14182
Points
Questions
3
Answers
7076
ব্যক্তিগত ওয়েব সাইট অথবা প্রতিষ্ঠান যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট খোলার জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন হয় একটি ডোমেইন নেম। এরপর প্রয়োজন হয় ডোমেইনটি হোস্ট করার জন্য ওয়েব স্পেস। সারা বিশ্বে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান আছে যারা ডোমেইন এবং হোস্টিং সেবা প্রদান করে থাকে। তবে ডোমেইন ও হোস্টিং এর ক্ষেত্রে কিছু বিষয় সম্পর্কে ভালো করে জেনেশুনে, ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকেই নেয়াই ভালো। না হলে পরবর্তীতে নানা ধরনের বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। নিচের বিষয়গুলো একটু ভালোভাবে বুঝে শুনে নিলে পরবর্তীতে এ নিয়ে আর কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। ওয়েব সাইট তৈরী করতে হলে তিনটা বিষয় জানতে হবে ১. ওয়েব পেজ ডিজাইন, ২. ডোমেইন (সাবডোমেইন) রেজিষ্ট্রেশন ও ৩. ওয়েব পেজ হোষ্টিং।
প্রতিষ্ঠান যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট খোলার জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন হয় একটি ডোমেইন নেম। এরপর প্রয়োজন হয় ডোমেইনটি হোস্ট করার জন্য ওয়েব স্পেস। সারা বিশ্বে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান আছে যারা ডোমেইন এবং হোস্টিং সেবা প্রদান করে থাকে। তবে ডোমেইন ও হোস্টিং এর ক্ষেত্রে কিছু বিষয় সম্পর্কে ভালো করে জেনেশুনে, ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকেই নেয়াই ভালো। না হলে পরবর্তীতে নানা ধরনের বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। নিচের বিষয়গুলো একটু ভালোভাবে বুঝে শুনে নিলে পরবর্তীতে এ নিয়ে আর কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না।
ডোমেইননেম কি?
ডোমেইন হচ্ছে আপনার আইডিন্টিফিকেশন ব্যান্ড যা ইন্টারনেটে আপনার অ্যাডমিনিসস্ট্রেটিভ অটোনমি, অথরিটি এবং কন্ট্রোল প্রকাশ করে।ওয়েব ঠিকানা তৈরীর ধাপ সমূহ
ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন
ওয়েব সাইট তৈরী করতে প্রথমেই আপনার প্রয়োজন একটি ডোমেইন নাম। আপনার কাংখিত ডোমেইন নামটি যদি ইতিপূর্বে কেউ রেজিস্ট্রেশন করে ফেলে তাহলে এর সাথে কিছু একটা যোগ করে দিতে হবে। ডোমেইনের নাম পছন্দ করতে কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ডোমেইন নেম চেক করার জন্য বেশ কিছু সাইট রয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি হোস্টিং প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইটে ডুকেও আপনি নাম খালি আছে কিনা চেক করে নিতে পারেন। আপনার প্রতিষ্ঠানের ধরণ বুঝে ডোমেইন নেমের এক্সটেনশন বেছে নেয়া উচিত। যেমন আপনি যদি কোন কোম্পানির জন্য ওয়েবসাইট করেন তাহলে শেষে ডট কম বেছে নিন। কোন অর্গানাইজেশনের ওয়েবসাইট করতে চাইলে শেষে ডট ওআরজি বেছে নিন। এমনি করে ইনফরমেশন ভিত্তিক সাইটের জন্য ডট ইনফো, নেট ওয়ার্কিংয়ের জন্য ডট নেট, মোবাইল কোম্পানির জন্য ডট মোবি এবং ব্যবসায়ের জন্য ডট বিজ ব্যবহার করুন। এতে আপনার ওয়েব এড্রেসের নাম দেখেই সাইটের ব্যাপারে একটি স্বচ্ছ ধারণা পেয়ে যাবেন সবাই। আন্তর্জাতিকভাবে, জনপ্রিয় টপ লেভেল ডোমেইন গুলোর বার্ষিক মূল্য প্রায় ৭ ইউএস ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় রুপান্তর করলে প্রায় ৬০০ টাকার মত হয়। আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সমূহ বিভিন্ন মূল্যে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করে থাকে।কিছু ব্যবসায়ী ৭০০ থেকে ১০০০ টাকায় ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করিয়ে থাকে। আবার কিছু ব্যবসায়ী বিনামূল্য থেকে শুরু করে ২০০/৩০০ টাকায়ও ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করিয়ে থাকে। সত্যিকার অর্থে ৬০০ টাকার চেয়ে কম মূল্যে কোন ব্যবসায়ীর পÿে ডোমেইন বিক্রি করে লাভ করা সম্ভব নয়। যদি কেউ এই ধরনের অফার দিয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে হয়তো তারা মার্কেট ধরার জন্য ভর্তুকি দিচ্ছে নয়ত এখানে অন্য কোন মার্কেটিং পলিসি কাজ করছে।
বাজেট
প্রত্যেকেরই একটা আনুমানিক বাজেট থাকে যার মধ্যে সে হোস্টিং কিনবে। একই সাথে ভাল মানের এবং কম টাকার মধ্যে কিনতে হলে অবশ্যই আপনাকে বাজার ঘুরে দেখতে হবে। আপনার বাজেট নির্ধারণ অবশ্যই বাস্তব সম্মত হতে হবে।একটা কথা মনে রাখতে হবে যেমন টাকা পে করবেন তেমন সার্ভিস পাবেন। আপনি যেমন ডিমের দামে মুরগী পাবেন না তেমনি হোস্টিং এর ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। একটা ডেডিকেটেড সার্ভারের প্রাইস ১৫০-৫০০ ডলার প্রতি মাসে এখন আপনি যদি ৫০ জিবি স্পেস ২ ডলার মাসে চান তাহলে আপনাকে ডাউনটাইম, সাইট স্লো লোডিং এসব বিষয় সহ্য করতে হবে। তাই কেনার আগে এ বিষয়টি ভেবে দেখুন। সস্তার তিন অবস্থা এই কথাটি মাথায় রাখুন।ডিস্ক স্পেস
