14182
Points
Questions
3
Answers
7076
জাফরান বিশ্বের সবচাইতে দামী মসলা হিসবেই পরিচিত। ‘গোল্ডেন স্পাইস’ হিসেবেও এর সুনাম রয়েছে অনেক। নামীদামী অনেক খাবারে ব্যবহৃত হয় জাফরান। খাবারের স্বাদ, ঘ্রাণ, রঙ বাড়িয়ে তুলতে এর জুড়ি নেই। তবে জাফরানের কাজ শুধু এরমাঝেই সীমাবদ্ধ নয়। জাফরানের রয়েছে অসাধারণ ঔষধিগুণ। মাত্র ১ চিমটি জাফরান আপনাকে প্রায় ১৫ টি শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
১) জাফরানে রয়েছে পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্ত চাপ ও হৃদপিণ্ডের সমস্যা জনিত রোগ দূর করে।
২) হজমে সমস্যা এবং হজম সংক্রান্ত সকল রোগ দূর করতে সহায়তা করে জাফরান।৩) জাফরানের পটাশিয়াম আমাদের দেহে নতুন কোষ গঠন এবং ক্ষতিগ্রস্থ কোষ সারিয়ে তুলতে সহায়তা করে।
৪) জাফরানের নানা উপাদান আমাদের মস্তিষ্ককে রিলাক্স করতে সহায়তা করে, এতে করে মানসিক চাপ ও বিষণ্ণতা জনিত সমস্যা দূর করে।
৫) মেয়েদের মাসিকের অস্বস্তিকর ব্যথা এবং মাসিক শুরুর আগের অস্বস্তি দূর করতে জাফরানের জুড়ি নেই।
৬) নিয়মিত জাফরান সেবনে শ্বাস প্রশ্বাসের নানা ধরণের সমস্যা যেমন অ্যাজমা, পারটুসিস, কাশি এবং বসে যাওয়া কফ দূর করতে সহায়তা করে।
৭) জাফরানের রয়েছে অনিদ্রা সমস্যা দূর করার জাদুকরী ক্ষমতা। ঘুমুতে যাওয়ার আগে গরম দুধে সামান্য জাফরান মিশিয়ে পান করলে দূর হবে অনিদ্রা সমস্যা।
৮) সামান্য একটু জাফরান নিয়ে মাড়িতে ম্যাসেজ করলে মাড়ি, দাঁত এবং জিহ্বার নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
৯) গবেষণায় দেখা যায় জাফরান দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে এবং চোখের ছানি পড়া সমস্যা প্রতিরোধে কাজ করে।
১০) জাফরানের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান বাতের ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, মাংসপেশির ব্যথা এবং দুর্বলতা দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী।
১১) অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে সামান্য একটু জাফরান।
১২) জাফরান কয়েক ধরণের ক্যান্সারের কোষ আমাদের দেহে বাসা বাঁধতে বাঁধা প্রদান করে। এতে করে ক্যান্সার থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব হয়।
১৩) জাফরান দেহের কলেস্টোরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এতে করে কলেস্টোরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড জনিত সমস্যা দূরে থাকে।
১৪) মস্তিস্কের গঠন উন্নত করতে জাফরানের ভূমিকা রয়েছে। স্মৃতিশক্তি উন্নত, চিন্তা ক্ষমতা, কোনো কিছু শেখার ক্ষমতা বাড়ায় নিয়মিত জাফরান সেবন।
১৫) জাফরানের ক্রোসিন নামক উপাদানটি অতিরিক্ত জ্বর কমাতে সহায়তা করে।
- 529 views
- 1 answers
- 0 votes
দেহকে সুস্থ রাখার অনেক উপাদান প্রকৃতি আমাদের দিয়েছে। আঙুর এমনই একটি অসাধারণ সুপার ফুড হিসেবেই পরিচিত। খুব সাধারণ দেখতে এই আঙুর ভিটামিন এ, বি৬, বি, ফোলেট, পটাশিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি মিনারেলসে ভরপুর। আর একারণেই প্রতিদিন মাত্র আধাকাপ পরিমাণে আঙুর দূর করার ক্ষমতা রাখে নানা শারীরিক সমস্যা। তাই সুস্থ থাকতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন মাত্র আধা কাপ আঙুর।
