Nazmus's Profile
Doctor
211
Points

Questions
56

Answers
2

  • ওয়ার্ডপ্রেস এ প্লাগইন চালু করা হয়েছিল WordPress 1.2 এ সে সময় প্লাইন ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীদের জন্য আশীর্বাদস্বরুপ হয়ে এসেছিল। Wp-beginner এ দেখেছিলাম তারা এ সম্পর্কে লিখেছিল “WordPress without plugins is like a toy store with no toys” বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেস-এর ২১,০০০ এর চেয়েও বেশী ফ্রী প্লাগইন রয়েছে। প্লাগইন এর উপকারিতা হল আপনি এর মাধ্যমে প্রায় সবকিছুই করতে পারবেন।

    আমাদের অনেকের ধারণা যে কম প্লাগইন ব্যবহার করলে ওয়ার্ডপ্রেস দ্রুতগতিসম্পন্ন থাকবে আর বেশী প্লাগইন ব্যবহার করলে ওয়ার্ডপ্রেস ধীরগতিসম্পন্ন হবে। এটি কিন্ত সঠিক নয়, এই ধরণের ধারণা এসেছিল খারাপ ভাবে কোডিং করা কিছু প্লাগইন থেকে, বলা যেতে পারে কিছু বেশী-ই। কিন্ত সাধারন সেসব প্লাগইন রয়েছে সেগুলো কখনো-ই ওয়ার্ডপ্রেসকে ধীরগতিসম্পন্ন করবে না, শুধুমাত্র খারাপ ভাবে কোডিং করা প্লাগইন করবে।

    এটিও মনে করা হয় যে প্লাগইন ব্যবহার না করে ম্যানুয়ালি কোড বসায়ে আপনি আপনার ওয়ার্ডপ্রেস-এর Speed বজায় রাখলেন। এটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। ধরুন আপনি ৩০টি code snippets বিভিন্ন জায়গা থেকে কপি করে পেস্ট করলেন, তাহলে আপনি ৩০টি প্লাগইন ইনস্টল করলেন। ধরুন আপনার কোড কপি করতে কিছু বাদ হয়ে গেল, আবার পেস্ট করতে কিছুর আগে করে ফেললেন এতে করে আপনার সাইট Crash করতেপারে এমন কি অনেক স্লো হয়ে যেতে পারে। তখন আর আপনি বুঝতে পারবেন না কি কারণে স্লো হয়ে গেল।

    Wp-Begginner এ বর্তমানে ৫৩টি আক্টিব প্লাগইন রয়েছে। আর তাদের হোম পেজ এর লোডিং টাইম কয়েক মিলি সেকেন্ড। এর প্রমান দেখতে চাইলে https://tools.pingdom.com  এ গিয়ে তাদের হোম পেজ এর লিংক দিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। (বিভিন্ন সময়ে কিছু পার্থক্য হতে পারে তবে অনেক কম)

    এখন অন্য প্রশ্ন:- কতগুলো প্লাগইন আপনার ব্যবহার করা উচিত?

    উত্তর: আপনার যতগুলো প্রয়োজন।

    প্লাগইন ইন্সটলের কিছু সাবধানতা:

    ১. কতবার প্লাগইনটি ডাউনলোড করা হয়েছে।

    ২. প্লাগইন-এর রেটিং।

    ৩. কতজন বলেছে প্লাগইনটি কাজ করে বা কাজ করে না।

    ৪. প্লাগইনটির রিভিউ দেখে নিন।

    ৫. কে বা কারা প্লাগইনটি তৈরী করেছে তার বিশ্বাসযোগ্যতা দেখে নিন।

    পরিশেষে এই সিদ্ধান্তে আশা যায় যে বেশী প্লাগইন আপনার সাইটকে স্লো করে দেয় না, ত্রুটিপূর্ণ প্লাগইন আপনার সাইটকে স্লো করে দেয়। আর আপনার যত প্রয়োজন প্লাগইন ব্যবহার করুন। ম্যনুয়ালি কোড কপি পেস্ট করা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকুন, কারন এতে ঝুকির পরিমান আনেক বেশী।

