14182
Points
Questions
3
Answers
7076
এখানে G বলতে Generation বা প্রজন্ম বুঝানো হয় ।
2G : এটি দ্বিতীয় প্রজন্মের তার বিহীন নেটওয়ার্ক । এই ব্যবস্থাতে ডিজিটাল তার বিহীন মোবাইল যোগাযোগের ক্ষেত্রে 28.8 Kbps হারে তথ্য আদানপ্রদান সংক্রান্ত সেবা দেয়া সম্ভব হয় । ১৯৯১ সালে ফিনল্যান্ডের রেডিওলিনজা নামক একটি GSM অপারেটর সর্বপ্রথম ব্যাবসায়িকভাবে এবং GSM স্ট্যান্ডার্ডে 2G তারবিহীন নেটওয়ার্ক চালু করেছিল । তখনকার এধরনের অন্যান্য বিদ্যমান প্রযুক্তি অপেক্ষা 2G তিনটি দিক দিয়ে এগিয়ে ছিলো । এ বাড়তি সুবিধাগুলো হলো :
-2G প্রযুক্তিতে ফোনে নিরাপদভাবে কথাবার্তা বলার জন্য সম্পূর্ণরূপে এনক্রিপশনের ব্যাবস্থা ছিলো ।
-তরঙ্গ বর্ণালি ব্যবহারের ক্ষেত্রে 2G অন্যান্য প্রযুক্তি অপেক্ষা অনেক বেশি কর্মদক্ষ ছিলো ।
-2G এর মাধ্যমে SMS এর মতো বিভিন্ন রকম তথ্যও প্রেরণ করা যেতো ।
-2G চালু হওয়ার পূর্বের বিদ্যমান মোবাইল টেলিফোন সিস্টেমকে ইতিহাস হিসেবে 1G হিসেবে উপাধি দিয়ে দেওয়া হয় । 1G নেটওয়ার্কে রেডিও সিগনাল ছিল অ্যানালগ। অন্যদিকে 2G নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয়েছিল ডিজিটাল পদ্ধতি । তবে তখন উভয় নেটওয়ার্কই রেডিও টাওয়ারের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ডিজিটাল সিগনাল ব্যবহার করতো ।
3G : এটি হলো তৃতীয় প্রজন্মের তারবিহীন নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি । এই প্রযুক্তিতে ন্যূনতম 500 Kbps থেকে সর্বোচ্চ 3 Mbps হারে তথ্য আদান প্রদান করা সম্ভব । এটি আগের সকল তারবিহীন নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিগুলোর চেয়ে অধিক গতিসম্পন্ন এবং উন্নত । 3G নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিতে 2G নেটওয়ার্কের সুবিধাসমূহের পাশাপাশি আরও কিছু সুবিধা উপভোগ করা যায় । যার মধ্যে রয়েছে দ্রুত গতির ইন্টারনেট, ভিডিও কল এবং মোবাইল টিভি ।
3.5G : এই নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিতে 3 Mbps থেকে 14 Mbps পর্যন্ত গতি পাওয়া সম্ভব ।
4G : ২০০৮ সালের মার্চে ITU (International Telecommunication Union) এর বেতার যোগাযোগ সেক্টর 4G এর প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তুসমূহের একটি রূপরেখা প্রবর্তন করে । তারা উচ্চ মোবিলিটি যোগাযোগের জন্য 100 Mbps এবং নিম্ন মোবিলিটি যোগাযোগের জন্য 1 Gbps গতি প্রণয়ন করে । মোবাইল WiMax এবং LTE-এর প্রথম অবমুক্তির পর থেকে যেসব সেবা 1 Gbps এর কম গতি প্রদান করে, ITU এর নীতি অনুযায়ী সেগুলোকে 4G সেবা বলা যাবে না, যদিও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সেগুলোকে 4G সেবা বলেই বাজারজাত করে ।
এককথায়, 2G, 3G, 3.5G, 4G এর মধ্যে মূল পার্থক্য এদের গতিতে ।
- 931 views
- 1 answers
- 0 votes
