ফৌজদারী আইনে গুরুতর আঘাত বলতে কি বুঝায় ?
বাংলাদেশের দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৩২০ ধারায় নিন্ম লিখিত আঘাত সমূহকে গুরুতর আঘাত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
১. পুরুষত্বহীন করণ।
২. স্থায়ীভাবে যেকোন চোখের দৃষ্টিশক্তি বা জ্যোতি নষ্ট করণ।
৩. স্থায়ীভাবে যে কোন কানের শ্রবণশক্তি নষ্ট করণ।
৪. যেকোন অঙ্গ বা গ্রন্থির অনিষ্টসাধন।
৫. দেহের যেকোন অঙ্গের বা গ্রন্থির কর্মশক্তি নাশ বা স্থায়ী ক্ষতিসাধন।
৬. মাথা বা মুখমন্ডল স্থায়ী ভাবে বিকৃত করণ।
৭. যেকোন হাড় বা দাত ভাঙ্গা বা স্থানচ্যুত করণ।
৮. যে আঘাত আহত ব্যক্তিকে মেরে ফেলে না কিন্তু তার জীবন বিপন্ন করে বা যে আঘাতের ব্যথা বিশ দিনের বেশী স্থায়ী থাকে এবং এর ফলে আহত ব্যক্তি তার নিজের কাজ করতে অক্ষম হয়ে পড়ে।
ইচ্ছাকৃত গুরুতর আহত এর শাস্তি:
দণ্ডবিধির ৩২৫ ধারা অনুযায়ী যদি কোন ব্যক্তি, ৩৩৫ ধারায় বর্নিত ক্ষেত্র ব্যতিরেকে অন্য কোন ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাত দান করে, তবে উক্ত ব্যক্তি সাত বছর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হবে।
লিখেছেন :
অ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
–