একটি শিক্ষণীয় গল্প বলবেন কি?

    একটি শিক্ষণীয় গল্প বলবেন কি?

    Doctor Asked on January 18, 2024 in অনুসরণ.
    Add Comment
    1 Answer(s)

      ছেলে : **”বাদাম খাবে?”

      মেয়ে : “না, তুমি খাও।”

      ছেলে :”আরে একটু খাওনা। আমি ছিলে দিচ্ছি, নাও একটু খাও।”

      মেয়ে :”একটু সিরিয়াস হবে? তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।”

      ছেলে :”সিরিয়াস কথা বলবে তো বল কিন্তু এই বাদাম কি দোষ কি করল? এত গুল বাদাম কি আমি একা খাব নাকি? নাও খাও।”

      মেয়ে :”রুদ্র বি সিরিয়াস, প্লিস। আমি কাল তোমাকে দেখেছি।”

      ছেলে :”আমি তো রোজই তোমার এই সুন্দর মুখটা দেখি আমার স্বপ্নে। তোমার লম্বা কাল চুল। কাজল দেয়া চোখ, মুখে এক চিলতে হাসি। “

      মেয়ে :”কাল তোমাকে আমি একজনের সাথে দেখেছি স্টেশনে। উনি কে?”

      ছেলে : “আরে এত সিরিয়াস হচ্ছ কেন? উনি আমার এক আত্মীয়। কেন কিছু হয়ছে নাকি?”

      মেয়ে :”কেমন আত্মীয়?”

      ছেলে : “………….. …….”

      মেয়ে :”ওভাবে তাকিয়ে না থেকে আমার প্রশ্নের উত্তর দাও রুদ্র।”

      ছেলে :”একটা জিনিস খেয়াল করেছ? তুমি যখনি আমার উপর খুব রাগ হও তুমি আমাকে আমার নাম ধরে ডাক। ইশ! তোমাকে নিয়ে আমি কি করব বলত? তুমি যদি এমন ভাবে আমার নাম ধরে রাগে মুখ লাল করে ডাক তাহলে তো আমি তোমার প্রেমে ফানা হয়ে যাব। তুমিএত cute কেন বলত?”

      মেয়ে :”তুমি আমার প্রশ্নের উত্তর দাওনি।” neutral

      ছেলে :”আচ্ছা আচ্ছা দিচ্ছি ম্যাডাম। জো হুকুম আপনার। উনি আমার পিতা মহাদয়।”

      মেয়ে :”ওই লোকটা কি করে?”

      ছেলে :”লোকটা? উনি মুদির দোকানে কাজ করে গ্রামে।”

      মেয়ে :”এই জন্যই তো ওরকম ক্ষ্যাত। কি রকম ছেঁড়া একটা স্পঞ্জের স্যান্ডেল পরে ছিল। আর চুলে কেমন তেল দিএ রেখেছিল, দেখলেই ঘিন্না করে। কিরকম করে লুঙ্গির উপর পাঞ্জাবি পরে ছিল দেখলেই জোকার লাগে। হা হা হা হা।”

      ছেলে :”তুমি জান তোমার হাসিটা কি সুন্দর? তোমার এই হাসি দেখেই আমি তোমার প্রেমে পরেছিলাম। কিন্তু কি আশ্চর্য আজ তোমার হাসিটা খুব কুৎসিত লাগছে।”

      মেয়ে :”রুদ্র! তুমি আর কথা বলনা। তোমার লজ্জা করে না এমন একটা গাঁইয়াকে বাবা বলে ডাকতে? এতদিন তুমি আমার সাথে প্রতারণা করেছ। তুমি আমাকে তোমার বাবার সম্পর্কে কিছু বলনি কেন?”

      ছেলে :”হ্যাঁ আমি অনেক বড় প্রতারণা করে ফেলেছি আমার সৎ খেঁটে খাওয়া বাবার কথা না বলে যিনি আমাকে কষ্টকরে টাকা পাঠিয়েছেন টিউশনের…

      *************************************

      বন্ধু : “আরে দোস্ত এখানে একা বসে কি করিস?”

      রুদ্র -“কি আর করব। দেখছিস না বাদাম খাচ্ছি।”

      বন্ধু :”এত গুল বাদাম একা খাচ্ছিস? ওহ! আর thanks রে। কাল আমার ক্লাসটার জন্য আব্বাকে আনতে যেতে পারিনি। তুই যদি স্টেশন থেকে না আনতি তাহলে আব্বা যে কি করে কি করত কে জানে।”

      রুদ্র – “আরে না কি যে বলিস। কেমন আছে চাচা? আর ওরকম একজন মানুষের সাথে পরিচয় হতে পারাই তো ভাগ্যের ব্যাপার। চাচা যত কষ্ট করে তোকে বড় করেছে।”

      বন্ধু :”হ্যাঁ সত্যি আব্বা অনেক কষ্ট করে বড় করেছেন আমাদের। তুই তো সব জানিস। তোর আব্বার খবর কি? দেশে ফিরেছেন?”

      রুদ্র – “না, ৬ তারিখ ফিরবে। এখন আছে ব্যবসা নিয়ে। কত যে টাকা কামাবে কে জানে।”

      বন্ধু :”চিন্তা করিস না দোস্ত। তিথি কই রে? সবসময় তোদের দুইজনকে একসাথেদেখি।”

      রুদ্র – “চিত্ত বিনে বিত্তে আশ

      এতেই তার পূর্ণ শ্বাস।”

      বন্ধু :”মানে?” confused

      “কিছু না। চল উঠি। অনেক দিন আব্দুল চাচার চা খাওয়া হয়না। আজ দুজনে মিলে খাব চল….।

      Professor Answered on January 18, 2024.
      Add Comment
    • RELATED QUESTIONS

    • POPULAR QUESTIONS

    • LATEST QUESTIONS

    • Your Answer

      By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.