14182
Points
Questions
3
Answers
7076
কারা রক্ত দিতে পারবেন:
• শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ নিরোগ ব্যক্তি রক্ত দিতে পারবেন
• রক্ত দাতার বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে
• শারীরিক ওজন ৪৫ কেজি বা এর বেশি হতে হবে। উচ্চতা অনযায়ী ওজন ঠিক আছে কিনা অর্থ্যাৎ বডি মাস ইনডেক্স ঠিক আছে কিনা দেখে নিতে হবে।
• রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ, পালস এবং শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে হবে
• শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ এ্যাজমা, হাপানি যাদের আছে তারা রক্ত দিতে পারবেন না
• চর্মরোগ থেকে মুক্ত থাকতে হবেএছাড়া রক্তদানের উপযোগিতা যাচাই করার জন্য কতকগুলো পরীক্ষা করা জুরুরি। যেমন: ১) এনিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতা, ২) জন্ডিস, ৩) পালস রেট, ৪) রক্তচাপ, ৫) শরীরের তাপমাত্রা, ৬) ওজন, ৭) হিমোগ্লোবিন টেস্ট, ৮) ব্লাড সুগার বা চিনির মাত্রা পরিমাপ করা ৯) সেরাক ক্রিয়েটিনন, ১০) ইসিজি। পরীক্ষাগুলো খুব সাধারণ। তাই রক্ত দাতাদের আগে থেকে টেস্ট করে রাখা উচিত। বিপদের সময় যাতে বিলম্ব না হয়।
একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ ৪ মাসে অন্তত একবার রক্ত দিতে পারেন। বাংলাদেশে প্রতি ৩ মাসে একবার রক্ত দেয়াকে নিরাপদ ধরা হয়। রক্তদাতা একবার রক্ত দিলে তার শরীরের ১০ ভাগের মাত্র ১ ভাগ রক্ত কমে। কিন্তু এই পরিমাণ রক্ত অল্প সময়েই আগের মত হয়ে যায়। শরীরে সাধারণ ৫-৬ লিটার রক্ত থাকে। রক্তদাতা সাধারণত এক দফায় ৪০০-৪৫০ মিলিলিটার রক্ত দিয়ে থাকেন। এই পরিমাণ রক্ত দেয়াতে দেহের উপর তেমন কোন প্রভাবই পড়ে না। তাই রক্ত দাতার অযথা ভয় ভীতির কোন কারণ নেই। তবে রক্ত দানের আগে এবং পরে বিশেষ কিছু সতর্কতা অবশ্যই পালনীয়।
রক্তদানে বিশেষ সতর্কতা:
• রক্তদানের ৪ ঘন্টা আগে ভালোভাবে খাদ্যগ্রহণ করতে হবে। খালি পেটে রক্ত দান করা ঠিক নয়।
• এসপিরিন ও এ জাতীয় ওষুধ খাওয়া অবস্থায় রক্ত দেয়া যাবে না। রক্তদানের ৪৮ ঘন্টা আগে এমন ওষুধ বন্ধ করতে হবে।
• কোনরূপ এনার্জি ড্রিংক রক্তদানের ২৪ ঘন্টা আগে সেবন করা যাবে না।
• শরীরে কোন উল্কি বা ট্যাটু করানো হলে বা নাক কান ফুটো করানো হলে ২-৪ সপ্তাহ পর রক্ত দিতে হবে।
• অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করা অবস্থায় রক্ত দেয়া উচিত না।বিষয়গুলো জুরুরী তাই রক্তদাতা কে অবশ্যই এগুলো মানতে হবে। একই সাথে রক্ত দেয়ার সময় যে সুঁচ ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিশ্চিত হয়ে নিবেন তা নিরাপদ কিনা। আপনার একটু অসাবধানতায় রক্তে বাসা নিতে পারে কোন মরণব্যাধির। তাই রক্তদান করতেও রাখা উচিত অতিরিক্ত সতর্কতা।
যারা রক্ত দিতে পারবেন না:
• ক্যান্সারের রোগী
• হিমেফিলিয়াতে যারা ভুগছেন
• যারা মাদক গ্রহণ করেছেন
• গর্ভবতী মহিলা
• অতিরিক্ত শ্বাস কষ্ট যাদের আছে
• যাদের এইচআইভি পজেটিভ তথা এইডস আছে
• যাদের ওজন গত ২ মাসে ৪ কেজি কমে গেছেযারা নিয়মিত রক্তদান করেন তারা একটি কার্ড পান। পরবর্তীতে রক্তদাতার রক্ত প্রয়োজন হলে তিনি যাতে রক্ত পান সেজন্য। এখনকার বিশ্বে রক্তদান কে উৎসাহিত করা হয়। আর আমাদের মতন দেশে বিপদ আপদ দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে ৩২ মিলিয়ন মানুষ রক্ত দান করেন। ২০০৪ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে ১৪ জুন এ বিশ্ব রক্তদাতা দিবস পালিত হয়। রক্তদান একটি মানবিক কাজ। আপনার দেয়া রক্তে হয়তো একজন মুমূর্ষ রোগী বেঁচে যাবেন। মৃত্যুকে জয় করে এভাবে অসংখ্য মানুষ গাইবে মানবতার জয়গান।
