মুগডাল রান্না কিভাবে করব?
মুগডাল রান্না কিভাবে করব?
উপকরণ ও পরিমানঃ
– ২৫০ গ্রাম মুগ ডাল
– দুইটা/তিনটে মাঝারি পেঁয়াজ কুঁচি
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ
– রসুন কুঁচি, ৬/৭ কোষ
– আদা বাটা, এক টেবিল চামচ
– হাফ চা চামচ হলুদ গুড়া
– হাফ চা চামচ বা তার কম লাল মরিচ গুড়া,
ঝাল বুঝে
– লবন, পরিমান মত, শুরুতে কম দিয়েই রান্না
শুরু করা উচিত, লাগলে পরে দিতে পারবেন
– পানি, পরিমান মত
– তেল, পরিমান মত (আমি কমেই রান্না
করেছি)
– ধনিয়া পাতা কুঁচি
– হাফ চামচ চিনি (টুইস্ট)
প্রনালীঃ
* ডাল প্রিপারেশন
মুগ ডাল প্রথমে ভেঁজে নিতে হবে, কড়া
ভাঁজা নয়, মুগ ডাল ভাঁজতে গেলে একটা
সুন্দর ঘ্রান বের হয়, ঘ্রান বের হলেই ভাঁজা
বন্ধ করতে হবে। *টুইষ্ট, সামান্য লবন পানি
দিতে পারেন।
ভাজা শেষে ডাল গুলো পানিতে ভাল করে
ধুয়ে নিতে হবে এবং পানি ঝরিয়ে রাখতে
হবে।
* মুল রান্না
তেল গরম করে তাতে সামান্য লবন যোগে
পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি এবং কয়েকটা কাঁচা
মরিচ ভাল করে ভেঁজে পেঁয়াজ হলদে করে
নিতে হবে।
এবার আদা বাটা দিয়ে আরো কিছুক্ষন
ভেঁজে তাতে হাফ কাপ পানি দিতে হবে।
পানি দেয়ার পর মিশিয়ে তাতে হলুদ এবং
গুড়া মরিচ দিতে হবে।
আরো সামান্য পানি দেয়া যেতে পারে।
ব্যস ভাল করে জ্বাল দিয়ে দিলেই ঝোল
হয়ে যাবে। *টুইষ্ট, হাফ চামচ চিনি দিতে
পারেন (এটা বাবুর্চি ভাইয়ের বিশেষ
নির্দেশ, এতে নাকি স্বাদ বাড়ে)
ভাল করে জ্বাল দিয়ে তেল উঠিয়ে নিতে
হবে।
এবার মুগ ডাল দিয়ে দিতে হবে।
ঠিক এই রকম দেখাবে। কিছুক্ষন এভাবে
জ্বাল দিতে হবে।
এবার তিন কাপ পানি দিয়ে ভাল করে
মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে মিনিট ২০ মাঝারি
আঁচে রেখে দিতে হবে। মাঝে মাঝে
নাড়িয়ে দিতে হবে এবং ডাল নরম হল
কিনা তা দেখে নিতে হবে। যদি নিদিষ্ট
পানিতে ডাল নরম না হয় তবে আরো পানি
দেয়া যেতে পারে।
গায়ে গায়ে ঝোল এলে ফাইন্যাল লবন দেখে
নিতে হবে, লাগলে দিতে হবে, না লাগলে
নাই! এবার ধনিয়া পাতার কুঁচি দিয়ে দিতে
হবে এবং ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে।
ব্যস!
(এখানে আমি তেল এড়ানোর জন্য একটা
স্টেপ করি নাই, তা হচ্ছে বাগার দেয়া।
আপনারা চাইলে আরো স্বাদের জন্য বাগার
দিতে পারেন।)
ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।