শয়তানের লেখা বই-এর নাম কী?
হারম্যান নামে বোহেমিয়ার একজন সন্ন্যাসী ছিলেন। একদিন তিনি আশ্রমের নিয়ম ভঙ্গ করে বসেন। নিয়ম ভঙ্গের পাপ হিসেবে তাকে কঠিন শাস্তি দেয়া হয়। শাস্তি হল একটা বদ্ধ কুঠুরীতে তাকে আজীবন নিঃসঙ্গ অবস্থায় কাটাতে হবে।
শাস্তি চলাকালে একদিন তিনি আশ্রমগুরু কে তার পাপের শাস্তি লাগবের জন্য প্রস্তাব দেন। গুরু হারমেইনকে পাল্টা শর্ত ছুড়ে দেন যে, এক রাতের মধ্যে তার অর্জিত জ্ঞান যা আছে তা দিয়ে মানুষের কল্যাণে তাকে একটা বই লিখতে হবে। যে বইতে সৃষ্টিকর্তা আর মঠের গুণগান থাকবে, থাকবে মানুষের বিভিন্ন উপকারী তথ্য। হারম্যান সব শর্ত মেনে নিয়ে এক সন্ধ্যায় লিখতে বসেন।
তিনি মাঝ রাত আবধি এসে দেখতে পান মাত্র অর্ধেক পাতা লিখতে পেরেছেন। হতাশায় হারম্যান ওই মাঝ রাতে নিজের রক্ত দিয়ে শয়তান কে একটা চিঠি লিখে বসেন। চিঠিতে তিনি শয়তানের কাছে এই বলে সাহায্য কামনা করেন যে, শয়তান যদি তাকে এই বই লিখে দেয় তবে তিনি তার আত্মা শয়তান কে সপে দেবেন। সাড়া দেয় শয়তান। স্ব-শরীরে হাজির হয় শয়তান। শুরু হয় কোডেক্স গিগাস লেখা।
(এটি একটি পৌরাণিক কাহিনী)
উষার আগেই লেখা শেষ হয়ে যায় এই বিশাল বইটি। নিজেকে প্রমান দেবার জন্য নিজ হাতে শয়তান তার ছবি বইটির ২৯০ নং পৃষ্ঠায় এঁকে রেখে যায়।
শয়তানের সাহায্যে লিখা বলেই একে শয়তানের বাইবেল বলা হয়।
৭ ই মে ১৬৯৭ সালে সুইডেনের রাজ প্রাসাদের লাইব্রেরীতে এক মারাত্মক আগুন লাগে। আগুনে বইটির কিছু পাতা পুড়ে যায়। কিছু পাতা বাতাসে উড়ে যায়। এই পৃষ্টাগুলো আর পাওয়া যায়নি। বর্তমানে এটি সুইডেনের জাতীয় গ্রন্থাগার স্টকহোমে সংরক্ষিত রয়েছে।