আপনাকে স্পেস এর কথা চিন্তা করতে হবে। আপনার ওয়েব সাইটের জন্য কতটুকু স্পেস লাগবে তা হিসাব করে নিন। আপনি যদি ব্যক্তিগত ওয়েব সাইট করতে চান যাতে শুধু কয়েকটা পেজ থাকবে তাহলে ৫০ এমবি স্পেসই যথেষ্ট। আর যদি চিন্তা ব্যক্তিগত ব্লগ টাইপের ওয়েব সাইট হবে তাহলে ২০০-৫০০ এমবি স্পেসই যথেষ্ট। আর আপনি যদি চিন্তা করেন ছবি, গান, ভিডিও রাখবেনতবে আপনাকে বড় ওয়েব স্পেসের দিকে নজর দিতে হবে। অনেকেই দেখা যায় ১০০ এমবি হোস্টিং যথেষ্ট সাইট হোস্ট করার জন্য কিন্তু কিনে ফেলেন ১-৫০ জিবি। বছর বছর টাকা দিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু ব্যবহার করতেছেন ১০০ এমবি। তাই অযথা স্পেসের জন্য অতিরিক্ত টাকা না দিয়ে সবচেয়ে ছোট প্লান থেকে শুরু করুন। আপনার যদি স্পেস বেশি প্রয়োজন পড়ে তাহলে পরবর্তী প্লানে আপগ্রেড করে নিবেন। এবং প্রায় সব কোম্পানিই আপগ্রেড সুবিধা দিয়ে থাকে। আনলিমিটেড স্পেসের ফাঁদে পা দিবেন না। এটা একটা মার্কেটিং ট্রিকস। কোন কোম্পানিরই আনলিমিটেড স্পেস দেয়া সম্ভব না। একবার চিন্তা করুন তো আপনি মার্কেটে আনলিমিটেড হার্ডডিস্ক দেখেছেন কি না। সার্ভারও আমাদের পিসির মতোই।ব্যান্ডউইথ
প্রতিবার পাঠক / দর্শক যতগুলো পেজ আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করে, ততগুলো পেজ, ছবি, গান, ভিডিও অর্থাৎ ওইসব পেজে যা কিছু আছে সবগুলোই পাঠকের কম্পিউটারে ডাউনলোড হয়। প্রাথমিক অবস্থায় একটা সাইটের ১ জিবি ব্যান্ডউইথই যথেষ্ট। পারসোনাল সাইটের জন্য এর চেয়ে বেশি লাগার কথা না। আর আপনার সাইটে যদি প্রচুর ইমেজ, ভিডিও ইত্যাদি থাকে তাহলে প্রচুর ব্যান্ডউইথ লাগতে পারে। ১০-১০০ জিবি অথবা তারচেয়ে ও বেশি।আপটাইম/SLA গ্যারান্টি
একটি ওয়েবসাইটের জন্য আপটাইম বিষয়টি খুবই জরুরি। হোস্টের সার্ভার যতক্ষন সচল থাকবে, আপনার ওয়েবসাইটও ততক্ষন সক্রিয় থাকবে। এটা কেবলমাত্র পাঠকের জন্যই গুরুত্বর্পূণ নয়, বরং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনেও অনেক গুরুত্ববহন করে। পাঠক একবার আপনার ওয়েবসাইটে আসে দেখলো আপনার ওয়েবসাইট কাজ করছে না, তখন তার মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে এবং সে ভবিষ্যতে নাও আসতে পারে। ঠিক তেমনি সার্চ ইঞ্জিনের বট ইনডেক্সের সময় ওয়েবসাইট ডাউন থাকলে, সে ফিরে যাবে এবং আপনি আপনার ওয়েবসাইট ইনডেক্স হওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন।এখন প্রতিটি হোস্টিং কোম্পানিই ৯৯.৯% টাইম সক্রিয় থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু এদের প্রকৃত আপটাইমের হিসেব পাওয়া সম্ভব নয়। তাই কেনার আগে গুগলে যে কোম্পানি থেকে কেনার কথা চিন্তা করছেন সে কোম্পানির নামের সাথে আপটাইম শব্দটি লাগিয়ে সার্চ দিন। যেমন- socheaphost uptime লিখে সার্চ দিলে আপনি socheapost.com এর আপটাইম সম্পর্কে জানতে পারবেন।আর কোম্পানি যদি কোন মাসে আপটাইম গ্যারান্টি রক্ষা না করতে পারে তাহলে সে জন্য ক্রেডিট প্রদান করে কি না চেক করে নিতে হবে। কোম্পানির ওয়েব সাইটে টার্মস অব সার্ভিসেস লিংকে এ সম্পর্কিত বিস্তারিত লেখা থাকে।মানিব্যাক গ্যারান্টি
মানিব্যাক গ্যারান্টি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। অনেক কোম্পানিই ৩০ দিনের মানিব্যাক গ্যারান্টি দিয়ে থাকে। কেনার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন কোম্পানি মানিব্যাক গ্যারান্টি দিচ্ছে কিনা।প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক অবস্থা
হোস্টিং কেনার আগে হোস্টিং কোম্পানি ভাল না মন্দ তা জেনে নেয়ার চেষ্টা করুন। কোম্পানি সম্পর্কে ইউজারদের দৃষ্টি ভঙ্গি কেমন তা কোম্পানির রিভিউ দেখলেই বুঝতে পারবেন। যেমন- গুগলে গিয়ে socheaphost review লিখে সার্চ দিলে socheaphost সম্পর্কে ব্যবহারকারিদের মতামত জানতে পারবেন। কোম্পানি যেসব বিলিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে তা বৈধ্য উপায়ে করে কি না। নাকি চোরাই সফটওয়্যার ব্যবহার করে তা নিশ্চিত হয়ে নিন। যারা চোরাই স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে সার্ভিস দেয় তাদের থেকে ভাল কিছু আশা করা ঠিক হবে না।সাপোর্ট
আজকের দুনিয়ায় সাপোর্ট একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার সার্ভার যদি কখনো ডাউন হয় আর যদি তা জানাতে এবং উত্তর পেতে কয়েক দিন লেগে যায় তাহলে লক্ষ ভিজিটর হারাতে পারেন। আর যদি আপনি রিসেলার ক্লাইন্ট হোন তবে তো মহা বিপদে পড়বেন। আপনার ক্লাইন্টকে কোন উত্তর দেয়ার মতো কিছু থাকবে না। তাই কোম্পানির সাপোর্ট কত দ্রুত তা নিশ্চিত হয়ে নিন। হোস্টিং কোম্পানি জিজ্ঞাসা করুন তাদের গ্যারান্টেড সাপোর্ট রেসপন্স টাইম কেমন। এবং কি কি মাধ্যমে সাপোর্ট দিয়ে থাকে।হোস্টিং ফিচার
হোস্টিং প্লানগুলোর মধ্যে কোন লিমিটেশন থাকলে সেটা অনেক সময় ভালভাবে উল্লেখ করা থাকে না। তাই প্লানগুলোর তুলনা করে আপনার চাহিদার সাথে বেপারগুলো মিলে কিনা তা দেখে নিন। আপনি যদি এএসপি ডট নেটে সাইট বানাতে চান তাহলে আপনার উন্ডডোজ হোস্টিং লাগবে। লিনাক্স হোস্টিং এ চলবে না। আপনার যে যে ফিচার প্রয়োজন তা তারা দিতে পারছে কি না দেখে নিন।লিমিটেশন জেনে নেওয়া
আপনি আপনার হোস্টিং এ কি কি হোস্ট করতে পারবেন এবং কতটুকু স্পেস, ব্যান্ডউইথ, সিপিউ ব্যবহার করতে পারবেন তা টার্মস অব সার্ভিসেস পেজে দেয়া থাকে। তাই কোম্পানির টার্মস অব সার্ভিসেস পড়ে নিতে হবে।কন্ট্রোল প্যানেল
আপনার ওয়েব সাইট ম্যানেজ করার জন্য কন্ট্রোল প্যানেল প্রয়োজন। কন্ট্রোল প্যানেলের সাহায্যে আপনি আপনার ওয়েব সাইট সহজেই ম্যানেজ করতে পারেন। ওয়েব হোস্টিং এ সব চেয়ে সহজ এবং অধিক ফিচার সমৃদ্ধ কন্ট্রোল প্যানেল হচ্ছে সিপ্যানেল। তাই সবসময় সিপ্যানেল হোস্টিং নেয়ার কথা চিন্তা করুন।সার্ভার লোড
সাভার ওভার লোড কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নিন। আপনি হোস্টিং কোম্পানিকে সার্ভারের টোটাল কোর এবং প্রসেসর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন। যদি সার্ভার কোর ৮টা হয় এবং তাদের সার্ভার লোড ৮ এর উপরে হয় তাহলে সার্ভার ওভারলোড। এবং ওভারলোড সার্ভারে সাইট হোস্ট করলে সাইট লোড হতে বেশি সময় নিবে। এসব বিষয় খেয়াল রেখে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনলে আশাকরি ভাল মানের হোস্টিং কিনতে পারবেন।নিচে আলোচিত ৩০টি প্রয়োজনীয় টুলস দ্বারা আপনি জানতে পারবেন কিভাবে ওয়েব পেজ তৈরী করতে হয়, এর জন্য কি কি টুলস লাগবে, কোথায় সেগুলো পাবেন,কিভাবে আপলোড করতে হয়,ম্যানেজ করার টুলস,জনপ্রিয়তার মাপকাঠি এবং সার্চ ইন্জিনে কিভাবে নিবন্ধন করতে হয় ইত্যাদি।যারা ওয়েব পেজ নিয়ে কাজ করতে চান তাদের এটি কাজে আসবে আশা করি।
ওয়েব পেজ তৈরী করার টুলস
ড্রিমওয়িভার-ওয়েব সাইট প্যাকেজ তৈরী করার জন্য খুবই জনপ্রিয় ।
হটস্ক্রিপ্ট – আপনার সাইটকে আকর্ষনীয় করার জন্য উম্মক্ত স্ক্রিপ্ট। (মুক্ত)
এইচটিএমএল কীট -ওয়েব পেজ কোডিং করার টুলস।
অটোরিপ্লেস-একাধিক ওয়েব পেজের টেক্সসমুহ সহজেই বদল করার জন্য। (মুক্ত)
ন্যামো ওয়েব এডিটর- ওয়েব সাইট তৈরী করার টুলস।
নোটপ্যাড++- নোটপ্যাড থেকে অধিকতর উন্নত সংস্করন। (মুক্ত)
সেরিফ ওয়েবপ্লাস-ওয়েব পেজ তৈরী করার সফটওয়্যার।চিত্রলেখ (গ্রাফিকস) ডিজাইন টুলস
অ্যাডোবে ফটোশপ-জনপ্রিয় ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার।
কুলটেক্স-অনলাইন লোগো গ্রাফিকস তৈরী করার জন্য। (মুক্ত)
ইরফানভিউ- ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার। (মুক্ত)
পিক্সি-যেকোন রংয়ের এইচটিএমএল মান জানার জন্য।(মুক্ত)
সেরিফ ড্রপ্লাস-গ্রাফিকস এডিটিং সফটওয়্যার।ওয়েব সাইট ব্যবস্হাপনা টুলস
কনট্রিবিউট-সহজেই সাইট এবং ব্লগ হালনাগাদ করার জন্য।
কফিকাপফ্রিএফটিপি-ওয়েব সাইট আপলোড এবং ব্যবস্হাপনা (মুক্ত)
ইমেল চেক-স্প্যামাররা আপনার ওয়েব সাইট ইমেল এড্রেস দেখতে পায কি না তা যাচাই করা (মুক্ত)
ফায়ারফক্স ওয়েব ডেভেলপার এক্টেনশন-ওয়েব সাইট প্রকাশনা বা তৈরী (মুক্ত)
ফাইলজিলা-ওয়েব সাইট ফাইলস আপলোড এবং ব্যবস্হাপনা (মুক্ত)
লিংক পপুলারিটি-আপনার ওয়েব সাইট সার্চ ইন্জিনের নিকট কতটা জনপ্রিয় তা যাচাই করার জন্য।(মুক্ত)
অ্যালেক্সা টুলবার-অ্যালেক্সা সাইট তথ্যের জন্য(মুক্ত)
লিংক্স ব্রাউজার-টেক্স ব্রাউজারে আপনার কেমন দেখাবে তা যাচাই করে দেখা(মুক্ত)
ডব্লিউথ্রিসি ভ্যালিদেটর-আপনার পেজের কোডিংয়ের মান যাচাই করা(মুক্ত)ফ্লাশ এনিমেশন
ফ্লাশ প্রো(প্রিমিয়ার ফ্লাশ তৈরী করার সফটওয়্যার
সুইস ম্যাক্স-ফ্লাশ ফাইল তৈরী করার টুলস।
এফোরডেক্স-কাঠামো(টেম্পলেট) ব্যবহার করে সহজেই ফ্লাশ সাইট তৈরী করা।
ডিভআইও-ডিজিটাল ক্যামেরা থেকে ভিডিও এভিআই তে নেওয়া।(মুক্ত)
কুলমুভস-সহজেই ফ্লাশ এনিমেশন তৈরী করা।
টারবাইন এনকোডার- সচল চিত্র(ভিডিও) কে স্টিমিং ফ্লাশে পরিবর্তন করা (মুক্ত)অন্যান্য বিষয়
এমএসএন সাইটসার্চ-আপনার সাইটে সার্চ সবিধা যোগ করতে।(মুক্ত)
পিএইচপিবিবি-পিএইচপি-ভিত্তিক ফোরাম তৈরী করার জন্য।(মুক্ত)
এক্সপিএফ মিউজিক প্লেয়ার-সাইটে এমপিফ্রি ফাইল চালানো।(মুক্ত)যা জানতে হবে
ওয়েব সাইট তৈরী করতে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন, হোস্টিং এবং ডিজাইনের প্যাকেজ ক্রয়ের ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত সেগুলো হচ্ছে-
-ডোমেইন রেজিস্ট্রেশনের সময় সংশিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টাকার রশিদ এবং মালিকানার প্রমাণস্বরুপ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বুঝে নিন।
-ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেলের ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড বুঝে নিন।
-ব্যক্তিগত কারও কাছ থেকে ডোমেইন না নিয়ে রেজিস্টার্ড কোন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ওয়েব হোস্টিং নেয়া ভালো।
-ডট বিডি রেজিস্ট্রেশন সরাসরি বিটিসিএল এর কাছ থেকে করুন।
-ডোমেইন হোস্টিং এর সময় সংশিøষ্ট প্রতিষ্ঠানের
কাছ থেকে কমপক্ষে ১৫-৩০ দিন পর্যন্ত মানি ব্যাক গ্যারান্টি বুঝে নেয়ার চেষ্টা করুন।
-যেই প্রতিঠানের কাছ থেকে ডোমেইন হোস্টিং নিচ্ছেন সেই প্রতিষ্ঠানের সেবা গ্রহণকারী কোন ক্লায়েন্টের ওয়েব সাইট ভিজিট করে দেখতে পারেন এবং প্রয়োজনে ফোন করে তথ্য নিতে পারেন।
-আপনার ডোমেইনের যিড়রং যাচাই করে নিন। এটি যাচাই করতে যেকোন ওয়েব হোস্টিং প্রতিষ্ঠানের
-সাইটে প্রবেশ করে যিড়রং বাটনে ক্লিক করুন। সেখানে একটি বক্স দেখতে পাবেন। বক্সে আপনার ওয়েব এড্রেসটি টাইপ করে এন্টার চাপুন।
তখন যে পেজটি ওপেন হবে সেখানে আপনার নাম, ঠিকানা এবং সমান তথ্য আছে কিনা তা যাচাই করুন।
-ডোমেইন কেনার সময় চাহিবামাত্র কন্ট্রোল প্যানেল বুঝে পাওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করুন।কৃতজ্ঞতায় : অনলাইন ঢাকা গাইড
- 1404 views
- 1 answers
- 0 votes
সাধারণত একজন মানুষ ডায়েরি লেখে কেন? জীবনের কোনো ভালোলাগার মুহূর্ত বা খুব কষ্টের মুহূর্তগুলো ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করার কিছু কারণ রয়েছে, যেমন মনকে হালকা করা এবং মানসিকভাবে প্রশান্তি লাভ বা অতীত জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মনে রাখা। এক কথায় শেয়ার করা। কিন্তু অনলাইনের এই যুগে ২ সেকেন্ড আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো মুহূর্তেই শেয়ার করে ফেলি অনলাইন বন্ধুদের কাছে। অথবা ধরুন খুব কষ্টের একটি বিষয় যা আপনার মনকে ছিন্নভিন্ন করে চলেছে। তা প্রকাশ দরকার কেননা এতে মন হালকা হবে। আবার এমন একটি কথা যেটা কারও সাথে শেয়ার করাও যায় না। এমন পরিস্থিতিতে আমরা যা করি তা হল মনের কথাগুলোকে পরোক্ষ উক্তিতে বা প্রতীকের সাহায্যে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিই। এতে করে মনও হালকা হয় আবার শেয়ারিংয়ের বিষয়টাও হয়।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে অনলাইনের যুগে ডায়রি লেখার ব্যাপারটাও বেশ বদলে গেছে। তবে কাগজ-কলমে হোক বা ভার্চুয়াল জগতের পাতায়, অনেকেই নিজের জীবনের রেকর্ড রাখেন ডায়রির মাধ্যমে। যতই তাদের বাইরের জগত থাকুক না কেন, ডায়েরির অন্দরমহলে দিনে একবার হলেও তারা প্রবেশ করবেন।
ডায়েরি লেখার ক্ষতিকর দিক :
ব্যক্তিগত বিষয়ের বহিঃপ্রকাশ অমঙ্গলকর হতে পারে :
আপনার জীবনের অনেক বিষয়ই একান্তই ব্যক্তিগত হয়ে থাকে যা কারও সাথেই শেয়ার করা যায় না, এমনকি সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছেও না। তা হয়তো আপনি আপনার আপন ডায়েরিটাতে প্রতিদিন লিপিবদ্ধ করে রাখছেন। কিন্তু এমনও তো হতে পারে ডায়েরিটি হঠাৎ আপনার হাতের নাগালের বাইরে চলে গেল। তখন বিষয়টি কেমন হবে? তারচেয়ে কী দরকার ডায়েরিতে এসব ব্যক্তিগত বিষয় লিখে দ্বিতীয় ব্যক্তিকে জানানো। এর চেয়ে মনের কথা মনেই থাকুক। তা একমাত্র আপনিই জানুন।ব্যক্তিত্ব নষ্ট হতে পারে :
ডায়েরি লেখার অভ্যাস আপনার সুন্দর ব্যক্তিত্বকে নষ্ট করে দিতে পারে। ধরুন আপনি খুবই সুন্দর একটি ব্যক্তিত্বের মানুষ, যাকে সবাই পছন্দ করেন সবাই ভালোবাসেন। কিন্তু এটা স্বাভাবিক যে প্রতিটি মানুষেরই কিছু না কিছু ভুল বা দোষ থাকতে পারে। এগুলো যদি ডায়েরিতে লিখে রাখেন আর সেটি যদি দ্বিতীয় ব্যক্তি দেখে ফেলে, তাহলে তার কাছে স্বাভাবিকভাবেই আপনার ব্যক্তিত্বটি নষ্ট হবে। এ কারণে ডায়েরি না লেখাই নিরাপদ।কোনো অপরাধের প্রমাণ থেকে যায় :
ডায়েরি লেখা এই সবচেয়ে বড় ক্ষতিটি করতে পারে। মানুষ মাত্রই ভুল করে। আর এই ভুলের বশে আপনি হয়ত কোনো একদিন কোনো অপরাধ করে বসলেন এবং তা লিপিবদ্ধ করলেণ ডায়েরিতে। সেই অপরাধের একটি বলিষ্ঠ প্রমাণ রেখে দিলেন। তাহলে?সংসার জীবনের শান্তি নষ্ট হতে পারে :
তরুণ বয়সে অনেক মজাই আপনি করে থাকতে পারেন। সম্পর্কে জড়িয়েও থাকতে পারেন ২/১ টি। কিন্তু এখন আপনি পরিবারের সিদ্ধান্তেই বিবাহিত। আপনার স্ত্রী বা স্বামী আপনার অতীতের কোনোকিছুই জানেন না। সেক্ষেত্রে আপনার সুখী পরিবার। কিন্তু তরুণ বয়সে করা সব ধরনের ঘটনার সাক্ষী আপনার ডায়েরিটা যদি তার মুখটি খুলে দেয় তাহলে? কি আর হবে সংসারে কিছুটা অশান্তি আর দাঙ্গা হাঙ্গামা চলবে।অতীতের কথা মনে পড়তে পারে :
অতীত প্রতিটি মানুষেরেই থাকে। কেউ ভুলে যায়, কেউ ভুলতে পারে না। অতীত যেহেতু চলেই গেছে এবং তা আর কোনোদিন ফিরে আসবে না তাই তাকে চিরতরে ভুলে যাওয়াই ভালো। অতীতকে মনে করে শুধু শুধু কষ্ট পাওয়ার কোনো মানে নেই। কিন্তু আপনার ডায়েরিটা? সেটি আপনার অতীতকে বারবার মনে করে দিবে এবং আপনাকে কষ্টের সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে বেড়াবে। এ কারণেই ডায়েরি লেখা আপনার জীবনের জন্য হতে পারে অমঙ্গলকর।ডায়েরি লেখার উপকারী দিক :
মানসিক চাপ কমে :
সব কথা সবাইকে বলা যায় না। আবার কিছু কিছু কথা কাউকে না বলেও থাকা যায় না। কিন্তু সবাইকে কি আর ভরসা করা যায়? আপনার সবচেয়ে ভরসাযোগ্য ব্যক্তি আপনি নিজেই! ডায়েরি লেখা মানে নিজের কাছে নিজের স্বীকারোক্তি, নিজের সাথে নিজে কথা বলা। নিয়মিত ডায়েরি লিখলে মানসিক চাপ তাই অনেকাংশেই কমে যায়। মনের চাপা উদ্বেগ নিজের জন্য লিখে ফেলা কথাগুলোতেই বন্দি হয়ে থাকে।স্মরণশক্তি বাড়ে :
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যত উন্নতি হচ্ছে, আমরা তত বেশি প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ছি। আগে যখন সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন ছিল না তখন কিন্তু খুব সহজেই আমরা অনেকগুলো ফোন নম্বর মনে রাখতে পারতাম। কিন্তু মোবাইল ফোন সহজলভ্য হবার পর এবং তাতে ফোন নম্বর সংরক্ষণ করে রাখার সুযোগ থাকায় আমাদের ফোন নম্বর মনের রাখার অভ্যাসটি চলে গেছে। নিয়মিত ডায়েরি লিখলে জরুরি বিষয়গুলো ভুলে যাবার সম্ভাবনা কমে যাবে। ছোটবেলায় পড়ার পর লিখলে তা সহজেই মনে থাকত। একই ব্যাপার ঘটে ডায়েরি লিখলেও। এতে সারাদিনের বিশেষ ঘটনাবলি মস্তিষ্ক মনে রাখে এবং ধীরে ধীরে স্মরণশক্তি বাড়তে থাকে।হাতের লেখা ভালো হয় :
অনেকেরই হাতের লেখা ভীষণ সুন্দর থাকে। কিন্তু ছাত্রজীবন শেষ হয়ে গেলে হাতে লেখার অভ্যাস ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তখন লেখালেখি সীমাবদ্ধ থাকে কম্পিউটার আর মোবাইলের এসএমএস-এর মধ্যেই। হাতে বলতে লিখতেই হয় না। নিয়মিত ডায়েরি লিখলে কাগজে-কলমে লেখার অভ্যাস বজায় থাকে এবং হাতের লেখা ভালো হয়।মন হালকা হয় :
প্রত্যেকেরই মনের মাঝে কিছু গোপন যন্ত্রণা থাকে যা মানুষকে প্রতিনিয়ত তাড়িয়ে বেড়ায়। এই যন্ত্রণার কথাগুলো কাউকে বলাও যায় না। ডায়েরি হতে পারে আপনার সেই বন্ধু যাকে আপনি আপনার মনের কথা খুলতে বলতে পারবেন। নিয়মিত ডায়েরি লিখলে মনের কথাগুলো বেরিয়েও আসে আবার তা অন্য কেউ জানতেও পারে না। ফলে মন হালকা হয়।ভুল শোধরানো যায় :
কোনো মানুষই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। প্রত্যেকটা মানুষই জীবনে কোনো না কোনো ভুল করে থাকে। নিজের কর্মকান্ড নিয়মিত ডায়েরিতে লিখে রাখলে নিজের ভুলগুলোতে আলোকপাত করা যায়। সেগুলো পুনর্বিবেচনা করা যায়। যে ভুলগুলো শোধরানো সম্ভব সেগুলো শুধরে নেওয়া যায়। ভবিষ্যতে যেন একই ভুল আর না হয় সেদিকেও সতর্ক থাকা যায়।আত্মশুদ্ধির সুযোগ থাকে :
নিয়মিত ডায়েরি লেখা মানে নিজেকে আত্মশুদ্ধির সুযোগ দেওয়া। নিজের ইতিবাচক, নেতিবাচক দিকগুলো, নিজের দৃষ্টিভঙ্গি ডায়েরিতে লিখে রাখা অতীত কর্মকান্ড থেকে নিখুঁতভাবে বোঝা যায়। নিজেকে জানা, নিজেকে বোঝা, নিজের আত্মশুদ্ধিতে আপনার লেখা পুরনো ডায়েরিগুলো অনেক সহায়তা করবে।জীবন সুসংগঠিত হয় :
ডায়েরিতে যদি আপনার দৈনন্দিন কাজকর্ম নিয়মিত লিপিবদ্ধ করেন অর্থাত্ কী করেছেন, কী করতে চান – এসব লিখলে জীবন অনেকখানিই গুছিয়ে আসে। নিজের প্রতিটি সিদ্ধান্ত, পদক্ষেপ এবং তার ফলাফল যদি ডায়েরিতে লেখা থাকে, তাহলে পরবর্তী কাজগুলোতে ভুলত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়। জীবন হয়ে ওঠে সুসংগঠিত।- 3828 views
- 1 answers
- 0 votes
বিশ্বের সকল ভাষার বর্ণমালা এবং চিহ্নসমূহকে একটিমাত্র কোড পদ্ধতির আওতাভূক্ত করতে Unicode পদ্ধতির উদ্ভব হয়েছে। বিশ্বের বড় বড় কম্পিউটার এবং সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এর উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। ইউনিকোড পদ্ধতির স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ এবং উন্নয়নের জন্য বিশ্বের একমাত্র অলাভজনক প্রতিষ্ঠান Unicode Consortium বর্তমানে কাজ করে যাচ্ছে। এটি বহুল প্রচলিত 16 বিট কোড এবং এর মাধ্যমে সর্বমোট 216 = 65536 টি অদ্বিতীয় ক্যারেকটার কম্পিউটারে উপস্থাপন করা যায়।
- 8052 views
- 1 answers
- 0 votes
নবী মুবাশ্শির (সাঃ) বলেন, “প্রত্যেক মুসলিমের জন্য জামাআত সহকারে জুমুআহ ফরয। অবশ্য ৪ ব্যক্তির জন্য ফরয নয়; ক্রীতদাস, মহিলা, শিশু ও অসুস্থ।” (আবূদাঊদ, সুনান ১০৬৭নং) – See more at: https://answers.priyo.com/question/130-মেয়েদের-ক্ষেত্রে-জামাতে-জুম্মার-নামাজ-কতটা-গুরুত্বপূর্ণ#sthash.ktnM1F4p.dpuf
- 1107 views
- 1 answers
- 0 votes
ইসলামে বিয়ের কিছু রীতিনীতি :
এক:
বিয়ে সংঘটিত হওয়ার ক্ষেত্রে সমূহ প্রতিবন্ধকতা হতে বর-কনে উভয়ে মুক্ত হওয়া: যেমন- বর-কনে পরস্পর মোহরেম হওয়া; ঔরশগত কারণে হোক অথবা দুগ্ধপানের কারণে হোক। বর কাফের কিন্তু কনে মুসলিম হওয়া, ইত্যাদি।দুই:
ইজাব বা প্রস্তাবনা: এটি মেয়ের অভিভাবক বা তার প্রতিনিধির পক্ষ থেকে পেশকৃত প্রস্তাবনামূলক বাক্য। যেমন- বরকে লক্ষ্য করে বলা যেতে পারে “আমি অমুককে তোমার কাছে বিয়ে দিলাম” অথবা এ ধরনের অন্য কোন কথা।তিন:
কবুল বা গ্রহণ: এটি বর বা বরের প্রতিনিধির পক্ষ থেকে সম্মতিসূচক বাক্য। যেমন- বর বলতে পারেন“আমি গ্রহণ করলাম” অথবা এ ধরনের অন্য কোন কথা।• বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার শর্তগুলো নিম্নরূপ:
(১) ইশারা করে দেখিয়ে দেয়া কিংবা নামোল্লেখ করে সনাক্ত করা অথবা গুণাবলী উল্লেখ অথবা অন্য কোন মাধ্যমে বর-কনে উভয়কে সুনির্দিষ্ট করে নেয়া।
(২) বর-কনে প্রত্যেকে একে অপরের প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া।
এর দলীল হচ্ছে-নবী (সাঃ) বাণী
“স্বামীহারা নারী (বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্তা) কে তার সিদ্ধান্ত জানা ছাড়া (অর্থাৎ সিদ্ধান্ত তার কাছ থেকে চাওয়া হবে এবং তাকে পরিষ্কারভাবে বলতে হবে) বিয়ে দেয়া যাবে না এবং কুমারী মেয়েকে তার সম্মতি ছাড়া (কথার মাধ্যমে অথবা চুপ থাকার মাধ্যমে) বিয়ে দেয়া যাবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল,ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)! কেমন করে তার সম্মতি জানব (যেহেতু সে লজ্জা করবে)। তিনি বললেন, চুপ করে থাকাটাই তার সম্মতি।” [সহীহ বুখারী, (৪৭৪১)](৩) বিয়ের আকদ (চুক্তি) করানোর দায়িত্ব মেয়ের অভিভাবককে পালন করতে হবে।
যেহেতু আল্লাহ তাআলা বিয়ে দেয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি নির্দেশনা জারী করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন:
“আর তোমরা তোমাদের মধ্যে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের বিবাহ দাও।”[সূরা নুর, ২৪:৩২]নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
“যে নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল।”[হাদিসটি তিরমিযি (১০২১) ও অন্যান্য গ্রন্থকার কর্তৃক সংকলিত এবং হাদিসটি সহীহ](৪) বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে।
দলীল হচ্ছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।
বিয়ের প্রচারণা নিশ্চিত করতে হবে। দলীল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী-
“তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]• বিয়ের অভিভাবক হওয়ার জন্য শর্তঃ
১. সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন হওয়া।
২. প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া।
৩. দাসত্বের শৃঙ্খল হতে মুক্ত হওয়া।