- 691 views
- 1 answers
- 0 votes
প্রকৃতিগতভাবে একজন নারী বা মহিলাই সন্তানকে জন্ম দেয়ার ক্ষমতা রাখেন। গর্ভধারণের ন্যায় জটিল শারীরিক ও মানসিক পর্যায় কেবল মাত্র একজন নারীই অনুভব করতে পারে। একজন নারী যখন গর্ভাবস্থায় থাকেন তিনি শারীরিক ও মানসিক অনেক পরিবর্তনের মাঝে দিয়ে তার মাতৃত্ব কালীন সময় অতিবাহিত করেন।
গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন সময়ে শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি ত্বকেও অনেক সমস্যার দেখা দেয়। এ সময় গর্ভবতী মা শারীরিক অসুস্থতার কারনে তাঁর ত্বকের তেমন একটা যত্ন নেন না। এ কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা স্বাভাবিক ভাবে নষ্ট হয় তা ছাড়া গর্ভাবস্থায় মুখের ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়, ফলে মুখে ব্রণ হয়, ত্বকে টান পড়ায় পেট, পায়ের অনেক অংশ ফেটে যায়। মুখে গলায় ও ঘাড়ে কালো দাগ হতে পারে। তাই প্রয়োজন হয় ত্বকের বিশেষ যত্ন।
গর্ভাবস্থায় ত্বক সমস্যার বেশিরভাগ মায়েরই দেখা যায় সারা শরীরে বিশেষ করে পেট ও হাতের চুলকানি এবং লাল হয়ে যাওয়া একে পলিসরফিক ইরাপশন অব প্রেগনেন্সি বা পিউপিপি বলে। এরকম চুলকানির ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে, গর্ভবতীর জন্ডিস আছে কিনা দেখে নেয়া উচিত। তবে সাধারণত ক্যালামাইন যুক্ত লোশন ব্যবহার করলে চুলকানির হাত থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যায়। প্রসবের পর এটি আপনা থেকেই মিলিয়ে যায়। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। গর্ভাবস্থার দ্বিতীয়ভাগে পানি নিয়ে ফুলে উঠে হারপিস ইনফেকশনের মত দেখতে চুলকানি থাকে এরকম ইনফেকশনকে ‘হারপিস জেসটেশন’ বলে। এ রোগের সঙ্গে হারপিস ভাইরাস ইনফেকশনের কোন সম্পর্ক নেই। এক্ষেত্রে চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত। আবার অনেক সময় গর্ভবস্থা ৪-৫ মাস থাকাকালীন তলপেট, থাই ও বুকে ফাটা এবং লম্বা কুচকানো দাগ দেখা যায় একে স্ট্রেচ মার্ক বা স্ট্রোয় বলে। এই রকম দাগ হঠাৎ মোটা হলেও হতে পারে আবার বয়ঃসন্ধিতেও দেখা দিতে পারে। ত্বকে টান পড়ার জন্য এরকম ফাটা দাগের সৃষ্টি হয়। এটি কোনো অসুখ নয়। এটি হল একটি কসমেটিক সমস্যা। ভিটামিন-ই, অ্যালোভেরা, ট্রেটিনাইসযুক্ত মলমের সাহায্যে এর উপশম হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় মুখের ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়, ফলে মুখে ব্রণ হয়, ত্বকে টান পড়ায় পেট, পায়ের অনেক অংশ ফেটে যায়। মুখে গলায় ও ঘাড়ে কালো দাগ হতে পারে। অনেক সময় গর্ভবতী থাকাকালীন ত্বকের মধ্যে কালো ছাপ তৈরি হয়। আবার কারও ত্বকের মধ্যে এক অদ্ভুত চমক আসে। তাই এ সময় প্রয়োজন হয় বিশেষ যত্ন। যেহেতু শরীরে নানা ধরনের সমস্যা হয় আর চেহারায়ও তার ছাপ পড়ে, এজন্য এসময় থাকতে হবে পরিপাটি, একটু গোছালোভাবে এবং অবশ্যই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। ত্বক পরিস্কার রাখতে প্রতিদিন ক্লিনজার ব্যবহার করুন।