১) ক্যান্সার প্রতিরোধ করেআঙুরের পাতলা খোসায় রেসভেরাট্রোল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানের দেখা মেলে। গবেষণায় দেখা যায় এই রেসভেরাট্রোল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহে ক্যান্সারের কোষ গঠন করতে বাঁধা প্রদান করে থাকে।
২) হাড়ের সুস্থতায় আঙুরঅ্যামেরিকান সোসাইটি অফ বোন অ্যান্ড মিনারেলস রিসার্চের মতে আঙুর মাইক্রো নিউট্রিইয়েন্টস যেমন, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাংগানিজে ভরপুর একটি ফল যা হাড়ের গঠন এবং মজবুত হওয়ার জন্য অত্যন্ত জরুরী। ডাক্তাররা বলেন প্রতিদিন আঙুর খেলে হাড়ের যেকোনো ধরণের সমস্যা এবং বয়সজনিত রোগ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব বিশেষ করে হাড় ক্ষয় এবং বাতের ব্যথা জাতীয় সমস্যা।
৩) হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে আঙুরআঙুরের ফাইটোকেমিক্যাল হৃদপিণ্ডের পেশির ক্ষতি নিজ থেকেই পূরণে বিশেষভাবে সহায়তা করে থাকে। প্রতিদিন আঙুর খেলে হৃদপিণ্ডের সুস্থতা এবং দেহের কলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
৪) হজমে সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে আঙুরঅর্গানিক এসিড, চিনি এবং সেলুসাস যা লেক্সাটিভের উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী যা আঙুরের মধ্যে বিদ্যমান। এছাড়াও আঙুরে প্রচুর পরিমাণে ইনস্যলুবেল ফাইবার রয়েছে যা আমাদের পরিপাকনালী পরিষ্কার রাখে।ডাক্তাররা কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের নিয়মিত আঙুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
৫) দৈহিক দুর্বলতা প্রতিরোধে আঙুররক্তস্বল্পতা বা রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বল্পতা আমাদের দেশে খুব সাধারণ একটি ব্যাপার। রক্তসল্পতার কারণে দুর্বলতা, অল্পতেই হাপিয়ে উঠার প্রবণতা দেখা দেয়। এই সমস্যার সমাধান করে আঙুর। আঙুরের আয়রন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় মিনারেল রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। সুতরাং প্রতিদিন আঙুর খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৬) কিডনির সমস্যা দূর করতে আঙুরআঙুরের ইউরিক এসিডের এসিডিটি কমিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। এটি আমাদের পরিপাকতন্ত্র থেকে এসিডের মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং কিডনির ওপর চাপ কমায়। এছাড়া আঙুর পানি জাতীয় ফল হওয়ার কারণে কিডনি পরিস্কারের কাজে সাহায্য করে এবং কিডনির যেকোনো সমস্যা থেকে আমাদের মুক্ত রাখে।
