ধূমপানের হুকুম কি?
ধূমপানের হুকুম কি?
Add Comment
ধূমপান হারাম, কেননা তা অপবিত্র এবং বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি বহন করে, আর আল্লাহ তা‘আলা তার বান্দাদের জন্য ভাল পবিত্র খাবার ও পানীয় হালাল করেছেন, পক্ষান্তরে অপবিত্র জিনিস তাদের উপর হারাম করেছেন। তিনি বলেন :
﴿ يَسَۡٔلُونَكَ مَاذَآ أُحِلَّ لَهُمۡۖ قُلۡ أُحِلَّ لَكُمُ ٱلطَّيِّبَٰتُ ﴾ [المائدة: ٤]
‘‘তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে যে, তাদের জন্য কি হালাল করা হয়েছে? বলুন: সকল প্রকার ভাল পবিত্র জিনিস তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে।’’ [সূরা মায়েদা: ৪]
তিনি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গুণাগুণের ব্যাপারে বলেন:
﴿يَأۡمُرُهُم بِٱلۡمَعۡرُوفِ وَيَنۡهَىٰهُمۡ عَنِ ٱلۡمُنكَرِ وَيُحِلُّ لَهُمُ ٱلطَّيِّبَٰتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيۡهِمُ ٱلۡخَبَٰٓئِثَ ﴾ [الاعراف: ١٥٧]
“তিনি তাদেরকে ভাল কাজের নির্দেশ দেন এবং মন্দ কাজ হতে নিষেধ করেন এবং তাদের জন্য পবিত্র জিনিস হালাল করেছেন এবং অপবিত্র জিনিস তাদের উপর হারাম করেছেন।” [সূরা আ‘রাফ : ১৫৭]
আর সকল প্রকার ধূমপান অপবিত্র, এর মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই। এমনিভাবে সকল প্রকার নেশা জাতীয় জিনিস অপবিত্র, কাজেই সিগারেট পান করা, তা বিক্রি করা এবং এর ব্যবসা করা কোনো ক্রমেই জায়েয নেই, যেমন মদ। ধূমপায়ী এবং এর ব্যবসাকারীর উপর ওয়াজিব হলো তাওবা করে বিনীত হয়ে আল্লাহর নিকট ফিরে আসা এবং অতীত কর্মের উপর লজ্জিত হওয়ার সাথে সাথে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজে ফিরে না আসার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা। যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট খাঁটি তাওবা করবে আল্লাহ তার তাওবা কবুল করে থাকেন।
তিনি বলেন:
﴿ وَتُوبُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ ٣١ ﴾ [النور: ٣١]
“হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, হয়তো তোমরা সফলকাম হতে পারবে।” [সূরা নূর: ৩১]
অন্যত্র তিনি বলেন:
﴿ وَإِنِّي لَغَفَّارٞ لِّمَن تَابَ وَءَامَنَ وَعَمِلَ صَٰلِحٗا ثُمَّ ٱهۡتَدَىٰ ٨٢ ﴾ [طه: ٨٢]
“আমি ক্ষমাশীল সেই ব্যক্তির জন্য, যে ব্যক্তি তাওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, অতঃপর হেদায়েত প্রাপ্ত হয়।” [সূরা তাহা : ৮২][5]