তাছারা গর্ভাবস্থায় ত্বকের যত্নে যা করতে হবেঃ
• গর্ভধারণের প্রথম থেকেই নিয়মিত অলিভ ওয়েল ব্যবহার করুন।
• এ সময় ত্বক খুব সংবেদনশীল হয়, তাই বাইরে গেলে অথবা রান্না করার সময় সানস্কিন লোশন ব্যবহার করুন।
• পানি শরীরের দূষিত পদার্থকে বাইরে বের করে দেয়, ত্বককে পরিস্কার রাখতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান কর।
• ত্বক মসৃণ রাখতে ময়শ্চারাইজার ক্রিম লাগান।
• শরীর এবং মন ভাল রাখতে বাইরে ঘুরতে যান।
• স্ক্রাবার দিয়েও নিয়মিতভাবে ত্বক পরিস্কার করুন
• হালকা কিছু ব্যায়াম করুন।
• নিয়মিত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মত চলতে হবে।
- 1134 views
- 1 answers
- 0 votes
একটু জ্বর হলেই আমরা ঘাবড়ে যায়। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। একটি লোকও পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যাবে না, যার কোনদিন একবারও জ্বর হয়নি। জ্বর কিন্তু কোনও রোগ নয়। বহু অসুখের একটি উপসর্গ।
কখন জ্বর বলা হয়
স্বাভাবিকভাবে শরীরের তাপমাত্রা হচ্ছে ৩৬.৬-৩৭.২ সে. পর্যন্ত। এর থেকে (১-৪ সে. পর্যন্ত) বেশি হলেই আমরা ধরে নেই যে জ্বর হয়েছে। এই জ্বর সেন্টিগ্রেড বা ফারেনহাইট থার্মোমিটার দিয়ে মাপা হয়।জ্বরের প্রকারভেদ
সাধারণত জ্বর তিন ধরনের হয়ে থাকে:কন্টিনিউড (Continued) : জ্বর এর মাত্রা যখন ২৪ ঘণ্টায় ১ সেন্টিগেড বা ১.৫ ফারেনহাইট তারতম্য হয়; কিন্তু জ্বর কোন সময় স্বাভাবিক অবস্থায় আসে না, তখনই তাকে কন্টিনিউড জ্বর বলে।
রেমিটেন্ট (Remitent) : যখন জ্বরের মাত্রা ২৪ ঘণ্টায় ২ সেলসিয়াস বা ৩ ফারেনহাইট তারতম্য হয়, তাকে রেমিটেন্ট জ্বর বলে।
ইন্টারমিটেন্ট (Intermitent) : যখন জ্বর দৈনিক কয়েক ঘণ্টা শরীরে উপস্থিত থাকে, তখন তাকে ইন্টারমিটেন্ট জ্বর বলে।
এই ইন্টারমিটেন্ট জ্বর যদি প্রতিদিন আসে তখন তাকে কোটিডিয়ান জ্বর বলে। একদিন পরপর এলে টার্শিয়ান এবং দুই দিন পরপর এলে কোয়ার্টান জ্বর বলে। তবে এখন জ্বর নিরাময় ওষুধ এবং অ্যান্টিবায়োটিক ও অন্যান্য ওষুধ সেবনের ফলে এই জ্বরের শ্রেণীবিন্যাস সব সময় বোঝা যায় না।
কী কারণে জ্বর হয়ে থাকে
# যে কোনও একুইট ইনফেকশন বিশেষত পুঁজ তৈরিকারক ইনফেকশন যেমন ফোঁড়া, কার্বাংকল, ফুরাংকল। যেসব জীবাণু এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সেগুলো হল স্টাফাইলোকক্কাস অরিয়াস, স্ট্রেপটোকক্কাস পায়োজেন্স।# যে কোনও ভাইরাসজনিত প্রদাহ যেমন সর্দি জ্বর, কাশি, ডেঙ্গু, হুপিংকাশি।
# কলা বিনষ্টকারী বা টিস্যু নেক্রোসিস যে রোগে হয়, যেমন মায়োকর্ডিয়াল ইনফেকশন, আর্থাইটিস, রিউমাটিক ফিভার বা বাতজ্বর।
# যে কোনও কোষ কলা অর্গানের প্রদাহজনিত রোগ যেমন মেনিনজাইটিস, একুইট অস্টিওমাইলাইটিস, একুইট গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস, একুইট হেপাটাইটিস।
# অটোইমিউন রোগ যেমন এসএলই, ইমুনোলজিক্যাল রিঅ্যাকশন।
# যে কোন টিস্যু বা অর্গান এর ক্যান্সারের কারণে।
# দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ বা ক্রনিক ইনফেকশন, যেমন যক্ষ্মা রোগ।
# মহিলা ও পুরুষদের জননতন্ত্রের প্রদাহ। যেমন প্রস্রাবে ইনফেকশন, প্রস্রাবের নালিতে ইনফেকশন, মেয়েদের অ্যান্ডোমেট্রাইটিস, সার্ভিসাইটিস, উফুরাইটিস, সালফিনজাইটিস ছেলেদের প্রস্টেটাইটিস, ইপিডিডাইমাইটিস, অরকাইটিস।
# পরজীবী ঘটিত রোগ, যেমন ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ট্রিপোনোসোমা ইত্যাদি।
জ্বর কেন হয়