আসলে ল্যাপটপ আর নোটবুক একই জিনিস। এগুলোর কোনো পার্থক্য নেই। যেমন ধরুন অ্যাপলের ল্যাপটপের নাম ম্যাকবুক, বেনকিউ তাদের উৎপাদিত ল্যাপটপকে বলে জয়বুক। তার মানে এই নয় যে ম্যাকবুক বা জয়বুক নতুন কোনো ধরনের মোবাইল কম্পিউটার। বাস্তবে মোবাইল কম্পিউটারগুলো শুধু উন্নত বিশ্বে নয়, এখন আমাদের দেশেও নোটবুক হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। আমরা আজ প্রায় সব ধরনের লেখাপড়ার কাজ ল্যাপটপ কম্পিউটারেই করতে পারছি, যা কিনা আগের খাতা কলমের বিকল্প হিসেবে। তাই অনেক ক্ষেত্রেই ল্যাপটপকে নোটবুক হিসেবে অভিহিত করা হয়।
তবে ল্যাপটপ নোটবুকের তুলনায় অনেক বেশি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এবং শক্তিশালীও। কিন্তু ল্যাপটপের তুলনায় নোটবুক ব্যাটারি ছাড়া অনেকক্ষণ ব্যবহার করা যায়। বিশেষ কিছু নোটবুক ল্যাপটপের চেয়ে ভালো কাজ করে।
- 866 views
- 1 answers
- 0 votes
কোন দেশের তথা জাতির উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শব্দ দুটি পরষ্পরের সম্পূরক। মূলত বিজ্ঞানের আবিষ্কারকে মানবকল্যাণে বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করাই হলো প্রযুক্তি।
যিনি প্রকৃতির রহস্য অনুসন্ধান করেন এবং রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য গবেষণা করেন তিনিই বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানের আবিষ্কারকে যিনি মানব কল্যাণে ব্যবহার করেন তিনিই প্রযুক্তিবিদ।
বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন বিষয়ে অদম্য কৌতুহলি ও বাস্তববাদী হয়ে থাকেন। প্রযুক্তিবিদগণ কৌশলী ও যথেষ্ট ধৈর্যের সাথে বিজ্ঞানের আবিষ্কারকে কাজে লাগান।
উদাহরণ, পদার্থবিজ্ঞানী, রসায়নবিদ, প্রাণীবিজ্ঞানী। উদাহরণ, প্রকৌশলী, ডাক্তার, কৃষিবিদ।
বিজ্ঞান শব্দের অর্থ হচ্ছে বিশেষ জ্ঞান। বিশ্বজগত্ সম্পর্কে সুসংবদ্ধ ও সুসামঞ্জস্য মঙ্গলজনক জ্ঞানই হচ্ছে বিজ্ঞান। আর প্রযুক্তিবিদের মাধ্যমে বিজ্ঞানের আবিষ্কারগুলো মানবকল্যাণে ব্যবহূত হয়। সাধারণত বিজ্ঞানের আবিষ্কারের প্রায় সাথে সাথেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেগুলোর প্রযুক্তিগত ব্যবহার হয়ে থাকে।
যেমনঃ পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের বিভিন্ন আবিষ্কার প্রায় সাথে সাথেই চিকিত্সা, প্রকৌশল এমনকি কৃষিক্ষেত্রেও বহুলভাবে ব্যবহূত হচ্ছে। অর্থাত্ প্রযুক্তি ছাড়া বিজ্ঞান অচল। আবার বিজ্ঞানের আবিষ্কার যদি না হতো তবে কখনই প্রযুক্তিবিদরা এসবের ব্যবহার বা উপকারিতা সম্পর্কে জানতো না। মানব সভ্যতার প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষ কাঁচা মাংস খেত। পরবর্তীতে আগুনের আবিষ্কার হয় এবং মানুষ রান্না করতে শেখে। যখন ভোতা অস্ত্রকে শান দিয়ে ধারালো অস্ত্র বানানো সম্ভব হলো তখন থেকেই শুরু হলো প্রযুক্তির ব্যবহার। কাজেই বিজ্ঞানের আবিষ্কারের সাথে প্রযুক্তি সম্পৃক্ত হয়ে মানব কল্যাণে ব্যবহূত হচ্ছে। সুতরাং বলা যায় যে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরষ্পরের সম্পুরক।
- 1546 views
- 1 answers
- 0 votes
Eclipse ইন্সটল করার প্রয়োজন নেই। আপনি এই লিঙ্ক থেকে (https://www.eclipse.org/downloads/) আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী Eclipse এর ভার্সন ডাউনলোড করুন। ডাউনলোড করলে আপনি একটা .zip ফাইল পাবেন। এক্সট্রাকট করে Eclipse আইকনে ক্লিক করুন। সফটওয়ার ওপেন হবে । তবে Eclipse ব্যবহার করার আগে আপনার PC তে অবশ্যই JDK ইন্সটল করে নিতে হবে।