৭) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে আঙুরদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত থাকলে দেহে কোনো রোগ বাসা বাঁধতে পারে না। আঙুরে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্লেভানয়েড, মিনারেল, ভিটামিন সি, কে এবং এ। এইসবই আমাদের দেহের ইমিউন সিস্টেম অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিন আঙুর খাবার অভ্যাস করুন।
- 444 views
- 1 answers
- 0 votes
সাধারণত আমাদের শরীরে রক্তের হিমোগ্লোবিন সাধারণের চাইতে কমে গেলে রক্তস্বল্পতার সমস্যা রয়েছে বলে ধরা হয়। একজন পূর্ণবয়স্ক নারী জন্য রক্তে ১২.১ থেকে ১৫.১ গ্রাম/ডেসিলিটার, পুরুষের জন্য রক্তে ১৩.৮ থেকে ১৭.২ গ্রাম/ডেসিলিটার, শিশুদের জন্য রক্তে ১১ থেকে ১৬ গ্রাম/ডেসিলিটার হিমোগ্লোবিন থাকা স্বাভাবিক। মূলত দেহে আয়রনের অভাব হলে রক্তস্বল্পতার সমস্যা শুরু হয়। আপাত দৃষ্টিতে এটি তেমন বড় কোন ক্ষতিকর রোগ মনে না হলেও এটি মারাত্মক একটি রোগ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর হৃদপিণ্ডের সমস্যা, নার্ভ সিস্টেম নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাই সতর্ক হতে হবে সবাইকে। দেহে আয়রনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার।
১) গরুর কলিজা
মাত্র ১ টি স্লাইস গরুর কলিজাতে রয়েছে ৪ মিলিগ্রাম আয়রন। এছাড়াও গরুর কলিজা প্রোটিন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন এ ও ভিটামিন ডি তে ভরপুর। এবং এতে রয়েছে মাত্র ১৩০ ক্যালরি।
২) ডাল
ডাল একটি উদ্ভিজ্জ আয়রনের উৎস। মাত্র আধা কাপ ডালে রয়েছে ৩ মিলিগ্রাম আয়রন। এছাড়াও ডালে রয়েছে ৮ মিলিগ্রাম ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক।
৩) চকলেট
অবিশ্বাস্য হলেও চকলেট আপনার শরীরে জন্য ভালো। ডার্ক চকলেটে রয়েছে ৩.৪ মিলিগ্রাম আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রক্তসল্পতা দূর করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
৪) ছোলা/বুট
মাত্র আধা কাপ ছোলা/বুটে রয়েছে প্রায় ২.৫ মিলিগ্রাম আয়রন। এছাড়াও মাত্র ১৫০ ক্যালোরির চাইতেও কম এই খাবারটিতে রয়েছে ফোলাইট, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ৬ গ্রাম ফাইবার।
৫) টমেটোর জুস
ভরপুর আয়রন, লাইকোপিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস টমেটোর জুস রক্তসল্পতার পাশাপাশি আরও নানা সমস্যা থেকে আমাদের রক্ষা করতে সহায়তা করে।
৬) আলু
প্রায় ৩ মিলিগ্রাম পরিমাণে আয়রন রয়েছে ১ টি বড় আলুতে। এছাড়াও আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বি এবং পটাশিয়াম।
৭) কাজুবাদাম
উদ্ভিজ্জ আয়রনের আরেকটি উৎস হচ্ছে কাজুবাদাম। মাত্র ১ আউন্স কাজুবাদামে রয়েছে ২ মিলিগ্রাম আয়রন। সুতরাং রক্তস্বল্পতায় ভুগলে সাধারণ স্ন্যাকস বাদ দিয়ে কাজুবাদাম খেয়ে নিন।
- 425 views
- 1 answers
- 0 votes
পেস্তা বাদামের গাছ সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত হয় ১৮৫৪ সালে অস্ট্রেলিয়া এবং ইউনাইটেড স্টেটসের কিছু অংশে। এরপর থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এর জনপ্রিয়তা। অত্যন্ত সুস্বাদু এই বাদামটি ব্যবহার হতে থাকে স্ন্যাকস হিসেবে। এরপর নানা ধরণের বেকিং এবং খাবারে ব্যবহার হয় পেস্তা বাদাম।প্রতিদিন মাত্র ১ মুঠো পেস্তা বাদাম নিশ্চিত করে আমাদের সুস্বাস্থ্য। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক।
