|
কথা বলতে গেলে কথা বেধে যায়, কী করতে পারি?
কথা বলতে গেলে কথা বেধে যায়, কী করতে পারি?
Add Comment
কথা বলার সময় বেধে যাওয়া একপ্রকার তোতলানো। এ রোগটি মনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অনেক সময় দেখা যায় যে কাছের মানুষে যেমন বাবা, মা, ভাইবোন অথবা কোনো বন্ধুর সঙ্গে কথা বলার সময় সমস্যাটা কম হয়। আবার নতুন কোনো পরিবেশে গেলে তোতলানো বেড়ে যায়, যেমন অফিসের উপরস্থ কর্মকর্তা বা শিক্ষকের সামনে বা সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তির সামনে। এর কারণ আবেগপ্রবণ হয়ে যাওয়া বা ভয় পাওয়া।
এর প্রাথমিক চিকিৎসা হচ্ছে কখনো আবেগপ্রবণ না হওয়া। অর্থাৎ ভয় না পাওয়া, রাগ না করা, লজ্জা না পাওয়া বা হতাশ না হওয়া। এসব কারণে সমস্যা বাড়তে থাকে। এ সমস্যা যাদের আছে তাঁদের উচিত নিজেকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে না রাখা, সমাজের ছোট-বড় সবার সঙ্গে মেশা এবং কথা বলা। কথা বলার সময় তাড়াতাড়ি বলার চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ধীরে ধীরে কথা বলতে হবে এবং অন্যের কথা মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। এমনও হতে পারে যে আপনি কোনো অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন, হঠাৎ কোনো এক জায়গায় বেধে গেছেন আর বলতে পারছেন না। সমাজের অনেকেই হাসছে বা কিছু লোক ব্যঙ্গ করছে। তখন আপনাকে খুব অসহায় মনে হচ্ছে। আপনি আপনার সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না।
স্পিচ থেরাপি একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। এ পদ্ধতির মাধ্যমে ধীরে ধীরে তোতলানো সেরে যায়। আপনি সেই থ্যরাপি গ্রহণ করতে পারেন।