JDK-র লেটেস্ট ভার্সন পাবেন এখানে : (https://www.oracle.com/technetwork/java/javase/downloads/jdk8-downloads-2…) ।
- 4548 views
- 1 answers
- 0 votes
বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন :
১. র্যাম এর স্লটে ধূলা বালি জমার কারণে র্যাম ঠিকভাবে মাদারবোর্ডে কানেকশন পাচ্ছে না।
২. পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট সঠিকভাবে পাওয়ার দিতে পারছে না।
৩. বুট অপশন সঠিক ভাবে কনফিগার করা নাই।
৪. হারড ডিস্কে ফাঁকা জায়াগার পরিমাণ খুব বেশি কমে গেছে।
৫. সি ড্রাইভে ফাকা জায়গা নেই বললেই চলে।
৬. দীর্ঘদিন জাবত পিসি থেকে ক্যাশ রিমুভ করেন নাই ইত্যাদি কারণে আপনার এই সমস্যাটি হতে পারে।এই বিষয়গুলো ভালোভাবে যাচাই করে দেখুন এই ধরনের কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা। এমন সমস্যায় ডেক্সটপটি সারিয়ে নিতে পারেন। প্রয়োজনে আইডিবিতে ডেক্সটপটি নিয়ে যেতে পারেন।
- 1520 views
- 1 answers
- 0 votes
জমি সংক্রান্ত বিষয়াদির সাথে আমরা প্রায়শ “ভায়া দলিল” শব্দ যুগলের কথা শুনে থাকি। কিন্ত অনেকই জানিনা “ভায়া দলিল” সম্পর্কে জানি না। আসুন জেনে নিই এই ভায়া দলিল আসলে কী?
ভায়া দলিল :
জমির মূল বা আদি দলিলকে ভায়া দলিল বলে। জমির মালিকানা নিরুপনের জন্য ভায়া দলিল একটি অপরিহার্য উপাদান।
ধরুন, আপনি একখন্ড জমি আলম সাহেব থেকে ক্রয় করলেন, যার দলিল নং ২০০। আলম সাহেব উক্ত জমি ক্রয় করলেন সুফিয়া খাতুন থেকে, যার দলিল নং ১৩০। এখানে আপনার সৃজিত দলিল নং ২০০ এর ভায়া দলিল নং হচ্ছে ১৩০। অর্থাৎ ভায়া দলিল হচ্ছে মূল দলিল যা থেকে সৃষ্টি হয় পরের দলিল সমূহ।
আপনি যখন কোন জমি ক্রয় করবেন তখন অবশ্যই জমির বিক্রেতা থেকে ভায়া দলিল চেয়ে নিবেন। সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে একটি নির্দিষ্ট ফরমে সার্চ করে উক্ত দলিলের সঠিকতা যাচাই করে নিবেন। আর উক্ত ভায়া দলিল থেকে সৃষ্ট পরবর্তী প্রতিটি দলিলের দাগ নাম্বার ও জমির হিস্যা ঠিক আছে কিনা জেনে নিবেন। যদি সন্দেহ হয় তাহলে রেজিস্ট্রি অফিসে সংরক্ষিত দলিলের সাথেও মিলিয়ে দেখতে পারেন।
লিখেছেন : এডভোকেট জয়নাল আবেদীন চৌধুরী রিগ্যান
- 688 views
- 1 answers
- 0 votes
বাংলাদেশের সাথে ভারত ও থাইল্যান্ড এই দুটি দেশের সাথে বন্দী বিনিময় চুক্তি রয়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের চারটি দেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান ও কাতারের সাথে বন্দী বিনিময় চুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গত ২৩ অক্টোবর ২০১৩, বুধবার অনুসমর্থনের দলিল হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে কার্যকর হলো ভারত ও বাংলাদেশের বহিঃসমর্পণ চুক্তি’, যার আওতায় দুই দেশ ফৌজদারি মামলায় বিচারাধীন বা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিনিময় করতে পারবে।
- 3013 views
- 1 answers
- 0 votes
