খাদ্য প্রস্তুতির জন্য নির্ধারিত প্রক্রিয়াটি কী?
সঠিক পদ্ধতিতে খাদ্য প্রস্তুত করতে চাই যেটি আমাদের শরীরের ক্যালরি বাড়াবে না এবং সর্বোপরি শরীরের ওজন কমিয়ে আনবে। খাদ্য প্রস্তুতির জন্য নির্ধারিত প্রক্রিয়াটি কী?
এটা জানা কথা যে আমাদের দেশের রান্নায় প্রচুর পরিমাণে ঘি বা তেল দেওয়া হয় যেগুলো হৃদরোগীদের পক্ষে বিপজ্জনক। আমরা নিম্নলিখিত প্রক্রিয়ায় খাদ্য প্রস্তুত করতে পারি।
ক) ঝলসানো : ঝলসানোর কাজটি ওভেনে ১২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে ২৬০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় করা হয়ে থাকে। এতে সাধারণত পাপড়, পাউরুটি, কেক বা বিস্কুটের জন্য বেকিং করা হয়ে থাকে। খাদ্যকে শুকনো আর সিক্ত করা হয়ে থাকে। সিক্ত খাবার বানানোর জন্য প্রথমে তাপমাত্রা সিক্ত হওয়া প্রয়োজন যাতে ঠান্ডা পদার্থ অনুকূল তাপমাত্রায় আসতে পারে। ওভেনে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার তাপের মাধ্যমে ঝলসানো বা পরিপাক করা হয়ে থাকে। কনভেকশান তরঙ্গ ওভেনের তাপমাত্রাকে একই আকারে রাখে। এই প্রক্রিয়ায় একদমই তেলের প্রয়োজন হয় না এবং খাদ্যও সুস্বাদু হয়।
খ) সেদ্ধ : সেদ্ধ করার অর্থ হল পানি দিয়ে রান্না করা। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পানি তাপে পরিবর্তিত হয়। এই প্রক্রিয়াতে যে বাসনে রান্না করা হয়, পানি তার থেকে তাপ গ্রহণ করে থাকে। তাপ বেশি হয়ে গেলে খাদ্য ফুটতে শুরু করে। পানি তাপের কুপরিবাহী, ফলে সেদ্ধ করার জন্য তাপ বেশি লাগে। পানির স্ফুটনাঙ্ক ১০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। বেশি তাপে এর স্বরুপ পরিবর্তিত হতে থাকে।
গ) ভাপে খাদ্য প্রস্তুত : ভাপের সাহায্যেও খাদ্য প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। একে প্রেসারকুকিং বলে। এই প্রক্রিয়ায় রান্না করার জন্য সিক্ত তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। এতে খাদ্য প্রস্তুত করার জন্য সামান্য পানির প্রয়োজন পড়ে। এই পানি থেকেই বাষ্পের সৃষ্টি হয়। প্রেসার কুকারের মাধ্যমে অনেক কম সময়ে খাদ্য তৈরি হয়ে থাকে।
তথ্যসূত্র :
ওজন কমানোর জন্য ২০১ টি পরামর্শ
ডাঃ বিমল ছাজেড়