দই খাওয়া অনেকের বেশ পছন্দের হলেও টক দই অনেকেই খেতে চান না। দই বলতে আমরা মূলত বুঝি মিষ্টি বা টক-মিষ্টি দই। কিন্তু স্বাদের দিক থেকে একটু কম হলেও টকদই আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেশ কার্যকরী। এটি মিষ্টি এবং টক-মিষ্টি দইয়ের চাইতে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো। প্রতিদিন মাত্র ১ কাপ টকদই খাওয়ার অভ্যাস নানা শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে খুব সহজেই। যদি টকদই এমনি খেতে পছন্দ না করতে পারেন তাহলে এতে কিছু ফল কেটে দিয়ে খেয়ে ফেলুন, এতেও কাজ দেবে।
১) উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে
অ্যামেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের হাই ব্লাড প্রেসার রিসার্চ ২০১২ এর গবেষণায় পাওয়া যায় যারা প্রতিদিন অন্তত ১ কাপ টকদই খান তাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা অন্যান্যদের তুলনায় প্রায় ৩১% কম থাকে।
২) ইষ্ট ইনফেকশন প্রতিরোধ করে
টক দইয়ে রয়েছে ল্যাক্টোব্যাসিলাস অ্যাসিডোফিলাস যা ইষ্ট ধ্বংস করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন মাত্র ৬ আউন্স টকদই দূর করবে ইষ্ট ইনফেকশনের সমস্যা।
৩) কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
ল্যাক্টোব্যাসিলাস নামক যে ব্যাকটেরিয়া টকদইয়ে রয়েছে তা কোলনে ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়ায় যা কোলনের প্রতিরক্ষায় কাজ করে। এই ভালো ব্যাকটেরিয়া খারাপ মাইক্রোঅর্গানিজম ধ্বংস করে।
৪) দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা
টকদই ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিনের অনেক ভালো একটি উৎস। এই দুটি উপাদান দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায় অনেক বেশি সহায়তা করে।
৫) হাড়ের সমস্যা দূর করে
টক দইয়ের ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’ আমাদের হাড়ের গঠন মজবুত করতে সহায়তা করে। এবং হাড়ের নানা সমস্যা জনিত রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৬) হজম সমস্যা প্রতিরোধ করে
টকদই হজমে সহায়তা করে। টকদইয়ের এনজাইম বদহজম প্রতিরোধে সহায়তা করে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে টকদইয়ের জুড়ি নেই।
৭) রক্তের কলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণে রাখে
টকদইয়ে ফ্যাট কম থাকে, এতে করে রক্তের ক্ষতিকর কলেস্টোরল ‘এলডিএল’ কমাতে সাহায্য করে।
সূত্রঃ top10homeremedies