আজ আমি আপনার কাছ থেকে শিক্ষণীয় কী জানতে পারি?
আজ আমি আপনার কাছ থেকে শিক্ষণীয় কী জানতে পারি?
দুই বন্ধু মিলে দেশ ভ্রমণে বের হলো। এদের
একজন ছিল অন্ধ। হাঁটতে হাঁটতে ওরা এমন এক জায়গায় আসলো যেখানে রাতে খুব ঠান্ডা
আর দিনে প্রচণ্ড গরম। দুই বন্ধু এক গাছের নীচে ঘুমিয়ে পড়লো। সকালে যে বন্ধু চোখে দেখতে পায়, সে খাবারের খোঁজে বের হলো। অন্ধ বন্ধুটি আশপাশে যা আছে তা ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখতে লাগলো। একটি সাপ বরফে জমে অবশ হয়ে এক পাশে মরার মত শুয়ে ছিল। অন্ধ বন্ধুটি সাপটিকে ধরে ভাবলো এটি একটি লাঠি। সে খুব খুশী হয়ে সেটা হাতে নিল, ভাবলো পথ চলতে এটা তার অনেক কাজে লাগবে। মৃতপ্রায় সাপকে হাতে নিয়ে সে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করলো।
অন্য বন্ধু খাবার নিয়ে ফিরে এসে সাপ
দেখে ভয়ে চিৎকার করে উঠলো। বন্ধুকে
বললো, তাড়াতাড়ি এটা হাত থেকে ফেলে
দাও। অন্ধ বন্ধু কিছুতেই বিশ্বাস করলো না
যে এটা লাঠি না; বরং সাপ। সে ভাবলো তার কুড়িয়ে পাওয়া দামী লাঠি বন্ধু মনে হয় নিয়ে নিতে চাইছে। সে কিছুতেই বন্ধুর কথায় রাজী হলো না। তাই উপায় না দেখে দৃষ্টিমান বন্ধু আবারো অন্ধ বন্ধুকে সাথে নিয়ে পথ চলা শুরু করলো। দিনের বেলা রোদ উঠে তাপ বাড়তে
লাগলো, সাপটি তার চেতনা ফিরে পেতে
শুরু করলো। একটু পরে সে অন্ধ বন্ধুকে
ছোবল দিল। বিষের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে অন্ধ বন্ধুটি মারা গেল।
এই গল্পের সাথে আমাদের জীবনকে তুলনা
করতে পারি। আমরা এই অন্ধ লোকটির মত আর বিশ্বনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন দৃষ্টিমান বন্ধুর মত যিনি দেখতে পান ও পথ দেখাতে পারেন। মে’রাজে গিয়ে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম জাহান্নামের বিভীষিকা ও জান্নাতের সৌন্দর্য্য দেখেছেন। তিনি
আমাদেরকে আল্লাহর আদেশ মেনে ভালো
পথে কিভাবে থাকতে হবে, কিভাবে
খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে পারবো -এ
সবকিছু শিখিয়েছেন। তবে সেই অন্ধ
লোকটির মতো আমরাও এসব কথার গুরুত্ব
বুঝতে পারি না। যখন বুঝি তখন অনেক দেরি
হয়ে যায়। তাই আসুন, আমরা আল্লাহর নবীর আদর্শে পথ চলি, আমীন।
“যে রাসূলের আনুগত্য করলো, সে তো
আল্লাহরই আনুগত্য করলো ….”
(সূরা আন্-নিসা, ৪:৮০)।
“আমি তোমাকে বিশ্বজগতের প্রতি রহমত
হিসাবে পাঠিয়েছি” (সূরা আল আম্বিয়া,