১) হৃদপিণ্ডের সুস্থতায় পেস্তা বাদাম
পেস্তা বাদাম এইচডিএল অর্থাৎ হাই ডেনসিটি লিপ্রোপ্রোটিনের মাত্রা বাড়ায় এবং খারাপ কলেস্টোরল এলডিএল অর্থাৎ লো ডেনসিটি লিপ্রোপ্রোটিনের মাত্রা কমায়। এতে করে সুস্থ থাকে হৃদপিণ্ড।
২) রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়
পেস্তা বাদামের ভিটামিন বি৬ উপাদান পাইরিডক্সিন রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে। এতে করে রক্তস্বল্পতা রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৩) ডায়বেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
নিয়মিত পেস্তা বাদাম খেলে ডায়বেটিস রোগীদের রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এবং পেস্তা বাদামের মিনারেল ফসফরাস প্রোটিনের অ্যামিনো অ্যাসিড ভাঙতে সহায়তা করে।
৪) দৃষ্টি শক্তি উন্নত করে
পেস্তা বাদামে রয়েছে লুটেন এবং জিয়াক্সান্থিন নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যারা ক্ষতিগ্রস্থ দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সহায়তা করে থাকে। এই উপাদান দুটি মলিকিউলার ডিগ্রেডেশনের হাত থেকেও রক্ষা করে।
৫) নার্ভের কর্মক্ষমতা বজায় রাখে
পেস্তা বাদামের ভিটামিন বি৬ নার্ভের ফাইবার উন্নত করতে সহায়তা করে। এবং এর নিউট্রিয়েন্টস মস্তিষ্কে এনডোরফিন, মেলাটোনিন, সেরেটোনিন এবং গামা অ্যামিনোবিউট্রিক অ্যাসিড উৎপাদনে সহায়তা করে যা নার্ভ সিস্টেম উন্নত করে।
- 457 views
- 1 answers
- 0 votes
লাল শাক নিশ্চয়ই সকলেই চেনেন। খেতে সুস্বাদু এই লাল শাকে যে কতো রকমের স্বাস্থ্যগুন লুকিয়ে আছে তা হয়তো আপনি জানেন না। অনেকেই খেতে ভালোবাসেন আবার অনেকে লাল শাক পছন্দও করেন না। কিন্তু আমাদের দেহের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য লাল শাকের গুরুত্ব অনেক বেশি। লাল শাক ভাজি, বা ছোট কোন মাছ দিয়ে লাল শাকের ঝোল খেতে কে না ভালোবাসে। যারা এখনো লাল শাক খান নি তারা খাওয়ার আগে একবার জেনেই নিন এর বাহারি স্বাস্থ্যগুন সম্পর্কে তাহলে অবশ্যই দেহের সুস্থতার দিক চিন্তা করে লাল শাক খাবেন।
দেহের রক্তশূন্যতা রোধ করে
দেহের রক্তশূন্যতা রোধ করতে লাল শাক খুব উপকারী কারণ এতে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। লাল শাক দিয়ে আপনি জুস বানিয়েও খেতে পারেন। কিছু সাধারণ উপাদান যেমন- ডিম, মধু, লেবুর রস ও লাল শাক একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন তারপর এরপর ব্লেন্ড করে সামান্য পানি মিশিয়ে খেয়ে নিন। ভালো ফলাফল পেতে প্রতিদিন একবার খাওয়া উচিৎ।
কিডনি সমস্যা দূর করতে
কিডনি ফাংশনগুলো ভালো রাখতে ও কিডনি পরিষ্কার রাখতে লাল শাক খুব ভালো। এছাড়াও যেসকল নারীরা মাত্রই সন্তান জন্ম দিয়েছেন তাঁদের জন্য লাল শাক খুব কার্যকরী।
ভালো দৃষ্টি শক্তি