    • 759 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • স্বাভাবতই আমাদের মনে প্রশ্ন আসে যে, যদি পুরুষদের বহুবিবাহের অনুমতি থাকে তবে নারীদের নেই কেন? কারন, ইসলামের মুল ভিত্তিই হল সমতা ও ন্যায়বিচার। আল্লাহতা’লা সমতা রক্ষা করেই নারী ও পুরুষ সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু নারী ও পুরুষের সামর্থ্য ও দায়িত্ব আলাদা। শারীরিক ও মানসিক উভয় দিক থেকেই নারী ও পুরুষ ভিন্ন। ইসলামে নারী ও পুরুষকে সমান দৃষ্টিতে দেখা হয় কিন্তু তারা নিশ্চয়ই এক নয়।

    সুরা নিসায় (৪:২২-২৪) এমন নারীদের তালিকা দেয়া আছে যাদের মুসলমান পুরুষ বিয়ে করতে পারে না। সেখানে বিবাহিত নারীদের কথাও বলা আছে। অর্থ্যাৎ, বিবাহিত নারীদের বিয়ে করা মুসলমান পুরুষদের জন্য নিষিদ্ধ।

    একজন পুরুষ যদি একাধিক বিয়ে করে তাহলে সহজেই তার সন্তানের পরিচয় পাওয়া যায়। অর্থ্যাৎ, আলাদাভাবে সেই সন্তানের পিতা-মাতা সনাক্ত করা সম্ভব। কিন্তু যদি একজন নারী যদি একাধিক বিয়ে করে তাহলে জাত সন্তানের পিতার পরিচয় নিয়ে সংশয় হতে পারে। ইসলামে মাতা-পিতা উভয়েরই সণাক্তকরণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
    মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, যে সন্তান তার মাতা-পিতা এবং বিশেষত পিতার পরিচয় জানে না তারা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। জীবনের প্রতি পদক্ষেপেই সন্তানের তার পিতার নামের প্রয়োজন হবে।
    সেক্ষেত্রে সেই সন্তানের পিতার নাম কি একাধিক হবে? যদিও আমরা জানি যে, বর্তমানে বিজ্ঞান যথেষ্টই উন্নতি সাধন করেছে এবং আজকাল নিভূলভাবে পিতা-মাতার সণাক্তকরন সম্ভব। সেক্ষেত্রে হয়তো বিষয়টি বর্তমানের জন্য প্রযোজ্য নয়।

    প্রকৃতিগতভাবেই বহুবিবাহের ক্ষেত্রে নারীদের চেয়ে পুরুষেরা বেশি আগ্রহী। একইকারনে, একজন পুরুষ একের অধিক স্ত্রীর প্রয়োজন পূরণে সক্ষম। কিন্তু একজন নারী সাধারনত এই সক্ষমতার অধিকারী নয়। আলাদা আলাদা পুরুষের প্রয়োজন পূরণ করতে গিয়ে একজন নারী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হতে পারে।

    শারীরিক প্রয়োজন পূরণের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। শারীরিক প্রয়োজন মেটানোর তাগিদ নারীর চেয়ে পুরুষের বেশি। যদি নারীর একাধিক স্বামী থাকে তবে দেখা যাবে, একই সময়ে তাকে একাধিক পুরুষের প্রয়োজন পূরণ করতে হতে পারে। আর এভাবে যৌণবাহিত বিভিন্ন রোগের ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবণা অত্যধিক। কিন্তু বিপরীতক্রমে, একজন পুরুষের একাধিক স্ত্রী থাকার ক্ষেত্রে এই সমস্যার উদ্ভব হয় না। এই সাধারন কারনগুলো সহজেই বোঝা যায়, তবে হয়তো আরও বহু কারন রয়েছে যার জন্য নারীদের বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করা হয়েছে যা আমাদের পক্ষে জানা দুঃসাধ্য।

    • 1882 views
    • 1 answers
    • 0 votes