3G মোবাইল ফোন কিনতে পরামর্শ চাই
একটি থ্রি-জি স্মার্ট মোবাইল ফোন কেনার ব্যাপারে আমাকে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করুন, প্লিজ।
আমার বাজেট কম-বেশি ৫,৫০০ থেকে ৭,৫০০ টাকার মধ্যে।
থ্রি-জি মোবাইলটি হবে মোটামুটি টেকসই। কমপক্ষে ৫ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা, ডুয়েল সিম, থ্রি-জি ভিডিও কলিং সুবিধা, এইচডি ভিডিও প্লে-ব্যাক, ওয়াই-ফাই ফিচার ইত্যাদি।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আমি থ্রি-জি মোবাইল সেটটি আমার পিসি-তে ডাটা ক্যাবল-এর মাধ্যমে কানেক্ট করে মডেম হিসেবে ব্যবহার করে জিপি, বাংলালিংক বা টেলিটক-এর থ্রি-জি ইন্টারনেট সার্ভিস ব্যবহার করতে চাই।
আরেকটি বিষয়, ইন্টারনেটের জন্য পিসি-তে থ্রি-জি মোবাইল সেটকে মডেম হিসাবে ইউজ করা ভালো নাকি, আলাদা থ্রি-জি মডেম ইউজ করা ভালো? থ্রি-জি মডেম দিয়ে কি ইন্টারনেটে বেশি স্পিড পাওয়া যাবে?
আচ্ছা, টেলিটক, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক কোম্পানিগুলো যেসব থ্রি-জি মডেম বিক্রি করে সেগুলোর কোয়ালিটি কেমন? এসব থ্রি-জি মডেম-এ কি সব সিম (জিপি, বাংলালিংক, টেলিটক) ইউজ করা যাবে? অনুগ্রহ করে বিস্তারিত জানাবেন।
সবচেয়ে ভাল হয় যদি আপনি সরাসরি বাজারে গিয়ে ঘুরে দেখেন। এত করে আপনি বিভিন্ন স্মার্টফোনের মধ্যে তুলনা করে সেরাটিই কিনতে পারবেন।
আপনি আপনার স্মার্টফোন ডেটা কেবলের মাধ্যমে মডেম হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে স্মার্টফোনকে দীর্ঘমেয়াদে মডেম হিসেবে ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
ইন্টারনেট মডেম কিংবা স্মার্টফোন, যেটিই ব্যবহার করুন না কেন, ইন্টারনেটের গতি প্রায় একই থাকবে। গতি নির্ভর করবে আপনার ইন্টারনেট প্যাকেজের উপর।
বর্তমানে যেসকল মোবাইল অপারেটর মডেম বিক্রয় করে থাকে, তাদের সকল মডেম মোটামুটি একই মানের এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে একই প্রতিষ্ঠানের তৈরি। আপনি যে মডেমই কিনেন না কেন, সব অপারেটরের সিম ব্যবহার করতে পারবেন। তবে কয়েকটি অপারেটর তাদের মডেমে কেবল তাদের সিম ব্যবহারের জন্য লক করে রাখে। সেক্ষেত্রে আগে থেকে খোঁজ নিয়ে কিনবেন।