জ্বর হওয়ার কারণ বিভিন্ন ইনফেকশন, টিস্যু নেক্রোসিস ইত্যাদির কারণে শরীরে জ্বর তৈরিকারী পদার্থ পাইরোজেন নিঃসরণ হয়। এই পাইরোজেন প্রোস্টাগ্লান্ডিন নামক কেমিক্যাল মেডিয়েটর তৈরি করতে উত্তেজক হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া ব্যাকটেরিয়াল প্রডাক্ট, যেমন ব্যাকটেরিয়াল কলাইপোপলিস্যাকারাইড শ্বেতকণিকাকে উত্তেজিত করে ILI, TNF (এন্ডোজেনাস পাইরোজেন) তৈরি করে। এগুলো প্রোস্টাগ্লান্ডিন তৈরিতে সাহায্য করে। এর ফলে আমাদের মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস নামক অংশ বা আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে সেখানকার রক্তনালি ও এর আশপাশের কোষগুলোতে বেশি মাত্রায় প্রোস্টাগ্লান্ডিন তৈরি করতে প্রভাবিত করে। এই সাইক্লিক এএমপি হাইপোথ্যালামাস শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক এর থেকে বেশি মাত্রায় পুনর্নির্ধারণ করে, যার ফলে জ্বর তৈরি হয়।জ্বরের কারণ বের করার জন্য যে টেস্ট করা হয়
# রক্তের সাধারণ টেস্ট টিসি, ডিসি ইএসআর। এগুলোর মান স্বাভাবিক থেকে বেশি হবে।
# একুইট পর্যায়ে প্রোটিনের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পায়।
# এক্সরে চেস্ট।
# সিটি স্ক্যান/এমআরআই।
# রক্তের বিশেষ পরীক্ষা যেমন Widal, Febrile antigen
# বডি ফ্লুয়িড পরীক্ষায় যেমন CSF ও অন্যান্য বডিফ্লুয়িড।
# পরজীবী যেমন ফাইলেরিয়া, ম্যালেরিয়া।
# দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন যক্ষ্মার জন্য পিসিআর, এএফবি, কালচার সেনসিটিভিটি।
# ক্যান্সার রোগ নির্ণয়ের জন্য এফএনএসি সাইটোলজি, বায়োপসি, লিমফোমা ও লিউকেমিয়া প্যানেল।জ্বর প্রতিরোধের উপায়
# সম্পূর্ণ শারীরিক ও মানসিক বিশ্রাম
# সমস্ত শরীর পানি দিয়ে মোছা, গোসল করা।
# জ্বর কমার জন্য ওষুধ যেমন প্যারাসিটামল খাওয়া।
# জ্বরের কারণ বের করার জন্য বিশেষ পরীক্ষাগুলো করা এবং সেই মতো ডাক্তারের উপদেশ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া।পর্যাপ্ত বিশ্রাম, প্রচুর পানীয়, ফলের রস, স্বাভাবিক খাবার খেলে, প্রতিদিন গোসল বা পানি দিয়ে শরীর মুছলে, প্রয়োজনে জ্বর কমানোর ওষুধ খেলে ভালো হয়ে যাবে।
- 704 views
- 1 answers
- 0 votes
আমাদের আশেপাশের অনেকেই হঠাৎ করেই নিজের অজান্তেই পা নাচানো শুরু করেন। একে বলা হয় ‘ক্লান্তিহীন পা সিন্ড্রম’। সম্প্রতি নিউরোলজি নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, যাদের ‘ক্লান্তিহীন পা সিন্ড্রম’ আছে তাদের আয়ুষ্কাল অন্যান্যদের চেয়ে কম।
যাদের ক্লান্তিহীন পা সিন্ড্রম আছে তারা অন্যান্যদের চেয়ে ৪০ ভাগ বেশি মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকেন। ক্লান্তিহীন পা সিন্ড্রম মানুষের কম আয়ুষ্কালকেই নির্দেশ করে। তবে গবেষকেরা জানান, ক্লান্তিহীন পা সিন্ড্রমের কারণে মানুষের আয়ুষ্কাল কম হয় না। তবে, ক্লান্তিহীন পা সিন্ড্রমের সাথে কম আয়ুষ্কালের সম্পর্ক আছে। গবেষকেরা আরো দেখান, যাদের ক্লান্তিহীন পা সিন্ড্রম আছে তারা সাধারণত হৃদরোগ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো কারণে মারা যান।
সাধারণত পাঁচ থেকে দশভাগ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের এই ধরণের পা নাচানোর সমস্যা আছে এবং এই রোগীরা পা নাচা্নোর ব্যপারটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না।