৪. অভিভাবককে কনের ধর্মের অনুসারী হওয়া।
সুতরাং কোন অমুসলিম ব্যক্তি মুসলিম নর-নারীর অভিভাবক হতে পারবে না। অনুরূপভাবে কোন মুসলিম ব্যক্তি অমুসলিম নর-নারীর অভিভাবক হতে পারবে না। তবে অমুসলিম ব্যক্তি অমুসলিম নারীর অভিভাবক হতে পারবে, যদিও তাদের উভয়ের ধর্ম ভিন্ন হোক না কেন। কিন্তু মুরতাদ ব্যক্তি কারো অভিভাবক হতে পারবে না।৫. আদেল বা ন্যায়বান হওয়া।
অর্থাৎ ফাসেক না হওয়া। কিছু কিছু আলেম এ শর্তটি আরোপ করেছেন। অন্যেরা বাহ্যিক আদালতকে (দ্বীনদারিকে) যথেষ্ট ধরেছেন। আবার কারো কারো মতে, যাকে তিনি বিয়ে দিচ্ছেন তার কল্যাণ বিবেচনা করার মত যোগ্যতা থাকলে চলবে।৬. পুরুষ হওয়া।
দলীল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী-
“এক মহিলা আরেক মহিলাকে বিয়ে দিতে পারবে না। অথবা মহিলা নিজে নিজেকে বিয়ে দিতে পারবে না। ব্যভিচারিনী নিজে নিজেকে বিয়ে দেয়।”[ইবনে মাজাহ (১৭৮২) ও সহীহ জামে (৭২৯৮)।৭. বুদ্ধিমত্তার পরিপক্কতা থাকা।
এটি হচ্ছে বিয়ের ক্ষেত্রে সমতা (কুফু) ও অন্যান্য কল্যাণের দিক বিবেচনা করতে পারার যোগ্যতা।ইসলামী আইনবিদগণ অভিভাবকদের একটি ক্রমধারা নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং নিকটবর্তী অভিভাবক থাকতে দূরবর্তী অভিভাবকের অভিভাবকত্ব গ্রহণযোগ্য নয়। নিকটবর্তী অভিভাবক না থাকলে অথবা তার মধ্যে শর্তের ঘাটতি থাকলে দূরবর্তী অভিভাবক গ্রহণযোগ্য হবে। নারীর অভিভাবক হচ্ছে- তাঁর পিতা। এরপর পিতা যাকে দায়িত্ব দিয়ে যান সে ব্যক্তি। এরপর পিতামহ, যতই উর্দ্ধগামী হোক। এরপর তাঁর সন্তান। এরপর তাঁর সন্তানের সন্তানেরা, যতই অধস্তন হোক। এরপর তাঁর সহোদর ভাই। এরপর তাঁর বৈমাত্রেয় ভাই। এরপর এ দুইশ্রেণীর ভাইয়ের সন্তানেরা। এরপর তাঁর সহোদর শ্রেণীর চাচা। এরপর বৈমাত্রেয় শ্রেণীর চাচা। এরপর এ দুইশ্রেণীর চাচার সন্তানেরা। এরপর মীরাছের ক্ষেত্রে যারা ‘আসাবা’ হয় সে শ্রেণীর আত্মীয়গণ। এরপর নিকটাত্মীয় থেকে ক্রমান্বয়ে দূরের আত্মীয়। যার কোন অভিভাবক নেই মুসলিম শাসক অথবা শাসকের প্রতিনিধি (যেমন বিচারক) তার অভিভাবক।
- 706 views
- 1 answers
- 0 votes
আপনি কি ধরনের নাটক বানাতে চান সেটা বলেননি। দেখুন এইদিকে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে আপনার যোগাযোগের মাধ্যমটি অত্যন্ত শক্তিশালী হতে হবে। আপনাকে মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। তাছাড়া আপনি কি ধরনের লোক খুঁজছেন তাও বলেননি। মডেল জাতীয় কাউকে খুঁজতে চাইলে বিভিন্ন প্রোডাকশন হাউজ এবং এজেন্সিগুলোর সাথে যোগাযোগ করুন।
- 1438 views
- 1 answers
- 0 votes
কৃষ্ণ বিষ্ণুর অষ্টম অবতার। তাঁকে স্বয়ং ভগবান এবং বিষ্ণুর পূর্ণাবতারও মনে করা হয়। গীতায় বলা হয়েছে যে, অধর্ম ও দুর্জনের বিনাশ এবং ধর্ম ও সজ্জনের রক্ষার জন্য তিনি যুগে যুগে পৃথিবীতে আগমন করেন। তাঁর এই আগমন ঘটে কখনও মনুষ্যরূপে, কখনও বা মনুষ্যেত্বর প্রাণিরূপে এবং একেই বলা হয় অবতার।
কৃষ্ণ
কৃষ্ণের প্রাচীনতম উল্লেখ পাওয়া যায় বৈদিক সাহিত্যে। ঋগ্বেদে একাধিকবার (১। ১০১, ১১৬-৭, ১৩০ ইত্যাদি) কৃষ্ণের উল্লেখ আছে। সেখানে তিনি ইন্দ্রবিরোধী একজন অনার্য যোদ্ধা হিসেবে চিত্রিত হয়েছেন। কোথাও তাঁকে ঋষি এবং অসুরও বলা হয়েছে। ছান্দোগ্যোপনিষৎ (৩।১৭।৬-৭) এবং কৌষিতকীব্রাহ্মণে (৩০।৬) কৃষ্ণকে দেবকীপুত্র বলা হয়েছে। তাঁর গুরু ছিলেন ঘোর-আঙ্গিরস। কেউ কেউ বলেন, এই কৃষ্ণই পৌরাণিক যুগে বাসুদেব কৃষ্ণে পরিণত হয়েছেন। মহাভারত, বিভিন্ন পুরাণ, শ্রীমদ্ভাগবত এবং বৈষ্ণবকাব্যে যে কৃষ্ণের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে তাঁর আবির্ভাব দ্বাপর যুগে। প্রচলিত ঐতিহ্য অনুসারে মাতুল কংসের কারাগারে ভাদ্রমাসের অষ্টমী তিথিতে কৃষ্ণের জন্ম। তাঁর জন্মসূত্রে এ দিনটি প্রতিবছর জন্মাষ্টমী নামে পালিত হয়।কৃষ্ণকে কেউ কেউ অনার্য দেবতা বলেও আখ্যায়িত করেছেন। তাঁদের মতে আদিম জনগোষ্ঠীর উপাস্য এই দেবতা পরবর্তীকালে ব্রাহ্মণ্যধর্মের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হন এবং তাঁকে কেন্দ্র করেই বৈষ্ণবধর্মের প্রবর্তন হয়। কৃষ্ণ ঐতিহাসিক ব্যক্তি কিনা এ বিষয়েও মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছেন তাঁর মানবীয় কোনো অস্তিত্ব ছিল না, আবার কারও কারও মতে তিনি একজন আদর্শচরিত্র ঐতিহাসিক পুরুষ, ধর্মপ্রবক্তা ও সংস্কারক ছিলেন এবং কালক্রমে ভক্তরা তাঁকে দেবতা, এমনকি ভগবানের পর্যায়ে উন্নীত করেন।
কৃষ্ণ চরিত্রটি খুবই বৈচিত্র্যময়। বিভিন্ন গ্রন্থে তাঁর যে কাহিনী বর্ণিত হয়েছে তাতে তাঁর তিনটি প্রধান রূপ লক্ষ্য করা যায়: পরোপকারী, প্রেমিক এবং রাজনীতিক। পরোপকারীর ভূমিকায় কৃষ্ণকে দেখা যায় তাঁর শিশু বয়স থেকেই। কংসের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য জন্মের পরই পিতা বসুদেব তাঁকে গোকুলে নন্দ-যশোদার ঘরে রেখে আসেন। কিন্তু কংস এ কথা জানতে পেরে গোকুলের সব শিশুকে হত্যার নির্দেশ দেয়। কংসের নির্দেশে পূতনা রাক্ষসী বিষাক্ত স্তন্য পান করিয়ে একের পর এক শিশুদের হত্যা করতে থাকে। একদিন শিশু কৃষ্ণকে হত্যা করতে গেলে তাঁর হাতে সে নিজেই নিহত হয়। এভাবে শিশু কৃষ্ণ গোকুলের শিশুদের রক্ষা করেন। পর্যায়ক্রমে তিনি বৎসাসুর, অঘাসুর, বকাসুর প্রভৃতি অপশক্তিকে বিনাশ করেন। এছাড়া তিনি কালীয়দহে কালীয় নাগ দমন, বৃন্দাবনকে রক্ষার জন্য দাবাগ্নি পান, ইন্দ্রের কোপ হতে গোপগণকে রক্ষার জন্য গোবর্ধনগিরি ধারণ ইত্যাদির মাধ্যমে বাল্যকালেই নানাভাবে জনসাধারণের উপকার করেন।
