেখা হতো আর কথা হতো প্রায় এক মাস পর। তার জীবনের সবকিছু আমাকে জানাতো, আমিও কিছু কিছু জানাতাম। তার ছোট বোন আমাদের সম্পর্কের কথা মায়ের কাছে বলেছিল। এথেকে দুই পরিবার জানাজানি হয় এবং ঈদ উপলক্ষে তার বাবা আমাকে দেখতে আসে। কথা হয় যে পড়াশোনা শেষ হলে বিয়ে হবে।

ছেলেটি সাদাসিধা। আমাকে সে অনেক বিশ্বাস করতো। আমি কলেজে ওঠার পর সে একটা মোবাইল দিয়েছিল কথা বলার জন্য। কিন্তু বিয়ের প্রথম রাতে সে দৈহিক সম্পর্ক করার পর আমাকে জিজ্ঞেস করল আমার করো সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল কিনা। আমি না বলেছিলাম। সে আমার হাত মাথায় রেখে আবার প্রশ্ন করল। আমি কেঁদে বললাম আমার চাচাত ভাই আমাকে জোরপুর্বক করেছিল। সে জানতে চাইল কবে। আমি বললাম ৯ম শ্রেণীতে থাকতে। সে বলল আমাকে জানাওনি কেন? তুমি আমাকে এতটা কষ্ট দিতে পারলে? আমিও যে তাকে খুব ভালবাসি, তার কষ্ট আমি দেখতে পারছিনা । এখন আমি কী করব?

Vice Professor Asked on December 29, 2015 in সাধারণ.
Add Comment
1 Answer(s)

    দেখুন আপু, আপনার পরিস্থিতিটা আসলেই বেশ ঘোলাটে হয়ে গিয়েছে। আপনি চিঠিতে বিস্তারিত অনেক কিছুই লেখেন নি। যেমন ধরুন, বিয়ে হয়েছে কতদিন বা কত বছর বয়সে। ঠিক কত বছর আপনারা প্রেম করেছেন। ছেলেটি কী করে। চাচাতো ভাইয়ের সাথে ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছিল ইত্যাদি। তবে আমি ধরে নিচ্ছি অনেকদিন প্রেমের পরই বিয়ে হয়েছে এবং এখনো আপনারা সংসার করছেন।

    হ্যাঁ আপু, ভুলটা আপনার হয়ে গিয়েছে। জীবনের এই দুর্ঘটনা বিয়ের আগেই স্বামীকে বলে নেয়া অত্যন্ত জরুরী ছিল। সেটা যেহেতু বলেন নি, মানুষটি মনে করছে আপনি তাঁর সাথে প্রতারনা করছেন। অন্যদিকে এটাও সত্য যে আপনার ভালোবাসার চাইতে আপনার শরীরের শুদ্ধতাকেই তিনি বেশি মূল্য দিচ্ছেন, বুঝতে পারছেন না যে আপনার সাথে অন্যায় হয়েছিল। ভালোবাসার চাইতে শরীরটাই তাঁর কাছে মুখ্য হয়ে উঠছে।

    যাই হোক, এখন আপনার একটাই করণীয় সেটা অচ্ছে স্বামীর রাগ প্রশমিত অবার অপেক্ষা করা। আপনি তাঁকে কী হয়েছিল সব বিস্তারিত খুলে বলুন। সাথেও এটাও বলুন যে আপনি ভয় পেয়েছিলেন যে সব জানলে সে আপনাকে ত্যাগ করবে। হারানোর ভয়ে বলেন নি। একইসাথে এটাও জানতে চান যে এখানে আপনার কী দোষ? আরেকজনের অন্যায়ের জন্য স্বামী আপনাকে কেন শাস্তি দিচ্ছেন? তারমানে কি তাঁর কাছে আপনার শরীরটাই সব?

    নিজের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে থাকুন। সংসার আগলে রাখুন। তিনি যদি সত্যি আপনাকে ভালোবেসে থাকেন তো আপনার কষ্ট বুঝবেন ও সব ভুলে আপনার পাশে দাঁড়াবেন। আর ভালোবাসা না থাকলে আসলে ছেড়ে যাওয়ার বাহানার অভাব হয় না। তাঁরও হবে না।

    Professor Answered on December 29, 2015.
    Add Comment
  • RELATED QUESTIONS

  • POPULAR QUESTIONS

  • LATEST QUESTIONS

  • Your Answer

    By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.