যাদের পা নাচানোর অভ্যাস আছে তারা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন। এই ধরণের মানুষকে ইনসোমনিয়া ও পার্কিনসন রোগে ভুগতে দেখা যায়। পা নাচানো ও উচ্চ মৃত্যুহারের সাথে ধূমপান, বয়স, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব কিংবা ঘুমের অভাবের কোন সম্পর্ক নেই।
তবে গবেষকদের মতে যাদের ক্যান্সার, হৃদরোগ ও ইন্সোমনিয়ার মতো সমস্যা আছে পাশাপাশি পা নাচানোর অভ্যাসও আছে তাদের মৃত্যু ঝুঁকিও বেশি।
দিনে ঘুমালেও আয়ু কমে :
যারা রাতে ঘুম হয় না বলে কিংবা অলসতাবশত অফিসে অথবা বাসায় দিনে ঘুমান তাদের জন্য রয়েছে দুঃসংবাদ। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যামব্রিজের সম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, দিনের ওই ঘুম মানুষের আয়ু কমে যাওয়ার কারণ। গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, মধ্যবয়সী এবং বৃদ্ধদের দিনের ঘুম মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়। ওই ঘুম মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
ওই গবেষণায় দেখা গেছে, ৪০-৬৫ বছরের মানুষ যারা দিনে এক ঘণ্টা বা এর বেশি ঘুমায় তাদের আয়ু অনেক কম, তাদের চাইতে যারা দিনে ঘুমায় না। ওই গবেষণাদলের প্রধান গবেষক ইউ লেং বলেন, “দিনে ঘুমের অভ্যাস শ্বাসসম্পর্কিত নানা রোগের জন্ম দেয়। বিশেষ করে দিনের ঘুমের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হন ৬৫ বছর বা তার চেয়ে একটু কম বয়সী মানুষরা।”
ইংল্যান্ডের ১৬ হাজার মানুষের ওপর ১৩ বছর ধরে ওই গবেষণা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউ লেং। ৪০-৭৯ বছর বয়স্কদের মধ্যে যারা প্রতিদিন এক ঘণ্টার কম সময় দিনে ঘুমান তাদের আয়ু ১৪ শতাংশই ওই গবেষণা চলাকালীন ১৩ বছরের মধ্যে মারা গেছেন। আর যারা প্রতিদিন এক ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ঘুমান তাদের ৩২ শতাংই আরো কম সময়ের মধ্যেই দেহত্যাগ করেছেন। গবেষকরা বলেছেন, আরো যেসব বিষয় মানুষের মৃত্যুকে তরান্বিত করে তাহল, ধুমপান, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা প্রভৃতি।
- 861 views
- 1 answers
- 0 votes
দেখুন : https://www.youtube.com/watch?v=OLqYQERb_pE
- 740 views
- 1 answers
- 0 votes
গবেষকদের মতে চুম্বন শরীরের জন্যও বেশ উপকারী। উদাহারণস্বরূপ ধরুন আপনি খুব মানসিক চাপে আছেন কোনো কিছু নিয়ে। এই সময়ে ভালোবাসার মানুষটির একটি চুম্বনেই আপনার মানসিক চাপ অনেকখানি কমে যাবে। নিয়মিত চুম্বনে মানুষের যৌবনও বৃদ্ধি পায়। শারীরিক অনুশীলন করার মতোই চুমু শরীরে হ্যাপি হরমোন নিঃস্বরণ করে। যা আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে নিরুৎসাহিত করে এবং আপনার শারীরিক মাপ ঠিক রাখে। এ ছাড়াও চুমু আপনার হৃৎপিণ্ডের জন্য ভালো এবং এটা আপনার দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। আসুন জেনে নিই চুম্বনের শারীরিক উপকারিতাগুলো।
মানসিক চাপ কমায়ঃ চুমু খাওয়ার ফলে তা আপনার মন থেকে ডজনখানেক সমস্যার চিন্তা দূর করে দেয়। বৈজ্ঞানিকভাবে বলতে গেলে চুমু খাওয়ার ফলে শরীরের অক্সিটসিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এটি শরীরের শান্ত করার রাসায়নিক। এ ছাড়াও চুমুর ফলে আপনি গভীরভাবে শ্বাস নিতে পারবেন, যা শরীরকে রিলাক্স হতে সহায়তা করবে।
