সুন্দরী মেয়েরা অহংকারী হয় কেন?
সুন্দরী মেয়েরা অহংকারী হয় কেন?
হবে না কেন? আমি সুন্দরী মেয়ে হলে আমিও অহংকারী হতাম! 😀
আচ্ছা এবার আসল উত্তরে আসা যাক। আমার মতে সুন্দরী মেয়েরা কেন অহংকারী হয় তা এনালাইসিস করতে দুটি পয়েন্ট উল্লেখ করা যেতে পারে।
১। কনফার্মেশন বায়াস
আমি আগে থেকেই কোন একটা মুহুর্ত থেকে বিশ্বাস করি মেসি বিশ্বের সেরা ফুটবলার। সেই মুহুর্তের পরে থেকে আমি যেখানে যত যা দেখবো তাতে আমার প্রতিবার এটাই মনে হবে মেসি প্রকৃতপক্ষেই বিশ্বের সেরা ফুটবলার, তাতে যদি মেসি পেনাল্টি মিস ও করে তাতেও মনে হবে এটা মেসির দোষ না ভাগ্যের দোষ। একেই বলে কনফার্মেশন বায়াস। আগে থেকে গ্রহণ করা কোন ধারণাকেই আমরা আমাদের চারপাশের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর মাঝে বারবার প্রমাণিত হতে দেখি।
আমাদের সমাজে কোন এক মুহুর্ত থেকে এরকম ধারণা প্রচলিত হয়ে যায় যে কোন সুন্দরী মেয়ে অবশ্যই অহংকারী। এরপরে থেকে কোন এক সুন্দরী রমনী কাউকে দেখে হাসলেও সে অহংকারী না হাসলেও অহংকারী। অর্থাৎ সে যা ই করুক না কেন, অহংকারী তকমা তাকে পেতেই হবে। কোন মাফ নেই।
২। ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স
আমি যতই পড়াশোনা করি না কেন ফার্স্ট বয় এর সাথে কিছুতেই পেরে উঠি না। আমার নিজেকে গর্দভ মনে হয়। শেষে রেগেমেগে আমি সবাইকে বলে বেড়ানো শুরু করলাম যে আমাদের ফার্স্টবয় পরীক্ষায় নকল করে ফার্স্ট হয়। – এই যে নিজের থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন কাউকে সহ্য করতে না পারা একেই বলে ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স। সুন্দরী মেয়ে দেখামাত্র ছেলেদের মনে এই ধারণা আসে – ইশ আমি তো এর সাথে কথাও বলতে পারবোনা নিশ্চয়ই! আমি তো আর এত হ্যান্ডসাম না। আর মেয়েটা এত সুন্দর, তাহলে নিশ্চয়ই মেয়েটি অহংকারী হবে। আর অপরদিকে অপেক্ষাকৃত কম সুন্দরী মেয়েরাও এই ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স এর কারণেই সুন্দরী মেয়েকে অহংকারী ভাবতে পারে।
সুন্দরী মেয়েটি যখন সত্যিই অহংকারীঃ
এতকিছুর পরেও আমার নিজেরও অনেক অভিজ্ঞতা আছে যেখানে কিছু সুন্দরী মেয়ে সত্যিই অহংকারী ছিলো। সাধারণভাবে জনসংখ্যার একটা অংশ অবশ্যই অহংকারী হবে। এই ব্যাপারটিকে আমরা পরিসংখ্যান এর মাধ্যমে দেখাতে পারি।
ধরলাম আমরা ১০০ টা সুন্দরী মেয়েদের জরিপ করলাম যার মধ্যে ১০ টা সুন্দরী মেয়ে সত্যিই অহংকারী। এবার আমাদের মনে হলো যে, যে কেউ ই তো অহংকারী হতে পারে। তাহলে কী করা যায়? তাহলে এবার আমরা যেটা করলাম তা হলো আবার ১০০ জন সাধারণ মানুষের জরিপ করলাম। এবার দেখা গেলো সাধারণ মানুষদের মধ্যে ৮ জন অহংকারী। আপনি ইয়েস বলে ঝাপিয়ে পরলেন যে অবশেষে প্রমাণিত হলো সুন্দরী মেয়ে মাত্রই অহংকারী। আমি বলবো একটু অপেক্ষা করুন – বিষয়টা এত সোজা না। আমরা পৃথিবীর সবাইকে নিয়ে পরীক্ষা করিনি। আমরা শুধু ১০০ জন নিয়ে করেছি। তাই দৈবভাবে এমন হতে পারে যে সুন্দরী মেয়েদের বেলায় অহংকারী বেশি চলে এলো। এক্ষেত্রে আমাদের পি ভ্যালু (পরিসংখ্যানে বহুল ব্যবহৃত একটা মান যা কোন কিছুর সত্যতা নির্ণয়ে সাহায্য করে) নির্ণয় করতে হবে। এইক্ষেত্রে পি ভ্যালু আসে ০.৩৫৩। অর্থাৎ আমরা যদি এই এক্সপেরিমেন্ট এর উপরে দাবী করি যে সুন্দরী মেয়েরা অহঙ্কারী সেক্ষেত্রে ৩৫% ভুল হওয়ার সম্ভবনা থাকে এবং যেকোন পরিসংখ্যানবিদ ই বলবে – না আমরা যদি ৯৫% নিশ্চয়তার কথা বলি (৯৫% সিগনিফিক্যান্স লেভেল) তাহলে সুন্দরী হওয়ার সাথে অহংকারী হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই।