ষ্ট্রোক রোগের লক্ষণ গুলো কি কি?
ষ্ট্রোক রোগের লক্ষণ গুলো কি কি?
ষ্ট্রোক চেনার ৭ টি লক্ষণ
১/মস্তিষ্ক:
এক সাথে কয়েকটি লক্ষণের মাধ্যমে ষ্ট্রোক প্রকাশ পেতে পারে । ষ্ট্রোক হওয়া মানুষদের মধ্যে শতকরা পাঁচজনেরই হাত-পা অবশ বা মুখ বাকা হয়ে যেতে দেখা যায়। এমনটা ষ্ট্রোক শনাক্ত করার একটি মক্ষম লক্ষন,বলেন ফ্রাইবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিকের নিউরোলজিস্ট প্রফেসার ডা.কর্নেলিউস ভাইলার।
২/কথা জড়িয়ে যাওয়া:
মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া কোনো কারণে বাধাগ্রস্থ হলে মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ নষ্ট হয়ে যায়। একেই স্নায়ুরোগ বা স্ট্রোক বলে। হঠাৎ করে যদি কখনও কথা জড়িয়ে যায় বা একটি বাক্য পুরো বলতে কষ্ট হয় অথবা রোগী যা বলতে চাইছে তা বোঝা না যায়, তবে সেটা স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে। সাধারণত স্ট্রোকের লক্ষণগুলো শরীরের একাংশেই হয়ে থাকে।
৩/হঠাৎ করে ভু লেযাওয়া:
কেউ কিছু বলতে চাইছেন, কিন্তু বলার মুহূর্তে আর মনে করতে পারছেন না। বা কথা বলার সময় হঠাৎ করেই কথার খেই হারিয়ে ফেলছেন। একেবারে হঠাৎ করে কিছু ভুলে যাওয়া বা মনে করতে না পারাটাও স্ট্রোকের একটি লক্ষণ হতে পারে।
৪/মাথা ঘোরা:
করীর দোলা, মাথা ঘোরা, ভারসাম্য রেখে হাঁটার ক্ষেত্রে অসুবিধা কিংবা দাঁড়ানো অবস্থা থেকে হঠাৎ করে পড়ে যাওযা বা হোঁচট খাওয়া- এগুলোও স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে। তাই ঘরে বা বাইরে কাউকে এমন অবস্থায় দেখলে,বিষয়টি হালকাভাবে না নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন,ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।
৫/মাথা ব্যথা:
মাথা ঘুরে যাওয়া, বমি বমি ভাব এবং বমি করাও স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে।তবে শুধু এগুলোই স্ট্রোকের লক্ষণ নয়, এরসঙ্গে যদি অন্যান্য লক্ষণ থাকে,একমাত্র তবেই সাবধান হতে হবে। অবশ্য কোনো কারণ ছাড়া মাথা ব্যথা হলেও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
৬/চোখে সমস্যা:
স্ট্রোক হওয়ার আগে চোখে নানারকম সমস্যা হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীর মনে হয় যে, তিনি প্রতিটি জিনিস দু’বার করে দেখছেন। মাতাল অবস্থায় যেমন হয়, অনেকটা সেরকম।স্ট্রোক হলে এক চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যাবার সম্ভাবনা কিন্তু বেশ কম।
৭/কন্ঠস্বর বের না হওয়া:
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গলার আওয়াজ বা কন্ঠস্বর বের না হলে তা মস্তিষ্কের টিউমার বা অন্য কোনো সংক্রমনের কারণে হয়। আবার হঠাৎ করে মস্তিষ্কে অক্সিজেন কম হলে বা কোনো দুর্ঘটনা অথবা গুরুতর কোনো এ্যালার্জির আক্রমনেও এমনটা হতে পারে। আবার স্ট্রোকের কারণও হতে পারে। তাই এই লক্ষণগুলো দেখলে দেরি না করে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।