সব থেকে কম সময় এ এবং কম কষ্টে মারা যাবার উপায় কি ?
আমার মাঝে মাঝে খুব মারা যেতে ইচ্ছা করে। কিন্তু কষ্টের কথা মনে করে পরক্ষণেই সে ইচ্ছা দূর হয়ে যায়। আপনি কি বলতে পারেন সব থেকে কম সময় এ এবং কম কষ্টে মারা যাবার উপায় কি ?
আমাদের ধর্মে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করা নিষিদ্ধ। এটি গুণাহ এর পর্যায়ে পড়ে। আবার সব মৃত্যুরই কষ্ট রয়েছে। তবুও আপনার প্রশ্নের যদি উত্তর দিতে হয় তাহলে বলা যায় পারমানবিক বোমার আঘাতে মারা যাওয়া সবথেকে কম কষ্টের এবং কম সময়ের।
পিঁপড়ার ঝামেলা অত্যন্ত বিরক্তিকর একটি বিষয়। আর একবার যদি বাড়িতে ঘাঁটি গেড়ে ফেলে তবেই হয়েছে, খাবার-দাবার নিরাপদে রাখার আর উপায় থাকবে না। এদের থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য কীটনাশক স্প্রে অথব চক ব্যবহার করে থাকেন বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু পিঁপড়ার হাত থেকে বাঁচার জন্য আসলে রয়েছে বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপাদান এবং তারা বেশ কার্যকরীও।
এসব উপাদানের বেশ কয়েটিই হলো পিঁপড়া তাড়ানোর হাতিয়ার। তারা বাসার ভেতরে পিঁপড়া ঢুকতে দেবে না। পিঁপড়ার উপদ্রব কম থাকলে এগুলো ব্যবহার করলেই হয়। কিন্তু উপদ্রব বেশি হলে তখন পিঁপড়া মেরে ফেলা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না।
১) লেবুর রস
বাড়িতে পিঁপড়া ঢুকতে পারে যেসব জায়গা দিয়ে, সেখানে লেবুর রস ছড়িয়ে দিন। এতে তারা রাস্তা ভুলে যায় এবং একজন আরেকজনকে অনুসরণ করে বাড়িতে ঢুকতে পারে না।
২) দারুচিনি
পিঁপড়া যাওয়া আসার পথে দারুচিনি গুঁড়ো ছড়িয়ে দেওয়া যায়। এর সাথে লবঙ্গ গুঁড়োও মিশিয়ে দিতে পারেন। দারুচিনির তেল যদি হাতের কাছে থাকে, তবে একটা কটন বাড তাতে ডুবিয়ে ফার্নিচারের আশেপাশে সীমানা একে দিন। সেই সীমানা মাড়াবে না পিঁপড়া।
৩) পেপারমিন্ট
পেপারমিন্ট তেল অথবা সাবানের সাথে পানির মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। দরজা-জানালার যেখান দিয়ে পিঁপড়া ঢুকতে পারে সেখানে পেপারমিন্ট তেল ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। এতে পিঁপড়া যেমন পালিয়ে যাবে তেমনি বাড়ির স্যাঁতস্যাঁতে ভাবটাও চলে যাবে।
৪) বোরাক্স, পানি এবং চিনি
এই তিনটি উপাদান দিয়ে একটা পাতলা পেস্টের মতো মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এরপর কার্ডবোর্ডের ছোট ছোট টুকরোয় এই পেস্ট লাগিয়ে তা ফেলে রাখুন এমন জায়গায় যেখানে পিঁপড়া চলাচল করে। পিঁপড়া এই পেস্ট খাবে এবং মুখে করে তাদের ঘাঁটিতে নিয়ে যাবে। কয়েক দিনের মাঝেই সাফ হয়ে যাবে পিঁপড়ার পুরো দলটা। তবে এই পেস্ট দু দিনের মাথায় শুকিয়ে যায় তাই দু দিন পর পর আবার পেস্ট তৈরি করে রাখতে হবে।সাবধান থাকুন, বাচ্চা এবং পোষা প্রাণী বরাক্স খেয়ে ফেললে মারাও যেতে পারে তাই একে এমন জায়গায় রাখতে হবে যাতে শুধু পিঁপড়া তার নাগাল পায়।
৫) ফুটন্ত পানি এবং ডিশ ওয়াশিং সোপ
পিঁপড়ার বেশ উপদ্রব হলে আঁটঘাঁট বেঁধে তাদেরকে নির্মূল করতে নামতে হবে। এর জন্য প্রথমে সব খাদ্যবস্তু পাত্রে ভরে নিরাপদ জায়গায় তুলে রাখতে হবে। এরপর একটা স্প্রে বটলে পানি এবং তরল ডিশ ওয়াশিং সাবান মিশিয়ে তা স্প্রে করতে হবে যেসব জায়গায় পিঁপড়া দেখা যাচ্ছে। বাড়ির কাছে পিঁপড়ার বাসা থাকলে তার ভেতরে ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে দিতে হবে। এতে মারা যাবে রানীসহ সব পিঁপড়া এবং আপনার বাসায় আর উপদ্রব থাকবে না।
৬) চিনি এবং বেকিং সোডা
পিঁপড়ার কামড়ে থাকে ফরমিক এসিড, অর্থাৎ তাদের শরীরে সব সময়েই এসিড থাকে। তাদেরকে আকর্ষণ করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন চিনি এবং তার সাথে মিশিয়ে দিতে পারেন কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা। শরীরের এসিড এবং সোডার অ্যালকালির বিক্রিয়ায় মারা যাবে পিঁপড়া।
৭) ভিনেগার
বাড়িতে পিঁপড়ার উপদ্রব কমাতে পানির সাথে ভিনেগার মিশিয়ে তা দিয়ে মেঝে মুছতে পারেন। উপদ্রব বেশি হলে পিঁপড়ার বাসা খুঁজে বের করে তাতে ঢেলে দিন হাফ লিটার সাদা ভিনেগার। পিঁপড়া আর জ্বালাতন করবে না।