জীবনের কোন কোন ক্ষেত্রে স্বার্থপর হওয়া উচিত? কেন?
জীবনের কোন কোন ক্ষেত্রে স্বার্থপর হওয়া উচিত? কেন?
জীবনে কিছু কিছু সময় আছে তখন নিজেকে একটু স্বার্থপর হতে হয় সেই সময়ের জন্য। প্রথমেই একটি কথা দিয়ে শুরু করি সারাটি জীবন যদি নিঃস্বার্থভাবে মানুষের উপকার করে যাও, এবং পরিশেষে যদি তোমার ঝুড়িতে কিছু না থাকে তাহলে তোমার ওই উপকারগুলো মানুষ মনে রাখবে না। তোমাকে মনে রেখে আর কি লাভ হবে তার? হয়তো কখনো মনে পড়তে পারে, হয়তো তোমার প্রতি সে সময় একটু করুনার নজরে থাকাতে পারে এর চেয়ে বেশি কিছু পাবে না।
মনে রাখবেন অতীত নিয়ে কখনো মানুষ পড়ে থাকে না। অতীত শুধু মানুষের কাছে একটি স্মৃতি মাত্র এর চেয়ে বেশি কিছু নয়। মানুষের করুণা নিয়ে বেঁচে থাকা কতটা কষ্টের যারা এই অবস্থানে আছে একমাত্র তারাই বুঝতে পারে। যদি আপনি নিঃস্বার্থভাবে নিজেকে উৎসর্গ করে যান, নিজেকে নিঃস্ব করে তাহলে একদিন মানুষের করুনার উপর নির্ভর করে জীবন কাটাতে হবে।
তোমার জীবনের লক্ষ্য পূরণ করার জন্য প্রয়োজনে তোমাকে একটু স্বার্থপর হতে হবেঃ
দিনশেষে দেখবেন যারা অন্যের কামলা খাটে তাদের কোন মূল্য থাকে না। যোগ্যতা না থাকলে মানুষ অল্প সময়ে জন্য তোমার একটু প্রশংসা করে শুধু তার স্বার্থ হাসিল করবে। ঐরকম প্রশংসা গুলোকে আমি বলি মৌসুমী প্রশংসা। মৌসুম আসলে তখনই সে আপনার প্রশংসা করবে তখনই সে আপনাকে গুরুত্ব দেবে তার কাজটি করে দেবার জন্য। সব সময় সতর্ক থাকতে হবে যে কাউকে খুশি করতে গিয়ে নিজের লক্ষ্য টা যেন ভুলে না যেতে হয়। দিনশেষে যদি নিজের ঝুড়িতে কিছু রাখতে পারো তবেই সবাই তোমার পাশে আসবে তখন তুমিও তোমার সাধ্যমত তাদেরকে সাহায্য করতে পারবে তখন তুমি তাকবে সবার উপরে।
নিজের জীবনের সময়ের অপচয় রোধ করতে তোমাকে স্বার্থপর হতে হবেঃ
সময়ের সমষ্টি হচ্ছে একটি জীবন। যদি তুমি তোমার সময়গুলোকে কারো জন্য অযথা নষ্ট করো তাহলে তোমার জীবন, তোমার ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে। আমাদের বয়স প্রতিদিন বাড়ছে আমরা যদি আমাদের বয়সকে লুকানোর চেষ্টা করি পারিনা। প্রকৃতি বলে দেয় যে তোমার বয়স অনেক হয়েছে। সময় নষ্ট করতে করতে একটি সময়ে গিয়ে যখন কাউকে পাশে পাবে না, তখন জীবনটা অনেক কঠিন হয়ে উঠবে তোমার। জীবনের শুরুতে আমরা মনে করি আমাদের পাশে অনেক আছে, কিন্তু আসলে কেউ কারো পাশে থাকে না। বা চাইলেও পারে না। প্রতিটি মানুষের জীবন একমাত্র নিজেরই। নিজের সময়টাকে ভবিষ্যতের পুঁজি হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।
জীবনসঙ্গী নির্বাচন করতে আপনাকে প্রয়োজন একটু স্বার্থপর হতে হবেঃ
আমাদের সমাজে অনেক সময় দেখা যায় নিজের আত্মীয়-স্বজন মা-বাবা আমাদের জীবন সঙ্গী নির্ধারণ করে দেয়। অনেক সময় দেখা যায় তাদের চাপে বাধ্য হয়ে আমাদের মেনে নিতে হয়। মনের বিরুদ্ধে গিয়ে কোন কিছু মেনে নেওয়া মানে হচ্ছে নিজের জীবনটাকে কষ্টের সাগরে ভাসিয়ে দেওইয়া। যখন কাউকে খুশি করতে গিয়ে নিজের মনের বিরুদ্ধে গিয়ে কোন কিছু মেনে নেবে, তখন তুমি মনের ভিতর থেকে কখনো শান্তি পাবে না। নিজের মধ্যে নিজে সুখী হতে পারবেনা। কাউকে খুশি করতে গিয়ে নিজের সারাটি জীবন শুধু আফসোস আর পরিতাপের জন্য না রেখে প্রয়োজনের এখানে একটু স্বার্থপর হওয়া খুবই জরুরী। তুমি যদি তোমার অবস্থানে শক্ত থাকো তাহলে যে মানুষগুলো আজ তোমাকে চাপ দিচ্ছে ওই মানুষগুলো যখন হেরে যাবে তখন তোমাকে মেনে নেবে। মানুষ একটু চাপ, একটু ধাক্কা দিয়ে দেখতে চায় তুমি তোমার অবস্থানই কতটুকু শক্তিশালী। মনে রাখবে, দিনশেষে সবই তোমার তুমি নিজেও তোমারি।