ভালো থাকার উপায় কী?
প্রশ্নটিতে অনেক সুন্দর উত্তর দিয়েছেন কিন্তু নাজমুল ভাই। অন্যরাও বেশ ভালো ভালো কথা লিখেছেন। এরপরও সুখী মানুষ হিসেবে দুই একটা কথা তো লেখা যায়ই
- ‘অর্থই অনর্থের মূল’ টাইপ কথায় কান দেয়া উচিৎ নয়, এগুলো পয়সাওয়ালা লোকের কথাবার্তা। সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা খুবই প্রয়োজনীয়, একেবারে নূন্যতম হলেও। আপদ বিপদে অনেকটা হালকা অনুভব করবেন।
- লোকের কথায় কান না দিয়ে নিজের কাজ করতে থাকুন। একসময় আপনার কর্মফলই লোকেদের জবাব দিয়ে দিবে।
- লোভ সংবরন করতে শিখুন, হতে পারে সেটা অর্থের লোভ, ক্ষমতার লোভ, ভালোবাসার লোভ। (একটু আগেই কিন্তু সঞ্চয়ের কথা বলেছি, এটাকে আবার লোভের সাথে গুলিয়ে ফেলেন না যেন!)
- অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করা টোটালি বন্ধ করে দিন। এই একটা জিনিসই আপনাকে অনেকখানি ভালো রাখবে।
- সোশ্যাল মিডিয়া যতটা পারেন কম ব্যবহার করুন। ফেইসবুকের কথায় ধরুন না! লগ ইন করলেন, এরপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রল করতে থাকলেন। এতে যে শুধু সময়গুলো অপচয় হলো তাই নয়, বিভিন্ন ঘটনা বিষয়বস্তু ধীরে ধীরে আপনাকে হতাশার দিকে নিয়ে যাবে।
- পরিবারকে সময় দিন। পারিবারিক সুখ শান্তি ছাড়া সামগ্রিক ভালো থাকা অসম্ভব। শত ব্যস্ততার মাঝেও তাই বিষয়টি আপনাকে মেইনটেইন করতেই হবে।
- ২/৩ মাস পর পর হলেও নূন্যতম ১ দিনের জন্য ট্যুর প্রয়োজন। দিন সংখ্যা ২/৩ দিনে নিতে পারলে আরও ভালো। এটা আপনাকে কর্মব্যস্ততার গ্লানি থেকে অনেকখানি মুক্তি দিবে।
- নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হোন নিজের স্বার্থেই। শরীর ঠিক তো দুনিয়া ঠিক। নিয়মিত ব্যায়াম করুন, ঠিকঠাক খাবার খান।
- বই পড়ার অভ্যাস করুন।
- মানুষের কথা শুনেই নাচানাচি করার অভ্যাস আমাদের বেশ রয়েছে। যাচাই-বাছাই করতে শিখুন।
- বন্ধুকে উপকার করে ভাবলাম সে-ও আমার বিপদে ঝাপিয়ে পড়বে— এরকম চিন্তা মাথা থেকে পুরোপুরি দূর করে দিন, দেখবেন অনেকটা ভালো অনুভব করছেন। চাওয়া পাওয়ার ভারসাম্য নষ্ট হবার জন্যেই কিন্তু মনে অসুখ দানা বেধে ওঠে।
- মানুষের সাথে ভালো আচরণ করুন, বিপদ আপদে নিঃস্বার্থ উপকার করুন।
- আমরা সবাই যেন একেকটা আবেগের বস্তা। অযাচিত আবেগ পরিহার করুন। একটা উদাহরণ দেই। একবার বন্ধুকে বললাম ক্রিকেট খেলা দেখা তো পুরাই সময় নষ্ট, এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার কোন মানেই নেই, হোক সে বাংলাদেশের খেলা। ব্যস, বন্ধু আমাকে দেশদ্রোহী বানিয়ে দিল!
- কোন কাজকেই ছোট করে দেখবেন না। যে কাজের মধ্যেই থাকুন না কেন, উপভোগ করুন।
- অযাচিত তর্কাতর্কি থেকে বিরত থাকুন।
- শেষ কথা, মাত্রাতিরিক্ত চিন্তাভাবনা করবেন না। সবকিছু ঠিকঠাক থাকা সত্বেও এই চিন্তাই আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দিতে যথেষ্ট।