ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল বলতে মূলত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পণ্য বা সেবার প্রচার-প্রসার বুঝায়। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বললে, ডিজিটাল মার্কেটিং অনেকটাই কৌশল নির্ভর, যেখানে শুধু বিজ্ঞাপন চালালেই সফলতা আসে না।
আমি ইউটিউব থাম্বনেইল ডিজাইন সেবা দিচ্ছি, তাই আমার ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশলগুলো একটু ভিন্নভাবে কাজে লাগাতে হয়। প্রথমত, টার্গেট অডিয়েন্স চিহ্নিত করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি প্রধানত টেক ও এডুকেশন ইউটিউবারদের টার্গেট করি, কারণ এই ক্যাটাগরির ইউটিউবারদের জন্য ভিজুয়াল রিপ্রেজেন্টেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এরপর আসে সঠিক প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন। আমি ইনস্টাগ্রামে থাম্বনেইল রিডিজাইন আপলোড করে মূলত ইউটিউবারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করি। পাশাপাশি ইমেল ও ডিএম আউটরিচ করি, যদিও আরও কার্যকর বিকল্প খুঁজছি।
একটি বড় বিষয় হলো ভ্যালু দেওয়া— শুধু নিজের সার্ভিস বিক্রি নয়, বরং কন্টেন্টের মাধ্যমে ইউটিউবারদের বোঝানো যে, উন্নত থাম্বনেইল কিভাবে তাদের ভিডিওর ক্লিক-থ্রু রেট বাড়াতে পারে।
SEO এবং কন্টেন্ট মার্কেটিং-ও খুব কার্যকর। আমি আমার পোস্ট ও ইমেলে কীওয়ার্ড ব্যবহার করি, যাতে ইউটিউবাররা সহজেই আমার সেবার ব্যাপারে জানতে পারে।
সর্বশেষে, বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করা খুব দরকার। এজন্য, যখন কোনো ইউটিউবারের জন্য কাজ করি, তার ফিডব্যাক শেয়ার করি বা সোশ্যাল প্রুফ ব্যবহার করি, যাতে নতুন ক্লায়েন্টদের মনে আস্থা তৈরি হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং কোনো একদিনের কাজ না, এটা একটা প্রসেস। নিয়মিত পরীক্ষানিরীক্ষা, নতুন কৌশল প্রয়োগ এবং কাস্টমারদের প্রয়োজন বুঝে মার্কেটিং কৌশল বদলানোই আসল চাবিকাঠি।