লাল শাকে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধির জন্য খুব উপকারী। তাই দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে ডায়েট মেন্যুতে রাখুন লাল শাক।
চুলের গোড়া মজবুত করে
চুলের স্বাস্থ্যের জন্য লাল শাক ভালো। লাল শাক ও লবণ একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন, তারপর ছেকে রস সংরক্ষন করুন রসটি চুলের গোঁড়ায় তেলের মতো করে দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই জুসটি পুরো সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহার করতে পারেবন চুলে। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলে মিনারেল ও পুষ্টি যোগায়।
জ্বর সারিয়ে তোলে
দেহের সুস্থতায় লাল শাক যে ভালো তা আমরা জানি। কিন্তু জ্বর সারাতেও লাল শাকের উপকারিতা অনেক বেশি। জ্বরের সময় লাল শাক ভাজি প্রতিদিন খান দেখবেন জ্বর ধীরে ধীরে কমে যাবে।
- 401 views
- 1 answers
- 0 votes
শত রকমের সুস্বাদু শাকসবজির মধ্যে ঢেঁড়স এমন একটি সবজি যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। অনেকেই ঢেঁড়স খেতে ভালোবাসেন কারণ এর স্বাদ অন্য সবজিগুলো থেকে অনেকটাই ভিন্ন। আবার রাঁধতেও সময় লাগে বেশ কম।জেনে নিই নানা ধরণের ভিটামিনে ভরপুর ঢেঁড়সের কিছু স্বাস্থ্য গুনাগুন।
প্রাণবন্ত চুল
সুস্বাদু সবজি ঢেঁড়স চুলের জন্য খুব উপকারী এবং ঢেঁড়সে আছে এমন কিছু উপাদান যা চুলের কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে, খুশকি ও উকুন রোধ করে, স্কাল্পের শুষ্কতা ও চুলকানি দূর করে থাকে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভাল
ঢেঁড়সে আছে দেহের গ্লুকজ এর মাত্রা কমিয়ে রাখার উপাদানও এক ধরণের ফাইবার উপাদান যা দেহের সুগার নিয়ন্ত্রনে রাখে।
দেহের রক্ত ধমনী গঠন করে
ঢেঁড়স খাওয়ার ফলে দেহে প্রচুর পরিমাণে ফ্লেভনয়েড( flavonoid ) ও ভিটামিন সি পৌছায় যার মাধ্যমে রক্ত ধমনী সুগঠিত হয়ে থাকে।
রক্তশূন্যতা রোধ করে
ঢেঁড়সের হিমোগ্লোবিন, আয়রন ও ভিটামিন কে দেহে রক্ত জমাট সমস্যা রোধ করে, দেহে প্রয়োজনীয় লাল প্লেটলেট তৈরি করে এবং দেহের দুর্বলতা রোধ করে থাকে। তাই রক্তশূন্যতার সমস্যায় বেশি করে ঢেঁড়স খাওয়া ভালো।
ওজন কমাতে সহায়ক
ঢেঁড়সের ফাইবার অনেকটা সময় পেট ভরা রাখে ও ভিটামিন উপাদানগুলো দেহে দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত থাকে এছাড়াও ঢেঁড়সে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম তাই এটি ডায়েট মেন্যুতে রাখতে পারেন।
আলসার সমস্যা রোধ করে
ঢেঁড়সের soluble adhesive উপাদান আলসারের সমস্যা রোধ করতে খুব সহায়ক। সুস্থ থাকতে ও আলসার সমস্যা রোধ করতে ঢেঁড়স রাখুন খাদ্য তালিকায়।
মজবুত হাড় গঠন করে
ঢেঁড়সের ভিটামিন কে উপাদান দেহের হাড় মজবুত করে এবং অস্টিওপরোসিস রোগ রোধ করে হাড় পুনরূদ্ধার করে থাকে।
কলেস্টরোলের মাত্রা ঠিক রাখে
ঢেঁড়সের ফাইবার ও পেক্টিন দেহের খারাপ কলেস্টরোলের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখে এবং atherosclerosis সমস্যা রোধ করে।