তারুণ্য ধরে রাখবেঃ চুমুর ফলে মুখের প্রায় ৩০টি পেশির উদ্দীপনা হয়। এ ছাড়াও এর উপকারিতার মধ্যে রয়েছে আপনার কপালের ত্বক থেকে শুরু করে চোয়ালের মসৃণতা তৈরি পর্যন্ত। আপনার তারুণ্য অনুভব করতে এটি যেমন সাহায্য করবে তেমনি আপনাকে তা তরুণ দেখাতেও সাহায্য করবে। মুখের রক্তচলাচল বেড়ে যাওয়ায় এর মাধ্যমে আপনার মুখের দ্যুতি বেড়ে যায় এবং বয়সের কারণে সৃষ্ট মুখের বলিরেখা কমায়।
ক্যালোরি ক্ষয়ঃ আপনি যদি মনে করেন,শুধু জিম করা বা দৌড়ানোর মাধ্যমে দ্রুত শরীরের কিছু ক্যালোরি ক্ষয় করা যাবে,তাহলে আপনি ভুল করছেন। কারণ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে প্রায় ২ মিনিট ধরে চুম্বন করলে অন্তত ৬ ক্যালোরি ক্ষয় হয়। চুম্বনে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়, তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চুম্বনের জুড়ি নেই। এ কারণে আপনি যদি দৈনন্দিন ফিটনেসের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রাখেন ‘চুমু’কে তাহলে তা খুবই কার্যকর হবে।
দাঁতের ক্ষয়রোধঃ চুমুও দাঁত ও মুখের সুস্বাস্থ্যের জন্য ভালো। চুমু খাওয়া দাঁতের জন্যও উপকারী। চুম্বনের সময় মুখের সালাইভা ফ্লো বাড়ে এবং এর ফলে দাঁত পরিষ্কার হয় ও ভালো থাকে। এটি অ্যাসিডের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়,খাবারের কণাগুলো সরিয়ে দেয় এবং দাঁতের ক্ষয়রোধ করে।
হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখেঃ চুমু খাওয়ার সময় কখনো আপনার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে আর বেড়ে যেতে পারে হৃৎস্পন্দন। এতে হৃৎপিণ্ডের ব্যায়াম হবে। এ ছাড়াও এর মাধ্যমে আরো কয়েকটি উপকার হয়। যেমন এটি আপনার হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন নিয়মিত হতে সাহায্য করে,রক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এ কারণে চুমুর মাধ্যমে সুস্থ ও স্বাভাবিক হৃৎপিণ্ড বজায় রাখা সম্ভব।
ইনসমনিয়া সারায়ঃ যারা চুমু খেতে ভালোবাসেন এবং নিয়মিত চুমু খান তাদের ইনসোমনিয়ার সমস্যা হয় না। অন্যদের তুলনায় তারা মানসিকভাবে স্থির প্রকৃতির হয়।
জীবন সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণাঃ গবেষকদের মতে যারা নিয়মিত চুম্বন করে জীবন সম্পর্কে তাদের ধারণা বেশ ইতিবাচক। এসব যুগল অন্যদের তুলনায় বেশি দীর্ঘ ও সুস্থ্ জীবন যাপন করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়েঃ নিয়মিত চুম্বনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং দাম্পত্য সম্পর্ক আরো মজবুত হয়।
নিয়মিত চুম্বনকারী দম্পতিরা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও সুখী হয়। চুম্বনের সময় শরীর সুখাঅনুভূতির হরমোন তৈরি করে। যার ফলে তারা অন্যদের থেকে বেশি প্রশান্তিতে থাকে এবং যে কোনো লক্ষ্য সহজেই অর্জন করতে পারে।মেজাজ ফুরফুরে থাকেঃ চুম্বন করলে মেজাজ ফুরফুরে থাকে। প্রতিদিন সকালে মাত্র ২ মিনিট চুম্বন করলে সারা দিন আপনার মন-মেজাজ উত্ফুল্ল থাকবে।
দুটি মানুষের ভালোবাসা প্রকাশের এই মাধ্যমে শরীরের নানান উপকারীতা লুকিয়ে আছে। চুম্বনকে মনের খোরাকের পাশাপাশি শরীরের খোরাকও বলা যেতে পারে। তাই ভালোবাসার মানুষটিকে চুম্বন করে সুস্থ, দীর্ঘ ও সুখী জীবন লাভ করুন।