এই সমস্যাটি প্রায়ই দেখা যায় অর্থাৎ বাবা মা বৃদ্ধ হয়ে গেলে সন্তানরা তাদের দেখাশোনার ভার আর নিতে চান না। ফলে বৃদ্ধ বাবা মায়ের ভোগ করতে হয় এক চরম দুর্ভোগ।
তবে সম্প্রতি একটি আইন করা হয়েছে যেখানে বৃদ্ধ বাবা মায়ের ভরনপোষণ দেয়াকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বাবা-মার ভরণপোষণ না দিলে জেল-জরিমানার বিধান রেখে গতবছর নতুন এই আইন করে সরকার।
আইনে বলা হয়েছে, ভরণ-পোষণে ব্যর্থতার জন্য সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড হবে, তা দিতে ব্যর্থ হলে তিন মাস কারাভোগ করতে হবে।
কোনো সন্তানের স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে বা নিকট আত্মীয় এ দায়িত্ব পালনে বাধা দিলে তারাও একই অপরাধে অপরাধী হবেন এবং একই শাস্তি পাবেন।
(অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন চৌধুরি রিগ্যান)
- 683 views
- 1 answers
- 0 votes
গৃহিনী শব্দটির সাথে সবারই একটি পরিচিতি আছে। যারা গৃহের কাজে দিন “গুজরান” করেন অর্থাৎ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যারা গৃহের সৌন্দর্য বৃদ্ধি থেকে শুরু করে, রান্নাবাড়া, পরিস্কার, পরিচ্ছন্নতা, সন্তান লালন পালন ইত্যাদি কার্য সমাধা করে থাকেন তাদেরকেই গৃহিনী বলে। কিন্তু এটাকে কি আদৌ পেশা বলে আখ্যায়িত করা যাবে?
সাধারণত পেশার সাথে অর্থের একটা সংযোগ রয়েছে। প্রকৃত অর্থে পেশা বলতে সেটাই বুঝানো হয় যা করে কেউ অর্থের বিনিময়ে সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়মকানুন মেনে। কিন্তু ভেবে দেখুন “গৃহিনী” নামক কথিত সেই পেশায় কি আদৌ সেরকম ব্যাপার আছে? একেবারেই নেই। তাই গৃহিনী নামক এই শব্দটি কখনই একটি পেশা নয়। আসুন জেনে নিই এর পক্ষে আরও কিছু কারণ সম্পর্কে।
কেন পেশা নয় :
– গৃহিনী কোনো পেশা নয় কারণ মাস শেষে এখানে সেলারি হয় না।
– গৃহিনী কোনো পেশা নয় কারণ এখানে আট ঘন্টা ডিউটির কোনো নিয়ম নেই।
– গৃহিনী কোনো পেশা নয় কারণ এখানে টিএ/ডিএ’র সিস্টেম নেই।
– গৃহিনী কোনো পেশা নয় কারণ এখানে লাঞ্চ ব্রেক নেই, সাপ্তাহিক ছুটি নেই, অসুস্থতার দোহাই দিয়ে ছুটি নেই, উৎসাহ ভাতা, বোনাস ভাতা কিচ্ছু নেই।
– গৃহিনী কোনো পেশা নয় কারণ এখানে মাতৃত্বকালীন ছুটি নেই।
- 1502 views
- 1 answers
- 0 votes
বিয়ে হচ্ছে একটি ভালবাসার সফল সমাপ্তি অথবা সফল হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে একটি ভালবাসার শুরু। অর্থাৎ বিয়ে প্রতিটি মানুষের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যার শেষ প্রান্তে সফলতাই কাম্য। দুজন মানুষ তারা যে ধর্মের হোক না কেন ভালবাসায় জড়াতে পারে এবং তা দোষের কিছু নয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠে তখন যখন তা কোন আইনগত সম্পর্কের দিকে গড়ায়। কারণ বিয়ে মানে দুজন মানুষের জীবন নয় বরং অন্য অনেক জীবনের প্রশ্নও এই সিধান্তের সাথে জড়িত। দুই পক্ষের বাবা ও মা সহ অন্য যারা আছেন তাদের মতামত, এই বিয়ের ফলে যে সন্তানরা জন্মগ্রহন করবে তাদের ধর্মীয় পরিচয় এই বিষয়গুলো ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দুজন মানুষ যদি বিয়ের আগে এই বিষয়গুলি আগেই আলোচনা করে কোন সিধান্ত নেয় তবে তা সফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিজেদের মাঝে মিল থাকলে সমাজও মেনে নিতে বাধ্য হয় একসময়।