কৈশোরে কৃষ্ণ যে কাজগুলি করেন তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কংসবধ। অত্যাচারী কংস ছিল মথুরার রাজা। সে নিজের পিতা উগ্রসেনকে কারাগারে আটক রেখে সিংহাসন অধিকার করে। এমনকি ভবিষ্যদ্বাণীতে জ্ঞাত তার মৃত্যুর কারণ কৃষ্ণের আবির্ভাব ঠেকাতে সে নিজের বোন-ভগ্নীপতি অর্থাৎ কৃষ্ণের মাতা-পিতা দেবকী-বসুদেবকেও কারাগারে আটক রাখে এবং নিজের হাতে বোনের সন্তানদের হত্যা করে। তাই কৃষ্ণ মথুরায় এসে এই পাপাচারীকে হত্যা করে মাতামহ এবং পিতা-মাতাকে কারাগার থেকে উদ্ধার করেন এবং মথুরায় শান্তি স্থাপন করেন। এমনিভাবে অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য কৃষ্ণ পরবর্তীকালে আরও অনেক দুর্বৃত্তকে হত্যা করেন বা করান।
কৃষ্ণের প্রেমিক রূপের পরিচয় পাওয়া যায় তাঁর বৃন্দাবন লীলায়। হরিবংশপুরাণ, শ্রীমদ্ভাগবত ইত্যাদি গ্রন্থে তিনি চিত্রিত হয়েছেন একজন প্রেমিক, ভক্তসখা এবং গোপীজনবল্লভরূপে। এখানে তিনি সমাজের একেবারে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশেছেন, তাদের সঙ্গে দৈনন্দিন জীবন কাটিয়েছেন। এ সময় তাঁর জীবনে স্বাভাবিক ঘটনার পাশাপাশি অনেক অস্বাভাবিক ঘটনাও ঘটতে দেখা যায়। গোপকন্যা এবং গোপস্ত্রী রাধার সঙ্গে তাঁর প্রণয়-সম্পর্ক পরবর্তীকালের বৈষ্ণব সাহিত্যের মূল প্রেরণা। গোপনারীদের সঙ্গে তাঁর যে সম্পর্ক তার মধ্যে নিহিত রয়েছে ভারতীয় বেদান্তদর্শনের জীবাত্মা-পরমাত্মা সম্পর্কিত মূলতত্ত্ব। সে তত্ত্ব হলো জীবাত্মা-পরমাত্মা এক; পরমাত্মার সঙ্গে জীবাত্মার মিলনই জীবের প্রধান কাঙ্ক্ষিত বিষয়, যাকে বলা হয় মোক্ষ। কৃষ্ণ সেই পরমাত্মা, আর সব জীবাত্মা। কৃষ্ণের সখাদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলেন শ্রীদাম, সুদামা, উদ্ধব প্রমুখ। অর্জুন তাঁর সখা এবং আত্মীয়ও। এঁদের সঙ্গে কৃষ্ণের আচরণ একজন সাধারণ মানুষের মতোই।
কৃষ্ণের বুদ্ধিদীপ্ত এবং সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো তাঁর রাজনীতিক রূপ, যার পরিচয় পাওয়া যায় মহাভারতে। এখানে তিনি একজন রাজা (দ্বারকার রাজা), রাজনীতিক, কূটনীতিক, যোদ্ধা এবং দার্শনিকরূপে চিত্রিত হয়েছেন। এ পর্বে তাঁর কর্মকান্ডের প্রায় সবই মানবোচিত। পান্ডবদের পক্ষে দৌত্য-ক্রিয়া ও তাঁদের প্রাপ্য রাজ্য ফিরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করা, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে পান্ডবদের পরামর্শ দান ও বিজয়ী করা, দুর্যোধনাদি দুর্জনদের বিনাশ ও যুধিষ্ঠিরকে রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত করা, অর্থাৎ অধর্মের বিনাশ করে ধর্মকে প্রতিস্থাপন করা ইত্যাদি কাজ কৃষ্ণ এ পর্বেই সমাপ্ত করেন। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে তিনি নিজে অস্ত্র চালনা করেননি বটে, কিন্তু যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন মূলত তিনিই। দুর্বৃত্ত জরাসন্ধ বধ ও শিশুপাল বধও এ পর্বেরই ঘটনা। মহাভারতের ভীষ্মপর্বে কৃষ্ণ অর্জুনকে ক্ষাত্রধর্ম এবং আত্মা সম্পর্কে যে উপদেশ দিয়েছেন তা ভগবদ্গীতা বা সংক্ষেপে গীতা নামে খ্যাত। এভাবে কৃষ্ণ অধর্মের বিনাশ ও দুষ্টের দমন করে ধর্ম স্থাপন ও শিষ্টের পালন করেছেন। এর কিছুকাল পরে তাঁর নিজের যদুবংশে অনাচার দেখা দিলে তাও তিনি কঠোর হাতে দমন করেন। কৌশলে তিনি যদুবংশ ধ্বংস করে নিজে এক ব্যাধের শরাঘাতে ইহলোক ত্যাগ করেন।
কৃষ্ণের এই কাহিনীর পিছনে ঐতিহাসিক সত্য থাক বা না থাক, তিনি যিনিই হোন না কেন, যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন গ্রন্থে এবং ভক্তদের বোধ ও বিশ্বাসে, মন ও মননে তাঁর যে আদর্শ রূপটি গড়ে উঠেছে, তার প্রভাব হিন্দু সমাজ ও সংস্কৃতিতে এবং সংস্কৃত ও মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যে অত্যন্ত গভীরে প্রোথিত। ভারতীয় অন্যান্য সাহিত্যের মতো বাংলা সাহিত্যও কৃষ্ণকাহিনীর দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছে। জয়দেবের গীতগোবিন্দম্, বড়ুচন্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন এবং মধ্যযুগের বৈষ্ণব সাহিত্যের এক বিরাট অংশ কৃষ্ণকাহিনী নিয়ে রচিত। পদাবলি কীর্তন, পালাগান, বিচ্ছেদী গান ইত্যাদি লোকসঙ্গীত রাধাকৃষ্ণের প্রণয়-কাহিনীকে আশ্রয় করেই রচিত হয়েছে। এগুলি এক সময় বাঙালি সমাজে খুবই জনপ্রিয় ছিল এবং আজও তা শুনে শ্রোতারা মুগ্ধ হয়।
- 1034 views
- 1 answers
- 0 votes
তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে অনেকেরই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস ইত্যাদি নানা ধরনের সমস্যার কারণে এই ধরনের ত্বকে মেকআপ করার সময় অনেক সতর্ক থাকতে হয়। অনেক সময় ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণের জন্য মেকআপ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে যেকোনো জায়গায় যাওয়ার মজাটাই নষ্ট হয়ে যায়। তাই এইসব ত্বকে মেকআপ করার সময় কিছু নিয়মাবলী মেনে চলতে হয়। আর এইসব নিয়ম মেনে চললে আপনি ঘরে বসে নিজে নিজেই করতে পারেন পারফেক্ট মেকআপ যা আপনার মুখের অতিরিক্ত তেলকে নিয়ন্ত্রন করে আপনাকে আরও আকর্ষণীয় ও সুন্দর করে তুলবে।