- 602 views
- 1 answers
- 0 votes
এটা কোন রোগ না। এটার লিঙ্গের স্বাভাবিক গঠন। তাই চিন্সোতার কোনো প্রয়োজন নেই। একটি মানুষের লিঙ্গের আকার তার স্বাস্থ্য, বংশগতি, জাতি ইত্যাদি বিষয়ের উপরে নির্ভর করে। যৌন মিলনে লিঙ্গের মোটা বা চিকন কোন প্রভাব ফেলে না।
একজন স্বাস্থ্যবান পুরুষ হলেই যে তার লিঙ্গ স্বাস্থ্যবান এ কথা কিন্তু বলা যাবে না। শুধু লম্বা দেহি ও শক্তি থাকলেই যে তার যৌন শক্তি ও লিঙ্গের সাইজ যে তার দেহের মতই এটা কিন্তু ঠিক নয়। অনেক পুরুষ আছেন যাদের দেহের সাথে লিঙ্গের কোনও সামঞ্জস্যতা নেই। স্ত্রী কে পূর্ণ তৃপ্তি দিতে পারছেন না এমন স্বামী লুকিয়ে লুকিয়ে মনের জ্বালা কে কবর দিচ্ছেন। এমনও কোনও কোনও স্ত্রী আছেন যারা দেহের তৃপ্তি পাওয়ার জন্য অন্য পুরুষের সাথে সময় কাটান। ফলাফল সন্দেহ, অতঃপর বিবাহ বিচ্ছেদ। আবার অনেকে বিয়ে করতেই ভয় পাচ্ছেন। অনেকে আবার সমাধান খুঁজেছেন পাগলের মত। কি করলে আমার লিঙ্গ একটু বড় হবে।
- 1965 views
- 1 answers
- 0 votes
দুই মাস মানে অনেক দিন। ডাক্তার এর পরামর্শ নিন।
- 2689 views
- 1 answers
- 0 votes
ওজন কমানোর জন্য আমরা অনেকেই বিভিন্ন ডায়েট প্লান অনুসরন করি। নিয়মিত ডায়েট প্লান অনুসরন করলে ও হাল্কা ফ্রী হ্যান্ড এক্সারসাইজ করলে আমাদের ওজন কমে আসে এটা আমরা সবাই এখন কম বেশি জানি। কিন্তু এই ওজন কমানোর হার ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া যায় ছোট একটি ব্যাবস্থা নিলে।
বছরের পর বছর ধরে বিজ্ঞানি গন গবেষণা করে যাচ্ছেন কোন একটি উপাদান খুজে পাবার জন্য যা আমাদের ওজন কমানোতে সাহায্য কবে। ২০০৮ সালে আমেরিকার মিনিসোটা বিশ্ববিদ্যালয় এর ডঃ সালেমার শিবলি ৩৮ জন স্থুল মানুষ কে নিয়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করেন। তিনি ১১ সপ্তাহ ধরে তাদের প্রতিদিন তাদের চাহিদার চেয়ে প্রায় ৮০০ ক্যালরি কম খেতে দিতেন। পরবর্তীতে দেখা যায় যাদের রক্তে ভিটামিন ডি এর লেভেল বেশি, তারা যাদের লেভেল কম তাদের তুলনায় অধিক দ্রুত ও বেশি মেদ মুক্ত হতে পেরেছেন। এই বেশির পরিমান ৭০ শতাংশের ও বেশি।
এর পর মেদ কমাতে ভিটামিন ডি এর উপযোগিতা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। বেশিরভাগ গবেশনাতেই ভিটামিন ডি মেদ দ্রুত কমাতে ভিটামিন ডি কে বিশেষ উপযোগী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে, ভিটামিন ডি ওজন কমাতে একটি উৎকৃষ্ট নিয়ামক হলেও শুধু ভিটামিন ডি খেলে আপনার মেদ বা ওজন যে কমে যাবে তা কিন্তু নয়। ধরুন মেদ বা ওজন কমাতে আপনি ডায়েট করছেন বা ফ্রী হ্যান্ড এক্সারসাইজ করছেন এবং সাথে ভিটামিন ডি সম্বলিত খাবার খাচ্ছেন, তাহলে আপনার মেদ বা ওজন স্বাভাবিক এর চেয়ে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি ও দ্রুত কমবে।
এখন আসা যাক আমরা ভিটামিন ডি কিভাবে পেতে পারি সেই আলোচনায়। সাধারণত সকালের নম্র রোদ থেকে আমাদের শরীর ভিটামিন ডি উৎপাদন করে থাকে। তবে যান্ত্রিক জীবনে এই সকালের রোদ তা উপভোগ করার সৌভাগ্য আমাদের খুব কম মানুষের ই হয়। তাই আমাদের অনেককেই নির্ভর করতে হবে বিভিন্ন খাবার বা সম্পুরক খাদ্দের উপর। মাশরুম, বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ যেমন ম্যাকারেল, শারডিন, ডিম ইত্যাদি তে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে বেশি পরিমানে ও কার্যকরী ভিটামিন ডি পাওয়া যায় কড লিভার আয়েল এ।