এই সকল স্বাস্থ্যগুন ছাড়াও ঢেঁড়সের নানা ধরণের উপাদান আমাদের ত্বকের সমস্যা ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, চোখের দৃষ্টি শক্তির উন্নয়ন ইত্যাদি নানা ধরণের কাজে আসে। তাই সুস্থ থাকতে আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন স্বাস্থ্যগুনে ভরপুর ঢেঁড়স।
- 506 views
- 1 answers
- 0 votes
আদা সাধারণত আমরা ব্যবহার করে থাকি কোন ঝাল জাতীয় খাবারের স্বাদ ও গন্ধ বৃদ্ধি করার জন্য। তবে এই আদা আমরা যে যেভাবেই ব্যবহার করে থাকি না কেন, এর গুনের কোন অভাব নেই। এতে আছে এমন সব উপাদান যা আমাদের দেহের সুস্থতার জন্য খুব উপকারী। আর তাই প্রতিদিনের খাদ্য তলিকায় রাখুন আদা এবং জেনে নিন কেন প্রতিদিন একটু আদা খাওয়া আপনার দেহের জন্য প্রয়োজন।
১। আদা আমাদের দেহের স্বাভাবিক রক্তসঞ্চালন রক্ষনাবেক্ষন করে।
২। কোথাও ভ্রমনের সময় বমি বমি ভাব রোধ করে।
৩। দেহে পুষ্টি শোষণের কাজ উন্নত করে।
৪। ঠাণ্ডা বা জ্বর সারিয়ে তুলতে আদা খুব সহায়ক।
৫। পাকস্থলীর কোন সমস্যা বা ব্যথা রোধ করে।
৬। কোলন ক্যানসার রোধ করতে আদা উপকারী।
৭। শারীরিক যন্ত্রণা বা জ্বালাপোড়া রোধ করতে আদা খুব ভালো কাজ করে।
৮। শ্বাস জনিত কোন সংক্রামন হলে আদা তা সারিয়ে তুলে।
৯। জরায়ু ক্যানসার রোধ করতে ব্যবহার করা হয় ।
১০। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আদা।
১১। গর্ভকালে সকালের অসুস্থতা রোধ করতে আদা খুব উপকারী।
- 566 views
- 1 answers
- 0 votes
বাঙ্গালীদের প্রধান খাবারই হল ভাত। তিনবেলা বিশেষ করে দুপুরে ও রাতে ভাত না খেলে অনেকেরই ভাল লাগেনা। কিন্তু অতিরিক্ত ভাত খাওয়া দেহের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ। তবে আমরা অনেকেই ভাত রান্না করার পর সেই ভাতের মাড় ফেলে দেই। কিন্তু গবেষণায় বলা হয়েছে যে ভাতের মাড় আমাদের দেহের জন্য খুব উপকারী। কারণ এটি আমাদের দেহের ত্বক সুস্থ রাখে, চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং দেহে শক্তিও যোগায়।
ভাতের মাড়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা
১। ভাতের মাড় দেহে শক্তি ও কার্বোহাইড্রেট বৃদ্ধি করে।
২। পেটের সমস্যা রোধ করে।
৩। ক্যানসার রোধে সাহায্য করে।
৪। হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রনে রাখে।
৫। দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখে।
ভাতের মাড়ের সৌন্দর্য উপকারিতা
১। ভাতের মাড় দিয়ে মুখ ধুলে, মুখ পরিষ্কার হয়।
২। মুখের ত্বকে যেই ছোট ছোট ক্ষত থাকে তা সাড়াতে ভাতের মাড় খুব উপকারী।
৩। ভাতের মাড় দিয়ে চুল পরিষ্কার করুন দেখবেন চুল অনেক উজ্জ্বল হবে।
তবে আপনি যখন ভাত রান্না করবেন যতটুকু পানি সবসময় দেন তার থেকে একটু বেশি পানি দিবেন, এরপর ঠাণ্ডা হলে ভাতের মাড় আপনার প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করুন।- 434 views
- 1 answers
- 0 votes