মেকআপ করার আগে আপনার ত্বককে এক্সফ্লোয়েট করা অনেক জরুরি। প্রথমে ভালো কোনো স্ক্রাব দিয়ে সম্পুর্ন মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। এতে করে আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং ময়লা বের হয়ে যাবে এবং আপনার ব্ল্যাকহেডস কিছুটা কম দেখাবে। এরপর গরম তোয়ালে মুখে চেপে মুখ মুছে নিন।
এরপর অবশ্যই মুখ ধোয়ার পর যেকোনো মশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। মেকআপ করার ক্ষেত্রে মশ্চারাইজার লাগানো অনেক জরুরি। অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে মশ্চারাইজার যেন অবশ্যই অয়েল ফ্রী এবং ওয়াটার বেইস হয়। সম্ভব হলে এটা মেকআপ লাগানোর ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে এটা লাগিয়ে নিন। এতে মেকআপ মুখে বসবে ভালোভাবে।
এরপর মুখে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন। যেহেতু তৈলাক্ত ত্বক অন্যন্য স্কিন থেকে আলাদা হয় সেহেতু খেয়াল রাখতে হবে ফাউন্ডেশন যেন অবশ্যই অয়েল ফ্রি হয়। ফাউন্ডেশন লাগানোর সময় ব্রাশ ব্যাবহার না করে হাত দিয়েই ওটাকে ভালোভাবে ব্লেন্ড করার চেষ্টা করুন। ত্বকে লাগানোর আগে এক ফোঁটা পানি অথবা একটু মশ্চারাইজার মেশান।
ফাউন্ডেশন লাগানোর পর কম্প্যাক্ট পাওডার লাগানোর আগে ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার একটা ব্রাশ দিয়ে আস্তে আস্তে আপনার মুখের শেড অনুযায়ী কম্প্যাক্ট পাওডার লাগিয়ে নিন। হাল্কা করে গালের দিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়া পাউডার লাগিয়ে নিন। খেলার রাখেতে হবে নাকের দিকে এবং কপালের কিছুই জায়গায় যেনো মেকআপ সমানভাবে লাগানো হয়। পাওডার লাগানোর জন্য মুখের তেল কম নিঃসরণ হবে এবং ন্যাচারাল লাগবে। খেয়াল রাখতে হবে ফাউন্ডেশনের রঙ এর সাথে কম্প্যাক্ট পাওডার এর রং যেন মিলে যায়।
- 1008 views
- 1 answers
- 0 votes
বেশিরভাগ সাবান বা বার সোপ এ pH (ক্ষার) এর মাত্রা বেশি থাকায় ত্বকের উপরিভাগের প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ত্বকের শুষ্কতা বাড়ে, জ্বালা-পোড়া করে, লালচে ভাব হয়। কখনো কখনো ইনফেকশন হয়ে ত্বক ফেটে যেতে পারে। কিন্তু বডি ওয়াশ বা লিকুইড সোপ বা শাওয়ার জেলে pH এর মাত্রা সঠিক পরিমাণে থাকে (বেশিরভাগ পণ্যে)। ফলে এর দ্বারা ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় থাকে না। আমাদের দেশের আবহাওয়ায় কোনটি বেশী উপযোগী সেটার চেয়ে বড় ব্যাপার হলো আপনার শরীরে বা ত্বকে কোনটা বেশী সহনশীল হয়। তবে লিকুইডগুলো ব্যবহার করাই ত্বকের জন্য ভালো। বিশেষ করে বাজারে প্রচলিত শাওয়ার জেলগুলো ব্যবহারে ত্বক বেশী সহনশীল থাকে.
- 1243 views
- 1 answers
- 0 votes
গরমের দিনে, গুমোট আবহাওয়ায় অফিসে বা কর্মস্থলে খুব কড়া/উগ্র সুগন্ধি ব্যবহার করতে নেই। উগ্র সুগন্ধির ব্যবহার সহকর্মীদের কাজের প্রতি মনোযোগ নষ্ট করতে পারে এবং এমনকি শারীরিক অস্বস্তি ও অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে! এজন্য পশ্চিমা দুনিয়ার অনেক প্রতিষ্ঠানে উগ্র সুগন্ধির ব্যবহারই নিষিদ্ধ। তাই সাধারণভাবে কর্মস্থলে মৃদু সুবাসের হালকা সুগন্ধি ব্যবহার করুন।
সস্তা সুগন্ধি ব্যবহার না করে ভাল মানের দামি সুগন্ধিই ব্যবহার করা ভাল, কারণ সস্তা সুগন্ধি সাধারণত উগ্রগন্ধি হয়ে থাকে।
তবে কর্মস্থলের পরিবেশের ওপরও সুগন্ধির ধরণ নির্ভর করবে। বদ্ধ জায়গায় হালকা সুগন্ধি ব্যবহার করুন। আর আপনার কাজের স্থানটি যদি খোলামেলা হয়, তবে সুগন্ধি সামান্য কড়া হলেও ক্ষতি নেই।
আপনার কাজের ধরণটি যদি এমন হয় যে, অনেক গ্রাহকের সরাসরি সংস্পর্শে আসতে হয়, যেমন কোন ব্যাংকের ক্যাশ-পয়েন্টে বা কোন প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সেবা-দানকারী ফ্রন্ট-অফিসে, তবে হালকা সুগন্ধি ব্যবহার করুন। আর আপনার পেশাটি কোন বিজ্ঞাপনী সংস্থা, চলচ্চিত্র-নির্মাণ বা ফ্যাশন-ডিজাইনিংয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট হলে কড়া সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন।
মনে রাখবেন, ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার ক্ষেত্রে অন্য কোন প্রকারের সুগন্ধি ডিউডোরেন্টের বিকল্প হতে পারে না। তাই একাজে ডিউডোরেন্টই ব্যবহার করুন।
শীত মওসুমে, সন্ধ্যার পার্টিতে কিংবা বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য মিষ্টি সুবাসযুক্ত একটু কড়া সুগন্ধি হলেও ক্ষতি নেই।
একান্ত প্রিয়জনের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর জন্য উষ্ণ, উদ্দীপক সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন। কাঁধে, গলার নীচে বা ঘাড়ের পেছনে সুগন্ধির হালকা উপস্থিতি আপনার প্রতি সঙ্গীর আকর্ষণ বাড়িয়ে দেবে নিঃসন্দেহে।
গন্ধের মাত্রা ও বৈশিষ্ট্য অনুসারে সুগন্ধি বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। সুগন্ধির মাত্রা নির্ভর করে এর মূল উপাদান সুগন্ধি-তেল (Aroma Oil)-এর পরিমাণের ওপর। সুগন্ধি-তেল সবচেয়ে কম থাকে আফটারশেভে আর সবচেয়ে বেশি থাকে খাঁটি সুগন্ধিতে (Parfum Extrait)। মাত্রা অনুসারে সুগন্ধির মধ্যবর্তী শ্রেণীগুলো হচ্ছে যথাক্রমে, ‘ও-দ্য-কলোন’ (Eau de Cologne), ‘ও-দ্য-তোয়লেত’ (Eau de Toilette) এবং ‘ও-দ্য-পাহ্ফা’ (Eau de Parfum)। যত বেশি মাত্রা–তত বেশি এর স্থায়িত্ব।গন্ধের বৈশিষ্ট্য অনুসারে সুগন্ধি প্রধানত চার প্রকার: ফ্রেশ, ফ্লোরাল, ওরিয়েন্টাল ও উডি (কাঠ-গন্ধি)।
- 1299 views
- 1 answers
- 0 votes