- 924 views
- 1 answers
- 0 votes
বিভিন্ন গবেষণাতেই বের হয়েছে যে নারী দেহে ফিশ অয়েলের উপকারিতা অনেক বেশি। ২০-৩০ বছর অথবা মধ্যবয়স্ক সব নারীরাই ফিশ অয়েল ক্যাপসুল খেতে পারেন। এবং প্রতিদিন ব্যবহারে শারীরিক ভাবে অনেক উপকারিতা লাভ করতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নিই ফিশ অয়েলের উপকারিতা সম্পর্কে।
স্তন ক্যান্সার রোধ করে
দৈনিক ওমেগা-৩ ফিশ অয়েল সেবন করলে স্তন ক্যান্সার হওয়ার ৫০% ঝুকি কবে যায়। ওমেগা-৩ ও ডিএইচএ-৩ তে প্রাকৃতিক ভাবেই অ্যান্টি প্রদাহজনক পদার্থ আছে যা ক্যান্সারের কোষ তৈরিতে বাধা প্রদান করে এবং তা শরীর থেকে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।ব্যাথা কমাতে
অনেক নারীদের menstruation এর সময় শরীরের যে ব্যথা হয়, ওমেগা-৩ এর ফ্যাটি এসিড সেই ব্যথা কমাতে সহায়তা করে।সুস্থ ভ্রুন উৎপাদনে সহায়তা করে
নারীদের গর্ভধারণ সময়ে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য। এবং এটি সন্তান ও মায়ের মধ্যে অক্সিজেন ও পুষ্টি বিনিময় করতে সহায়তা করে।শিশুদের মস্তিস্কের বিকাশ ঘটতে সাহায্য করে
একটি শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থ বিকাশের জন্য প্রচুর পারিমানে ডিএইচএ ওমেগা-৩ এর প্রয়োজন হয়। যদি কোন গর্ভবতী নারী যথেষ্ট পরিমানে ডিএইচএ সেবন না করে থাকে তখন মায়ের মস্তিষ্ক থেকে শিশুরা ডিএইচএ পেয়ে থাকে। এবং গবেষণায় বলা হয়েছে যে একজন নারী সন্তান জন্মদানের পর তারা তাদের মস্তিষ্কের ৩% কোষ হারাতে পারেন।হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে
গর্ভকালে অনেক নারীদেরই হাই ব্লাড প্রেশার থাকে যা গর্ভবতী নারীর জন্য ক্ষতিকর। তাই এই সময় ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এবং সুস্থ সন্তান জন্মদানে ওমেগা-৩ এর উপকারিতা অনেক।সঠিক তারিখে সন্তান প্রসব
ওমেগা-৩ গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নির্ধারিত সময়ের পূর্বে প্রসবের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এবং সন্তান সন্তান সুস্থ ও সম্পূর্ণরূপে বিকশিত কিনা তা নিশ্চিত করে।সন্তান প্রসবের সময়ের বিষণ্ণতা প্রতিরোধ করে
ক্লিনিকাল গবেষণায় বলা হয়েছে যে, একজন নারী সন্তান জন্মদানের পর যদি ওমেগা-৩ সেবন করে তাহলে তার প্রসব কালীন বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠতে পারবে।নারীদের সঠিক বয়সে মেনোপজ
ফিশ অয়েল প্রতিদিন নারীর শরীরের হরমোনের ভারসাম্য উন্নত করতে সহায়তা করে এবং মেনোপজ উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে।অস্টিওপোরোসিস রোগ সারাতে
অস্টিওপোরোসিস সাধারণত হাড়ক্ষয় রোগ। নারীদের মেনোপজের পর এই রোগটি দেখা দেয়। কিন্তু ফিশ অয়েলের ফ্যাটি এসিড অস্টিওপোরোসিস রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।হৃদরোগ ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে
হৃদরোগ এমন একটি রোগ যা নারীদের হলে মৃত্যুর সম্ভবনা থাকে অনেক বেশি। এবং অন্য যেকোন রোগ যেমন স্তন ক্যান্সার থেকেও হৃদরোগ খুব ক্ষতিকর। কিন্তু ইপিএ ও ডিএইচএ ওমেগা-৩ হৃদরোগ ঝুকি কমাতে সহায়তা করে এবং নিম্ন রক্তচাপ, কলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসেরাইড নিয়ন্ত্রনে রাখতে সহায়তা করে।- 929 views
- 1 answers
- 0 votes