শেয়ার বাজারের ধারনা কীভাবে এবং কারা তৈরী করে?
শেয়ার বাজারের ধারনা কীভাবে এবং কারা তৈরী করে?
“এক কথায় বলতে গেলে কোনো কোম্পানি মূলধন সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তার উদ্দিষ্ট প্রাথমিক মূলধনকে কতোগুলো ছোট অংশে ভাগ করে জনগণের কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়, এই প্রত্যেকটি অংশকে এক একটি শেয়ার বলে।“ কিভাবে শুরু করা যায় প্রাপ্ত বয়স্ক মানে ১৮+ যে কেউ শেয়ার ব্যবসায় আসতে পারেন। তবে তার জন্য প্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হলো ব্যাংকে সঞ্চয়ী (savings) হিসাব খুলতে হবে। এরপর সেই ব্যাংক হিসেবের বিপরীতে CDBL (সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অফ বাংলাদেশ লিমিটেডের) অধীনে বিও (বেনিফিসিয়ারি অনার) একাউন্ট খুলতে হবে। মানে সোজা বাংলায় আপনি যে কোনো ব্রোকার হাউসে থেকে এ বিও একাউন্ট খুলতে পারেন। এ বিও একাউন্ট খোলার পর একজন বিনিয়োগকারী প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি উভয় মার্কেটে শেয়ার ব্যবসা করতে পারেন। বিও একাউন্ট খুলতে যা লাগবে ব্যাংক স্টেটমেন্ট। ব্যাংক সার্টিফিকেট/ভোটার আইডি/পাসপোর্ট। একজন আইডিটেন্টি ফাইয়ার। পাসপোর্ট সাইজের ছবি। একজন নমিনি। একজন বিনিয়োগকারী দুটির বেশি বিও একাউন্ট খুলতে পারেন না। সেজন্য তাকে সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা দিতে হবে। মানে ব্রোকার হাউজ বিশেষ এই দর কম বেশি হয়। প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি শেয়ার এর পার্থক্য প্রত্যেক বছর বেশ কিছু কোম্পানি IPO (ইনিশিয়াল পাবলিক অফার ) দিয়ে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হয়। একটি কোম্পানি যখন প্রথমবারের মতো বাজারে প্রবেশ করে বা শেয়ার বাজারে ছাড়ে তাকে প্রাইমারি শেয়ার বলে। যখন আপনি B.O. Account খুলবেন, তারপর আপনাকে ঐ কোম্পানীর প্রাইমারী শেয়ারের আবেদন পত্রটি সংগ্রহ করতে হবে এবং ঐখানে যেসব ব্যাংক এর লিস্ট থাকবে তার যে কোন একটি ব্যাংক এ তা জমা দিতে হবে। আর যেটাই করেন না কেন, সবকিছুই করতে হবে আপনার একটি Broker House এর মাধ্যমে। প্রাইমারি শেয়ার একবার বাজারে বিক্রি হয়ে গেলেই তা সেকেন্ডারি হয়ে যায়। তখন সেটা সেকেন্ডারি মার্কেট চলে আসে আর সেই শেয়ার সেকেন্ডারি শেয়ার বলে গণ্য করা হয়। সেকেন্ডারি মার্কেটে আপনি ইচ্ছা মতো শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন। পুঁজি ও ঝুঁকি কেমন বাংলাদেশে শেয়ার বাজারে বর্তমানে দুটা ক্যাটাগরিতে শেয়ার লেনদেন হয়ে থাকে। প্রাইমারি(আইপিও) এবং সেকেন্ডারি। প্রাইমারি শেয়ারের জন্য আবেদন করতে খুব বেশি টাকার প্রয়োজন হয় না। প্রাথমিক শেয়ারের ক্ষেত্রে ঝুঁকি খুবই কম। সেকেন্ডারি মার্কেটে লাভের সম্ভাবনা যেমন আছে তেমনি ঝুঁকিও বেশি আছে। না বুঝে সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করা ঠিক নয়। তাই কোনো রকম গুজবে কান না দিয়ে বুঝে-শুনে বিনিয়োগ করাই ভাল। পেশাদার সেকেন্ডারি ব্যবসায়ী বেশি টাকা নিয়া শুরু করতে হবে। বাংলাদেশে শেয়ার বাজারে শতকরা ১০০ জন এর মাঝে • ৪০ শতাংশ বাজারের কিছুই জানেন না। • ৫০ শতাংশ কিছু কিছু জানেন। • আর ১০ শতাংশ আছেন যারা মোটামূটি পূরো বাজার নিয়ন্ত্রন করেন।