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় প্রথম দিকেই রয়েছে মিষ্টি কুমড়া। ভিটামিন এ চোখের সমস্যা দূর করে, রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। মিষ্টি কুমড়া একই সাথে সবজি এবং ফল হিসেবে খাওয়া যায়। মিষ্টি কুমড়া এক ধরনের বর্ষজীবি লতানো উদ্ভিদ। এর ইংরেজি নাম Sweet gourd হলেও সারাবিশ্বে Pumpkin নামেই পরিচিত। মিষ্টি কুমড়ার বৈজ্ঞানিক নাম Cucurbita maxima।
মিষ্টি কুমড়া নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। প্রতি ১০০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে –
খাদ্যশক্তি- ৪১ কিলোক্যালরি
আমিষ- ১.৪ গ্রাম
শর্করা- ৪.৫ গ্রাম
চর্বি- ০.৫ গ্রাম
খনিজ লবণ- ০.৭ গ্রাম
ভিটামিন বি- ০.৭ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি- ২৬ মিলিগ্রাম
ক্যালসিয়াম- ৪৮ মিলিগ্রাম
কোলেস্টেরল- .০৬ মিলিগ্রাম
লৌহ- ০.৭ মিলিগ্রাম
ক্যারোটিন- ৭২০০ মাইক্রোগ্রামভিটামিন এ সমৃদ্ধ মিষ্টি কুমড়া যে শুধু চোখের সমস্যা প্রতিরোধ করে তাই নয়, পাশাপাশি অন্যান্য রোগ প্রতিরোধেও রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। যেমন –
- – মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে জিংক, যা হাড়ের অস্টিওপোরোসিস রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা ঠিক রাখে এবং শরীরে বয়সের ছাপ সহজে পড়তে দেয় না। এছাড়া চুলপড়া কমাতে ও চর্মরোগ প্রতিরোধে মিষ্টি কুমড়া সহায়তা করে।
- – মিষ্টি কুমড়ায় উপস্থিত বিটাক্যারোটিন খুবই শক্তিশালী এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ফ্রি র্যাডিকাল ড্যামেজ প্রতিরোধ করে। দূষণ, মানসিক চাপ এবং শাকসবজি ও ফলমূলে থাকা ক্ষতিকর কেমিক্যালের কারণে ফ্রি র্যাডিকাল ড্যামেজ হতে শুরু করে। ফ্রি র্যাডিকাল ড্যামেজের ফলে শরীরের সুস্থ ও ভালো কোষগুলো নষ্ট হতে শুরু করে। এই কোষ নষ্ট হওয়া প্রতিরোধ করা যায় নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া খেলে।
- – মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে এল ট্রিপটোফ্যান নামের এক ধরনের বিশেষ উপাদান যা বিষণ্নতা প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে। আপনার যদি প্রায়ই মন খারাপ থাকে অথবা বিষণ্নতায় ভোগেন, তাহলে খাদ্যতালিকায় রাখুন মিষ্টি কুমড়া।
- – উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের রোগীদের নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া খাওয়া উচিত। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- – মিষ্টি কুমড়ার ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ঠান্ডার সমস্যা, অ্যালার্জির সমস্যা, সর্দি-কাশি ইত্যাদি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে মিষ্টি কুমড়া।
- 456 views
- 1 answers
- 0 votes
১০০ গ্রাম খেজুরের খাদ্য উপাদান :
আঁশ ৬.৭ গ্রাম
পটাশিয়াম ৬৯৬ মিলিগ্রাম
কপার ০.৪ মিলিগ্রাম
ম্যাঙ্গানিজ ০.৩ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেশিয়াম ৫৪ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি৬ ০.২ মিলিগ্রাম
এবং চিনি ৬৬.৫ গ্রাম ।- 477 views
- 1 answers
- 0 votes