বর্তমানে নিজ নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস অটুট রেখে সংসার করছেন অনেক দম্পতি। বেড়ে উঠছে নতুন একটি প্রজন্ম, যাদের উত্তরাধিকার সূত্রে ধর্মীয় কোন পরিচয় নেই। এটাকে সমাজের অনেক বড় পরিবর্তন বলছেন সমাজবিজ্ঞানীরা ধর্ম পরিবর্তন না করেই দু’টি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে বিয়ের ঘটনা বাড়ছে। একই ধর্মের দু’জন বিয়ে করে ঘর সংসার করতে হবে এমন ধারণা থেকে বের হয়ে আসছেন অনেকেই। দুই ধর্মের দু’জন তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস ঠিক রেখে বিয়ে করছেন। আচার-আচরণ পালন করছেন যে যার বিশ্বাস মত। এভাবে দেশের আইন অনুযায়ী বিয়ে করে সংসার করছেন অসংখ্য দম্পতি। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের জুটি এখন অনেক। আর এই বিয়ের ফলে বেড়ে উঠছে নতুন একটি প্রজন্ম। যারা উত্তরাধিকার সূত্রে কোন ধর্মীয় পরিচয় বহন করছেন না। আধুনিক সমাজে সেটা প্রয়োজনও মনে করছেন না অনেকে। এই উত্তরাধিকারীদের মধ্যে আবার কেউ কেউ নিজেই একটি ধর্ম বেছে নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ধর্ম বিশ্বাস থেকে সরে আসছেন। তবে রাষ্ট্র আইন করে এমন বিয়ের ব্যবস্থা করলেও এইসব পরিবারের সম্পত্তি বন্টনের জন্য কোন আইন নেই। বাংলাদেশে ইসলাম, হিন্দু ও খৃষ্টান ধর্মীয় আইনে সম্পত্তি ভাগ হয়। কিন্তু এই পরিবারের সম্পত্তি যদি বাবা-মা ভাগ করে দিয়ে না যান বা উইল না করেন, তবে ভাগ করার কোন নিয়ম নেই।
আইন :
বাংলাদেশের বিশেষ বিবাহ আইন ১৮৭২ (সংশোধিত ২০০৭) অনুযায়ী এই বিয়ে হচ্ছে। এই আইন অনুযায়ী, একজন মুসলমান, হিন্দু, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ, ইহুদি বা অন্য যে কোন ধর্মের যে কেউ যে কারো সাথে বিয়ে করতে পারবে। ধর্মের পরিবর্তন করা প্রয়োজন হবে না। অথবা দু’জনই ধর্মীয় বিশ্বাস বাদ দিয়ে বিয়ে করতে পারবে। অথবা একজন অন্যজনের ধর্ম মেনে নিতে পারবে। তবে নাবালকের সাথে কেউ বিয়ে করতে পারবে না। আইন অনুযায়ী এই বিয়ে রেজিষ্ট্রি করার জন্য সরকার একজনকে নিয়োগ দিয়েছে। বাংলাদেশে একজনই এই বিয়ে পড়িয়ে থাকেন।
প্রায় প্রতিমাসেই এই বিয়ে হচ্ছে। গত কয়েক বছরে এই বিয়ের হার বেড়েছে। ১৯৮৩ সাল থেকে এপর্যন্ত এক হিসেবে দেখা গেছে, প্রায় ৫০০ দম্পত্তি কোন ধর্ম পরিবর্তন না করেই এমন বিয়ে করেছেন। এদের মধ্যে ছেলে হিন্দু, মেয়ে মুসলমান। কিংবা ছেলে মুসলমান, মেয়ে হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী। অনেকে আছেন আবেগে বিয়ে করছেন। অনেকে জেনে বুঝে গন্ডি ভাঙ্গার তাগিদে। অনেক পরিবার আছে এই বিয়ে মেনে নিচ্ছেন, আবার অনেক পরিবার আছে যারা মানছেন না।
আইন মতে, বিয়ের ১৪ দিন আগে রেজিস্ট্রারের কাছে নোটিস দিতে হয়। এরমধ্যে কারো কোন আপত্তি থাকলে সে তা জানায়। এরপরে বর বধুর সাক্ষর আর ৩ জন সাক্ষীর সাক্ষরে সম্পন্ন হয় বিয়ে।
- 721 views
- 1 answers
- 0 votes