জীবন থেকে কোন ধরনের মানুষগুলোকে বর্জন করা উচিৎ?
জীবন থেকে কোন ধরনের মানুষগুলোকে বর্জন করা উচিৎ?
১। যাঁরা, অন্যের সাহায্যের, উপকারের বিনিময়ে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করেন,
২। যাঁরা, অহেতুক প্রশংসা করেন,
৩। যাঁরা, সব সময়ই নেতিবাচকতাকে আঁকড়ে ধরে রাখেন,
চাকরী ? হবে না, অসম্ভব,
প্রেম ? হবে না, ধোঁকা খেতেই হবে,
জীবনে প্রতিষ্ঠালাভ ? হবে না,
এরা সবকিছুর মাঝেই না টাকেই প্রকট করে দেখেন
তাঁরা, একটি গ্লাসে আধা গ্লাস জল দেখলে, আধা গ্লাস ফাঁকা কেন ? সে প্রশ্নটি তোলেন। গ্লাসের বাকী ফাঁকা অংশটা ও যে ভরে গিয়ে, গ্লাসটি পূর্ন হতেই পারে, এটাকে তাঁরা মানেনই না।
৪। যাঁরা, কারোর কোনোরূপ সার্থকতাকে অন্যের সাথে তুলনা করে, সার্থকতাকে গুরুত্বহীন করে তুলতে মরিয়া হয়ে উঠেন,
৫। যাঁরা, নিজের ভুল স্বীকার করাকে খুবই অসম্মান জনক ব্যাপার বলে মনে করেন,
৬। যাঁরা, কুতর্ক করে, তর্কে বিজয়ী হওয়ার চেষ্টা করেন,
৭। যাঁরা, অন্যের সমালোচনা করাকে নিজের দায়িত্ব তথা কর্তব্য বলে মনে করেন,
৮। যাঁরা, নিজের উৎকর্ষতা প্রমাণ করতে, অন্যকে তুলনায় এনে, হেয় প্রতিপন্ন করেন,
৯। যাঁরা, নির্বিচারে সব ধরণের মতামতকে সাধুবাদ এর দ্বারা ভূষিত করে রাখেন।
অর্থাৎ, এঁরা সকলের সাথে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করেন,
১০। যাঁরা, দিনের পর দিন, মিথ্যা আশ্বাস দিতে অভ্যস্থ,
১১। আর, তাঁরা,
তাঁরা, কারা ?
যাঁরা, কোরাবাংলায় দীর্ঘদিন থেকেও কোনো অবদান রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন, অর্থাৎ, একটি প্রশ্ন বা উত্তরে এঁদের কোনো ভূমিকাই নেই, অথচ অন্যের লেখা উত্তরে বিন্দুমাত্র ত্রুটি, বিচ্যুতি হলে, সংশোধনের প্রস্তাব না রেখে, ত্রুটি, বিচ্যুতিকেই প্রকট করে তুলে উত্তরদাতাকে মন্তব্যের মাধ্যমে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে, অনভিপ্রেত শব্দ, বাক্য প্রয়োগে, তাঁদের আকাশচুম্বী দক্ষতার নিদর্শন রাখতে জানেন।
এজাতীয় লোকজনকে জীবন থেকে বর্জন করতে পারলে, জীবনের বোঝা, অনেকটাই হাল্কা হয়ে যাবে,
সহজ হয়ে যাবে, জীবন।